কি ভিন্নতা এলসিডি এবং এলইডি-র মধ্যে?

এলসিডি ও এলইডি ডিসপ্লে নিয়ে অনেকের মাঝে নানা ধরনের বিভ্রান্তি আছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ব্যপারটা এই রকম যে, এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) কে এলসিডি ডিসপ্লের ব্যাকলাইটিং এর জন্য যখন ব্যবহার করি তখনই আমরা তাকে বলি এলইডি ডিসপ্লে। মনিটরের ব্যাকলাইটের ক্ষেত্রে এলইডি আগের যে প্রযুক্তিটির বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি হল ফ্লুরোসেন্ট টিউব যা কিনা আমাদের বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত টিউব লাইটের সমগোত্রীয়। যেকোন এলসিডি মনিটরই ব্যাকলাইটিং এর জন্য এলইডি বা ফ্লুরোসেন্ট টিউব ব্যবহার করতে পারে। তার মানে এই নয় যে, কোন মনিটর ব্যাকলাইটিং এর জন্য এলইডি ব্যবহার করার মানেই এটি আর এলসিডি মনিটর থাকল না। এটিকে তখনও এলসিডি মনিটর বলতে হবে কারন নন এলইডি ব্যাকলাইট সমৃদ্ধ এলসিডি মনিটর যে প্রযুক্তি এলসিডি প্যানেল ব্যবহার করছে এটিও ঠিক তাই করছে। এখানে পার্থক্যটা হচ্ছে শুধু এলইডি ব্যাকলাইটিং এর বেলায়।

মনিটরের এলসিডি অংশটি হল এর লাল, নীল এবং সবুজ পিক্সেল যার ফলে আমরা মনিটরের পর্দায় ছিব দেখি। পেছন থেকে যদি আলোর প্রতিফলন না ঘটে তাহলে আমরা মনিটরের পর্দায় কিছুই দেখতে পারব না এবং এটাকেই বলছি ব্যাকলাইট। সুতরাং বোঝা গেল, এলসিডি মনিটরে পিক্সেলকে আলোকিত করার জন্য যে আলো ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি এলইডি ভিত্তিক হতে পারে অথবা হতে পারে ফ্লুরোসেন্ট টিউব ভিত্তিক।

এলইডি মানেই হল লাইট এমিটিং ডায়োড অর্থাৎ ডায়োড থেকে আলোর প্রতিফলন ঘটবে এলইডিতে। বিদ্যুৎতায়িত শক্তি এলইডি বাল্ব এর মধ্যে রাখা সেমিকন্ডাক্টর থেকে আলোর প্রতিফলন করতে সাহায্য করে। লাইটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এলইডি মনিটরে আলো এড়িয়ে যেতে পারে না। যার ফলে এর ছিবর গুনাগুন মানসম্মত থাকে এবং ছবি থাকে পরিষ্কার। নীল বা সাদা আলো প্রতিফলনে ব্যবহৃত নাইট্রাইড এলইডি মডিউলে ব্যবহৃত সবচেয়ে বেশী প্রচলিত সেমিকন্ডাক্টর গুলোর মধ্যে একটি। এলইডি ডায়োডকে নির্দিষ্ট কোনো রং প্রতিফলন করার মত করে ডিজাইন করা যায়, আবার এমনভাবেও ডিজাইন করা যায় যাতে একটি ডায়োড থেকে ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের আলো প্রতিফলন করা যায়। মাল্টিকালার ভিত্তিক এলইডি ডায়োড ব্যবহার করে বড় বড় এলইডি পর্দায় ছবি প্রদর্শন করা যায়।

ফ্লুরোসেন্ট টিউবের তুলনায় এলইডি ৪০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অন্যদিকে এলসিডিতে ফ্লুরোসেন্ট টিউবের ব্যবহারের ফলে আলোর প্রতিফলনে বাধা পড়ে। ফলে একটু হলেও পর্দায় ছবির মান এলইডি থেকে কম আসে। ফ্লুরোসেন্ট টিউব ভিত্তিক ব্যাকলিট মনিটরে আরো কিছু সুবিধা আছে যেমন: এগুলো একটু বেশী উজ্জল হয়, বেশ সংখক রং সাপোর্ট করে এ বলা হয়। আবার এলইডি ব্যাকলাইট সমৃদ্ধ মনিটর বন্ধ অবস্থা থেকে মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ডেই সর্বোচ্চ উজ্জলতায় পৌছে যেতে পারে। এদিক থেকে এগুলো ফ্লুরোসেন্ট টিউবভিত্তিক মনিটরের চেয়ে এগিয়ে আছে কারন এসব মনিটরে উজ্জলতায় পৌছাতে কয়েক মিনিট ও লাগতে পারে।

প্রথম প্রকাশিত আমার ব্লগে।

আমার ইংরেজি ব্লগ | আমার বাংলা ব্লগ

Level New

আমি সাইমুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ অনেক তথ্য জানতে পারলাম । চালিয়ে জান ।

ধন্যবাদ

nice

Level 0

Thanks

ধন্যবাদ । অনেক দিন ধরে উত্তরটা খুজছিলাম ।

Level 0

Thanks for information, we need more

Level 0

chokher jonno konta valo?

Level 2

ধন্যবাদ । অনেক দিন ধরে উত্তরটা খুজছিলাম ।