আসসালামুয়ালাইকুম আপনার যদি একটি ব্লগ বা সাইট থাকে অথবা এমন কোন কিছু শুরু করার কথা ভেবে থাকেন। তাহলে মনে রাখবেন অনলাইনে এখনো আপনার টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে লক্ষে বিভিন্ন ভাবে মনিটাইজ করে উপার্জন করা যেতে পারে। কিন্তু অনেকেরই এটা না জানা থাকার কারণে কিছু অনীহা কাজ করে। তাই আজকের এই আটিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, কিভাবে সবচেয়ে সহজ ও সেরা পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক বন্ধুরা আজকের আটিকেল সর্বপ্রথম আমাদের কাছে মাধ্যমটি রয়েছে সেটি হচ্ছে বিজ্ঞাপণ। আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট কে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। বিজ্ঞাপণ দেখার মাধ্যমে যখন আপনি কোন বিষয়ে ব্লগিং করবেন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ টিউনে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা বা টিউন করা থাকবেন। তখন কিন্তু আপনি আপনার ওয়েবসাইট টা কে গুগল এডসেন্সের এডভার্টাইজিং পলিসি.
মনিটাইজ করে তারপর সেখানে আপনার যখন ভিজিটররা প্রবেশ করবে, তখন তাদের কাছে অ্যাড প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে, এবং এটা বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় মাধ্যম। টাকা আয় করার দুই নাম্বার আমাদের কাছে রয়েছে সেটা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। মার্কেটিং মার্কেটিং হল বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের প্রোডাক্টগুলোর এফিলিয়েট লিংক। আপনি কপি করে যদি আপনার ব্লগার ওয়েব সাইটের যে কোন আর্টিকেল এর মধ্যে কোন সাজেশন প্রোডাক্ট হিসেবে দিয়ে দেন। এবং সেই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কোনো পণ্য কোনো ক্রেতা ক্রয় করে, তাহলে সে ক্ষেত্রে সেখানকার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন। যেমন ধরে নিচ্ছি আপনি বিভিন্ন ট্রাভেল নিয়ে আর্টিকেল লিখেন এখন আপনি কোথাও সাঁতার নিয়ে অথবা কোন সুইমিংপুলে সাঁতার কাটা নিয়ে অথবা কোন সুন্দর একটা পরিবেশে বাহ সুন্দর একটা পুকুরে কোন একটা নদীতে সাঁতার কাটা নিয়ে একটা ব্লগ আর্টিকেল লিখেছেন।
তখন কিন্তু আপনি সাঁতার কাটার যে সমস্ত সরঞ্জাম গুলো আছে সেগুলোর একটা প্রডাক্ট লিংক। কিন্তু সেখানে এড করে দিতে পারেন যে, আপনারা চাইলে এই সুইমিং একটা কিনে নিতে পারেন, সেখানে একটি লিংক দিয়ে দিবেন। যদি কোনো দর্শক অথবা কোন অডিয়েন্স আপনার ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো পণ্য ক্রয় করে থাকে। তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন পেয়ে যাবেন। আর যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর অনেক বেশি থাকবে তখনই কমিশন গুলো আস্তে আস্তে আপনার বিশাল অংকের একটা আর্নিং হয়ে যাবে।
তিন নাম্বার আমাদের কাছে রয়েছে সরাসরি বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করে উপার্জন করা। আপনার ব্লগ সাইটে আপনি কোন ধরনের নিজস্ব পণ্য অথবা থার্ড পার্টি থেকে নিয়ে আসা কোনো পণ্য বিক্রি করতে চান। সেটা ডিজিটাল মাধ্যমে হোক অথবা অনলাইনে অর্ডার করে ফিজিক্যালি সেল করা হোক না কেন আপনি কিন্তু এই পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি কিন্তু চাইলে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম সেখানে অ্যাড করতে পারবেন এতে করে আপনি আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করে কিন্তু আপনার ব্লগের সাইটকে মনিটাইজ করে সেখান থেকে আপনার অর্থ আয় করতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন আপনার কোম্পানি কেউ পরিচিতি দিতে পারবেন।

আমাদের কাছে যেটা রয়েছে সেটা হচ্ছে সাবস্ক্রিপশন। বাংলাদেশের অনেকেই কিন্তু পত্রিকা পড়ি তাই না যেমন প্রথম আলো তারপরে দ্য ডেইলিস্টার তারপরে হচ্ছে নিউ ইর্ক টাইমস এরকম আরো অনেক কিছুই কিন্তু বিভিন্ন সাবস্ক্রিপশন পেমেন্ট করে থাকে। অনেকের কিন্তু প্রিমিয়াম আইডি আছে, সে প্রিমিয়াম আইডি ব্যবহার করে তাদের ওয়েবসাইটে যে পত্রিকা গুলো আছে সেগুলো পরে,

আবার কিছু কিছু সাইট আছে যেই সাইডে আপনি কিন্তু যদি আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রিমিয়াম আইডি দিয়ে সেখানে আর্টিকেল পড়তে হবে অথবা সাবস্ক্রিপশন কিনে নিতে হবে, যার বিনিময়ে আপনাকে মাসে মাসে কিন্তু টাকা প্রদান করতে হবে। সেই সাইট গুলোকে ঠিক একইভাবে আপনার সাইটে যদি আপনি এমন কোন কিছু রাখেন যেগুলো পাওয়ার জন্য অডিয়েন্সকে বা ভিজিটরদের কে সাবস্ক্রিপশন কিনে মাসে মাসে আপনাকে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে.
তাদের ভ্যালু নিতে হবে।

তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি এই সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ভাল অঙ্কের একটা টাকা আয় করতে পারবেন। তবে সেজন্য আপনার ওয়েবসাইটে এমন কোনকিছুই থাকতে হবে এবার আমরা চলে যাচ্ছি, কোচিং করিয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে যেমন আপনি যেকোন বিষয়ে এক্সপার্ট হন যদি ফটোগ্রাফিতে এক্সপার্ট হওয়া যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ এক্সপার্ট হন এবং আপনি যদি ম্যাথ কেমিস্ট্রিতে এক্সপার্ট হন। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার এক্সপোর্টাস আপনি যদি অন্যের সাথে শেয়ার করে সেটাকে বিক্রয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে চান, কোচিং সিস্টেমে তাহলেও কিন্তু আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট কিভাবে ব্যবহার করে সেটার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি চাইলে সেটা ভিডিও আকারে একটা কোর্স লিখে সেটাকে সেল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট দাম দিয়ে সেখানে আপনি পেমেন্ট গেটওয় বসিয়ে কিন্তু সেখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং আপনি অলরেডি হয়তোবা বাংলাদেশের দেখছেন,
যে এখন এই পদ্ধতিতে অনেক মানুষই কিন্তু তাদের অন্য তাদের কোচিং তাদের শিক্ষা মাধ্যমিক ফেল করছে। তারা যে বিষয়গুলো মানুষের সাথে ট্রেনিং আকারে শেয়ার করতে চাই। তো অফলাইনে সেটা এখন অনলাইনে শুরু করেছে এবং অনেক মানুষ কিন্তু এই কোচিং সিস্টেম থেকে অথবা অনলাইন লার্নিং সিস্টেম থেকে কিন্তু উপকৃত হচ্ছে।

সুতরাং এ সুযোগ আপনি কোনই বা হাতছাড়া করবেনা। এবার চলে যাচ্ছে আমরা একদম ফাইনাল এবং সেটা হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট টা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে। অথবা আপনার ব্লগিং গুলো অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে। পাঠকপ্রিয় হয়ে যাবে এবং সবাই আপনাকে চিনবে জানবে তখন আপনি কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পনসর্শিপ পেতে পারেন। তারা আপনাকে বলতে পারে। যে আপনার আর্টিকেলে আমাদের কোম্পানির সম্পর্কে এই বিষয়টা লিখে দিবেন, উল্লেখ করে দিবেন অথবা আপনার আর্টিকেলে আমাদের কোম্পানির একটা এড প্লেসমেন্ট করে দিবেন সেটা মৌসম হতে পারে, সেটা ইস্টিকার এড হতে পারে সেটা যেটাই হোক না কেন অথবা আপনার ওয়েবসাইটে আপনি তাদের একটাই স্টিকার এড বসিয়ে দিবেন, এরকম কন্টাক্ট করে কিন্তু আপনি বিভিন্ন স্পন্সর কোম্পানির মাধ্যমে আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে
দেব আপনার ব্লগকে মনিটাইজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

তো আশা করছি আপনারা বুঝতেই পারছেন যে আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে বিভিন্ন পন্থায় বিভিন্নভাবে কিন্তু আপনার সেই ওয়েবসাইট কে কাজে লাগিয়ে আপনি এখন বর্তমানে অনলাইন এ টাকা আয় করতে পারবেন।

সুতরাং আপনার যদি ব্লগ বা সাইট থাকে তাহলে আজকে থেকে এই ছয়টা মাধ্যমে অবলম্বন করে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করা শুরু করে দিন। আর যদি আপনি চান কিভাবে আপনি ফ্রি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, তাহলে সেক্ষেত্রে সে সম্পর্কে এই সাইটে আটিকেল আছে।

যেই আটিকেল গুলো দেখে আপনি নিজেই কিন্তু একটা ওয়েবসাইট তৈরী করে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তো আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোন আটিকেলে কথা হবে, নতুন কোন দুর্দান্ত বিষয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।
ধন্যবাদ, , , , , , , , , , , , , , ,