হার্ডওয়্যার সমগ্র :: মাদারবোর্ডের বুকে বসবাস [পর্ব-০১]

মাদারবোর্ড বা মেইনবোর্ড হল কম্পিউটারের ভেতরে অবস্থিত সার্কিট বোর্ড যাতে সিস্টেম এর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ডিভাইস পরষ্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং নতুন ডিভাইস সংযুক্ত করার ব্যাবস্থা থাকে। কম্পিউটিং এর ভাষায় এই ডিভাইসগুলোকে বলা হয় পেরিফেরালস (Peripherals)। প্রযুক্তির উত্তোরোত্তর উন্নতির কারণে মাদারবোর্ড এর নিঁখুত সংজ্ঞা দেওয়া সম্ভব নয় কারণ প্রতিদিনই নতুন নতুন পেরিফেরালস মাদারবোর্ডে যুক্ত হচ্ছে।

যখন থেকে কম্পিউটার এর সুচনা, তখন আজকের মাদারবোর্ড এর মত কোন কিছু ছিলনা। একেবারে প্রথমদিকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলো একত্রে লাগানোর জন্য ‘ব্যাকপ্লেইন’ নামক ব্যাবস্থা রাখা হয়েছিল। এটা আসলে একটা পিসিবি বোর্ড যাতে অনেকগুলো কানেক্টর থাকত (আজকের মাদারবোর্ড এ যেমন কয়েকটা পিসিআই পোর্ট থাকে), এই কানেক্টরগুলোতে বিভিন্ন প্রসেসিং ডিভাইস, স্টোরেজ ডিভাইস ইত্যাদি লাগানো যেত। অর্থাৎ সবগুলো আলাদাভাবে যুক্ত থাকত এবং তাদের একত্রিত করতে ব্যাকপ্লেইন ব্যাবহৃত হত। এর সাথে ‘সিঙ্গেল বোর্ড কম্পিউটার’ অর্থাৎ প্রসেসিং অংশটুকু লাগালেই তা পরিপুর্ণ কম্পিউটার হয়ে যেত। নিচের ছবিটাতে ব্যাকপ্লেইন আর সিঙ্গেল বোর্ড কম্পিউটার অংশটুকু দেখানো হল।

ব্যাকপ্লেইন এর সুবিধা ছিল যে কানেক্টর যতক্ষণ ভালো থাকত ততক্ষণ ইচ্ছামত ডিভাইস লাগানো বা খোলা যেত। এতে তারের কোনো ঝামেলা ছিলনা। আর কোন অংশ নষ্ট হলে সেইটুকু পরিবর্তন করলেই হত। তবে এর সীমাবদ্ধতা যা তা হল ব্যাকপ্লেইনের মাধ্যমে তত্বীয়ভাবে অসংখ্য ডিভাইস কানেক্ট করানো সম্ভব। কিন্তু সকল প্রসেসর, ইনপুট আউটপুট ডিভাইস ইত্যাদি এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই কারণে ১৯৮০ সালের পর থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক পোর্ট ও ডিভাইস নিয়ে মাদারবোর্ড নামক ধারণা চলে আসে। পিসিবি বোর্ড তখন থেকে সহজলভ্য হওয়ার কারণে সার্কিট বোর্ডে আবশ্যক পেরিফেরাল যুক্ত করে মাদারবোর্ড তৈরি করা শুরু হয়। একেবারেই শুরুর দিকে যেসব কোম্পানি মাদারবোর্ড তৈরী করত তাদের মাঝে Micronics, Mylex, AMI, DTK, Orchid Technology, Elitegroup  ইত্যাদি পরিচিত ছিল। এরা প্রায় সকলেই জাপানের তাইওয়ানের কোম্পানি ছিল। কিন্তু পরে অ্যাপেল আর আইবিএম এর দাপটে এরা টিকতে পারেনি, কারণ অ্যাপেল আর আইবিএম তাদের মাদারবোর্ড এ অনেক বেশি সুবিধা দেওয়া শুরু করে। ১৯৯৭ এ ইনটেল প্রসেসর তৈরীর পাশাপাশি মাদারবোর্ড তৈরীতে হাত দেয়। ফলে বাজারের বড় একটা অংশ তাদের অনুকূলে চলে আসে। এখন সকল মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাদের বোর্ডে প্রসেসর, মেমরি, ইনপুট আউটপুট ডিভাইস এর পাশাপাশি নেটওয়ার্ক, গ্রাফিক্স ইত্যাদি সহ আলাদা কার্ড লাগানোর সুব্যাবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়া এটিআই, এনভিডিয়া তাদের মাল্টি-জিপিইউ এর জন্য বিশেষ বোর্ড তৈরী করে থাকে।

একটা ছোট্ট কৌতুক বলি। এক লোককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে “কম্পিউটার এর ভবিষ্যৎ কি?” উনি উত্তর দিলেন “কম্পিউটার এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার কারণ এতে কোন ফাদারবোর্ড নেই”

এরকম শুনে অনেকেই জোক করেন যে ফাদারবোর্ড কেন নেই। মজার ব্যাপার হল ফাদারবোর্ড না থাকলেও মাদারবোর্ড এর সাথে আরেকটা জিনিস সংযুক্ত করা যায় যার নাম ডটারবোর্ড। মেয়ে যেমন মায়ের অনুগত হয়, তেমনি এই বোর্ড মাদারবোর্ড এর অধীনে থেকে কাজ করে। ডটারবোর্ড আসলে একধরণের এক্সপেনশান কার্ড যা মূল বোর্ডের পিসিআই বা আইএসএ বাসে যুক্ত থাকে আর সত্যিকার কম্পিউটার বাসের মতই আচরণ করে। ডটারবোর্ড এর মাধ্যমে আলাদা রেইড, সিপিইউ, নেটওয়ার্ক ডিভাইস, স্টোরেজ ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত করা যায়।

এটা হল পাটা ডটারবোর্ড -

আর এটা হল ল্যান ডটারবোর্ড যা থেকে একসাথে তিনটি পোর্ট বের হয়েছে -

  • প্রসেসর সকেট
  • চিপসেট
  • ভোলাটাইল মেমরি
  • নন-ভোলাটাইল মেমরি
  • সিস্টেম ক্লক
  • এক্সপেনশান স্লট
  • পাওয়ার কানেক্টর

এবার আসি বিস্তারিত বর্ণনায় –

*** প্রসেসর সকেট: এটা মাদারবোর্ডে থাকা একটি সকেট যাতে প্রসেসর কোনো ঝামেলা বা ক্ষতি ছাড়াই বসানো যায় ও খোলা যায়। বিভিন্ন মডেলের প্রসেসরের জন্য বিভিন্ন সকেট রয়েছে। দুই ধরণের সকেট রয়েছে। একটা হল ZIF আর আরেকটি হল LGA. LGA সকেট সবাই চেনেন। Land Grid Array কে LGA বলা হয়। Zero Insertion Force কে ZIF বলে। দুই ধরণের সকেটের ছবি দেখেই বুঝবেন কোনটা কেমন। এখন LGA সকেট সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রসেসরের জন্য বিভিন্ন সকেট আছে। যেমন পেন্টিয়াম প্রসেসরের সকেট হল LGA 771. কোর টু ডুও এর সকেট LGA 775. আর কোর সিরিজের প্রসেসর বসানো হয় LGA 1156 সকেটে। বিভিন্ন সকেটের বাস স্পীড আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

এই হল ZIF সকেট -

আর এগুলো হল LGA সকেট যা এখনকার প্রসেসরের জন্য বহুল ব্যাবহৃত হয়। নিচেরটা হল পেন্টিয়াম প্রসেসরের জন্য -

এটা কোর টু ডুও এর জন্য -

আর এইটা সবার পরিচিত কোর আই সিরিজের প্রসেসরের জন্য -

সাধারণত একটা বোর্ড এ একটাই প্রসেসর থাকে। তবে সম্প্রতি একাধিক প্রসেসর সকেট-যুক্ত বোর্ড পাওয়া যাচ্ছে। মাল্টি-সিপিইউ মাদারবোর্ড এরকম দেখতে -

*** চিপসেট: চিপসেট হল যে পেরিফেরাল প্রসেসর এবং অন্যান্য ডিভাইস এর সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলে। আধুনিক আর্কিটেকচার অনুযায়ী মাদারবোর্ড চিপকে দুইটি অংশে ভাগ করা হয়। একটাকে বলা হয় নর্থব্রিজ আরেকটা সাউথব্রিজ।

নর্থব্রিজ: এটা মাদারবোর্ড এর হাই-স্পীড ডিভাইসগুলোকে কন্ট্রোল করে। অর্থাৎ প্রসেসর, র‍্যাম, ভিডিও প্রসেসর এর সাথে যুক্ত থাকে। একে অনেক সময় ‘মেমরি কন্ট্রোলার হাব’ও বলা হয়। আপনারা মাদারবোর্ডে যে হিটসিঙ্ক দেখতে পান তার নিচের চিপটাই নর্থব্রিজ। এটা একই সাথে প্রসেসর, ভিডিও আর র‍্যামকে কন্ট্রোল করে। বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ডে এটাই ভিডিও প্রসেসর হিসেবে কাজ করে। আধুনিককালে নর্থব্রিজের সবটুকু অংশ প্রসেসরে ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে। তাই মাদারবোর্ড এ বাকি যে চিপ থাকে সেটা সাউথব্রিজ।

সাউথ ব্রিজ: মাদারবোর্ড এর অন্যান্য স্লো-স্পীড ডিভাইস যেমন বায়োস, পিসিআই বাস, ইউএসবি,  স্টোরেজ ডিভাইস, ক্লক, অডিও ডিভাইস, এনআইসি ইত্যাদি কন্ট্রোল করে যে চিপ সেটা সাউথ ব্রিজ। আপনারা মাদারবোর্ড এ হিটসিঙ্ক ছাড়া আরেকটি যে বড় চিপ দেখতে পান সেটাই সাউথ ব্রিজ।

নিচের ছবিটায় নর্থব্রিজ আর সাউথব্রিজ দেখানো হয়েছে –

এই ছকের মাধ্যমে দুই চিপের কাজ বোঝা যাবে –

মাদারবোর্ড এ বিভিন্ন মডেলের চিপসেট লাগানো থাকে। 910, 915, 945, 965, 975, P31, P35, G31, G33, G35, X38, X48, P43, P45, G31, G33, G41, G43, G45, H55, H57, H61, H67, X79 ইত্যাদি হল বিভিন্ন চিপসেট। আলাদা আলাদা চিপসেটের বাস, পোর্ট, পিসিআই স্লট ইত্যাদি এর ধারণক্ষমতা আলাদা আলাদা হয়।

*** ভোলাটাইল মেমরি: ভোলাটাইল মেমরি মানে হল যে মেমরি পাওয়ার চলে গেলে মুছে যায়। র‍্যাম বা র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি হল ভোলাটাইল মেমরি। র‍্যাম দুই ধরণের হয়ে থাকে। এখন ডি-র‍্যাম বা ডাইনামিক র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি বেশি ব্যাবহৃত হয়। এটা প্রসেসর এর কার্যক্ষেত্র বা ড্রাফট পেপারের মত কাজ করে। মেমরি লাগানোর জন্য যে স্লট থাকে তাকে বলে DIMM বা Dual In-line Memory Module. আধুনিক র‍্যাম বা মেমরি মডিউলে সার্কিট বোর্ডের দুপাশে মেমরি চিপ বসানো থাকে বলে এরকম বলা হয়। মেমরি দেখতে এরকম -

বিভিন্ন ভার্সন এর জন্য মেমরি স্লটের ডিজাইন আলাদা আলাদা হয়। মেমরি স্লট দেখতে এরকম –

*** নন-ভোলাটাইল মেমরি: পাওয়ার চলে গেলেও যেসব ডিভাইস স্থায়ীভাবে ডাটা রেখে দিতে পারে তাদের নন-ভোলাটাইল মেমরি বলে। হার্ডডিস্ক, অপ্টিকাল ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি হল এরকম মেমরির উদাহরণ।

*** সিস্টেম ক্লক: মাদারবোর্ড এ একটা আইসি থাকে যেটা থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর সিগনাল উৎপন্ন হয়। আপনারা জানেন যে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস গুলো কাজ করে স্পন্দনের সাহায্যে। এই টাইম সিগনাল জেনারেটর পিসি চালু হওয়ার সময় নির্দিষ্ট মানের সিগনাল উৎপন্ন করে দেয়। তবে এই স্পন্দনকে পরিবর্তন করে আরো বেশী পারফরমেন্স পাওয়া সম্ভব যাকে বলে ওভারক্লকিং।

এই হল সিস্টেম ক্লকের আইসি -

*** এক্সপেনশান স্লট: মাদারবোর্ড এ বিভিন্ন পেরিফেরাল যুক্ত করার জন্য বেশ কয়েকটি পিসিআই বা পিসিআই-ই স্লট থাকে। এগুলোতে ল্যান কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ভিডিও কার্ড, টিভি কার্ড, মডেম, ওয়াই-ফাই কার্ড ইত্যাদি লাগানো যায়। এখনকার মাদারবোর্ডের পিসিআই স্লটগুলো এরকম -

*** পাওয়ার কানেক্টর: সমস্ত সিস্টেম চালু রাখতে শক্তির দরকার। পাওয়ার কানেক্টরের মাধ্যমে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট থেকে মাদারবোর্ড ও এর বিভিন্ন অংশ বিদ্যুৎ পায়। সাধারণত ২০ পিন বা ২৪ পিন বিশিষ্ট সকেটের মাধ্যমে মাদারবোর্ড পাওয়ার পায়।

এই হল পাওয়ার সকেট –

আর এটা হল পাওয়ার জ্যাক –

সাটা: Serial Advanced Technology Attachment থেকেই সাটা এর নামকরণ। খুব দ্রুতগতি সম্পন্ন পোর্ট যার সাথে হার্ডডিস্ক, ডিভিডি বা সিডি ড্রাইভ ইত্যাদি লাগানো থাকে। অনেকদিন ধরে সাটা ২.০ ব্যাবহৃত হয়ে আসলেও এখন সাটা ৩.০ যুক্ত মাদারবোর্ড পাওয়া যাচ্ছে। সাটা ২.০ এর গতি ৩ গিগাবিট/সেকেন্ড আর সাটা ৩.০ এর গতি ৬ গিগাবিট/সেকেন্ড। অনেক মাদারবোর্ডে ই-সাটা (External SATA) নামের আরেকটি পোর্ট থাকে। এটা আসলে সাটা পোর্টের একটা ইন্টারফেস যেটা কেসিংএর বাইরে থাকে এবং যেকোন সাটা হার্ডডিস্ক বা সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ লাগিয়ে একই গতিতে কাজ করা যায়। কিছু ল্যাপটপে ই-সাটার সাথে ইউএসবি কম্বাইন করে পোর্ট বানানো থাকে।

সাটা পোর্ট -

সাটা কেবলের কানেক্টর -

eSATA কেবলের দুই প্রান্ত -

প্যারালাল-এটিএ: Parallel ATA থেকে পাটা নামের উৎপত্তি। প্যারালাল পদ্ধতিতে কাজ করে বলে এর গতি অনেক কম, মাত্র ১৩৩ মেগাবিট/সেকেন্ড। আর বড় সমস্যা,একটি পোর্টে সর্বোচ্চ ২টা ডিভাইস লাগানো সম্ভব। এর সকেট ৪০ পিনের। ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের গবেষণার ফসল এই পোর্ট যে কেবল দিয়ে লাগানো হয় তার নাম আইডিই বা Integrated Drive Electronics. SATA আসার পর থেকে এর ব্যাবহার কমে যায়।

পাটা পোর্ট -

পাটা (আইডিই) কেবল -

ইউএসবি: Universal Serial Bus নামে পরিচিত এই পোর্ট খুব বেশি জনপ্রিয় কারণ এই বাসে এমুলেট করে ডিস্ক, ফ্ল্যাশ স্টোরেজ, মডেম, ল্যান, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি অসংখ্য ডিভাইস কম্পিউটারে যুক্ত করা সম্ভব। এর তিনটি ভার্সন রয়েছে। ইউএসবি ১.১ এর গতি ১২মেগাবিট/সেকেন্ড, ইউএসবি ২.০ এর ৪৮০মেগাবিট/সেকেন্ড, আর ইউএসবি ৩.০ এর গতি ৫ গিগাবিট/সেকেন্ড।

ইউএসবি কানেক্টর পিন যা থেকে ইউএসবি পোর্টে সংযোগ যায় -

ইউএসবি কানেক্টর জ্যাক -

সিরিয়াল পোর্ট ও প্যারালাল পোর্ট: আগে এই পোর্ট গুলোর ব্যাবহার ছিল। প্রিন্টার, ক্যামেরা, মডেম, মাউস ইত্যাদি পিসি এর সাথে কানেক্ট করতে এই পোর্টগুলো ব্যাবহার করে হত।

এই হল সিরিয়াল পোর্ট -

আর এটা প্যারালাল পোর্ট -

পিএস/টু পোর্ট: আইবিএম কম্পিউটার এর প্রবর্তিত Personal System/2 নামের এই পোর্টের সাহায্যে মাউস ও কিবোর্ডকে মাদারবোর্ড এর সাথে যুক্ত করা হয় এবং সাউথব্রিজ তাদের কন্ট্রোল করে। এটা ৬ পিন বিশিষ্ট হয়।

এছাড়াও মাদারবোর্ড এ ইন্টিগ্রেটেড সাউন্ড বা নেটওয়ার্ক ডিভাইস থাকলে অডিও, ল্যান ইত্যাদি আউটপুট থাকে। আরো থাকে প্রসেসর আর সিস্টেম কুলিং ফ্যানের পাওয়ার সকেট। এগুলো আলদা আলাদা ডিভাইস বলে এখানে আলোচনা করা হল না।

বায়োস: Basic Input Output System থেকেই এসেছে BIOS. বায়োস হল ছোট্ট একটা মেমরি চিপ যেখানে কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য জমা থাকে। বায়োসের আসল কাজ হল মাদারবোর্ড এ পাওয়ার পাওয়ার সাথে সাথে POST এর মাধ্যমে সকল পেরিফেরাল চেক করে অপারেটিং সিস্টেম চালু করা এবং তার কার্নেলের সাথে সকল পেরিফেরালের সংযোগ বজায় রাখা। POST মানে হল Power On Self Test. কিছুদিন আগেই কেউ কেউ হয়ত খেয়াল করেছেন যে পিসি চালু হওয়ার সময় হাবিজাবি লেখা আসে, তারপর ওএস চালু হয়। এটা আসলে সেই টেস্ট। বায়োস কোন এরর থাকলে তা ডিটেক্ট করে বিপ টোনের মাধ্যমে ইউজারকে জানিয়ে দিতে পারে। মোটকথা বায়োস হল মাদারবোর্ডের সকল পেরিফেরালের পাহারাদার।

বায়োস রম-চিপ দেখতে এরকম -

ফর্ম ফ্যাক্টর: মাদারবোর্ড একটা কেসিংএর মাঝে লাগানো থাকে। একারণে মাদারবোর্ড নির্মানকারী কোম্পানীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সাইজ এর বোর্ড তৈরী করতে হয়। নাতো সেগুলো কেসিংএ লাগানো সম্ভব হবেনা। এই কারণে পিসিবি বোর্ড যে সাইজ বা নিয়ম মেনে তৈরী করা হয় তাকে বলা হয় ফর্ম ফ্যাক্টর। বিভিন্ন সাইজ এর ফর্ম ফ্যাক্টর রয়েছে। তার মাঝে সবচেয়ে পরিচিত হল AT, ATX আর microATX.

AT – ১৯৮৪ সালে আইবিএম এই সাইজ মডেল হিসেবে নেয়। এই ফ্যাক্টরে পিসিবি এর সাইজ হয় দৈর্ঘ্যে ১২ ইঞ্চি আর প্রস্থে ১১-১৩ ইঞ্চি।

ATX – এই মডেলের প্রতিষ্ঠাতা ইনটেল। ১৯৯৬ সালের এই ফ্যাক্টর অনুযায়ী এখনও বোর্ড তৈরী হচ্ছে। এখানে দৈর্ঘ্য হয় ১২ ইঞ্চি আর প্রস্থ হয় ৯.৬ ইঞ্চি।

microATX – মাত্র ৯.৬ বর্গইঞ্চি ক্ষেত্রফলের এই বোর্ড বরাবরের চেয়ে ২৫% ছোট হওয়ায় খুব কম জায়গা দখল করে। এটা ২০০৭ সালের পর থেকে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

এছাড়া mini-ITX, mobile-ITX, pico-ITX, DTX, mini-DTX ইত্যাদি বিভিন্ন সাইজের ফর্ম ফ্যাক্টর রয়েছে।

এই হল AT ফর্ম ফ্যাক্টর -

এটা micro-ATX ফ্যাক্টর -

আর এটা চমৎকার দেখতে mini-ITX ফ্যাক্টর -

খুব ছোট্ট পিসি এর জন্য pico-ITX ফ্যাক্টর দেখতে এরকম -

এএইচসিআই: Advanced Host Controller Interface থেকেই AHCI এসেছে। অনেকেই বায়োসে এই শব্দটি দেখে থাকবেন। এটা হল সাটা ড্রাইভ কে হট-সোয়াপেবল করে তোলে এবং নেটিভ কমান্ড কিউইং সুবিধা দিয়ে থাকে। হট সোয়াপ মানে হল সিস্টেম চলাকালে সিস্টেম অফ না করেই ডিভাইস খুলে ফেলা যায়। এই সুবিধার কারণে ডিস্ক অনেক বেশি নিরাপদ থাকে। তবে AHCI অ্যাকটিভেট করতে হলে ড্রাইভার প্রয়োজন হয়। উইন্ডোজ ৭ আর লিনাক্স ২.৬.১৩ এর পরের কার্ণেলে এই ড্রাইভার দেওয়া থাকে। এই কারণে অনেকে AHCI মোডে উইন্ডোজ এক্সপি সেটআপ করতে যেয়ে No disk found এরর মেসেজ দেখেন।

ল্যাপটপ এর মাদারবোর্ড

এই হল মাদারবোর্ড এর বিস্তারিত। বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলো একসাথে বর্ণনা করলে টিউন বিশাল হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে বাকি যে সকল বিষয়ে টিউন করা হবে – পাওয়ার সাপ্লাই, প্রসেসর, ভিডিও কার্ড, র‍্যাম, হার্ডডিস্ক, অপ্টিকাল ডিস্ক, ইউএসবি, সাউন্ড কার্ড, নেটওয়ার্ক ডিভাইস, বিভিন্ন পোর্ট, কীবোর্ড, মাউস, মনিটর ইত্যাদি।

আপনার মাদারবোর্ড এর বিভিন্ন তথ্য জানতে ডাউনলোড করে নিন CPU-Z সফটওয়্যারটি। ইন্সটল করে Motherboard ট্যাবে দেখুন কি কি তথ্য আছে -

ডাউনলোড CPU-Z

আমি আগেই গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে টিউন করে ফেলেছিলাম। চাইলে দেখে নিতে পারেন এই টিউন থেকে।

আর হার্ডওয়্যার সিরিজের পরের টিউনে প্রসেসর সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে: হার্ডওয়্যার সমগ্র :: নাম তার প্রসেসর [পর্ব-০২]

Level 0

আমি মো মিনহাজুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 2958 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাল উদ্যোগ চালিয়ে যান… ভাল টিউন উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    সবার প্রথমে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আশা রাখি শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারব।

    Level 0

    hello how r you
    i want to know how to formet computer

    boss windos xp set up diber shomoy shift 10
    ar solution ta ke??????

সাথে আছি চালিয়ে যান।

সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বর্ণনা করার জন্য ধন্যবাদ। পরের টিউনের অপেক্ষায় রইলাম।

অনেক সুন্দর হয়েছে । আরো লেখতে থাকুন ……………..
ছবি গুলো ভাল লেগেছে……………..

    ধন্যবাদ ভাই। মেলা ঘাটাঘাটি করে বের করেছি, ছকটা নিজেই ডিজাইন করা 🙂

Level New

মিনহাজ ভাই আপনার টিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। প্রিয় করে রাখলাম। কাজে লাগবে ছুট ভাই বোনদের।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ভাই খুব ভাল লাগলো।

খুব ভাল

Level 0

অনেক ভাল ।পরের টিউনের অপেক্ষায় থাকলাম ।মিনহাজুল হক শাওন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভাল টিউন এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ল্যাপটপ এর মাদারবোর্ড মার্কেটে পাওয়া যায়? পাওয়া গেলে জানাবেন দয়াকরে।

    হু তা তো যায়ই ই। একটা ম্যাগাজিনে দেখেছিলাম যেখানে ল্যাপটপ এর সব অ্যাকসেসরিজ পাওয়া যায়। আপনি http://www.clickbd.com এ খুঁজে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ

A rakom e tune e cae

ভাইজান চমতকার একটি টিউন। আপনি চালিয়ে যান।

অসাধারন পোস্ট! simply অসাধারন…………………….

অসাধারন টিউন …. প্রিয়তে নিলাম .. থ্যাংকস ভাই

অসাধারন হইছে ভাই । চালিয়ে যান !

অসাধারন। প্রিয়তে। চালিযে যান। খুব কাজের।

অসাধারন হয়েছে!!!। টিউন এর নাম টাও কিন্তু মজার!! 🙂 ।
প্রিয় তে নিলাম এবং পরের গুলাও নিবো ।
অনেক ধন্যবাদ…………………………………।

    ধন্যবাদ। পরের টিউন হবে প্রসেসর নিয়ে। নাম কী দেওয়া যায় বলেন তো?

    নাম জানতে চান ? বলবো ? আচ্ছা একটা দিয়েই দেই ! রাখবেন তো ? নাম হচ্ছে :-
    " গতির জান- প্রান আমাদেরই এই প্রসেসর " 🙂
    কেমন হল বলেন তো ?

      অথবা :-
      " প্রসেসর ছাড়া অচল আমাদের আদরের কম্পিউটার "

    হুম ভালো বলেছেন। আমি চাচ্ছিলাম এমন একটা নাম যেটা সকল ডিভাইস এর মাঝে সম্পর্ক তুলে ধরে। আরো কিছু বলুন।

    আর তো মনে পড়ছে না ! ডিভাইস এর সাথে মিলাতে পারছি না ! পরের গুলা টে পারলে বলবো। আপনি শুধু আগে বলে রাখবেন কোন বিষয় ।

    আমার একটু সমস্যা :
    আমি গ্রাভাটার এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছি না !। অথবা, অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কিন্তু এখন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারছি না । ওরা ঠীকই ইমেইল পাঠায় কিন্তু লিঙ্ক ক্লিক করার পর নতুন করে খুলতে গেলে বলে এই ইউজার নামে আরেকটি অ্যাকাউন্ট আছে ! ।
    একটু সাহায্য করেন………………………………।

    তাহলে এক কাজ করুন। টেকটিউনসে অন্য ইমেইল দিয়ে রাখুন। আর সেই ইমেইল এ গ্রাভাটার রেজিস্ট্রেশান করে নিন 🙂

    ও, আর একটি কথা! পরের টিউন টা যেহেতু প্রসেসর নিয়ে, সেখানে তো প্রসেসর নিয়ে বিস্তারিত কথাতো হবেই এবং সেই সাথে কোনটা কিনলে ভাল হয় / কোনটার স্পিড কেমন / ডুয়েল কোর-কোর আই পর্যন্ত কোনটার সাথে পার্থক্য আছে কি নেই ইত্যাদি উল্লেখ করলে ভাল হয় ।
    আপাতত বিদায় , পরের টিউন এ কথা হবে ।

কম্পিউটার অপরেট করতেই শুধু জানি ।
এবার আরো কিছু জানতে পারবে আপনার কাছ থেকে ।
অনেক ধন্যবাদ ।
চালিয়ে যান ।

    ধন্যবাদ তো আমারই দেওয়ার কথা। শিক্ষক মাঝে মাঝে ছাত্রের কাছে শিখতে পারে, তাইনা? 🙂

খুব ভালো হয়েছে…………….

শাওন ভাই সত্যি এবার সবাই কিছু শিখতে পারবে হার্ডওয়ার বিষয়ে। যদি সম্ভব হয়, এটি পিডিএফ ফাইল হিসাবে দিয়ে দেন। অনেক ভাল হবে। ধন্যবাদ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই টিউন করার জন্য। আমি হার্ডওয়্যার এর বিষয়ে কিছুই জানি না। আশা করি আপনার পরবর্তী টিউন গুলো এরকমই চমৎকার হবে। ধন্যবাদ…

    আকাশ ভাই (পাগলা ভাই বলা রিস্কি) ধন্যবাদ। আমিও আশা করছি পরের টিউন এরকমই হবে।

দারুন হইছে।
চালিয়ে যান…. 😀

    সাইফুল ভাই অনেক ধন্যবাদ। আসলে ভাবিনি যে এত তাড়াতাড়ি এটাকে চেইন হিসেবে লিঙ্ক করে দেবে। আপনি তো অ্যাঞ্জেল অ্যাডমিন/মডারেটর, একটু বলবেন কী পরের টিউনের শিরোনামে "হার্ডওয়্যার সমগ্র :: ********* [পর্ব-০২]" এভাবে লিখবো নাকি যাই লিখি অ্যাডমিন/মডারেটর সেটাকে এভাবেই লিখে দিবে? বলে রাখি, আমি কিন্তু আসলে শিরোনামে "মাদারবোর্ডের বুকে বসবাস (হার্ডওয়্যার নিয়ে চেইন টিউন – ০)" লিখেছিলাম। 🙂

    আপনার টিউন খুবই ভাল হচ্ছে। আপনি পরবর্তি পর্ব গুলোও "হার্ডওয়্যার সমগ্র :: ********* [পর্ব-০২]" এভাবে লিখুন। আর আপনার চেইন টিউনটি খুব শীঘ্রই সাইড ফিচার হিসেবে যুক্ত হবে বলে আশা করি। আপনা আপনার গ্রভাটারটা নিজের ছবি দিয়ে আপডেট করলে ভালো হয়। তবে নিজের ছবি প্রকাশ করতে না চাইলেও সমস্যা নেই। ধন্যবাদ।

    মেহেদী ভাই আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। গ্রাভাটার চেঞ্জ করেছি। নিয়ম অনুযায়ী পরের টিউনগুলো লেখা হবে। ভালো থাকবেন।

ভাই আপনার ধৈর্য্য আছে বটে।
প্রিয়তে রাখলাম

    হুম, ধৈর্য আছে, কিন্তু খুবই কম। থাকলে … হাহা, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

    ভাই কিছু মনে করেন না, ধৈর্য্য বানানটা ভুল, কারণ ধৈর+য এখানে এমনিতেই একটা য আছে, আবার য-ফলা দেওয়ার দরকার নেই। 🙂

জোস টিউন। ৫ এ ৬ নাম্বার। অসংখ্য ধন্যবাদ টিউনটির জন্য।

আপনার কোনো ব্যাক্তিগত ব্লগ থাকলে তা তুমুল জনপ্রিয়তা পেত। একটা ব্লগ করে ফেলেন।

    ৬ এ ৫ নাতো?!? হাহা… আমার প্রথম থেকেই ইচ্ছা ব্লগ করে ফেলার। কিন্তু নিজে বিল্ড করা, প্রোমোট করা ইত্যাদি এর ভয়ে আর এগোই নি। আর এখন তো কেবল শুরু, কয়েকটা দিন যাক, ভিত্তি শক্ত হলে নেমে পড়বো। আপনার উপদেশ মাথায় থাকল। 🙂

    নাহ ৫ এ ৬ ই। হুম খুব তাড়াতাড়ি একটা ব্লগ করে ফেলেন।

এ পর্যন্ত টেকটিউনসে যতগুলো টিউন পড়েছি তার মাঝে সব চেয়ে বেশি সময় নিয়ে যে টিউনটি পড়েছি তা হল আপনার এই টিউনটি। অনেক কিছু শিখার আছে তাতে। আশা করি বাকি পর্বগুলো ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাবেন। আমি নিয়মিত আপনার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। মসৃন হোক আপনার পথ চলা।

    ধন্যবাদ। তবে একটু বেশি হয়ে গেল মনে হয়। টিটি তে আরো অনেক (এর চেয়েও) উন্নতমানের পোস্ট আছে। 🙂

Level 0

খুবই উপভোগ্য লেখা………… এবং ইনফরমেটিভ………. পরের টিউনের অপেক্ষায় থাকলাম।

ভাই যদি আর এইরকম কিছু tune করেন তাহলে ভাল হই মানে details হার্ডওয়্যার সংকাংত্র কিভাবে হার্ডওয়্যার টিক করা যাই তা যদি লিকেন তাহলে খুব খুশি হবে। এই tune লেকার জন্য আপনাকে অসঙ্ক thanks। পরের tune এর অপেক্ষায় থাকলাম।

    আসলে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এত সুক্ষ্ম হয় যে নিজে হাতে সেগুলা ঠিক করতে যাওয়া বোকামি। তবে লজিকাল সমস্যা যেমন ব্যাড সেক্টর, বায়োস ফ্ল্যাশ, মেমোরি আনস্ট্যাবিলিটি ইত্যাদি নিজে ভালমতোই করা যায়। সেরকম সুযোগ থাকলে টিউনে যোগ করে দেব।

এক কথায় অসাধারন, খুব সুন্দর করে ঘুছিয়ে লিখেছেন, অনেক ভাল লেগেছে। সাথে আছি ভাই চালিয়ে জান।
ধন্যবাদ।

ভাল লাগার মত টিউন ।ধন্যবাদ

খুবই ভালো হয়েছে…………….এক কথায় অসাধারন
কিন্তু ভাই, কিছু মনে করবেন না
আমি যতদুর জানি শব্দটি "ভলাইট" নয়;
ভোলাটাইল
volatile: উদ্বায়ী, যাহা দ্রুত উবিয়া যায়, চঞ্চল, পরিবর্তনশীল, হৃষ্ট, লঘুচিত্ত
তবে অসংখ্য ধন্যবাদ টিউনটির জন্য, এইরকম আরো চাই

    না না ভাই, মনে করিনি কিছু, ভুল ধরিয়ে দিলেন, এতে বরং খুশি হলাম। আপনাদের মত ভিজিটর না থাকলে টিউন শুদ্ধ হবে কীভাবে? অনেক অনেক ধন্যবাদ 🙂

ধন্যবাদ
টিউনটি নির্বাচিত হওয়া উচিত

    (খুক খুক) সেরকম কিছু এখন হয়নি সাইদুল ভাই। চেইনটা শেষ করতে দেন আগে 🙂

Level 0

khub valo laglo,thanks bhaia.shathe achi

Level 0

ভাইয়া, মাঝপথে থামবেন না, তাহলে আমাদের কোন কাজেই আসবে না। আপনার দীঘার্য়ু কামনা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।

অসাধারন টিউন…………….অনেক ধন্যবাদ………
পরবতি টিউনের অপেক্ষায় রইলাম

Wow Nice tune. You are great, Go on…….Find me with you. I am waiting for next Tune. Thanks a lot.

আমিতো কোনো বিশেষণই খুঁজে পাচ্ছি না!
প্রশংসা করবো কি দিয়ে?

আপনি যে কি করেছেন আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন।

মনের মতো…………….

Level 0

জটিল…………………………..

Level 0

মিনহাজুল ভাইয়া । চমৎকার একটি উপহার দেওয়ার জন্য ধণ্যবাদ।

অসাধারন লিখা। অনুরোধ শুধু নিয়মিত লিখে যাবেন।

অসাধারন টিউন, খুবই ভাল হয়েছে।

Level 0

processor নিয়া জানতে চাই।।এই সম্পর্কে একটা পোস্ট দিয়েন।।

শাওন ভাই অসাধারণ হইছে! প্রিয়তে নিলাম……

আসসালামুআলাইকুম। অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।

    জিয়া ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সিরিজে পরে কি নিয়ে লিখবো সেটাই বুঝতে পারছিনা 😛

      বিভিন্ন শ্রেনীর কম্পিউটার, হাইস্পিডি কম্পিউটার, Server PC, উন্নত মানের ল্যাপটপ, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লিখতে পারেন। আশা করা যায় ভালো সাড়া পাবেন। আর আপনিতো সাড়া পাওয়ার মত।

Level 0

shawon r u from Rajshahi?

Level 0

সত্যি অসাধারণ

অনেক কষ্ট করে লিখেছেন বোঝাই যাচ্ছে।সুন্দর আয়োজন।চালিয়ে যান।

ভাই, কি টিউনডাই না টিউনাইলেন!!! আপনার টিউন প্রিন্ট করতে গিয়া প্রিন্টারের অবস্থা খারাপ কইরা ফেলাইসি। ভালই হইসে, আমারে প্রিন্টারডা অনেক কষ্ট দিসে। তার বদলা নিলাম। 😉
এরপর থিকা ডিস্টার্ব করলে শাস্তিস্বরূপ আপনার টিউন প্রিন্ট করতে দিমু। 😈

অনেক অনেক ধন্যবাদ। 🙂

Level 0

Dell Vostro 1510 r motherboard nosto hoya gasa kothay jabo thik korta???

Level 0

i3 3220 এর জন্য GA B75M D3H নিতে চাই । কেমন হবে । আর আমি জানি যে এটাতে USB3 & SATA3 আছে । কিন্তু কয়টা আছে কিভাবে আছে তা জানিনা । আর এর চেয়ে 8,000TK এর মধ্যে কোন ভাল কোন বোর্ড আছে । অন্য Brand হলেও চলবে ।

Level 0

ধন্যবাদ
i3 3220 এর জন্য GA B75M D3H নিতে চাই । কেমন হবে । আর আমি জানি যে এটাতে USB3 & SATA3 আছে । কিন্তু কয়টা আছে কিভাবে আছে তা জানিনা । আর এর চেয়ে 8,000TK এর মধ্যে কোন ভাল কোন বোর্ড আছে । অন্য Brand হলেও চলবে ।

Level 0

ধন্যবাদ
i3 3220 এর জন্য Gigabyte GA B75M D3H নিতে চাই । কেমন হবে । আর আমি জানি যে এটাতে USB3 & SATA3 আছে । কিন্তু কয়টা আছে কিভাবে আছে তা জানিনা । আর এর চেয়ে 8,000TK এর মধ্যে কোন ভাল কোন বোর্ড আছে । অন্য Brand হলেও চলবে ।

ALL Rounder ভাই একটা মেইল পাঠিয়েছি (জিমেইলে) । একটু চেক করুন ।

Level 0

ALL Rounder ভাই একটা মেইল পাঠিয়েছি (জিমেইলে) । একটু চেক করুন ।

ধন্যবাদ । একটু হেল্প করেন । একটা পিসি কিনতে যাচ্চি । এটা টিউন ও করেছি । আমার সমস্যা গুলো সেখানে আছে একটু দেখেন ভাই । একটা প্রশ্ন ?
আমি যদি 3rd gen. i5 3470 কিনে এর জন্য H61 বা B75 চিপ সেটের কোন মাদারবোর্ড কিনি তাহলে কি প্রসেসরের পারফরমেন্স কমে যাবে ?

Level New

i5 3470 te built in graphics Intel HD 2500 but i5 3570k eta te intel HD 4000 graphics. Ja ekhon porjonto intell er latest and powerfull graphics.