ল্যাপটপের নষ্ট হয়ে যাওয়া পাওয়ার জ্যাক কিভাবে রিপেয়ার করবেন? (Advance Level)

 

যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন এবং সমস্যায় পড়েছেন তারা ভাল করেই জানেন ল্যাপটপের সমস্যার ক্ষেত্রে কতটুকু বিপদে পড়তে হয়। কারণ ল্যাপটপ রিপেয়ার করা একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এই লেখায় আজকে আমি আপনাদের জানাব কিভাবে ল্যাপটপের নষ্ট হয়ে যাওয়া পাওয়ার জ্যাকটি ফিরিয়ে আনতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার টাকা সাশ্রয় হবে ন্যূনতম ২০০০/- থেকে ২৫০০/- টাকা পর্যন্ত (সার্ভিস সেন্টারের সুনাম ভেদে)।

 

ল্যাপটপের এই সমস্যাটি হলো- পাওয়ার জ্যাক নড়বড়ে (Loose) হয়ে যাওয়া, ভেঙ্গে যাওয়া, ভেঙ্গে ভিতরে চলে যাওয়া, অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া, বার বার Disconnect হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে সমস্যাটি পাওয়ার জ্যাক-এর।

 

এখানে আমি ল্যাপটপের অরিজিনাল পাওয়ার জ্যাকের বদলে লৌহ নির্মিত জ্যাক (RadioShack- Part No-274-1576) ব্যবহার করব (সাইজ- ৫.৫মিলিমিটার x ২.৫মিলিমিটার)। কারণ পারতপক্ষে একই ধরণের বা প্লাস্টিক জ্যাক যোগাড় করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এই জ্যাকটি কিনতে আপনাকে ইলেক্ট্রনিক্স পার্টস ক্রয়ের দোকানে যেতে হবে এবং এই ধরণের জ্যাকের দাম হতে পারে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

 

 

এখানে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে, আপনি যে জ্যাকটি বাজারে পাবেন তা হয়তো আপনার ল্যাপটপের চার্জার পোর্টটির সঙ্গে পুরোপুরি নাও মিলতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে জ্যাকটির সম্পূর্ণ সেট কিনে নিতে হবে। একটিকে আমরা ল্যাপটপের সঙ্গে সেট করব এবং অপরটি চার্জারের মাথায় রিপ্লেস করব।

 

এই পদ্ধতিটি যেকোন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হাতে ল্যাপটপ খোলা জানতে হবে । যেকোন ভূল কর্মকান্ডে বা শক্তি প্রয়োগে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

 

(সাহসের উৎস- সাধারণত বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ খোলার পদ্ধতি খুবই কাছাকাছি)

 

 

 

এটিই হচ্ছে আমার replacement panel-mount jack- যা নিশ্চিত ভাবেই অরিজিনাল জ্যাকের চাইতে দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য।

 

 

বাজারে যাওয়ার সময় অবশ্যই ল্যাপটপটির চার্জার সাথে নিয়ে যাবেন। কারণ তাতে হয়তো চার্জারের সঙ্গে মিলমতো পোর্ট পেয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে কাজটি আপনার জন্য কিছুটা সহজ হবে।

 

 

তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

 

ধাপ-১

 

প্রথমেই আগের জ্যাকটি পূর্বস্থান থেকে সরিয়ে নিন এবং জ্যাকটি লাগানোর যে প্লাস্টিক সাপোর্ট রয়েছে তা ছোট ছুরি বা Paper cutter দিয়ে কেটে মসৃন করুন।

 

 

কাটার পর স্থানটি দেখতে এরকম হবে।

 

 

 

ধাপ-২

 

জ্যাকটির বাহ্যিক দিকটি আপনার ক্রয়কৃত জ্যাকের মাপ অনুসারে কেটে বড় করুন। একটু সাবধানে করুন যেন জ্যাটটি শক্তভাবে ফিট হয়।

 

 

ধাপ-৩

 

আপনার ক্রয়কৃত জ্যাকটি হয়তো লম্বায় একটু বড় হতে পারে সেক্ষেত্রে ল্যাপটপের উপরের পার্টটির দিকে লক্ষ্য করুন যেন কোথাও আটকে না যায়। জ্যাকের গোড়া বা টপ পার্টের আরো কিছু অংশ কাটার প্রয়োজন হতে পারে।

 

 

ধাপ-৪

 

এখন পূর্বস্থিত জ্যাকটির গোড়া থেকে পজিটিভ এবং নেগেটিভ তার দুইটি কেটে দিয়ে বিচ্ছিন্ন করুন।

 

 

তার দুটির মাথা থেকে রাবার ইনস্যুলেশন কেটে ফেলে দিন যেন তামার তার বের হয়ে আসে। লাল রং এর তারটি হলো পজিটিভ (+) যা আপনার ক্রয়কৃত জ্যাকের মাঝখানের কানেক্টরের সাথে যুক্ত হবে এবং কালো তারটি নেগেটিভ (-) যা জ্যাকের বাহ্যিক অংশের সাথে যুক্ত হবে। লক্ষ করুন- লাল (+) ও কালো (-) রংয়ের তারের বদলে ল্যাপটপের মডেল ভেদে সবুজ (+) ও সাদা (-) থাকতে পারে।

 

 

ধাপ-৫

এখন জ্যাকটি ল্যাপটপের যথাস্থানে বসিয়ে সাথে থাকা বোল্ট দিয়ে ভালভাবে আটকিয়ে দেখুন শক্তভাবে লেগেছে কিনা।

 

 

ধাপ-৬

 

এবার ক্রয়কৃত জ্যাকের সাথে তারের কানেকশন যুক্ত করুন। আবারো সতর্ক করছি- লাল রং এর তারটি হলো পজিটিভ (+) যা আপনার ক্রয়কৃত জ্যাকের মাঝখানের কানেক্টরের সাথে যুক্ত হবে এবং কালো তারটি নেগেটিভ (-) যা জ্যাকের বাহ্যিক অংশের সাথে যুক্ত হবে।

 

 

 

কানেকশনগুলো ভাল মানের ইলেক্ট্রিক টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে নিন যেন শর্ট না হয়ে যায়। কানেকশনটি এবার প্রয়োজন অনুযায়ী সাবধানে বাঁকিয়ে ভাঁজ করে নিন।

 

 

দেখূন সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা।

 

 

ধাপ-৭

 

ব্যস! কাজ শেষ!! এবার ল্যাপটপটির সকল পার্ট ঠিকমতো বসিয়ে ফিট করে ফেলুন এবং দেখুন আপনি কি করেছেন!!!

 

 

আরো দেখুন-

 

 

কম্পিউটারের খুটিনাটি- সহজ বা জটিল বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত লেখার চেষ্টার করছি আমার সাইট / ব্লগে। টেকনিক্যাল সহযোগিতার জন্য ঘুরে আসতে পারেন- এক্সপার্ট কম্পিউটার্স

 

ধন্যবাদ সবাইকে।

Level 0

আমি Sam Thesyst। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 78 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Valoi hoyece………….Thank’s

onek kajer

valo laglo

Level 0

nice tune.

দারুন হয়েছে, প্রিয়তে রাখলাম, জিনিসটা হয়ত কাজে লাগতে পারে, ধন্যবাদ

    ধন্যবাদ। আপনাদের এই জাতীয় অন্যান্য বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা আছে। প্রয়োজনীয় বিষয় উল্লেখ করতে পারেন..

আপনার ওয়েবসাইটটির কালার কম্বিনেশন আসাধারন। ভাল লাগল দেখে। লেখার মানও বেশ সাবলিল।

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

”’ প্রয়োজনীয় বিষয় উল্লেখ করতে পারেন ”’ এজাজত দিলেন তাই একটা রিকোয়েস্ট করি, একটা ল্যাপটপকে কিভাবে খুলতে হয় সেটা নিয়ে টিউন করলে অনেক উপকার হবে (আমি সহ অনেকের) । আপনার টিউনটা পড়ে হয়ত একটু সাহস হবে, আপনার রিপ্লায়ের অপেক্ষায় রইলাম

    অনেক ধন্যবাদ । অবশ্যই লিখব, মোটামুটি বেশীরভাগ মডেলের সাথে মিলে যায় (কমন স্ট্রাকচার) এরকম একটি ল্যাপটপের ডিসএসেম্বল নিয়ে লিখব। সামান্য সময় অপেক্ষা করুন।

      @স্যামথীসিস্ট: ভাই তাড়াতাড়ি লিখুন, কয়েকজন তো বলছে আপনি নাকি চুরি করেছেন! ওদের এই অবিশ্বাস চুরমার করে দিন!

        তাই নাকি! ভালো তো- তাদের বলুন না একটামাত্র লিংক দিতে। লেখাটা আজ রাতে দিতে পারি।

Level 0

ক্রিয়েটিভ কাজ। ধন্যবাদ

চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ি ধরা Lolz

ভাই কী সুন্দর টিউনটাই না করলেন! তয় আপনার টিউনটাতো বিদেশী ব্লগ চুরি করল 🙁

http://www.insidemylaptop.com/repair-damaged-power-jack-toshiba-satellite-l305-l355-laptops/

জলদি ওগো সাইটের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেন! বাংলাদেশ থেকে বিদেশীরা চুরি করবে আর আমরা তে চেয়ে চেয়ে দেখব??? এইটাও একটা কথা??? ঔ চোর এর মন মানসিকতা এতটা নিচে, আপনার সাইট থেকে কপি করে নিজের সাইটে দিল!! তাও বলল না যে সে কোথা থেকে কপি করেছে!!

    ভাই একটা গল্প মনে পড়লো স্কুল লাইফে স্যার বলছিল ! ‘চুরি করা পোস্ট বলেই তো ল্যাপটপ কীভাবে খোলে সেটা বলতে পারছেন না। ছবিসহ সেটার পোস্ট পেলেও তো একইভাবে মেরে দিবেন। আমাগো কী ছাগল পাইসেন??’

    ”দাত ব্যাথা তাই ভাই খাইতে পারিনা কুশির খাই”

      @আসিফ মহিউদ্দীন: দেখেন, আপনারা বেশি বলছেন! এই টিউনে দেখছেন না প্রতিটি ছবিতে সলিডমার্ক দেওয়া হয়েছে? তারপরও চুরি চুরি বলছেন কেন??

      @আসিফ মহিউদ্দীন: আমার বিশ্বাস উনি ল্যাপটপ খোলা নিয়েও টিউন করে আপনাদের মুখ বন্ধ করে দেবে। জাস্ট ওয়াচ!

    @ধলাবাতাস: ভাই আপনি এটা কি করলেন? আমিও তো তাই বলছি, তবে এই স্যামথীসিস্ট সাহেব এত সুন্দর করে ওয়াটারমার্ক দিয়েছেন, এইটা চুরি করতে গেলে মূল ছবিই চলে যাবে। ইশরে! বিদেশী সাইটটা যদি জানতো বামালীদের কত বুদ্ধি, তাহলে তারা জায়গা মত ওয়াটারমার্ক বসানো শিখত। 😛 বাই দা ওয়ে…

      @মিনহাজুল হক: আপনাকে তো ডেস্কে দেখলাম টিউন মুছার কথা বলতে! তা আবার এইখানে ক্যাচাল করতে আসছেন কেন??

        @ধলাবাতাস: জানিনা। মহামডু সোর্ডফিশ ত্তডেস্ক নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত যে উনি টেকটিউনস ডেস্কে বসার সময় পাচ্ছেন না, ওদিকে ঠিকই আমার পরের রিপোর্টগুলো রিভিউ করা হচ্ছে। তার ওরপ এরকম টিউন দেখে স্থির থাকতে পারলাম না।

অতি সুক্ষ্ম চুরি। মূল পোস্ট How to repair damaged power jack in Toshiba Satellite L305 and L355 laptops

খুব যত্নসহকারে মূল ছবিগুলোর ওয়াটারমার্ক কেটে নিজেদের সাইটের একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে গেলেন। বেশ বেশ!

    @মিনহাজুল হক: বেশি বকবক কইরেন নাতো। আপনাগো মত বক ধার্মিকদের কারণে যত ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঔ বিদেশীরা এই টিউন কপি করসে! তা দেইখাও এইসব কথা বলছেন??

    ধিক আপনাদের….

প্রিয় ভাইয়েরা,
সমালোচনার ঝড় বয়ে আনার জন্য আমি দু:খিত। লেখাটা কষ্ট করে পড়ুন । আমার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল কম্পিউটারের টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে একটি পূর্নাঙ্গ সাইট বা ব্লগ তৈরী করার। এই উদ্দেশ্যে আমার সাইটটির কাজে হাত দেই। বহু কষ্টে আমার সাইটটি তৈরী করেছি। পড়ালেখা সূত্রে আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং চাকুরী পছন্দ করিনা বিধায় কম্পিউটার সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট বিষয়ক ব্যবসা করছি গত ৮ বছর যাবত, জটিল থেকে জটিলতর বিষয় নিয়ে কাজ করি- সকলের দোয়ায় সফলভাবেই। সাইটি তৈরী করেছিলাম ২টি বিষয় মাথায় রেখে। প্রথমটি হলো আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইট করা এবং দ্বিতীয়টি হলো- ব্লগের মাধ্যমে মানুষকে সাইটটির প্রতি আগ্রহী করা। কম্বিনেশনের কারণ হলো- সময়স্বল্পতা, কারণ ব্যস্ত সময়ের মাঝে ২টি সাইট মেইনটেন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এবার আসি লেখার বিষয়ে- আমি বলেছি আমার পেশা-নেশা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার কথা, এর জন্য প্রয়োজন টপিক নির্ধারণ করা-সমস্যাটা হলো কম্পিউটার বিষয়ে এমন কোন টপিক নাই যেটা ইউনিক। উন্নত বিশ্ব আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। নির্দিষ্ট টপিক নির্ধারণ করে সার্চ করেছিলাম, পূর্ণাঙ্গ/অর্ধাঙ্গ নানা প্রকার লেখা পেলাম যেখান থেকে প্রয়োজনীয় ছবি সংগ্রহ করেছি। কারণ কাস্টমারের পণ্যের উপর এই ধরণের রিসার্চ / ছবি তৈরী করার সময়টুকু সবক্ষেত্রে সহজ নয়। কারণ আপনি ওয়ারেন্টি সার্ভিস বাদে অন্য কোথায় আপনার প্রিয় ল্যাপটপ ফেলে রাখতে চাইবেন না। আমার ক্ষেত্রেও তাই। সুতরাং বাকী রইল সংগৃহীত তথ্য কাজে লাগানো। যেহেতু আমার সাইটে এসব বিষয় রাখতে চাই সেহেতু মানুষকে জানানোর লক্ষ্যে সাইটের নাম বা লোগো প্রকাশ করতে হচ্ছে ছবির সাথে। আপনারা সার্চ করে দেখতে পারেন যে, কি পাওয়া না যায়? শুধু লক্ষ্য করুন নিজের ভাষায় সহজভাবে তথ্য উপস্থাপন করার কারণে আপনি কি আগ্রহী হচ্ছেন না? আর চুরি বলা বিষয়ে বলছি- ধরেন আপনাকে আমি লিংক দিয়ে দিলাম, আমার লেখাটা পড়ার পর আপনি কি সেই লেখাটা দেখে সহজবোধ করবেন? পাইরেসি প্রশ্ন চলে প্রোডাক্ট তৈরী করার ক্ষেত্রে। রিপেয়ারের ক্ষেত্রে নয়- কারণ রিপেয়ার কেউ আবিষ্কার করেনি এবং এর কোন ট্রেড মার্ক নাই, আছে প্রতিষ্ঠানের/প্রোডাক্টের- থাকলে আপনার ঘরের টিভির তার ছিড়ে গেলে জোড়া দিতে লাইসেন্স লাগত। সবাই প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইট থেকে তথ্য বা ছবি নিয়ে নিজের কাজে ব্যবহার করছে। চারপাশে তাকিয়ে দেখুন আমাদের আবিষ্কারের ক্ষমতা। জ্ঞান সংগ্রহে দোষ নেই।

আমার লেখার উদ্দেশ্য আপনাদের উপকার করা নিয়ে- লেখার জন্য আমাকে কেউ টাকা দেয় না। এসব করি টেক প্রিয়দের সাথে প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান শেয়ার করার জন্য।

-আলোচনা, সমালোচনা যাই হোক- সবাইকে ধন্যবাদ

    @স্যামথীসিস্ট: তারমানে আপনি আসলেই অন্য সাইট থেকে পোস্ট কপি করলেন? বুঝলাম আপনার সাইটের প্রচারণা আপনি করেছেন। তাই বলে তথ্যগুলো যেসব সাইট থেকে সংগৃহীত সে সাইটগুলোর ঠিকানা দেওয়াটা কী উচিৎ নয়?

    জ্ঞান সংগ্রহে দোষ নাই, ছড়ানোটাও দোষের কিছু না। তবে যেখান থেকে সংগৃহীত সেখানের রেফারেন্স তো দেয়া দরকার??

    অন্য প্রসঙ্গে হলেও বলি, এখন যদি আপনার এই সম্পূর্ণ লেখাটা আমি কপি করে ওয়াটার্মার্ক কেটে অন্যখানে দেই সেটা কী খুব ভাল হবে? বরং, যদি আমি রেফারেন্সসহ দেই তাহলে তো আপনি আগে যতটা না মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন রেফারেন্সসহ দিলে ততটাই খুশি হবেন।

      আমি এর আগেও একটি ব্লগ সাইট চালিয়েছিলাম, আশার চেয়েও অনেক বেশী রেসপন্স এবং পপুলারিটি পেয়েছিলাম- সাইটির নাম ছিল- bdpulse.com. ওই ব্লগের স্বতন্ত্র লেখাগুলো প্রতিনিয়তই কপি হতো, কই কখনো তো মন খারাপ হয়নি? আর আমার লেখা যে কপি পেস্ট বলা হচ্ছে- ওনাদেরকে লেখাটি কপি করে পেস্ট করতে বলুন এবং দেখতে বলুন আমার লেখার মতো হলো কিনা? এটা অনুবাদও নয়- মিলিয়ে দেখুন- আমি লিখেছি আমার ভাষায় (মিলিয়ে দেখুন- copyscape.com)। রেফারেন্সের প্রশ্ন তখনই আসতো যদি লেখা অনুবাদ /ডুপ্লিকেট বা ব্যক্তি আমার ন্যাশনালিটির হতো। ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সাইটের প্রচারণা বড় নয় মানুষকে জানানোর মধ্যে আনন্দ আছে। দেখুন বহু ব্যক্তি আছে তারা যখন একটি লেখা লেখে তখন অনেকগুলো সাইটে প্রকাশ করে।

Level 0

নির্লজ্জ চুরি আর কি বলব

Level 0

নারে ভাই, রাগ করবেন না……ভাল টিউন করছেন, আর সেটা যেখান থেকেই আসুক না কেন! আমরা প্রতিনিয়ত অঙ্ক কিছু লিখি, কিন্তু তার কয়টা নিজের মাথা থেকে লিখি, এই যে আমি লিখছি, এই যে গ্রামার ইউয করছি, সবই ত ধার, বা শিখা……কোনো কিছু ত আ এমনি এমনি আসে নি……ভাই, লিখে যান আপনি, আমি আছি আপনার পক্ষে……।