শিশুদের জন্য আদম (আঃ) এর কাহিনী

আসসালামু আলাইকুম, সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'লার , সালাত ও সালাম পেশ করছি শেষ নবী ও রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি-

সেদিন একজনকে একটা সুন্দর ইসলামী গল্পের বই উপহার দিব বলে বই এর দোকানে গেলাম। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তেমন কোন সুন্দর বই পেলামনা। লেখা ভাল তো ছবি ভালনা, ছবি ভাল তো লেখা ভালনা। কি আর করা !! সবাই যা করে আমিও তাই করলাম । google এর শরনাপন্ন হলাম । কিন্তু তেমন কোন লাভ হলনা। কিছু গল্পের বই পেলাম ঠিকই, কিন্তু সবগুলোই ইংরেজিতে লেখা। আমাদের দেশের অধিকাংশ বাচ্চারাই ইংরেজিতে দুর্বল। তাদের পক্ষে তো আর এই সব পড়ে আনন্দ পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কিছুটা হতাশই হলাম।

এদিকে আবার শরীরটাও একটু খারাপ। কিছুই করতে ভাল লাগছিলনা। তাই শেষমেশ ঠিক করলাম একটা pdf editor নামিয়ে নিজেই ইংরেজি গল্পের বইগুলোকে বাংলায় রুপান্তর করি। যেই ভাবা সেই কাজ। এতে কিছুটা সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়েছে। কারণ এইসব editing এর কাজে আমার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। তাই অনেক রকমের জোড়াতালি দিয়ে কাজটা শেষ করতে হয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহর রহমতে "আদম (আঃ) এর কাহিনী" নামে একটি গল্পের বই এর কাজ শেষ করেছি। বইটিতে কোন প্রকার মিথ্যার আশ্রয় না নেয়ার চেষ্টা করেছি এবং কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি কুরআনের আয়াত থেকে উদ্ধৃত করেছি। আশা করি, বাচ্চাদের ভাল লাগবে। আপনারা খুব সহজেই print করে বাচ্চাদেরকে উপহার দিতে পারেন। এতে তারা আদম (আঃ) এর সৃষ্টির কাহিনী সম্পর্কে জানতে পারবে।

আপনাদের সবার জন্য এই বইটির link নিচে দেয়া হলঃ

https://drive.google.com/file/d/0BxIiELSKYwAsczNudmhVOXVvM0U/edit?usp=sharing

বইটি পড়ে কোন খারাপ দিক চোখে পরলে অবশ্যই জানাবেন।

শেষকথাঃ

খুবই কষ্টের ব্যাপার !!! আমাদের মধ্যে অনেক ভাই/বোন রয়েছেন যারা photo editing, graphics designing , বাংলা অথবা ইংরেজি সাহিত্যে খুবই দক্ষ। কিন্তু তারা আমাদের সোনামণিদের জন্য তেমন কোন কাজ করছেননা। আমদের বাচ্চারা এখন বই দেখলে ভয় পায়, জানার কোন ইচ্ছাই তাদের মধ্যে আর কাজ করেনা। তাদের ভবিষ্যৎ কি আমরাই ধ্বংস করছিনা ? আমি জানি আমার share করা বইটি তেমন ভাল মানের না। কারণ এটা কোন expert এর কাজ নয়। তাই যারা এ সকল বিষয়ে expert তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- আপনারা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু করুন।

Level 0

আমি রকিবউল্লাহ সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃ), এর জীবনী। ইবুক download link দিন।

ধন্যবাদ

Level 2

ভাই আপনি আমার সাথে Contact করেন দরকার আছে

মাশাল্লাহ

Level 0

ধন্যবাদ! অাপনি কিছু পরিশ্রম করে হলেও ভালো একটা কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে।
কিন্তু ভাইজান! একজন নবৗ ও রসূল উনার হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত একজন মহান ব্যক্তিত্ব। উনার হলেন আমাদের মুক্তির দিশারী। উনাদেরকে যদি আমরা সাধারণ মানুষের কাতরে চিন্তা করি বা মূল্যায়ন করি তাহলে তো চরম বেয়াদবী হবে। এখন আপনি বলতে পারেন আপনার কোথায় ভুল ও বেয়াদবী হলো? মূলত আপনার কোন দোষ আমি দিচ্ছে না। কারণ বর্তমানে বাজারে যতগুলো বই হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার উপর লিখিত রয়েছে তারা সবাই এই চরম ভুলটি করে বসেছে। আর তা হলো- তিনি গন্দম ফল খেয়ে ভুল করে গুনাহ করেছেন। এটা মারাত্মক ও ভুল কথা। কারণ নবীগণ উনাদের কোন ভুল-ত্রুটি নেই। উনারা যা বলেন বা করেন তা মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ থেকে করেন। আর এখানেই মূলত উম্মতদের জন্য পরীক্ষা রয়েছে গেছে উম্মত তার নবী ও রসূলগণকে কিভাবে সম্মান ও মুহব্বত করেন তা মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখতে চান। আর আমার একথাটিই আহলে সুন্নতওয়াল জামায়াতের ছহীহ ফতওয়া।

    @hariskhan: আলহামদুলিল্লাহ, সালাত ও সালাম পেশ করছি শেষ নবী ও রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি-

    আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। আপনি যে কষ্ট করে বইটা ভালমত পর্যালোচনা করেছেনসেজন্য আমি খুবই আনন্দিত। আমি মানুষ, ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক । কিন্তু এক্ষেত্রে ভুল হয়েছে বলে মনে হয়না-

    প্রথমত, আমি কোথাও লিখিনি যে আদম (আঃ) গুনাহ করেছেন, বরং আমি লিখেছি তিনি ভুল করেছেন। আর এ ব্যাপারে ইবন তাইমিয়াহ সহ অন্যান্য আলেমদের মত এটাই যে, নবীরা ভুল করতে পারেন । এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্ক এ যানঃ http://islamqa.info/en/7208

    আর আমি মুলত সূরা আল আ’রাফ এর ১১-২৫ নং আয়াত থেকেই আমার লেখার উপকরণ নিয়েছি। আপনাদের জন্য আয়াত এর বাংলা অনুবাদ সরাসরি তুলে দিলামঃ

    ( 11 ) আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি। অতঃপর আমি ফেরেশতাদেরকে বলছি-আদমকে সেজদা কর তখন সবাই সেজদা করেছে, কিন্তু ইবলীস সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।

    ( 12 ) আল্লাহ বললেনঃ আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে কিসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বললঃ আমি তার চাইতে শ্রেষ্ট। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।
    ( 13 ) বললেন তুই এখান থেকে যা। এখানে অহংকার করার কোন অধিকার তোর নাই। অতএব তুই বের হয়ে যা। তুই হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত।
    ( 14 ) সে বললঃ আমাকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।
    ( 15 ) আল্লাহ বললেনঃ তোকে সময় দেয়া হল।
    ( 16 ) সে বললঃ আপনি আমাকে যেমন উদভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্যে আপনার সরল পথে বসে থাকবো।
    ( 17 ) এরপর তাদের কাছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।
    ( 18 ) আল্লাহ বললেনঃ বের হয়ে যা এখান থেকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে। তাদের যে কেউ তোর পথেচলবে, নিশ্চয় আমি তোদের সবার দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করে দিব।
    ( 19 ) হে আদম তুমি এবং তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর। অতঃপর সেখান থেকে যা ইচ্ছা খাও তবে এ বৃক্ষের কাছে যেয়োনা তাহলে তোমরা গোনাহগার হয়ে যাবে।
    ( 20 ) অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল, যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তা তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেননি; তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও-কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী।
    ( 21 ) সে তাদের কাছে কসম খেয়ে বললঃ আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাঙ্খী।
    ( 22 ) অতঃপর প্রতারণাপূর্বক তাদেরকে সম্মত করে ফেলল। অনন্তর যখন তারা বৃক্ষ আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের সামনে খুলে গেল এবং তারা নিজের উপর বেহেশতের পাতা জড়াতে লাগল। তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ডেকে বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
    ( 23 ) তারা উভয়ে বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।
    ( 24 ) আল্লাহ বললেনঃ তোমরা নেমে যাও। তোমরা এক অপরের শত্রু। তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে বাসস্থান আছে এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফল ভোগ আছে।
    ( 25 ) বললেনঃ তোমরা সেখানেই জীবিত থাকবে, সেখানেই মৃত্যুবরন করবে এবং সেখান থেকেই পুনরুঙ্খিত হবে।

    @hariskhan: “আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।” (সূরা আলি’ ইমরান : ১০৩)

Level 0

ভাইজান! আপনাকে ছোট বা খাটো করা আমার উদ্দেশ্য নয়। বুঝা গেলো আমিও এ বিষয়ে মোটামুটি ইলম রাখেন।
কিন্তু কথা হলো- পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফের মধ্যে নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শানে এ রকম অনেক শব্দ ব্যবহার রয়েছে যেগুলোর সরাসরি অভিধানে যে অর্থ দেয়া হয়েছে তা প্রকাশ করা যাবে না।
আপনি হয়তো বলবেন- সেটা তাহলে কেন এবং কিভাবে করতে হবে?
এখানে আপনার বুঝার সুবিধার্থে একটি উদাহরণ আমি দিচ্ছে। যেমন ধরুন আমাদের সমাজে পিতা তার সন্তানকে ‘বাবা’ বলে ডাকে। আবার সন্তানও পিতাকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করে। আচ্ছা এখন আপনিও বলুনতো- এই দুই ‘বাবা’-ই একই অর্থ প্রকাশ করবে?
আপনি অবশ্যই বলবেন, না। হ্যাঁ, ঠিক তাই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি যাকে ইচ্ছা, যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সম্বোধন করতে পারেন। এখানে কারো কথা বলার অধিকার নেই। কিন্তু উম্মত বা বান্দারা যখন নবী-রসূল বা এরূপ সম্মানিত যারা রয়েছেন তাদেরকে সম্বোধন করবে তখন তাদেরকে কিছু বিধি-নিষেধ, আদব ঠিক রেখে বলতে হবে। সাধারণের মতো অর্থ করলে চলবে না। বরং ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন হয়তো আপনি বলবেন- এ ব্যাপারে কুরআন শরীফে কোন আয়াত শরীফ আছে কি না?
হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। আপনার বোঝার জন্য তা উল্লেখ করছি।
যেমন মহান আল্লাহ্ পাক সূরা বাক্বারার ৫৪নং আয়াত শরীফে এরশাদ করেন,
ومكروا ومكر الله والله خير الماكرين.
এ আয়াত শরীফের প্রকৃত বা বাহ্যিক অর্থ হলো- “আর কাফেরেরা ধোকাবাজী করলো, আল্লাহ্ পাকও ধোকাবাজী করলেন, আর আল্লাহ্ পাক হচ্ছেন উত্তম ধোকাবাজ।” (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)
এরূপ অর্থ যে কুফরীর অন্তর্ভূক্ত, এ ব্যাপারে কারোই কোনরূপ দ্বীমত নেই। কারণ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা মতে মহান আল্লাহ্ পাক (مكر) “মকর” বা ধোকাবাজী হতে সম্পূর্ণই পবিত্র। অথচ দুনিয়ার সকল লোগাত বা অভিধান সমূহেই (مكر) “মকর” শব্দের অর্থ “ধোকাবাজী” বলে উল্লেখ আছে।
মকর (مكر) শব্দের লোগাতী বা প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত লোগাত বা অভিধান সমূহের ভাষ্য হচ্ছে- ইমামুল লোগবী, আল্লামা মুহিব্বুদদ্বীন, আবুল ফাইজ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুরতাজা আল হুসাইনী আল ওয়াসেত্বী আল যাবেদী আল হানাফী (রঃ) তাঁর বিখ্যাত আরবী লোগাত “তাজুল আরুস মিন জাওয়াহিরিল কামুস”-এর ৩য় জিঃ, ৫৪৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,
()المكر) الخديعة والاحتيال وقال اليث احتيال فى خفية …… وقال ابن الاثير مكر الله ايقاع بلائه باعدائه دون اوليائه،
অর্থঃ- “مكر” “মকর” শব্দের অর্থ হচ্ছে- ধোকাবাজী, প্রতারণা, ঠগবাজী। আবু লাইছ (রঃ) বলেন, গোপন প্রতারণা। ……… হযরত ইব্নুল আছীর (রঃ) বলেন, আল্লাহ্ পাক “মকর” করেছেন, একথার অর্থ হলো, তার শত্রুদের শাস্তি প্রদাণ করেছেন, বন্ধুদেরকে নয়।”
এছাড়াও আব্দুস্ সালাম মুহম্মদ হারুন সংকলিত “মু’জামু মাক্বানীসুল লোগাত, “ক্বামুস আল মুহীত ফিল লোগাত, আরবী অভিধান -“ইফরাতুল মাওয়ারিদ ফী ফছীহিল আরাবিয়্যাতে ওয়াশ্ শাওয়ারিদ, আল্লামা ডঃ ইব্রাহীম মদকুর তাঁর লিখিত আরবী অভিধান “আল মু’জামুল ওয়াযীয্-সহ আরো অনেক আরবী অভিধানেই রয়েছে।
আজ এই পর্যন্ত। আপনাদের জানাতে যদি ভুল হয়, বলতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। ওয়াস সালাম।

    @hariskhan: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভাই সহজ সরল মানুষ , এতো প্যাঁচ বুঝিনা, আরবি ভাষা সম্পর্কেও আমার কোন জ্ঞান নেই। আপনি অনেক জ্ঞানী মানুষ বলেই মনে হচ্ছে, অনেক বই এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন , এসব বই এর নামও আমি কখনো শুনিনাই । আমি একজন ছাত্র মাত্র , আপনার মত জ্ঞানী লোকের সাথে তর্ক করার স্পর্ধা আমার নেই ।

    তাই আপনিই বলুন “তারা তাদের ভুল বুঝতে পারল এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইল ” এর জায়গায় কি লেখা উচিত। আমি তাই লেখার চেষ্টা করবো ।

    @hariskhan: সূরা আলি ‘ইমরান এর ৫৪ নং আয়াতের ব্যাপারে ইবন উসাইমিন এর মতামতের একটি লিঙ্ক দিলামঃ http://islamqa.info/en/39803 , আপনি কি আগের শেয়ার করা লিঙ্ক টা পড়েছেন? ইবন তাইমিয়ার মতামতের ব্যাপারে আপনার কি মতামত?

Level 0

@রকিবউল্লাহ সজীব, ইবনে তাইমিয়ার মতামতের ব্যাপারে আমি এতটুকুই শুধু বলবো, ইবনে তাইমিয়া হলো কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী লোক। তার কোন কথাই গ্রহণযোগ্য নয়।

    @hariskhan: সুবহানাল্লাহ, আপনি এমন একজন লোকের ব্যাপারে এমন একটি মতামত দিলেন যে আমার আপনার কথাগুলোর উপর বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি কি কুফরি করলেন? আর আপনি এতক্ষন নিজের কথাকে কোন আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের কথা বলেছেন। এটা কি সেটা যার কথা রাসুল (সাঃ) বলেছেন , এটা কি সেটা যারা নিজেদের কোন মনগড়া কথাকে ইসলামের আইন বানিয়ে দেয়না, এটা কি সেটা যার অনুসারীরা দলিল-প্রমান ছাড়া কোন নিজস্ব যুক্তির উপর নির্ভর করেনা নাকি কোন নতুন কিছু ?

Level 0

@রকিবউল্লাহ সজীব, ইবনে তাইমিয়া সম্পর্কে হক্কানী উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের অভিমত
ইমাম ইবনে হাজর আসকালীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “দুরারুল কামেলা” নামক কিতাবে লিখেন, “ইমাম জাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি ইবনে তাইমিয়ার সকল কথার উপর আস্থা স্থাপন করতে পারি না, বরংআমিআক্বীদাওআহকামসংক্রান্তমাসয়ালা-মাসায়েলেতারবিপরীতমতপোষণকরি।”
ইমাম ইবনে হাজর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “রেহলাতুল আকশাহরী”কিতাব হতে উদ্ধৃত করে বলেন, “ইবনে তাইমিয়া তার সমসাময়িক আলেমগণ উনাদেরকে গালি-গালাজ করতেন, নিজেকে মুজতাহিদ মনে করতেন, তাই ছোট-বড় প্রাচীন ও নতুন সকল আলেমগণ উনাদের বিরোধীতা করতেন। এমনকি হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সমালোচনাকালে উনাকে কোন বিষয়ে “ভ্রান্ত”বলে ফেলেন। এ সংবাদ শায়খ ইব্রাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট উপস্থিত হয়ে ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে। ইবনে তাইমিয়া হযরত আলী কাররামালাহু ওয়াজহাহু উনার সম্পর্কে বলেন যে, তিনি ১৭টি মাসয়ালায় ভুল করেছেন এবং কুরআন শরীফ-এর খেলাফ করেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

    @hariskhan: ভাই, আপনার থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম, আপনার এই মন্তব্যের হুবুহু একটি প্রশ্ন standing comittee কে করা হয়েছিল , তারা তার উত্তরে কি বলেছে দেখুনঃ http://islamqa.info/en/96323

    আমার মনে হয় আমাদের আলেমদের ব্যাপারে কোন মতামত না দেয়াই ভালো, বিশেষ করে আমার, কারণ আমার এই বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই। আমি আপনাকে বলেছিলাম – “তারা তাদের ভুল বুঝতে পারল এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইল ” – এর জায়গায় কি লিখলে ভালো হবে তা বলার জন্য। আপনি যা বলবেন আমি তা লেখার চেষ্টা করবো।

    আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

Level 0

@রকিবউল্লাহ সজীব, ভাইজান আমি তো পবিত্র কুরআন শরীফের দলীল দিলাম। সাথে সাথে বিশ্বখ্যাত লোগাতেরও উদ্ধৃতি দিলাম। এরপরও বিষয়টি আপনার বুঝে আসছে না।
তাহলে আপনাকে আমি একটি পরামর্শ দেই। আমি একজন হক্কানী-রব্বানী আলিম উনার নিকট যেয়ে আমি যে উদ্ধৃতি ও দলীল পেশ করেছি তার ভুল কোথায় তা জেনে আমাকে জানান। আজ এতটুকুই। ওয়াসসালাম।

Level 0

@রকিবউল্লাহ সজীব, ভাইজান। আমি তো ইংরেজীতে দুর্বল। তাই পারলে আপনি বাংলা ভাষায় তার অনুবাদ করুন। তাহলে উপকৃত হতাম।

Level 0

@রকিবউল্লাহ সজীব, ভাইজান! আপনি যে আয়াত শরীফ “তারা তাদের ভুল বুঝতে পারল এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইল ” এর কথা বললেন সেটার উত্তর আমি ‘মকর’ শব্দটির মাধ্যমেই দিয়ে দিয়েছি।
কেননা এখানে আপনি পবিত্র আয়াত শরীফের সরাসরি অর্থ করেছেন। আর এই অর্থ করার কারণেই সেটা নবী ও রসূল উনাদের শানের খেলাফ হয়ে গেছে।
কেননা যেহেতু নবী ও রসূলগণের কোন ভুলও নেই, গুনাহও নেই। কাজেই তাদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয় আসতেই পারে না।
হ্যাঁ, আপনি হয়তো বলবেন, তাহলে ক্ষমা কেন চাইলেন? এর উত্তরে আমি বলবো, বিষয়টি হলো- মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বিনয়ী প্রকাশ করা। আর আরেকটি হচ্ছে- উম্মতদেরকে বিনয়ীর শিক্ষা দেয়া।