মানুষের মস্তিস্কের তথ্য ধারন ক্ষমতা কত? জানেন কি???

হিউম্যান ব্রেন বা ‘মানব মগজ’। এই মানব মগজ হচ্ছে সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলোর একটি।  মানুষের মগজের ওজন গড়ে ৩ পাউন্ড। শরীরের আকারের তুলনায় মানুষের ব্রেনই সবচেয়ে বড়।  মানুষের ব্রেনই সবচেয়ে বড় অংশ হল সেরিব্রাম। এই সেরিব্রামের ওজন পুরো মগজের ৮৫ শতাংশ। মগজের হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ ৬০ শতাংশ আর গ্রে মেটার বা ধূসরাংশ ৪০ শতাংশ। আর এই হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ এবং  গ্রে মেটার বা ধূসরাংশের ৭৫ শতাংশই পানি। মানুষের ব্রেনের ৬০ শতাংশই চর্বি। গর্ভে আসার পর থেকে মগজে প্রতি মিনিটে ২৫০,০০০ নিউরন তৈরি হয়। এই মগজ মানুষের শরীরের ২৫ শতাংশ অক্সিজেন খরচ করে। মগজে তথ্য প্রক্রিয়াজাত হয় সেকেন্ডে ১/২ মিটার থেকে ১২০ মিটার গতিবেগে।

এবার আসি কাজের কথায়।

মানুষের মস্তিস্কের তথ্য ধারন ক্ষমতা কত?

মানব মস্তিষ্কের প্রায় ৫০ বিলিয়ন থেকে ২০০ বিলিয়ন নিউরোন রয়েছে। প্রতিটি নিউরনে রয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার ট্রিলিয়ন সিন্যাপস। প্রতিটি সিন্যাপস বার বার সক্রিয় করা হয় ভেরিয়েবল থ্রেশহোল্ড (অগ্নিসংযোগ/স্পার্ক) এর মাধ্যমে। যদি আমরা ধরেনি প্রতিটি সিন্যাপসে ২৫৬ টি আলাদা থ্রেশহোল্ড হয় এবং প্রতিটি  নিউরন ১০ হাজার সিন্যাপস শেয়ার করে তাহলে সব গুলো সিন্যাপসের তথ্য ধারন ক্ষমতা প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টেরাবাইট। অর্থাৎ মানুষের মগজের তথ্য ধারন ক্ষমতা প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টেরাবাইট ( যদিও এই সংখ্যায় মতভেদ আছে, কারো কারো মতে এই সংখ্যা আরও বেশি)। এত্ত মেমরি থাকা সত্তেও মানুষ তার মস্তিস্কের  মাত্র ১০% ব্যাবহার করতে পারে (আফসোস)।

এবার এক নজরে দেখেনি মানুষের ব্রেন সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ

# মানুষের মস্তিকের প্রতি সেকেন্ডে ১০১৫ টি হিসাব করার ক্ষমতা আছে। যা পৃথিবীর সবচে বড় সুপার কম্পিউটারেরও নেই…!!

# মানব মস্তিস্কের প্রায় ৭৫ ভাগই পানি!!!

# বাচ্চা অবস্থায় একটি মানুষের মস্তিস্কের ওজন থাকে ৩৫০-৪০০ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যা বেড়ে হয় ১৩০০-১৪০০ গ্রাম !

# একজন মানুষের ব্রেইন,অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর চেয়ে প্রায় ৩ গুন বড়।

# ব্রেইন মানুষের দেহের মোট আয়তনের মাত্র ২% হলেও দেহে উৎপন্য মোট শক্তির ২০ ভাগেরও বেশী খরচ করে সে একাই।

# জাগ্রত থাকা অবস্থায় মস্তিস্ক প্রায় ২৫ ওয়াট পাওয়ার সৃষ্টি করে,যা একটি লাইট বাল্ব জালানোর জন্য যথেষ্ট ।

# একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া মাত্র ৫ মিনিট টিকতে পারবে।

# মানুষের নিউরনে তথ্য চলাচলের সর্বনিম্ন গতিবেগ হলো প্রায় ২৫৮.৪৯০ মাইল/ঘণ্টা, আর বর্তমান বিশ্বে সবচে দ্রুততম গাড়ি “বুগাত্তি ভেরন ই.বি ১৬.৪” এর গতিবেগ ২৫৩ মাইল/ঘন্টা।

# একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭০০০০ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম।

# ৩০ বছর বয়সের পর থেকে মানুষের ব্রেনের ভর প্রতি বছর .২৫% করে বাড়তে থাকে।

# সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনিস্টাইনের মস্তিস্কের ভর ছিলো ১২৭৫ গ্রাম,যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ।

আগে প্রকাশিত।

ঘুরে আসতে পারেন।

Level 0

আমি রাজিব বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 67 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

টেকনোলজী ভালোবাসি তাই টেকটিউনস্ এ বারবার আসি...... http://itv24.co/


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অনেক উপকারি একটা টিউন, টিউনটি মানসম্মতও হয়েছে কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না, হোয়াইট মেটার ৬০ শতাংশ, গ্রে-মেটার ৪০ শতাংশ আর পানি ৭৫ শতাংশ । মোট ৬০+৪০+৭৫= ১৭৫ আর লঘু মস্তিষ্ক গেলো কই ? আরেকটু বিস্তারিত বললে ভালো হত… 🙂

দুঃখিত, টিউমেন্টে একটু ভুল হয়েছে । মানে কি মোট ১৭৫ শতাংশ ?

হোয়াইট মেটার ৬০ শতাংশ, গ্রে-মেটার ৪০ শতাংশ = ১০০ শতাংশ। আর এই ১০০ শতাংশের ৭৫ শতাংশ পানি। মানে হোয়াইট মেটার ৬০ শতাংশের ৭৫ শতাংশ পানি আবার গ্রে-মেটার ৪০ শতাংশের ৭৫ শতাংশ পানি আলাদা আলাদা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আর দুঃখিত সঠিক ভাবে বুঝাতে না পারার কারনে।

দারুণ পোস্ট।

nice post

ভাল লাগল

অনেক কিছু ইনফরমেসন পেলাম ।

মানুষের মগজের তথ্য ধারন ক্ষমতা প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টেরাবাইট >>> এ কথাটা সত্তি অনেক যথার্ত বর্তমান যার সামান্য প্রমান হল মুসলমানদের জন্য : ড. জাকির নায়েক, যে বইটাই নিতি পড়েন সাথে সাথেই তার সেটা মুখস্ত হয়ে যাই,

Level 0

Thanks

ভাল লাগল