ঢাকা শহরে মোটরবাইক চালান? পুলিশ ফাইন করেছে? তাহলে এই ছোট্ট টিউনটি আপনার জন্য

আজকাল ঢাকা শহরে গাড়ির পাশাপাশি মোটরবাইক এবং বাইসাইকেল হুহু করে বাড়ছে। সময় বাঁচাতে এই দুই বাহনের কোন জুড়ি নেই। তাই সবাই এই দুই বাহনের দিকে ঝুকছেন। বাইসাইকেল চালাতে যেহেতু কোন লাইসেন্স লাগে না, তাই এইটা চালাতে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু মোটরবাইক চালাতে গাড়ির রেজি: এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে। এছাড়াও হেলমেট থাকাও বাধ্যতামূলক।

আপনার যেহেতু একটি মোটরবাইক আছে, সেহেতু ধরে নিচ্ছি আপনার গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন. ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হেলমেট আছে। এই তিনটা বিষয় ঠিক থাকলে সাধারণত কোন সমস্যা নেই। তারপরও যদি আপনি ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চালান অথবা যেকোন ভাবে আপনার গাড়ি চালানো বৈধ না হলে পুলিশ আপনাকে ফাইন করবে। যারা নতুন তারা প্রথমবার এই সমস্যাই পড়লে খবুই হতাশ হয়ে যান। বুঝে উঠতে পারেন না কি করবেন। পুলিশের অফিসে গিয়ে দালালের হয়রানির শিকার হতে হয় প্রায়শই।

তাহলে চলুন দেখি পুলিশ ফাইন করলে কিভাবে আপনার জব্দকৃত কাগজ (যেমন: ব্লুবুক, রেজি:) কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ফেরত পাবেন।

ফাইন করার সময় পুলিশ-কে সঠিক তথ্য দিন। কোনরকম উল্টাপাল্টা তথ্য দিবেন না। তাহলে আপনার বিপদ হবে। পুলিশ আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, মোটরবাইকের রেজি: নম্বর জানতে চাইবে। সেগুলে সঠিকভাবে দিন। তারপর আপনাকে একটি স্লিপ ধরিয়ে দিবে। স্লিপটি যত্ন করে রেখে দিন। এবং দুই কপি ফটোকপি করে নিন। কেননা এই স্লিপের কালি খুব তাড়াতাড়ি মুছে যায়। আর যদি কালি মুছে তথ্য হারিয়ে ফেলেন তাহলে আর দেখতে হবেনা। ঝামেলা কত প্রকার কি কি সব বুঝে যাবেন।

যাহোক আশা করি দুই কপি ফটোকপি করেছেন। এবার একটি আপনার কাছে রাখুন এবং অপরটি বাসায় বা সুবিধামত জায়গায় রাখুন। সাধারণত ফাইন করার পর ১মাস সময় থাকে। এই ১মাসের মধ্যে সাধরণত ফাইনের টাকা জমা দিতে হয়। এবার আপনার আশে পাশে U Cash এর এজেন্ট এর দোকান খুজে বের করুন। প্রায় সব বাজারেই পাওয়া যাই। যদিও বিকাশের মত এত সহজলভ্য নই। তাই একটু ভাল করে খুজুন।

এখন এজেন্ট এর কাছে স্লিপ এবং ফাইনের টাকা নিয়ে যান। তাদের কে স্লিপ দেখালেই তারা বুঝে যাবে। সাধারণত ফাইনের টাকার পরিমান থেকে ২০ টাকা অতিরিক্ত নেই তারা। টাকা জমা হলে আপনার স্লিপে তারা ট্রান্জেকশন আইডি তারিখ ইত্যাদি লিখে সীল এবং স্বাক্ষর করে দিবে। এইবার এই সীল ও স্বাক্ষর করা স্লিপটি যত্ন করে রেখে দিন। ৭ দিনের মধ্যে আপনার দেয়া ঠিকানায় অর্থাৎ আপনি পুলিশ কে যে ঠিকানা দিয়েছিলেন সেই এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে চলে আসবে। সময়মত এলার্ট পেতে পুলিশ কে দেয়া মোবাইল নম্বরটি খোলা রাখুন। কাগজপত্র (ব্লুবুক, রেজি:) চলে আসলে আপনার এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে আপনাকে কল করা হবে। ব্যস হয়ে গেল এখন শুধু সময় করে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে স্লিপ জমা দিয়ে আপনার কাগজ বুঝে নিন।

শেষ কথা- আইন কানুন মেনে গাড়ি চালান। আর অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করবেন। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি তাই তাড়াহুড়া করবেন না।

 

Level 0

আমি chotur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 14 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 2

অনেক কিছুই জানলাম, বাইকারদের কাজেলাগবে।

    Level 0

    ধন্যবাদ mahmudkoli কমেন্ট করার জন্য।

Level 2

ভাই ধন্যবাদ। আমার মটর সাইকেলের রেজিঃ আছে। অর্থাৎ নাম্বার ও নাম্বার প্লেট আছে। কিন্তু ডিজিটাল নাম্বার প্লেট নেই। কোথায়, কিভাবে, কত খরচে তা করতে পারব জানালে উপকৃত হতাম। ই-মেইল [email protected] Mobile 01911743993

Level 0

ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। কিন্তু দুঃখিত ভাই আমার সঠিক জানা নেই। তবে শুনেছি ২০০০ টাকার কিছু বেশি লাগে।

Level 0

onk thanks.. purai digital!