
০১। পাতলা পায়খানা, ডায়রিয়া, টাইফয়েট হলে শিশুদের ঘন ঘন এবং বেশী পরিমানে মায়ের দুধ পান করানো উচিত। শিশুসহ সবাইকে খাবার স্যালাইন, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। শিশুদের জিঙ্ক ট্যাবলেট দুধের বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = খাওয়ার স্যালাইন, মেট্রোনিডাজল, মেট্রিল ,ফিলমেট, ফ্লাজিল, আমোডিস, এলমেক্স, জিঙ্ক (শিশু)।
ইমোটিল ও সিফ্রোফ্লক্সিন একসাথে পাতলা পায়খানা দূর করতে ব্যবহৃত হয়। (ব্যাপক হলে)
০২। বমির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ = এভোমিন, অনসেট, মটিগাট, মেট্রোনিডাজল, ডমপেরিডন। হাতের কাছে এন্টাসিড রাখতে পারেন.বমি বমি লাগলে চুষে খেলে কমে যেতে পারে।.
০৩। জ্বর বা সর্দি জ্বর বা গা/ মাথা ব্যথা হলে বেশী করে মাথায় পানি দিতে হবে। সমস্ত শরীর, ভালো করে ভিজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর বাড়লে (১০৩ F) বা ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখান। তবে পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের অন্য কোন উপসর্গ দেখলে প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = প্যারাসিটামল, নাপা , এসিট্রাম, এইচ, নাপা এক্সটা, এইচ প্লাস।
সুস্থ অবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা হলো ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। থার্মোমিটারে লাল দাগে সেটাই দেখানো হয়। তবে ৯৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রাকে সাধারণত জ্বর বলে ধরা হয় নাআন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ১০০ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে জ্বরের লক্ষণ এবং অসুস্থতার প্রকাশ বলে ধরে নেওয়া হয়।
মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
০৪। এলার্জিতে শরীরে চাকা চাকা লাল হয়ে যাওয়া, মারাত্নক চুলকানি, ফুলে যাওয়া এরকম হলে প্রয়োজনীয় ঔষধ = আরটিকা ১০এমজি, ওরাডীন, হিস্টাসিন, হিসটাল, একজিনা (ক্রিম) ফেক্সো প্লাস, পিরিটন, সিনামিন, ইরামিন, হিস্টালেক্স, এলাট্রল, ছাফী (হামদার্দ)।
নাকের এলার্জির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ = এন্টাজোল ড্রপস, এন্টাজোল প্লাস ড্রপস।
০৫। ক্রিমির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ = আলবেন-ডিএস, এলবেনডাজেল, এলবেন, সিনটেল, মেবেনডাজেল।
০৬। ছোটখাটো ব্যথা,কেটে যাওয়া ইত্যাদির জন্য হাতের কাছে কিছু ব্যথানাশক ওষুধও রাখা উচিত।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম গ্রুপের ক্লোফেনাক, ভলটালিন, ট্রামাডল(বেথা) ,স্টিমিটিল (মাথাবেথা), অ্যাফেনাক ইত্যাদি। মধ্যম থেকে তীব্র মাত্রার ব্যথাও এগুলো কাজ করে। ব্যথা অল্প হলে সেবন করতে পারেন প্যারাসিটামল,নাপা, এইস, প্যারাডট, রেনোভা, এনরিল, ফ্ল্যামেক্স।
যেকোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ সেবনের সময় মনে রাখা উচিত, ব্যথার খালি পেটে খাওয়া যাবে না, ভরা পেটে এ ধরনের ওষুধ খেতে হয়। সঙ্গে অ্যান্টাসিড জাতীয় যেকোনো একটা ওষুধও সেবন করতে হয়।
মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
০৭। কাশি-কফ হলে মধু খেতে পারেন, আদা চা, হালকা গরম পানি লবণ সহ গড়-গড়া করতে নারেন, তুলসি পাতা খুসখুসে কাশি দূর করতে পারে।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = অফ-কফ সিরাপ, তুসকা সিরাপ, বাসক সিরাপ, এমব্রোক্স, ব্রোফেক্স, এডোভাস, আলভাসিন (হামদার্দ)।
০৮। হাঁচিকাশি,নাক দিয়ে পানি পড়লে বা চুলকানি হলে এন্টি-হিসটামিন জাতীয় সিরাপ বা ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = হিস্টাসিন, এলাট্রল, ফেক্সো, ফেনাডিন, হিসটাল, পিরিটন, সিনামিন, ইরামিন, হিস্টালেক্স, লোরাটাডিন, ফেক্সোফেনাডিন, রুপা, রুপাটিডিন, রুপাডিন।
০৯। অতিরিক্ত এসিডিটি বা পেটে গ্যাস জমলে যা দেখে বুঝবেন-
পেটের উপরিভাগে ব্যথা, জালাপোড়া হওয়া গ্যাস্ট্রিকে, খালি পেটে ব্যথা বাড়া, গ্যাস নির্গত হওয়া, পেট শক্ত হয় বা ফুলে যায়।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = এন্টাসিট, এন্টাসিট প্লাস, রেনিটিডিন, রেবেপ্রাজল, পেন্টোপ্লাজল , ইনসিয়াক, ওমিপ্রাজল, সেকলো, লোসেক্টিল, ইসোমিপ্রাজল।
সাধারণত এ ধরনের ওষুধ খাবার গ্রহণের আধ ঘণ্টা আগে বা পরে সেবন করা ভালো।
কারমিনা সিরাপ অত্যন্ত কার্যকরী অনেক ভাল, হজম ও সকল প্রকার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে।
১০। রক্তশূন্যতা, অবসন্নতা, ক্লান্তি, দম-আটকানো হলে প্রয়োজনীয় ঔষধ = ফলিক এসিড, ফেরোসিন, ফেরোসিট, ভিটামিন বি-১২, এরিস্টোফেরন, ফলিসন। (বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে)
১১। পোকার কামড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ = টোজেন্ট ক্রিম, হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম।
১২। ত্বকে ঘা হলে প্রয়োজনীয় ঔষধ = ডি-রেশ, বেকট্রোসিন, এফান।
১৩। হাত বা পা কাটা বা পোড়ায় বা প্রাথমিক চিকিৎসা এ প্রয়োজনীয় ঔষধ = স্যাভলন,ডেটল, কেচি, ট্রে, হেক্সিসল -টাইম বেন্ডেজওয়ান, ,তুলা ও গজ, টুইজার বা চিমটা, একটি থার্মোমিটার,
১৪। হালকা রক্তপাত সহ ছোটখাটো কাটা-ছেড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতটি শুকনা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেলে কাটা জায়গায় অয়ন্টমেন্ট দিন।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = পভিডন-আয়োডিন মলম
'
১৫। খোস-পাচড়া, দাদ (ফাঙ্গাস ইনফেকসন) ইত্যাদি চুলকানি দ্রুত কমার জন্য
'পেভিসোন'' মলম লাগান। ফাঙ্গাস এড়াতে হলে শরীর শুষ্ক রাখতে হবে, এটা খুব ছোয়াঁচে রোগ।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = রিংগার্ড ক্রীম, স্কীনের জন্য সব চেয়ে ভাল হবে হুইট ফিল্ট ক্রিম, জেনাফিল্ড , ফ্লুক্লক্সাসিলিন, ফ্লুক্লক্স, ফ্লুকোনাল, ফ্লুগাল।
চুলকানি, খোসপাঁচড়া, খাজুলি, রাতে তীব্র চুলকানির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ = স্কাবিঊল, স্কাবিসল, লোটিক্স।
এক্ষেত্রে একই বিছানা, কাপড়, চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়।
১৬। আকস্মিকভাবে দাঁতের তীব্র ব্যথায় আক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় ঔষধ = কিটোরোলাক গ্রুপের
রোলাক, টোরাক্স, ইটোলাক, ইটোরাক, কিটোনিক। তবে বয়স ১২ বছরের নিচে হলে এগুলো না সেবন করাই উচিত। সে ক্ষেত্রে ফ্ল্যামেক্স ভালো কাজ করে। সাত বছর পর্যন্ত শিশুকে প্যারাসিটামল সিরাপ ভিন্ন অন্য কোনো ব্যথার ওষুধ না দেওয়াই ভাল।
১৭। মুখে ঘা হলে সাধারণত ভিটামিন-বি এর অভাবে হয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় ঔষধ = রিবোফ্লাবিন, রিবোসন।
১৮। হালকা পুড়ে গেলে প্রথমে পানি ঢালুন। পানি শুকিয়ে গেলে যত্ন সহকারে পোড়া জায়গায় প্রয়োজনীয় ঔষধ = সিলভার সালফাডিয়াযিন অয়ন্টমেন্ট দিন। ফোসকা পড়লে সেটা উঠানোর চেষ্টা করবেন না। তবে বেশি পুড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন।
১৯। এছাড়া সিনকারা মেধা, মানসিক দক্ষতা, ক্ষুধামন্দা ও দূর্বলতার জন্য
ছাফী রক্ত বিশুদ্ধকরণের জন্য, কারমিনা হজমের দূর্বলতার জন্য, চেবনপ্রাশ, ত্রিফলাচূর্ণ খেতে পারেন।
২০। তাছাড়া আগুনের কারণে ফোসকা হলে ফোটানো যাবে না, সাপের দংশন হলে যদি শুধু দুই দাগ থাকে, তাহলে তা বিষাক্ত সাপ আর বেশি দাগ হলে সাধারণ সাপ যা বিষাক্ত নয়। দিনে কমপক্ষে ৪/৫ লিটার বা ৮গ্লাস পানি খাওয়া উচিত, সকালে ব্রাশ করার আগেই কয়েকগ্লাস পানি খাওয়া যেতে পারে। পানি পান সঠিক ভাবে হলে ঘামের পরিমান কমে যায়। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠা ও ঘুমাতে যাওয়া হলে ভাল, রাত জাগলে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। দিনের প্রথম খাবার বা সকালের নাস্তা কখনই বাদ দেয়া উচিত নয়, নামাজ মনকে পবিত্র রাখে-ভাল রাখে, প্রতিবার অযু করাতে চেহারার সোন্দর্য বৃদ্ধি হয়।
আমি গোলাম রসূল পলাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভাল লেখা,