ফটোশপ এর ব্যাচ প্রসেসিং এক দারুন ইউটিলিটি!

আসুন জেনে নি ব্যাচ প্রসেসিং কি এবং কিভাবে এটি কাজ করে।

ব্যাচ প্রসেসিং কী-

ব্যাচ প্রসেসিং হলো ফটোশপের এমন একটি ইউটিলিটি যার মাধ্যমে আপনি একি সাথে অগনিত ফাইলকে এডিট করতে পারবেন। অনেক সময় আমরা হয়ত কোন ছবি দিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড শো বা কোন ওয়েব সাইডে আপলোড করার জন্য ছবিকে রেজ্যুলেশন, ব্রাইটনেস-কন্ট্রাস্ট এডিট করে থাকি, কিন্তু এই কাজ গুলো যদি আপনার একশ বা তার ও বেশি ছবিকে করতে হয়? আপনার হয়ত কাজটি করারই ধৈর্য্য থাকবেনা। এছাড়াও ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে উচ্চ রেজ্যুলেশনে তোলা ছবি গুলোর সাইজ ও অনেক বেশি হয়। প্রফেশনাল ক্যামেরায় তোলা ছবির সাইজ ৫০ মেগাবাইট বা তার ও বেশি হতে পারে। এধরনের RAW ছবি গুলো এডিট না করে-অন্তত সাধারণ JPEG ফরম্যাটে কনভার্ট না করে ওয়েব সাইটে ব্যাবহার করা যায়না। আর তাছাড়াও যেহেতু ফাইল গুলোর আকার অনেক বড়, এগুলো হার্ডডিস্কের অনেক যায়গা দখল করে, তাই এগুলো কে কনভার্ট করে আপনি অনেক যায়গাও বাচাতে পারেন। একটি একটি করে না করে ফটোশপের ব্যাচ প্রসেসিং এর মাধ্যমে একি সাথে সব গুলোকে আপনি করতে পারেন। আমি যখন প্রথম এই ইউটিলিটি পাই তখন প্রায় ৫গিগা বাইটের মত স্পেস রক্ষা করি এবং এখনো পর্যন্ত করে যাচ্ছি।

কিভাবে এটি কাজ করে-

আসুন এবার জেনে নি কিভাবে আপনি কাজটি করবেন। প্রথমেই আপনার কাজের সুবিধার্থে যে ফাইল গুলোকে এডিট করবেন সেগুলোকে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে রাখুন, এবং আরেকটি ফাকা ফোল্ডার তৈরী করে রাখুন। এবার

- ফটোশপ ওপেন করে আপনার নির্ধারিত ফোল্ডার এর একটি ছবিকে ওপেন করুন।

-action প্যালেটে গিয়ে(action প্যালেট খুঁজে না পেলে Toolbar এর window>action সিলেক্ট করুন) action ট্যাব সিলেক্ট করে(সাধারনত history ট্যাব ওপেন থাকে) সেখান থেকে create new action(যে চিহ্ন গুলো আছে তার বা দিক থেকে পাঁচ নম্বরটি) এ ক্লিক করুন।

-যে কোন একটি নাম দিন বা যে নাম আছে তাই রেখে record বাটন এ ক্লিক করুন।

-এরপর আপনার ফাইলটিকে প্রয়োজন মত এডিট করুন, মনে রাখবেন আপনার প্রতিটি কাজই এখন রেকর্ড হচ্ছে এবং এই কাজ গুলোই পরের সব ফাইল গুলোতে হবে। তাই আপনাকে একটু বুদ্ধি খাঁটিয়ে কাজ করতে হবে, যেমন- সব ফাইলের কালার কন্ট্রাস্ট এক হয়না তাই এখানে auto color, contrast, brightness ব্যাবহার করা ভাল।

-এডিটিং হয়ে গেলে stop recording বাটন ক্লিক করুন(প্রথম চিহ্নটি)।

-এবার File>Automate>Batch এ যান

-set এ গিয়ে আপনার দেয়া action টি সিলেক্ট করুন(যদি অন্য নামের কোন action set সিলেক্ট করা থাকে)

-source থেকে folder সিলেক্ট করুন

-choose থেকে আপনার ছবির ফোল্ডারটি দেখিয়ে দিন।

-destination থেকে folder সিলেক্ট করুন

-choose থেকে destination ফোল্ডারটি দেখিয়ে দিন।

এবার ok দিয়ে বসে মজা দেখুন!!

( পোষ্টটি পূর্বে সামহোয়ারইন ব্লগে প্রকাশিত)

Level 2

আমি রিফাত হুসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 47 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

ভালবাসি গান শুনতে, মুভ্যি দেখতে আর গীটার বাজাতে। ভাললাগে জানতে। ইলেক্ট্রনিক্স আর টেকনোলজি আমার মূল আ্কর্ষন।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Vi ata photoshop-7 v habe?

    হওয়ার কথা। আমি যদিও চেস্টা করে দেখিনি, তবে ব্যাসিক ফিচার গুলো প্রায় সব ভার্শনেই আছে এবং পদ্ধতি ও এক। চেষ্টা করে দেখুন।

টিউনটি স্কিনশট না থাকায় পরিপুর্নতা পায় নাই,
আশা করি ভবিশ্যতে জিনিসটা মনে রাখবে,
ধন্যবাদ টিউনের জন্য এবং আপনাকে স্বাগতম টেকটিউন্স পরিবারে।

    ধন্যবাদ টিউনটি পরা ও মন্তব্য করার জন্য। আমি ভেবেছিলাম স্ক্রিনশট দেব কিন্তু ঠিক কোথায় দেব বুঝতে পারছিলামনা। যেহেতু এখানে টেকি ভাইবোনদের আনাগোনাই বেশি তাই আমি ভেবেছি আমার বিস্তারিত আলোচনার পর কারও সমস্যা হবেনা।

ধন্যবাদ