লিনাক্সের আমি ও লিনাক্সের জন্য আমি

লিনাক্স নিয়ে কথা বলে মানুষের বিরক্তির কারন হচ্ছি তা বেশিদিন হয়নি। লিনাক্স ব্যবহার শুরু করেছি বলেই কিনা ফ্রি সফটওয়্যারের প্রতি আকর্ষন কাজ করছে। তাই কিনা টেকটিউনস এ পাইরেটেড সফটওয়্যারের টিউন দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। টিউনার রা কি সহজে সফটওয়্যারের পাইরেসি করা শেখাচ্ছেন একেবারে স্ক্রিন শট সহ। আমি ক'দিন আগে একটা পোস্ট করেছিলাম লিনাক্সের অচেনা/স্বল্প চেনা সফট আর উইন্ডোজ় বা লিনাক্স কার জন্য কোনটা এসব হাবিজাবি বিষয়ে। এখানে গিয়ে দেখে আসতে পারেন সেই লেখাটি।

আজকের লেখাটি সেই টিউনের মত বড় না। বরং প্রতিবেদনের মত ও ছোট।

লিনাক্স আমার জ়ীবনে কি পরিবর্তন এনেছে?

ধাপে ধাপে এগুই:

  • যখন শুধু উইন্ডোজ় ব্যবহার করতাম ২ মাসে আমি অন্তত ১বার OS রি-ইন্সটল দিতে হত। একবার উইন্ডোজ় ইন্সটল দেয়া কি চাট্টিখানি ঝামেলার ব্যাপার? ৪-৫ ঘন্টা লাগিয়ে আবার সেই মাদারবোর্ড ড্রাইভার, ১০১ টা সফটওয়্যার ইন্সটল করা। কিন্তু কোন উপায় ছিল না আমার সামনে আর।
  • এর পরে এল লিনাক্স ও উইন্ডোজ় একত্রে ব্যবহারের কাল। তখন আমি লিনাক্সে মুগ্ধ। প্রথমেই যে জিনিসটায় মুগ্ধ হলাম তা হল ইন্সটলের সাথে সাথেই আমি প্রায় সব দরকারি সফট রেডিমেইড পেয়ে যাওয়ায়। এটা আমাকে একেবারে অবাক করে দিয়েছিল। পেলাম ফায়ারফক্স, পেলাম ওপেন অফিস, পেলাম সিকিউরড মেইল ক্লায়েন্ট, স্ক্যান করার সফট, ACD SEE এর মাণের ফটো ম্যানেজার এফ স্পট, দেখি অডিও প্লেয়ার ১ টা আর ভিডিও প্লেয়ার ২টা দেয়াই আছে। আমি জানতাম তখন যে আলাদা কোডেক ইন্সটল করে নিতে হয়। তাই করে নিয়েছিলাম আর শান্তিমত সব ধরনের মিডিয়াই  চালাতে পারছিলাম।সব চে অবাক হয়েছিলাম যখন দেখেছিলাম আমার মাইক্রোসফট অফিসে (২০০৭) করা docx, pptx ইত্যাদি নতু ফরম্যাটের ফাইল যা নাকি মাইক্রোসফট অফিস ২০০২/০৩ তেই চলেনা, তাও চলে! সাথে পিডিএফ ফাইল গুলার জন্য কি সফট নামাবো ভেবে ভেবে ভুল করে ডাবল ক্লিক করে দেখি পিডিএফ ভিউয়ারও দেয়া!!!

আর কি লাগে? প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট করে লিনাক্স শিখেছি।

  • এখন আমি পুরোপুরি লিনাক্সে। এতদিন উইন্ডোজ় ৭ ও লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করতাম। সেটা বাদ দিয়ে এখন সম্পূর্ণই উবুন্টুতে। লুসিড লিনক্স এ। আশা করি অনেক সফট ইন্সটল করা এই LTS* এডিশনটি আরো ১ বছর ব্যবহার করব। এর পরে নতুন এডিশনে যাব।

(*LTS = Long Time Support)

Linux আমাকে দিয়েছে স্বাধীনতা। আমাকে কোন সফটওয়্যারের ক্র্যাকের জন্যে কাউকে ধরনা দিতে হয়না,আমাকে কোন কি-জেন খুঁজতে হয়না। এমন অনেক সাইটের ফোরাম আছে যেখানে সরাসরি ক্রাক কিজেন সিরিয়াল দেয়া-চাওয়া নিষিদ্ধ। সেগুলোতে আমাকে চুপি চুপি বিভিন্ন ভাব ধরে কি জেনের যোগাড়ে কাউকেই রিকোয়েস্ট করতে হয়না।
পেন ড্রাইভের তো বটেই সব ধরনের ভাইরাস থেকে আমি মুক্ত। কোনো সফটওয়্যারের জন্যে বসে বসে গুগলিং করতে হয় না। সফটওয়্যার সেন্টারে অগুনতি সফটওয়্যার আমার ক্লিকের অপেক্ষায়। সাথে আমার সুবিধার্থে প্রতি সফটওয়্যারের রিভিউ ও স্ক্রিন শট সংযুক্ত আছে যেন আসলে কি সফট আমি নিচ্ছি তা বুঝে জেনে নিতে পারি।

Linux হল ওপেন সোর্স, ফ্রি। এর প্রচার প্রসারে কোনো লাভ আমার বা কারোরই নেই। লিনাক্সের সফট গুলোতেও এর প্রতিফলন পাওয়া যায়। সারা পিসি জীবন আমি উইন্ডোজে আইডিএম(তার আগে অবশ্য অরবিট,ফ্লাসগেট ইত্যাদি ব্যবহার করেছি) ব্যবহার করতাম আর ভাবতাম আইডিএমের চে ভাল বুঝি আর কিছু নেই। লিনাক্সে এসে আবিষ্কার করি আইডিএমের চেয়ে ভাল বললে একে এতদিন ব্যবহারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হবেনা, কিন্তু অবশ্যই আইডিএম এর মত পাওয়ারফুল jDownloader আছে। আইডিএম এ ইউটিউব ভিডিও প্লে করলে ডাউনলোড লিঙ্ক আসে, না? jDownloader এ তাও লাগে না, খালি লিঙ্ক টা কপি করুন, দেখবেন ম্যাজিক। ওই ভিডিওর সব গুলো এভেইলএভল(available) রেজুলেশনের ফাইলের নাম আর সাইজ এনে আপনাকে লিস্ট দেখিয়ে বসে থাকবে, আপনার কাজ শুধু যেটি ডাউনলোড করবেন সেটি ডাউনলোড করে বাকিগুলো এক ক্লিকে ক্লিন করে দেয়া। আর বিভিন্ন ফাইল হোস্টিং সাইটে মাঝে মাঝে ক্যাপচা দেয়া থাকেনা? সেইটার ব্যবস্থাও jDownloader করে।
এরকম চমক প্রতিটা পদে পদে। এটা তো সামান্য একটা উদাহরন মাত্র।

Linux ব্যবহারে আমি সন্তুষ্ট। তাই আমার দায়িত্ব মনে করে এর প্রচার-প্রসার। এতে আমার কোনো স্বার্থ নেই। কেউ লিনাক্সে না আসলেও আমি ব্যবহার চালিয়ে যাব। আমার ভাল লেগেছে তাই। ক্যানোনিকাল যদি নিজেদের পয়সায় উবুন্টু বানিয়ে এমনকি আমাদের বাসায় তাদের খরচে সিডি পাঠাতে পারে তাহলে আমি কেন সামান্য সময় দিতে পারবনা? পডালেখা বা অন্যকিছুর এতে কোন ক্ষতি হবেনা। ইন্টারনেটে ফালতু কিছু উদ্দিপক ওয়েব সাইট, হ্যাকিং-ক্র্যাকিং আর ইয়াহু চ্যাটে সারাদিন পড়ে থাকার চে এ কাজ আমার কাছে অনেক যুক্তিসঙ্গত মনে হয়।

Linux কে আমি বেশি উপরে তুলব না। কারন কাউকে জোর করে লিনাক্সে আনার পক্ষে আমি না। আমারো উইন্ডোজের ইন্টারফেস আর সিম্পলিসিটি ভাল লাগে। ম্যাক ব্যবহার করিনি। তাই সেটি সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু উবুন্টু যে আর কিছুদিনের মধ্যেই সবার মাঝে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেললে তা আমি দেখতে পাচ্ছি। আশা করি মাইক্রোসফট ও ছেড়ে কথা বলবে না। উইন্ডোজও একদিন সাধারন মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যেই থাকবে। নাহলে অসম লড়াই হবে। প্রতিযোগিতা না থাকলে হয় নাকি?? আর পাইরেসির দুনিয়ায় যে উইন্ডোজের জয় হবে বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা কেউ তো আর বুদ্ধি থাকলে উবুন্টু বিক্রি করবেনা। তাই না?

নতুন যারা হুজুগে পড়ে উবুন্টুতে আসতে চাচ্ছেন, তাদের সম্পর্কে বলি, আপনাদের কাছে সম্পুর্ণ নতুন একটা অপারেটিং সিস্টেম এটি। একে প্রথমেই প্রাইমারি OS হিসাবে নেবেন না। কেননা আপনি এটা ওটা করতে যাবেন দেখবেন উইন্ডোজের মত হচ্ছেনা। তখন মেজাজ খারাপ হবে। আমারো হয়।

উবুন্টুর প্লাস পয়েন্ট নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, আমি কিছু মাইনাস পয়েন্ট নিয়ে আমার নিজের মত করে বলি:

  • উবুন্টুতে সফটওয়্যার প্যাকেজ আকারে থাকে। ইন্সটল সহজ হলেও ইন্টারনেট না থাকলে বা স্পিড খারাপ হলে মাথা শুধু গরমই করে। কারন আপনি কোনো প্যাকেজই স্বাভাবিক নিয়মে উইন্ডোজের মত কালেকশন বানিয়ে রাখতে পারবেন না। আর Keryx বা এ রকম টাইপের সফটগুলি ব্যবহার করে অফলাইনে করলেও সমস্যা হয় যদি পুরাতন নতুন সফট কলিশন হয় তাহলে ব্রোকেন ডিপেনডেন্সি দেখাবে আর সেই সমস্যার সমাধান না করলে আবার নতুন কোনো সফটওয়্যারও ইন্সটল করা যাবেনা। আর সমাধান করতে চাই ইন্টারনেট। যদি নেটই লাগে তাহলে আর অফলাইন হল কিকরে?
  • যাদের আলাদা এজিপি কার্ড(বিল্ট ইন না) তারা প্রত্যেকবার উবুন্টুর নতুন ভার্সন লাগানোর সময় প্রায় ৮০ মেগার ড্রাইভার নামাতে হয়। না নামালেও চলে, কিন্তু তখন আপনি ডেস্কটপের এক্সট্রা ইফেক্ট গুলা ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • মাউসের স্ক্রলিং হুইল কতটুকু পেইজ স্ক্রল করবে তা কনফিগার করার জন্য ডিফল্ট ভাবে কোনো সফট দেয়া থাকেনা।
  • কোডেক গুলা না থাকা আসলেই নতুন দের জন্য একটা বিরাট সমস্যা।
  • খুবই ঘন ঘন পাসোয়ার্ড চাওয়াটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর মনে হবে।
  • সত্যি কথা বলতে কি উবুন্টুর ড্যাশিং থিমগুলা আমি কেন জানি খুজে পাই না। কোথায় খুজলে পাব তাও বুঝিনা। অফিসিয়াল থিমগুলা ততটা নজর কাড়ে না, এর চে উইন্ডোজ ৭ এর টাস্কবার বা টাইটেল বারের চেহারা স্বাভাবিক ভাবে সুন্দর। তাই নতুনদের কাছে উবুন্টু অসুন্দর মনে হতে পারে।
  • বার বার ড্রাইভ মাউন্ট করা (যা ntfs-config ব্যবহার করলে সমাধান হয়) একটা অতিরিক্ত কাজ বলে মনে হয়। ঐ সফট ব্যবহার করলে খুব মাঝে মাঝে পেন ড্রাইভ ফরম্যাট করার সময় এটা সেটা এরর দেখায়(যদিও উইন্ডোজের মত পেন ড্রাইভের ভাইরাসে পিসি জ্যাম করে না)।
  • ইন্সটল করা সফটওয়্যার রিমুভের সময় ডিপেন্ডেনসি সহ লিস্ট দেখায়(যদি কমান্ড বাদ দিয়ে সিন্যাপ্টিক ব্যবহৃত হয়), যা কোনটা মূল ফাইল তা বুঝতে অসুবিধার সৃষ্টি করে।
  • বাংলা লেখার জন্য স্বতন্ত্র্য কোনো সফট নেই, iBus বা scim এর উপর সব গুলো বাংলা লে আউট নির্ভর করে।

পরিশেষে বলব যে, উবুন্টু আমার দেখা সেরা অপারেটিং সফটওয়্যার । কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু একটা মানুষের পক্ষে করে ফেলা সম্ভব না। আস্তে আস্তে উবুন্টুও একদম সহজ সরল ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হবে। মুক্ত দুনিয়ায় সফটওয়্যার বণিকদের নাগপাশ থেকে এরকম ওপেন সোর্স সফটওয়্যারই পারে আমাদের বাঁচাতে।
লিনাক্সের জয়গান চলতে থাকুক।

টেকটিউনস এর সব টিউনার কে আমার অনুরোধ, প্লিজ ক্র্যাক করা সফটওয়্যারের ব্যবহারের উপায় নিয়ে টিউন বাদ দিয়ে নিজেদের বিবেক কে জাগিয়ে তুলে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার নিয়ে টিউন করুন। ওপেন সোর্স না পেলে অন্তত ফ্রি-ওয়্যার নিয়ে টিউন করুন। দেখবেন যে ওপেন সোর্স দুনিয়া আসলে অনেক শক্তিশালি, অনেক সমৃদ্ধ। তখন কোটি কোটি ডলারে গড়ে ওঠা ফটোশপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এডবি যে সফটওয়্যার তৈরি করে, অবাক হবেন দেখে যে সে তুলনায় নগন্য বাজেটে গড়ে ওঠা ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গিম্প এর চে কোনো অংশেই কম সমৃদ্ধ নয়।

আমাকে টিউনটি পড়ে ও কমেন্ট করে উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।

Level 2

আমি দিহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 66 টি টিউন ও 2202 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

পড়াশোনা করছি MBBS ৩য় বর্ষ। স্বপ্ন টেকনলজি জগতেই ডুবে থাকব।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বরাবরের মতই সুন্দর লিখেছেন।
আপনার সমস্যা গুলোর দুই একটা বলি।
অফলাইনে সফট ইন্সটলের সবচেয়ে ভাল উপায় এপ্টন সিডি। (আমার মতে) পুরো পুরি অফলাইন।
কোডেক নামানো ঝামেলা মনে হলে মিন্ট একটা ভাল সমাধান।
উইন্ডোজ না থাকলে ড্রাইভগুলো ইএক্সটি করে নিলেই হয়। বারে বারে মাউন্ট করার ঝামেলায় যেতে হবে না।
থীমের জন্য এখানে দেখতে পারেন। http://www.gnome-look.org

—————————————
আমার এলোমেলো ব্লগ – আপনি আমন্ত্রিত

বরাবরের মতই সুন্দর লিখেছেন।
আপনার সমস্যা গুলোর দুই একটা বলি।
অফলাইনে সফট ইন্সটলের সবচেয়ে ভাল উপায় এপ্টন সিডি। (আমার মতে) পুরো পুরি অফলাইন।
কোডেক নামানো ঝামেলা মনে হলে মিন্ট একটা ভাল সমাধান।
উইন্ডোজ না থাকলে ড্রাইভগুলো ইএক্সটি করে নিলেই হয়। বারে বারে মাউন্ট করার ঝামেলায় যেতে হবে না।
থীমের জন্য এখানে দেখতে পারেন। http://www.gnome-look.org
এই তো। হ্যাপি লিনাক্সিং।

    অনেক ধন্যবাদ। আমি চাই শিখতে। সফটয়্যার বা কোডেক নামানো আমার কাছে ঝামেলা মনে হয়না মোটেই। ঝামেলা হয় যখন নতুন কাউকে লিনাক্স-এ নিয়ে আসি। তখন তাকে দেবার জন্য সফটোয়্যার ডাউনলোড শুরু করলে বিরক্ত হয়। আর আমাদের নেটের যে স্পিড, ৫থেকে৬ ঘন্টার আগে একটা পিসিকে পুরোপুরি সাজানো সম্ভবই হয়না।
    APT on CD’র দুইটা সমস্যা। তা হল প্যাকেজ গুলো সে জাস্ট কপি করে ক্যাশে রাখে। ইন্সটল করেনা। ম্যানুয়ালি করা লাগে। আর উবুন্টু/মিন্টে একটায় তৈরি সিডি আরেকটায় হাল্কা পাতলা সমস্যা করে।

    এপ্টনসিডি হলেতো আপনি সিনাপটিক থেকেই সফট ইন্সটল করতে পারবেন। ম্যানুয়ালী বলতে এটুকুই।

    —————————————
    আমার এলোমেলো ব্লগ – আপনি আমন্ত্রিত

    আরো সমস্যা করে। অনেক সময় ক্যাশ-এ থাকার পরেও প্যাকেজ ডাউনলোড করা শুরু করে। কাল আমার করল। মানে আপনি গিয়ে সিনাপ্টিকে লিখলেন পিকাসা, কাজ হবে না। ডাউনলোড করা শুরু করে দেয়।যদিও ওই প্যাকেজটা অলরেডি ক্যাশে আছেই। এটার কিকরে ব্যবস্থা করব?
    তবে ফোল্ডারে ঢুকে একটা একটা করে ডিপেন্ডেন্সি সহ ইন্সটল করলে আবার আসে। কিন্তু এটা কি আমার প্রায় ৩০ টা থিম ফাইলের বেলায় খাটে?এত করা সম্ভব এক এক করে?

    ঐযে বললাম না, পুরোপুরি অফলাইন!
    আপনার পিসিতে নেট ছিল এবং সিডির চেয়ে নেটে আপডেটেড ভার্শন ছিল।
    তাই সে সেটা ডাউনলোড শুরু করে দিয়েছে।
    অফলাইন পিসি হলে এই সমস্যা হত না।

    আচ্ছা তাই নাকি। ভাল জিনিস ধরিয়ে দিয়েছেন তো, দেখি কেমন কাজ করে।

ধন্যবাদ দিহান ভাই , টি টি কাছে পেয়ে ভাল লাগছে । দিহান ভাই আপনার মোবাইল নাম্বার আমাকে মেইল করে পাঠান । ([email protected])

হিমায়িত দিহান ভাই এত সুন্দর টিউন করেন কিভাবে বলেনতো?
কি বলব আপনার টিউন নিয়ে এক কথায় অসাধারন।
আমরা টেকটিউন্সে এমন ভাল ভাল টিউনই আশা করি এগিয়ে যা লিনাক্স নিয়ে আমি আছি আপনার সাথে।
আর অবশ্যই ধন্যবাদ রইল টিউনটির জন্য ভাল থাকবেন।

    আচ্ছা আতাউর ভাই, আপনি তো টিউন করতে পারেন অনেক বিষয় নিয়ে। করেন না যে?
    টিউনিং শুধু শিখি ভাই, আর কিছু না।

Level 0

অসাধারন একটি টিউন। Nice explanation.
Thank you for shear your experience.

খারাপ ও ভালো গুন ২ টাই বললেন …..অনেক ভালো লাগলো
আপনার মতো আমিও ভাবছি লিনাক্স ব্যবহার করবো .
ধন্যবাদ আপনাকে

A very Nice tune! 🙂

Very good tune, Many thanks to you

Level 0

আমার কাছে আপনার আগের tune থেকে এটিই বেশি helpful মনে হচ্ছে , আমি কম্পিউটার জগতে নতুন তাই লিনাক্স আমার প্রশ্নগুলি বোকার মত মনে হতে পারে,

আচ্ছা লিনাক্সে কি আন্টি ভাইরাস লাগে না?
লিনাক্সে যা চলে সবই ত উইন্ডজে চলে তা হলে লিনাক্স কেন শুধু সিকিউরিটীর জন্য?
উইন্ডজ একবারে বেসিক শিখতে কারও যদি ৩ দিন লাগে তাহলে লিনাক্স শিখতে কত দিন লাগবে?
আমার এক্সপি এর চেয়ে উইন্ডজ ৭ অনেক ভাল লাগে কারণ এতে অনেক সহজে কাজ করা যায় , লিনাক্স কি আমার কাছে বিরক্তিকর না ৭ এর মত সহেজে করা যায় এমন মনে হতে পারে?
আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি আমি কিন্তু একেবারে নবীন তাই বিরক্ত করলে মাফ করবেন

    না, এখনো পর্যন্ত লাগে না। কেননা সরকার যেমন বাতাসের উপর ট্যাক্স বসাবে না, তেমনি লিনাক্সের জন্য বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে কেউ ভাইরাস ছাড়ে না। তবে অন্যের ভালোর জন্য একান্তই ইচ্ছে করলে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা যেসব ভাইরাস অন্য উইন্ডোজ পিসি থেকে আপনার পেন-ড্রাইভে করে আসবে, তা লিনাক্স পিসির কিছুই করতে পারবেনা। তবে আপনি যদি পেন ড্রাইভ ক্লিন/ফরম্যাট না করেন তাহলে আপনার পিসি থেকে আবার পরে যে উইন্ডোজ় পিসিতে যাবে তার বারটা বাজাতে পারে। লিনাক্সের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করার উদ্দেশ্য অন্যদের উইন্ডোজ পিসিকে বাচানোর জন্য ভাইরাস গুলো ক্লিন করে দেয়া। এভিজির সাইটে গিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

    কই দেখলেন লিনাক্সে যা চলে সব উইন্ডোজে চলে? লিনাক্সে এমনো অনেক প্রোগ্রাম আছে যার নকলবাজি করতে উইন্ডোজ ব্যস্ত আর তা উইন্ডোজে চলেনা। যেমন : কম্পিজ

    লিনাক্স শিখতে ১ দিন লাগবে। কেননা লিনাক্স ইন্সটলের সাথেই সব দরকারি সফট দেয়া থাকে। ধরেন তিন দিন লাগিয়ে কেউ উইন্ডোজ শিখল। এখন হঠাৎ ভাইরাসে ধরল আর নতুন করে ইন্সটল করতে হল। ইন্সটলের পরে সে দেখবে কোনো সাউন্ড আসেনা, গেইম চলেনা, বৃটিশ আমলের গ্রাফিক্স আর রেজুলেশন(কেননা সে ড্রাইভার ইন্সটল করেনি)। সে লিখতে গিয়ে দেখবে ও মা! MS OFFICE নাই, ডিভিডি চালাতে গিয়ে দেখবে POWER DVD নাই, ফটো এডিট করতে গিয়ে দেখবে PHOTOSHOP নাই। তখন বেকুবের মত বসে থাকবে। কারন সে PHOTOSHOP, MS OFFICE,POWER DVD চালাতে জানে কিন্তু এগুলা যে আলাদা ইন্সটল করা লাগে তা কি জানে?
    লিনাক্স মিন্ট ইন্সটলের সাথে সাথেই উপরোক্ত সব কাজ করা যায়(কোডেক দেয়াই থাকে)। আর উবুন্টুতে সব করা যায় শুধু মিডিয়া চালানোর আগে কোডেক লাগে। তাও কি জানেন কত সোজা ইন্সটল করা? আপনি mp3/wmv/flv ফাইল চালাবেন, ক্লিক করেন, দেখবেন বলবে কোডেক নাই, ডাউনলোড করবো? আপনি YES দিলে কিছুক্ষনের মধ্যে কিচ্ছু করা লাগবে না অটো কোডেক ইন্সটল হয়ে ভিডিও চলা শুরু হয়ে যাবে। আর উইন্ডোজে আলাদা করে k-lite Codec ডাউনলোড করে নিজে নিজে ইন্সটল করতে হয়। তাও একশটা অপশন কনফিগার করতে হয়।

    উইন্ডোজ ৭ দেখতে সুন্দর ঐ নীল রংটার জন্য। ইচ্ছা করলে উবুন্টুকেও এরকম বানানো যায় থিম দিয়ে। খুঁজলে পাবেন আশা করি। আমি খুজিনি। তবে এক্সপির থিম পেয়েছিলাম। এমন কি এরো-পিক ও ব্যবহার করেছিলাম। লিনাক্সে কাজ করতে গেলে অসুবিধা হবে যদি আপনি মনে করেন ডেস্কটপে রিফ্রেস বাটন না থাকা একটা অসুবিধা(কেননা উবুন্টুতে এটা লাগে না), ডিফ্রাগমেন্ট না থাকাটা একটা অসুবিধা(একই কারন, লাগে না)।

Mind Blowing টিউন!!

আমার কাছে আপনার আগের tune থেকে এটিই বেশি helpful মনে হচ্ছে , আমি কম্পিউটার জগতে নতুন তাই লিনাক্স আমার প্রশ্নগুলি বোকার মত মনে হতে পারে,

আচ্ছা লিনাক্সে কি আন্টি ভাইরাস লাগে না?
লিনাক্সে যা চলে সবই ত উইন্ডজে চলে তা হলে লিনাক্স কেন শুধু সিকিউরিটীর জন্য?
উইন্ডজ একবারে বেসিক শিখতে কারও যদি ৩ দিন লাগে তাহলে লিনাক্স শিখতে কত দিন লাগবে?
আমার এক্সপি এর চেয়ে উইন্ডজ ৭ অনেক ভাল লাগে কারণ এতে অনেক সহজে কাজ করা যায় , লিনাক্স কি আমার কাছে বিরক্তিকর না ৭ এর মত সহেজে করা যায় এমন মনে হতে পারে?
আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি আমি কিন্তু একেবারে নবীন তাই বিরক্ত করলে মাফ করবেন

    Level 0

    না লিনাক্সে কোন ধরনের এন্টি-ভাইরাস লাগেনা
    উইন্ডোজ ৩ মাসে??? আরে ভাই ২০০৪ থেকে এখনো নতুন নতুন অনেক কিছুই শিখছি, লিনক্স সেই তুলনায় ৯০% কম সময় লাগে
    ভাই আপনি উইন্ডোজের সাথে লিনাক্সের তুলনা না করে লিনাক্সের সাথে লিনাক্সের তুলনা করুন, ও হে লিনাক্সের জন্য এক্সপির থিম আছে, প্রথম প্রথম সেটা দিয়ে চালিয়ে নিয়েন অনেক কাজে আসবে

    দেখেছেন লাকি ভাইয়ের সাথে আমার কত মিল? আমি কিন্তু উনার লেখা পড়ার আগেই আপনাকে উইন্ডোজ এর থিমের কথা লিখেছিলাম।

পাবলিকের চাহিদা অনুযায়ি সবাই টিউন করে। এখন সব সফটওয়্যারের ফ্রী ভার্শনতো নেই। তাহলে কি আমার টিউন করা বন্ধ থাকবে? এছাড়া আপনি একটা বিষয় দেখবেন প্রযুক্তি সংবাদ নিয়ে খুব ভাল টিউন হয় অথচ ঐটিউনের ভিজিটর পাওয়া যায় না।
একটা জিনিস আমার কাছে খারাপ লাগে, যারাই লিনাক্স ব্যবহার করে(আমিও করি) তারাই উইন্ডোজের বিপক্ষে কথা বলে অথচ আমাদের সবারই কম্পিউটারের হাতে-খরি হয় উইন্ডজ এর মাধ্যমে।

    ভাইয়া, উইন্ডোজের বিপক্ষে বলে না, বলে পাইরেসির বিপক্ষে।

    প্রথমেই বলে নিই যে আমি লিনাক্স এর বিপক্ষে না। বরং আমাদের সবার ধীরে ধীরে লিনাক্স এ মাইগ্রেট করা উচিত।
    তবে একটি ব্যপার লিনাক্স ব্যবহারকারীদের প্রায় সবাই এড়িয়ে জায়। তা হোল- আপনি যদি পুরোপুরি লিনাক্স এ জেতে চান, তাহলে আপনাকে Hard Disk আগে পুরোপুরি Format করতে হবে।(আমি জতদুর জানি। ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন)
    আপনি হয়ত বলবেন যে Windows এর সাথে Linux use করতে। কিন্তু এতে যে লিনাক্স এর সাদ পুরোপুরি পাওয়া জায় না, তা আপনিও সীকার করবেন। তাছারা Hard Disk এর উপর অনেক চাপ পরে। আরও একটি বড় বাধা হল- আমরা জারা ১GB net use করি, বা জারা net use করে না, তবে অন্নান্ন কাজ করে, তাদের জন্ন লিনাক্স মনে হয় তেমন কিছু দিতে পারে না বা এখনোও পারছে না। এইসব বাধা না থাকলে কবেই লিনাক্স এ চলে আসতাম!!!!

    কি বলেন? পাইরেসি তো এখন সব খানে চলে। টিউন করেন। কিন্তু মনে করেন গিম্প একটা টোটাল ফটো রিকভারি টুল। এ দিয়ে অনেক কিছু করা যায়। এখন আমি আর একটা সফট যার সাইজ কম ও ফিচার গিম্পের ১০০ ভাগের এক ভাগও না, দাম হল আকাশ ছোঁয়া(তাই ক্র্যাকের উপায় সহ) নিয়ে টিউন করলাম। বললাম এটা দিয়ে এই-ঐ করা যায়। অন্যেরা সেটা নিল। ভাবল মনে হয় এইটাই সেরা। করল চুরি, বঞ্চিত হল বাস্তবতা থেকে যে এর তুলনায় ওপেন সোর্স কম্যুনিটি ভাল ফ্রি-সফট নিয়ে বসে আছে আর সেটা এর তুলনায় হাজারগুন ভাল।
    ভাই শুরু করেন, দেখবেন সফটওয়্যার এমনিতেই বের হবে কাউকে বলে দিতে হবেনা আপনিই খুঁজে পাবেন। আমিও আগে চুরি করা এভাস্ট কিকরে ব্যবহার করতে হয় বলে টিউন করেছি। কিন্তু এখন আমিই সেই উন্নত মানের চুরির সফট বাদ দিয়ে কিছুটা অনুন্নত ফ্রি এডিশন ব্যবহার করছি। ক্ষতি পোষাতে নিজে আগের চে একটু বেশি সাবধান থেকেছি।

    সরি আগের কমেন্টে “গিম্প একটা টোটাল ফটো রিকভারি টুল” এ ভুল বশত রিকভারি লিখেছি, আসলে এডিটিং টুল হবে।

    টিউন করা মানে কি ভাই? মানুষকে কিছুর লোভ দেখিয়ে গিলে খেতে সাহায্য করা? নাকি নিজের প্রযুক্তি ভাললাগা শেয়ার করা? চাহিদা অনুযায়ি টিউন না ক’রে সাড়া আজ না পান কাল পাবেন। অভ্রনীল ভাইয়ের কথা জানেন? তার লেখাগুলো পড়ে কত মানুষ যে উবুন্টুকে শিখেছে ইয়ত্তা নেই, কেননা তিনি পুরো টিউটোরিয়ালের মত করে a-z লিখেছেন। প্রথম লেখার সময় তাকে কে চিনত? কতটাই বা কমেন্ট পেতেন? কিন্তু এখন তার একটা লেখা বের হলে আমরা হামলে পড়ি পড়ার জন্য। কেন সেটা? উনি তো পারতেন লিনাক্স নিয়া না লিখে অন্যকিছু নিয়ে লিখতে। কেননা তার এসব লেখা শুরুর সময় লিনাক্স ব্যবহারকারী হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যেত না।
    আপনাকে অন্যদের মনরঞ্জন করতে হবে না। যেভাবে চালাচ্ছেন চালিয়ে যান সেইরকম কোয়ালিটি নিয়ে, আপনার কথায়ই মানুষ শিক্ষা ও মনরঞ্জনের উপাদান খুঁজে পাবে।

    হিমু ভাই একটু বলবেন কি অন্যান্য কি কাজ? তাহলে দেখা যেত আল্টারনেটিভ আছে কি না।

    —————————————
    আমার এলোমেলো ব্লগ – আপনি আমন্ত্রিত

    আর হিমু ভাই, কে বলেছে যে পুরো হার্ড ডিস্ক ফরম্যাট করা লাগে? অবশ্যই লাগে না।

Level 0

ধন্যবাদ আপনার টিউন খুব সুন্দর হয়েছে। আমিও লিনাক্সে একেবারে নতুন উবুন্টু ১০.৪ দিয়ে শুরু করেছি। আমি অফলাইনে ওয়াইন সেটাপ দিতে পারছি না।

    ধ্রুব ভাই,স্বাগতম। অফলাইনে ওয়্যাইন ইন্সটলের চেষ্টা না করাই ভাল। ডাউনলোড করে নেন, উবুন্টুতো আর দুদিন পর পর ইন্সটল করতে হয়না।

কেবল আপনার টিউনে কমেন্ট করার জন্য (কয়মাস পর যেন) লগইন করলাম। আপনার মাইনাস পয়েন্টের প্রথমটা নিয়ে আপত্তি আছে আমার। উবুন্টু ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রথমেই বলে নেয়া হয় উবুন্টুর মজা ইন্টারনেট থাকলে। ইন্টারনেট না থাকলে উবুন্টুর আসল স্বাদ পাওয়া যায় না। আর এছাড়াও বিভিন্ন সফটওয়্যার আপডেট, সিসটেম আপডেট ইত্যাদির জন্য ইন্টারনেট তো লাগেই। আপনি লিখলেন যদি নেটই লাগে তাহলে আর অফলাইন হলো কী করে? এটা আমার কাছে ক্লিয়ার না। কী অফলাইন হলো কী করে?

আর সব ইন্সটল করা সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশনেরই ব্যাকআপ নেয়া যায়। সব ডাউনলোডেড প্যাকেজ /var/cache/apt/archives/ ফোল্ডারে জমা থাকে। এটা হার্ডড্রাইভে অথবা সিডিতে রাইট করে নিলেই হয়। আরও সহজ সমাধান আছে কিন্তু সেটা বলতে গেলে অনেকখানি লিখতে হবে। পরে কোনোদিন বলা যাবে।

    অফলাইন সফটোয়্যার ইন্সটল হল কি করে সেটা বলেছি।

    /var/cache/apt/archives/ এটা আমি জানি, আমিত বলেছি, সমস্যা আমার না, যাকে দিব তার। এটা আমি করতে পারি। কিন্তু দেখেন তো, এভাবে থিমগুলা আগের মত ইন্সটল অবস্থায় পাওয়া যায় কিনা? পেলে আমাকে জানাবেন ।

    মিন্টউবুন্টু প্যাকেজ পুরোপুরি সাবস্টিটিউটেবল না। সেটা বলেছি।
    কমেন্ট করার জন্য থ্যাঙ্কস।

ধন্যবাদ দিহান ভাই,
আমিও উবুন্টতে মাইগ্রেট করতে চাইছিলাম। কিন্তু ইন্সটল করার পর অনেক চেষ্টা করা সত্তেও ম্যাক এড্রেস চেঞ্জ করতে পারলাম না। আমি যেহেতু ব্রডব্যান্ড কানেকশন ইউজ করি তাই ম্যাক এড্রেস চেঞ্জ করা জরুরী। এ ব্যাপারে সাহাজ্য করলে উপকৃত হতাম। (বলে রাখি আমি অনেক কমান্ড ব্যবহার করেছি নেট থেকে হেল্প নিয়ে। কিন্তু কাজ হয়নি)
আশা করি হেল্প করবেন।

    এজন্য রিপোতে একটা এপস পাবেন, নাম GTk Macchanger
    মুক্তসোর্সের বানানো একটা টুলস আছে নাম My Network Connect
    আর যদি কমান্ডলাইনে করতে চান তবে সে ব্যবস্থাও আছে।

    My network connet ই ভাল। আর ম্যাক চেঞ্জ কেন করতে হবে আমি ত এটা ছাড়াই ব্রড ব্যান্ড লাইনে আছি

যাক ! লিনাক্স দেখি মানুষের নাম ( ফটু আর গিট্টু ) ব্যবহার করে মনুষ্য জাতির অর্ন্তভূক্ত হতে চলেছে !! বেশ বেশ !! তারপরেও যদি পাবলিকে না খায়, তবে লিনাক্সের নাম পরিবর্তন করে – Linux Human রাখাবে নাকি !?!?

    কি বুঝালেন আপনিই জানেন

    হে হে হে হে …….. এটাকে লিনাক্সে নিয়া গিয়া কনভার্ট করেন !!! কারণ লিনাক্স দিয়ে নাকি আবার সবই সম্ভব !!!

    সব সম্ভব লিনাক্সে না, বাংলাদেশে ।

    আপনি বোধহয় উবুন্টুর মোটো টা জানেন না।
    Linux For Human Beings.
    আর বন্টু মিন্টু উবুন্টুর দেয়া নাম না। এটা আমাদের দেশীয় কমিউনিটির একটা উদ্ভাবন।

    —————————————
    আমার এলোমেলো ব্লগ – আপনি আমন্ত্রিত

    পাবলিকে খাওয়ার কি আছে? কয় টাকা দিয়া উবুন্টু ব্যবহার করা লাগে? কেউ না নিলে উবুন্টুর কি গরজ পড়ছে? উবুন্টু তো আর ব্যবসা করে না, সো না খাইয়া মরবে না।
    এসব ফালতু জিনিস বলবেন না প্লিজ। মাফ করেন।

    মাঙ্গনায় খাইতেছে না – আবার টাকায় খাইবো কেডা !!! আর গরজ না পড়লে – পাবলিকের এত মন জোগানোর চেষ্টাই বা চলছে কেন !! আর লিনাক্স তো অন্যের খাইয়া-পইড়াই তো মানুষ হইতাছে !!! লিনাক্স – উইন্ডোজ , ম্যাক কোনটার না খাইয়া ছাড়ছে !!! সো, ধার করা কোন জিনিস লইয়া বেশী লাফালাফি করাটা তাদেরই সাজে ।

    তা লিনাক্স কোন জিনিসটা খাইছে উন্ডোজের বা ম্যাকের?
    আর লিনাক্স কিন্তু মানুষের মন জোগানোর জন্য একখান এডও দেয়নি।

    “মাঙ্গনা খাওয়ানো” – এর চাইতে পৃথিবীতে বড় এড কি হতে পারে ??? Any Idea !!

    Level 0

    @ মাছরাঙা:” মাগনায় খাইতেছেনা” খাইতেছেনা বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছেন ? পৃথিবীতে কত মানুষ LINUX ব্যবহার করে তার হিসাব আপনি জানেন ?

    মাগনা কে খাইতেছে, তাইতো বুঝলাম না। কারণ লিনাক্স ডিস্ট্রোগুলার অধিকাংশ কাজ হয় স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা। সবাই নিজের বাগানের জিনিসই খাচ্ছে। এখানে মাগনা খাওয়া যে কি তা আমার বোধগম্য না।

    —————————————
    আমার এলোমেলো ব্লগ – আপনি আমন্ত্রিত

    Level 0

    @মাছরাঙা, মাগনা দেয় বলেই তো আপনি নেটের এত সুন্দর সুন্দর সাইট দেখতে পাচ্ছেন। জেনে রাখুন পৃথিবীর প্রায় ৭০% সার্ভার চলে লিনাক্সে। অর্থাত ইন্টারনেটের মেরুদন্ড দাড়িয়ে আছে লিনাক্স সার্ভারের উপর। এছাড়া টপ ৫০০ সুপার কম্পিউটারের মধ্যে প্রায় ৯০% ই লিনাক্স পাওয়ার্ড। আর ধার করার ব্যাপারে উইন্ডোজের সুনাম সবচেয়ে বেসি। তাদের প্রথম প্রোডাক্ট MS-Dos কিন্তু Q-Dos নামের একটি OS থেকে নেওয়া। এছাড়া অনেকের ভ্রান্ত ধারণা Gui প্রথম আনে মাইক্রোসফট win 95(১৯৯৫ সালে) দিয়ে। কিন্তু এর প্রায় ৯ বছর আগে অ্যাপল তাদের লিসা মেশিনে Gui ব্যবহার করে। সর্বপ্রথম আনে Xerox(এদের কাছ থেকে পরে অ্যাপল কিনে নেয়)। মাইক্রোসফট চুরি করে অ্যাপল থেকে। দয়া করে Pirates of silicon valley ছবিটা দেখবেন। Internet Explorer ও MS এর নিজস্ব জিনিস নয়। তারা Netscape Navigator(ফায়ারফক্সের দাদা) এর সাথে পাল্লা দিতে spyglass কোম্পানির সাথে ব্রাউজার বানিয়ে বিক্রি করার চুক্তি করে। কিন্তু MS ফ্রিতে সেই ব্রাউজার(IE) OS এর সাথে দেওয়া শুরু করে, এবং spyglass এর অংশ মেরে দিতে চেষ্টা করে। পরে অবশ্য MS কিছু ক্ষতিপূরন দেয়। আর লিনাক্স ওপেনসোর্স হওয়ায় এর উপরে যত মডিফিকেশন করা সম্ভম, তা windows বলেন আর ম্যাক বলেন কোনো ক্লোজড-সোর্স সিস্টেমের উপর করা সম্ভব নয়। আর যারা ডেভেলপার/প্রোগ্রামার তাদের জন্য তো লিনাক্স ব্যবহার করা অনেকটাই ফরজ। কারণ তাদের ভালোর+শেখার জন্যই তারা এটা ব্যবহার করে এবং ভবিষ্যতেও করবে। যদি সোর্স ওপেন থাকে তাহলে টাকা দিয়েই হোক আর মাগ্না দিয়েই হোক। লিনাক্স কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির প্রোডাক্ট নয় যে কিছুদিন পর এটা বিলীন হয়ে যেতে পারে বা অন্য কেউ কিনে নিবে। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই সবাই নিজেদের গরজেই এর পাবলিসিটি করে(যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানি নাই)। MS কিংবা অন্যান্য কোম্পানিগুলো এই কারণেই লিনাক্সকে সমীহের চোখে দেখে। windows কিংবা ম্যাক ভালো হওয়া সত্ত্বেও হলিউডের হাই-ফাই ইফেক্টের ছবি বানাতে কেন এখনো লিনাক্স ব্যবহার করা হয়? কারন লিনাক্সের flexibility আর নিজের মত একে কাস্টোমাইজ এবং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা।

    জাহিদ ভাইয়ের কথা গুলা একদম সত্যি। ক’দিন আগেই আমি একটি সাইটে এনিমেশন মুভি বানানোর ল্যাবের ছবি দেখলাম। বিশাল বিশাল সব কম্পিউটার আর তাতে লিনাক্স ব্যবহৃত হচ্ছে। লিনাক্স ডিস্ট্রো যে যার দরকার মতন তৈরি করতে পারে বলেই এর ব্যবহার ক্ষেত্র অনেক ব্যাপক।
    মাগনা খাওয়ানো এড অবশ্যই। তবে সারাজীবন মাগনা খাওয়ানো আশা করি কোন এড না? যদি তাই হত, সব কোম্পানি আমাদের খালি মাগনাই খাওয়াতো।
    লিনাক্সে যারা প্রোগ্রাম করে তারা লিনাক্স উইন্ডোজের কিছু ‘মারছে’ বলে আমার চোখে পড়ে না। আপনি অযথা তর্ক করছেন। লিনাক্সের উদ্দ্যেশ্য নিয়ে একটু গুগলিং করুন যান।

আমার দেখামতে নাহিদের টিউনগুলো দিন দিন আরো সুন্দর হয়েছে… আমি সত্যিই অবাক নাহিদ তুমি যে উইন্ডোজ ছাড়তে পেরেছো… আমার আজ অনেক ভালো লাগছে তোমার এই টিউনের উপর…
#
অনে অনেক ধন্যবাদ তোমাকে…

Level 0

দিহান ভাইয়া আপনাকে মেইল করেছি ।plz একটু দেইখেন।একটু সাহায্য দরকার।

Level 0

thanks vhaiya.

Thank you for interesting tune about LINUX. I am very interested to learn linux.
would you please help me to learn linux …………………..

কিছু দিন আগে আমার এক বন্ধুর পিসির হার্ডিক্স বাদ হয়ে যাওয়ার পর আনেক দোকানে দেখালাম লাভ হলোনা।
পরে উবুন্টুর লাইভ চিডি দিয়ে চেস্টা করলাম বাদ হার্ডিক্স ভালোহয়ে গেল।
আই লাভ উবুন্টু………

Level 0

I am deffinitely gonna use linux- Kubuntu
thanks everyone for bringing me to light

আমি সম্পূর্ণ টিউনিট পড়িনি। কারণ আমাকে এখনই বাসায় ফিরতে হবে। তবে প্রিয়তে রেখে দিলাম।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে পেশাগত জীবনে আপনি কি করেন।
এটা বলার কারণ হচ্ছে আমি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। আমি যে সফটগুলো উইনডোসে ব্যবহার করি সেগুলো লিনাক্সে ব্যবহার শিখতে শিখতে ততদিনে বুড়ো হয়ে যাব। গ্রাফিক্সের খুটিনাটি বিষয়গুলি আমি সহজেই আরেকজন থেকে সমাধান পেয়ে যাই। কারণ আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের সব ডিজাইন ফার্মে উইনডোস ব্যবহার করে এবং গ্রাফিক্সের আপডেট ভার্সনটাই ব্যবহার করে। আমি যদি লিনাক্স ব্যবহার করি তাহলে কি হবে বলুন। ভাববেন না আমি লিনাক্সের বিরুদ্ধে এই যে মন্তব্যটি করলাম এটি কিন্তু লিনাক্স ব্যবহার করে করা হয়েছে। অর্থাৎ সময় পেলে আমি লিনাক্স শেখার ও জানার চেষ্টা করি।
যারা নন প্রফেশনাল তাদের জন্য লিনাক্স সুন্দর সাপোর্ট দিবে। আমি এখনো আমার ব্যাপারে ততটা আশাবাদী না। সময় স্বল্পতার কারণে সব কথা এলোমেলো হয়ে গেছে। আল্লাহ হাফেজ।

Level 0

ভাই। আমি নতুন উবুন্টু চালাচ্ছি। মাত্র আজ উবুন্টু ইনস্টল করলাম। এপটন সিডির সাহায্যে কিভাবে অফলাইনে সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায় বলবেন কি? উবুন্টুতে কিভাবে বাংলালায়ন এর মোডেম সেটাপ দেয় বললে খুশি হবো।

খুবই চমৎকার টিউন করেছেন! সোজা প্রিয়তে নিলাম 🙂 আমারো প্রথমে উইন্ডোজ থেকে লিনাক্স এ যেতে ভালো লাগেনি। এটা অটা না পেয়ে মেজাজ খারাপ হয়েছে। এখন মাথা ধরে গেলেও প্রতিদিন অল্প অল্প করে লিনাক্স এ থাকি। টার্মিনাল খুলে গুতাগুতি করি। আমার বাংলালায়নকে লিনাক্স এ বশ করতে পারছিনা। খুজে যাচ্ছি মেলা ফোরাম আর ব্লগ এ। দেখি কী করা যায়। লিনাক্স নিয়ে টিউন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ 🙂