চোখের জন্য কোন মনিটর ভাল?

প্রথমেই বলে রাখি আজকের আলোচনা মূলত কম্পিউটার মনিটর নিয়ে, টেলিভিশন মনিটর নিয়ে নয়। যদিও আলোচনার অনেক বিষয়বস্তুই টেলিভিশনের মনিটরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। তো মনিটরে ছবি দেখার পিছনে মানষের যে সময় ব্যয় হয় আগে তা পুরোটাই ছিল টেলিভিশনের জন্য বরাদ্দ। এখন সেখানে কম্পিউটার মনিটর এসে ভাগ বসিয়েছে। মনিটর ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটিং অসম্ভব। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে মহাকাশ প্রযুক্তিতে মনিটর ব্যবহার হচ্ছে। মনিটরের সামনে বসা আধুনিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আপনি চাইলেও মনিটর থেকে দূরে থাকতে পারবেন না। উন্নত দেশগুলোর শিশুরা নাকি যত সময় ক্লাসরুমে কাটায় ঠিক ততটা সময়ই কোন না কোন স্ক্রিনের সামনে কাটায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ একটানা মনিটরের সামনে বসে দেখা বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য দায়ী, বিশেষ করে আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

আপনি যদি লক্ষ লক্ষ লোকের মত একজন হন যারা কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় কাটান, তাহলে সম্ভবত আপনিও চোখে চাপ অনুভব করছেন। মেডিকেল টারমিনলজিতে একে বলে “ডিজিটাল আই স্ট্রেইন”। এটি “কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম” নামেও পরিচিত। এটি তখন ঘটে যখন আপনার চোখ ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে "ক্লান্ত" হয়ে যায়। ডিজিটাল আই স্ট্রেইনের বেশ কিছু উপসর্গ আছে। চোখের ক্লান্তি ছাড়াও আরও যে উপসর্গগুলি মানুষের মাঝে দেখা যায় তা হলঃ মাথাব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, শুকনো চোখ, ঘাড় এবং কাঁধে ব্যথা ইত্যাদি।

তাহলে কি এমন মনিটর আছে যা চোখের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে? হ্যা, আপনি জেনে উল্লসিত হবেন যে এ রকম মনিটর বাজারে আছে।

monitor

কারভড মনিটর

নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এই মনিটর স্ক্রিন বাঁকানো থাকে। বাঁকা থাকার কারনে দর্শকরা স্ট্রেইন না নিয়ে পুরো মনিটরের ডিসপ্লে একবারে নিতে পারে, পুরো ডিসপ্লে দেখার জন্য চোখ এদিক ওদিক করতে হয় কম যা চোখের চাপ দূর করতে সাহায্য করে।

এরগনমিক মনিটর

মনিটর কেনার সময় অবশ্যি এরগনমিক মনিটর কিনবেন। এই ধরনের মনিটর আপনি সহজেই আপনার দেখার জন্য আদর্শ ভিউইং এঙ্গেলে আনতে পারবেন। কারন এইসব মনিটর সহযেই স্ট্যান্ড থেকে বাকানো, কাত বা উচচতা বাড়ানো কমানো যায়। সহজ কথায় এইসব মনিটর খুবই এডজাস্টেবল।

নীল আলো ফিল্টার

মনিটর কেনার সময় জেনে নিন নীল আলো ফিল্টার করার সুবিধা আছে কিনা। কারণ চোখের চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি নীল আলো ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বাজারে এই ধরনের মনিটর পাওয়া যায়।

আইপিএস বা এমভিএ মনিটর

বাঁকানো মনিটর কেনার সময় IPS বা MVA প্যানেল ব্যবহার করে এমন মনিটর খোঁজার চেষ্টা করুন। আইপিএস (বা ইন-প্লেন স্যুইচিং) প্যানেলের মনিটরের ডিসপ্লের ভিতরে লিকুইড ক্রিস্টাল থাকে। আইপিএস মনিটরগুলিতে লিকুইড ক্রিস্টালগুলি অনুভূমিকভাবে নড়াচড়া করতে পারে। যার ফলে দারুন ভিউইং এঙ্গেল, ইমেজ কোয়ালিটি, কন্ট্রাস্ট রেশিও এবং কালার একুরেসি পাওয়া যায়।

এছাড়াও যে মনিটরই কিনুন না কেন, কেনার সময় রিফ্রেশ রেট, রেজলুশন, কন্ট্রাস্ট রেশিও এগুলো সম্পরকে সম্যক ধারনা নিয়ে নিন। কেননা এসব ঠিক না থাকলে মনিটরে ঝিরঝির সমস্যা, ফ্লিকারিং, হঠাৎ হঠাৎ ডিসপ্লে চলে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। নিম্ন মানের কেবল কিনলেও বিভিন্ন ডিসপ্লে সমস্যা হতে পারে। উচচমানের তার ব্যবহার করুন।

সুতরাং আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ একটানা মনিটরের সামনে বসে কাজ করতে বাধ্য হন, তবে নিজেকে অসহায় মনে করবেন না। কারন আপনার হাতে রয়েছে অনেকগুলো অপশন। কম্পিউটার মনিটর দেখতে গুগলে monitor price in BD  লিখে সার্চ করুন।

Level 2

আমি কাজী আমিনুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস