এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শুরুতে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সাবস্ক্রিপশন সেবাটি চালু করবে ইউটিউব।
ইউটিউবের সাবস্ক্রিশন সেবার নাম হবে ‘ইউটিউব রেড’। ইউটিউব রেড সেবাটি পেতে ব্যবহারকারীদের প্রতি মাসে ৯ ডলার ৯৯ সেন্ট খরচ করতে হবে এবং ওই সেবার অধীনে তারা যে ভিডিওগুলো দেখবেন, সেগুলোতে কোনো বিজ্ঞাপন থাকবে না।
২৮ অক্টোবর থেকে ইউটিউব যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রাহকদের ‘রেড’ সেবাটির এক মাসের ফ্রি ট্রায়াল দেবে বলেই জানিয়েছে বিবিসি। আন্তর্জাতিক মূল্য এবং উন্মোচনবিষয়ক তথ্যাদি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউটিউব।
এক ব্লগ টিউনে ইউটিউব বলেছে, “অনেকদিন ধরেই ইউটিউব ভক্তরা আমাদের কাছে নতুন কিছু চাচ্ছিলেন। ভক্তদের প্রত্যাশা, তারা যাতে পছন্দের কনটেন্ট আরও বেশি দেখার সুযোগ পান, পছন্দের কনটেন্ট নির্মাতাদের বিভিন্ন উপায়ে সহযোগিতা করার সুযোগ এবং সবচেয়ে বেশি তারা যে বিষয়টি চাচ্ছিলেন, তা হল কোনো বাঁধাবিঘ্ন ছাড়াই ভিডিও দেখার একটি অপশন।”
সাবস্ক্রিপশন সেবায় যে ইউটিউব কনটেন্টগুলো দেখা যাবে, সেগুলো ব্যবহারকারীরা অফলোইনে দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন, যা অনেকটাই নেটফ্লিক্সের মতো। এ ছাড়াও সাবস্ক্রিপশন সেবায় গ্রাহকরা গুগল প্লে মিউজিক, গুগলের মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা, ইউটিউব গেইমিং এবং নতুন একটি ইউটিউব মিউজিক অ্যাপে প্রবেশাধিকার পাবেন।
যেহেতু ইউটিউবের ফ্রি অ্যাড-সাপোর্টেড সংস্করণ আগের মতোই থাকবে, তাই ধারণা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির নতুন এই উদ্যোগের অধীনে প্রথমবারের মতো কিছু কনটেন্ট কমিয়ে আনা হবে। ওই কনটেন্টগুলো শুধু সাবস্ক্রিপশন সেবাধারী ব্যবহারকারীরাই দেখতে পাবেন।
ইউটিউবের সাম্প্রতিক এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের বিশ্লেষক ব্রায়ান ব্লাউ বলেছেন, “ইউটিউবের ভিন্নধর্মী মডেল নিয়ে আসার বিষয়টি ভাল, গ্রাহকরা অপশন ও পছন্দ প্রত্যাশা করে। তবে এ ধরনের উদ্যোগ সবসময় সাফল্যের মুখ দেখে না।”
প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন অ্যান্ডার্স অ্যানালাইসিসের ইয়ান মোড। মোড বলেন, “খুব স্বল্প সংখ্যক গ্রাহক সেবাটির সুবিধা নিতে পারে।”