অনেক গেমসই তো খেললাম! কিন্তু সব গেমসই মনে দাগ কেটে যেতে পারে নি এবং পারবেও না এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু গেমস রয়েছে যেগুলো হৃদয়ে দাগ কেটে যায়। হুম, আমার জীবনে খেলা সেরা গেমস গুলো নিয়ে আজগের জোনটি সাজিয়েছি। আর এমন একটি আইডিয়া দেয়ার জন্য ফেসবুকের একজন ফ্যানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জীবনের প্রথম থেকেই শুরু করি। চলোঃ
ডুম ২! জীবনের খেলা প্রথম গেম এটি। সেই ২০০১ সালে যেখানে কম্পিউটার শিখতাম উমম বাগেরহাটে নজরুল স্যারের পেন্টিয়াম ২ পিসিতে খেলেছিলাম গেমটি। গেমটি মূলত একটি এমএস ডস অপারেটিং সিস্টেমের গেম। গেমটি ডুম সিরিজের ২য় সংস্করণ মুক্তি পায় সেই ১৯৯৪ সালে। ডুম গেমটিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর ডুম ২ গেমটিতে এগিয়ে গিয়েছে। গেমটিতে একজন অজানা এবং নামহীন স্পেস মারিনের ভূমিকায় তোমাকে খেলতে হবে। গেমটিতে কালো যাদু বিদ্যার কারণে দুনিয়াতে জাহান্নামের দৈত্য এবং ভূতেরা চলে এসেছে এবং কোটি কোটি মানুষকে মেরে ফেলেছে।
দোকানে গিয়ে কয়েন ঢুকিয়ে অনেকদিনই কিং অফ ফাইটার খেলেছি। তবে পিসিতে এই টাইপের গেম খেলতে পারিনি কঠিন কনট্রোলের জন্য। তাই জীবনে প্রথম ক্রয়কৃত সিডিটাই হচ্ছে এই গেমটির। প্রায় ১৯৬ জন প্লেয়ার নিয়ে কিং অফ ফাইটার, স্ট্রিট ফাইটার সহ নিও জিও আরো অন্যান্য ফাইটিং গেমস একত্রে করে MUGEN মানে ব্যতিক্রম সংস্করণ বানানো হয়েছে।
নামটাই অন্যরকম! হ্যা! ২০০৭ সালে পেন্টিয়াম ৪ পিসিতে গেমটি খেলেছিলাম। প্রচুর মজা এবং তখনকার সময়ে সবচেয়ে চমৎকার চেহারার গ্রাফিক্সের গেম এটি ছিল।
মূল টিউন:https://www.techtunes.io/games/tune-id/196294
মাইক্রোসফট এর গেম! ভাবই আলাদা! তাই ২০০১ সালের সবচেয়ে হাই কোয়ালিটির গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেম নিয়ে আসে মাইক্রোসফট আর এই গেমটি খেলেই হালো সিরিজের উপর ভালোলাগা জন্মে।
মূল টিউনঃ https://www.techtunes.io/games/tune-id/209250
কল অফ ডিউটি ৪ গেমটি নিয়ে আর কি বলবো? বাংলাদেশে গেমটি খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে ল্যান গেমিং ক্যাফেগুলোতে তো এটা ছাড়া চলেই না। কল অফ ডিউটি সিরিজটি জনপ্রিয় হয় এই মর্ডান ওয়ারফেয়ার গেমটি দিয়ে।
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/233997
পাগলামীর প্রকার ভেদ কত তা এই টাইপের গেম খেলে বুঝা যায়। আর মজার ব্যাপার হলো যে এই টাইপের গেম আর নেই!! কোপাকুপিই গেমটির মূল গেম-প্লে!
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/234246
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/253834
টেস্ট ড্রাইভ আনলিমিটেড আমার সবচেয়ে প্রিয় রেসিং গেমস গুলোর মধ্যে অন্যতম। টেস্ট ড্রাইভ আনলিমিটেড টেস্ট ড্রাইভ গেমস সিরিজের ৯তম গেম। গেমটিতে ১২৫ টির বেশি গাড়ি এবং মোটরসাইকেল রয়েছে। এবং সাথে রয়েছে ১০০০ মাইলস দৈর্ঘ্যের সড়ক। গেমটি ২০০৬ সালের। যারা যারা গেমটি খেলেছো তারা অবশ্যই মানবে একই বছরে মুক্তি পাওয়া নিড ফর স্পিড কার্বন গেমটি এই টেস্ট ড্রাইভ আনলিমিটেড গেমটির কাছে কিছুই না। আমি নিড ফর স্পিড কার্বনকে হেয় করছি না। তবে কার্বন এর চেয়ে গ্রাফিক্স, গেম-প্লে এবং মজার গেম হল টেস্ট ড্রাইভ আনলিমিটেড। এতে শুধু গাড়িই নয় এর পাশাপাশি তুমি হোল্ডার ও পাবে। তবে নিড ফর স্পিড কার্বন বা নিড ফর স্পিড সিরিজ এর গাড়ি হ্যান্ডিং চমৎকার । তবে টেস্ট ড্রাইভ আনলিমিটেড গেমটি কনট্রোল একটু কঠিন। ধৈর্য্য লাগবে গেমটি খেলতে।
গেমটিতে তুমি ফ্রি-রম মোডে অন রোড এবং অফ রোডে খেলতে পারবে। গেমটিতে জিটিএ সিরিজের মতই তোমার ক্যারেক্টারকে কাপড়, সানগ্লাস, জুতো ইত্যাদির সাহায্যে সাজাতে পারো। কিনতে পারো বাড়ি, গেম সেভ করার জন্য। তুমি গেমটির শুরুতে কয়েকটি ক্যারেক্টার এর মাঝে তোমার পছন্দের ক্যারেক্টারটি পছন্দ করে নির্বাচন করে গেমটি শুরু করতে পারো।
গেমটিতে পটভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে হাওয়াইয়া দ্বীপ কে। পাহাড় ঘেরা বিরাট এই দ্বীপেই তোমাকে খেলতে হবে বিভিন্ন ধরণের রেস। এদের মধ্যে রয়েছে সাধারণ রেসিং, টাইম রেসিং এছাড়াও সাইড মিশন হিসেবে তুমি খেলতে পারো টপ মডেল চ্যালেঞ্জ, যেখানে তুমি সুন্দরী মেয়েদেরকে বিভিন্ন জায়গায় লিফট দিতে পারো। এবং সংগ্রহ করতে পারো কুপন। এই কুপন দ্বারাই তোমার তোমার ক্যারেক্টার এর জন্য কাপড়ের সপ থেকে কাপড় চোপড় কিনতে পারবে।
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/260012
রেসিডেন্ট ইভিল ৫। জাপানে বায়োহের্জাড ৫ নামে পরিচিত এই গেমটি একটি একশন এডভেঞ্চার তৃতীয় পারসন শুটার ভিডিও, যা নির্মাণ করেছে এবং একই সাথে প্রকাশ করেছে ক্যাপকম। গেমটি রেসিডেন্ট ইভিল সিরিজের সপ্তম সংস্করণ যা মুক্তি দেওয়া হয়েছে ২০০৯ সালের মার্চে, সিরিজের আগের গেম এর প্রায় ৪ বছর পর।
গেমটি প্রথম এনাউন্স করা হয় ২০০৫ সালে, একই বছরে সিরিজের আগের গেম রেসিডেন্ট ইভিল ৪ মুক্তি দেওয়া হয়। নির্মাণ টিমে ছিলেন রেসিডেন্ট ইভিল সিরিজের অরিজিনাল কিছু স্টাফ, যারা গেমটির আপগ্রেডে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। গেমটির সিরিজের প্রথম বারের মতো কাটসিনে মোশন ক্যাপচার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। রেসিডেন্ট ইভিল ৫ গেমটির গেম-প্লে অনেকাংশ রেসিডেন্ট ইভিল ৪ এর মতোই রাখা হয়েছে, তবে সিরিজে প্রথম গেমটিরও কিছু কিছু উপাদান গেমটিতে ফিরে এসেছে। গেমটি এখন পর্যন্ত রেসিডেন্ট ইভিল সিরিজের বেস্ট সেলিং গেম হিসেবে নিজের রের্কড বজায় রেখেছে।
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/261194
আমার লাইফে খেলা অন্যতম বেস্ট গেম এটি। গেমটির মিউজিক শুনলেই মনে হয় রূপকথার রাজ্যে চলে গিয়েছি! পারস্যের রাজপুত্র!মুসলিমদের রূপকথা নিয়ে তৈরি একটি গেম। গেমটিতে বাগ / সমস্যাও রয়েছে প্রচুর।তবে আসল / অরিজিনাল গেমটিতে অফিসিয়ালী ১টি বাগ রয়েছে। আমরা তো আর অরিজিনাল ডিক্স কিনতে পারি না, পাইরেটেড ডিক্স তাই এতো বাগ!
প্রিন্স অফ পার্সিয়া: দ্যা ফরগটেন স্যান্ডস একটি একশন-এডভেঞ্চার হ্যাক এন্ড স্ল্যাশ ভিডিও গেম নির্মাণ এবং একই সাথে প্রকাশ করেছে ঊবিসফট। গেমটি বাজারে আসে ২০১০ সালের মে-জুন মাসে। গেমটিতে “দ্যা স্যান্ডস অফ টাইম” গেমটির শুরু হওয়া কাহিনীচক্র ফিরে আসে। “দ্যা ফরগটেন স্যান্ডস” টাইটেলটি চারটি ভিন্ন ভিন্ন কাহিনীর চারটি ভিন্ন গেমসের। এদের মধ্যে মেইন গেমটি প্লে-স্টেশন ৩, এক্সবক্স ৩৬০ এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। বাকিগুলো পিএসপি, নিনটেনডু ডিএস এবং ঊইই গেমস কনসোলের জন্য এক্সক্লুসিভ ভাবে নির্মিত হয়েছে।
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/270235
কত সুন্দর করে পুরো একটি সিরিজকে কিভাবে ডিজাইন করা হয়েছে তা ম্যাশ ইফেক্টস সিরিজটি থেকে বুঝা যায়। সাইন্স ফিকশন ধাঁচের ভবিষ্যৎ দুনিয়ায় এলিয়েনদের সাথে মানুষের কিছু ঘটনাবলী নিয়ে সিরিজটি সাজানো হয়েছে।
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/267429
ফারক্রাই ৩ গেমটির পটভূমিতে রয়েছে ইন্ডিয়ান এবং প্যাসিফিক সাগরের মর্ধ্যবর্তি একটি আইল্যান্ড। সিরিজের আগের গেম ফারক্রাই ২ গেমটির মতো এই গেমটিতে প্লেয়ার চরিত্র হিসেবে অনেকজন থাকছে না। প্লেয়ার চরিত্রে রয়েছে জ্যাসন ব্রডি। সে বন্ধুদের সঙ্গে অবসরে ছুটি কাটাতে আসে উক্ত আইল্যান্ডে। জলপথ ভ্রমণে একসাথে বের হওয়ার নির্দেশ থাকলেও হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে সে বের হয় জলপথে মানে সাগরে।
ওদিকে জ্যাসনকে আগে থেকেই ফলো করছিল একদল মানবপাচারকারী জলদস্যুর দল। সাগরে একা একা ঘুরে বেরানোর এক পর্যায়ে জলদস্যুদের পাঁতানো ফাঁদে আটকে যায় জ্যাসন। হাত-পা বেঁধে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জলদস্যু নেতা ভ্যাসের আস্তানায়। ভ্যাস হলো গেমটির খলনায়ক চরিত্র এবং একজন সাংঘাতিক জলদস্যু।
কিন্তু জ্যাসনকে ধরে নিয়ে আসার পরপরই জলদস্যু দলের সদস্যদের মধ্যে কলহ ছড়িয়ে পড়ে। শেষমেষ ভ্যাস সিন্ধান্ত নেয় যে জ্যাসনকে ফেলে দেওয়া হবে একটি গভীর কূপে। তবে ভাগ্যগুণে সে আস্তানা থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় জ্যাসন। পরে সে জানতে পারে যে, তার বন্ধুদের ধরার জন্য একই রকমভাবে ওত পেতে আছে জলদস্যুরা। যেভাবেই হোক, তার বন্ধুদের সঙ্গে মিলে তাদের সবাইকে এই চক্রের হাত থেকে বাঁচতে হবে।
গেমটিতে তোমাকে খেলতে হবে হ্যান্ডসাম বালক জ্যাসনের ভূমিকায়। উদ্ধার করতে হবে অপহরণ হওয়া বন্ধুদের, পালাতে হবে শত্রুদের সীমানা থেকে। খুঁজতে হবে নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
অন্যান্য ফারক্রাই গেমসের মতোই ফারক্রাই ৩ গেমটির পরিবেশ ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স খুবই উন্নত মানের।
ফারক্রাই ৩ একটি ফার্স্ট পারসন শুটার গেম। তবে গেমটিতে একশন এবং এডভেঞ্চার সাথে রোল-প্লেয়িং উপকরণও রয়েছে।
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/267577
হলিউডের ভৌতিক ছবি “গ্রেইভ এনকাউন্টারস” দেখার সময় যতটুকু ভয় এবং মজা পেয়েছি ঠিক তত টুকুই মজা এবং ভয় পেয়েছি এই আউটলাস্ট গেমটি খেলার পর! চমৎকার ভয়ংকর একটি গেম এটি! ব্যতিক্রমও বটে!
এটা গেম না হরর ফিল্ম? বুঝলাম না! গেমটির প্রধাণ চরিত্র এবং প্লেয়ার ক্যারেক্টার মাইলস, সে কমবাট এর যোগ্য নয়। মানে গেমটিতে সরাসরি গুলাগুলি, ফাইট-টাইট এগুলো নেই। শুধুমাত্র ভূতগুলো মাইলসকে আক্রমণ করে তখন মাইলস সেগুলোকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পারে ব্যাস এইটুকুই! গেমটি ফাস্ট পারসন ভিউতে খেলতে হয়। পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতেই নাকি ক্যারেক্টারের এই অবস্থা! গেমটি আমার কাছে অনেকটা “গ্রেইভ এনকাউন্টারস” ছবিটির মতো লেগেছে!
গেমটিতে তোমাকে সুরভাইব করতে হবে। এটাই তোমার গোল! শুনতে সহজ মনে হলেও খেলতে সহজ নয় !
গেমটির পরিবেশের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকার দিয়ে সাজানো। তাই মাইলসকে তার ভিডিও ক্যামেরার আলোর সাহায্য নিতে হয়। ক্যামেরার নাইট ভিশন ফাংশন রয়েছে তাই। তবে, ক্যামেরাটি ব্যাটারি চালিত তাই, ব্যাটারি নির্দিষ্ট সময় পর শেষ হয়ে যাবে। এবং ব্যাটারি রিচার্জের বিভিন্ন উপাদার গেমটির পরিবেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
আর মাইলস আহত হয়ে তাকে অবশ্যই লুকাতে হবে মানে আর বেশি আহত হওয়া চলবে না। কিছুক্ষণের মধ্যে আস্তে আস্তে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। অনেকটা কল অফ ডিউটি ৪ গেমটির মতো।
মাইলস আপসুর, একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। সম্প্রতি সে এক রহস্যময় সোর্সের কাছ থেকে একটি বিরাট মানসিক হাসপাতাল ভ্রমণের সুযোগ পায়। হাসপাতালটি মার্কঅফ কোরপোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। অনেক সাংবাদিক ওই হাসপাতালটির উপর প্রতিবেদন করতে চাচ্ছে কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না, কিন্তু মাইলস এই সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় সে আর এটাকে হাতছাড়া করলো না।
হাসপাতালে প্রবেশ করে মাইলস দেখতে পায় যে হাসপাতাল কর্মীদের লাশ এদিক ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আর হাসপাতালের যাবতীয় মানসিক রোগীরা নিজেদের সেল ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে।
হাতপাতালটির উপরের তলায় যাবার সময় মাইলস একজন SWAT অফিসারের সাথে দেখা হয় যিনি মারাত্বক আহত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিলেন। অফিসারটি মাইলসকে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বলেন এবং মৃত্যুবরণ করেন।
সেখান থেকে পালাবার সময় ক্রিস ওয়াল্কার নামক একজন শক্তিশালী রোগী মাইলস কে ধাক্কা মেরে জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। মাইলস অজ্ঞান হয়ে পরে।
মাইলস এর হাল্কা জ্ঞান ফিরে এলে সে দেখতে পায় যে তার সামনে “ফাদার” (খৃস্টীয় ধর্মীয় গুরু) মার্টিন এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মার্টিন মাইলসকে ফেরেশতা বলে আখ্যায়িত করে এবং তাকে হাসপাতালে থেকে যেতে বলে। মাইলস আবারো জ্ঞান হারায়।
পুণরায় জ্ঞান ফিরে পাবার পর মাইলস সেই মানসিক হাসপাতালটি থেকে পালিয়ে যাবার পথ খুঁজতে থাকে। এভাবেই গেমটির কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে। গেমটির কাহিনী সর্ম্পকে আরো কিছু বললে গেমটি খেলে তোমরা মজা পাবে না। সুতরাং এখনি বসে পড়ো চমৎকার এই ভূতুরে গেমটি খেলতে। অবশ্যই মধ্য রাত্রে একলা ঘরে গেমটি খেলবে কিন্তু!!
গেমটির একটি ডাউনলোডেবল কনটেন্স “Outlast: Whistleblower” ইতিমধ্যে এনাউন্স করা হয়ে গেছে। এটি গেমটির প্রিকুয়্যেল স্টোরিলাইন ফিচার করবে।
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/272071
অসাধারণ এবং চমৎকার একটি মিলিটারী শুটিং গেম এটি। রেইনবো সিক্স ভেগাস ২ গেমটি টম ক্ল্যাসিস রেইনবো সিক্স গেমস সিরিজের সপ্তম সংস্করণ এবং ২০০৬ সালের রেইনবো সিক্স ভেগাস গেমটির সিকুয়্যাল। গেমটিতে তোমার স্কোয়ার্ডকে সাথে নিয়ে ভেগাস সিটির বিভিন্ন স্পটে শত্রুদের বিপক্ষে লড়তে হবে। গেমটিতে আমি স্কোর্য়াডকে নিয়ন্ত্রণের যে মজা পেয়েছি কি আর বলবো! গেমটিতে তোমাকে রেইনবো স্কোর্য়াডের বিশপ এর ভুমিকায় খেলতে হবে। গেমটিতে বিশপকে তুমি তোমার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারো! পুরুষ কিংবা মহিলা থেকে কাপড় চোপড়, আরমর, গুলি অস্ত্রের স্টাইল সবকিছুই নিজের মতো করে সাজাতে পারবে।
গেমটিতে রয়েছে XP পয়েন্ট। যত শত্রুকে হত্যা এবং কৌশল মেনে হত্যা করলে এক্সপি পয়েন্ট পাবে তুমি। এই পয়েন্ট দিয়ে তুমি অস্ত্র এবং কাপড় চোপড়ের আপগ্রেড আনলক করতে পারবে। তবে ডিফিকাল্টির উপর এক্সপি পয়েন্টের গুণ নির্ভরকরবে। যেমন সহজ ডিফিকাল্টিতে একটি শত্রু হত্যা = ১টি পয়েন্ট আর সবচেয়ে হার্ড ডিফিকাল্টিতে একটি শত্রু হত্যা = ১০ পয়েন্ট!
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/276474
আমার লাইফে খেলা বেষ্ট প্রফেশনাল রেসিং গেম এই গ্রিড ২! যেমন গ্রাফিক্স, সেইরকম হ্যান্ডেল! আবার গেমটি ইন্টেল এইচডি সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য তৈরি। মানে এবার বিল্ট ইন গ্রাফিক্স এবং ল্যাপটপেও সুন্দর ভাবে গেমটি চলবে!! গ্রিড ২ একটি রেসিং ভিডিও গেম নির্মাণ এবং প্রকাশ করেছে কোডমাষ্টার। গেমটি ২০০৮ সালের রেস ড্রাইভার গ্রিড গেমটির সিকুয়্যাল।
সব কিছুই ঠিক আছে তবে ফ্ল্যাশব্যাক সিস্টেম টি দিয়ে গেমটির বাস্তবতার মজা টা চলে গেল আরকি! ফ্ল্যাশব্যাক হচ্ছে গাড়ি যদি ক্র্যাশ খায় তাহলে এই ফিচারের মাধ্যমে সময়কে পিছনে নিয়ে ক্র্যাশ এড়ানো সম্বব। অনেকটা টাইম মেশিনের মতো!
মূল টিউন: https://www.techtunes.io/games/tune-id/278615
প্রথমত ২০১২ সালের একটি গেমের সাইজ ১.৬২ গিগা হওয়ায় চমকে গিয়েছিলাম! Insane 2 গেমটিও প্রায় ২ গিগার উপরে কিন্তু এটার মতো গ্রাফিক্সওয়ালা নয়! তার উপর এই গেমটি পুরাই ফান দিয়ে ভরপুর! বিল্ডিং ধ্বংস থেকে শুরু করে ট্রাফিক পুলিশ, ট্রাফিক গ্যাস ট্র্যাক, পেট্রোল ট্রাক উড়িয়ে দেওয়া যায়!! যাই হোক, গেমস জোনের নতুন পর্বে সবাই কে স্বাগতম জানাচ্ছি। ফারক্রাই ৩ এর walkthrough তে ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় এটি আরো চালিয়ে যাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিন্তু এটি সময়ের ব্যাপার!
রিডজ রেসার আনবাউন্ডেড একটি এশিয়ান রেডিও ভিডিও গেম যেটি রিডজ রেসার সিরিজের লেটেষ্ট সংস্করণ। গেমটি প্রকাশ করেছে ন্যামকো আর নির্মাণ করেছে বাগবিয়ার এন্টারটেইমেন্ট। এছাড়াও সিরিজের এটিই প্রথম গেম যেটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সংস্করণের জন্য রিলিজ দেওয়া হয়েছে।
আরো অনেক গেমস রয়েছে মনে পড়ছে না এখন। তবে যাই হোক, পুরাতন নতুন মিলিয়ে উপরের গেমসগুলোই ভালো লেগেছে বেশি।
গেমস জোন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা, পরামর্শ, অভিযোগ এবং অন্যান্য যে কোনো বিষয়ের জন্য গেমস জোন এর ফেসুবক পেইজ http://www.facebook.com/games.zone.bd তে যোগাযোগ করুন অথবা সরাসরি লেখক গেমওয়ালার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন http://www.facebook.com/talented.fahad
সময় পেলেই ঘুরে আসো গেমস জোনের সাইট থেকে : http://www.gamewala.net
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
Prince of Percia Warrior Within গেইমটা যে কতবার খেলেছি হিসাব নাই আর এ পর্যন্ত খেলে সবচেয়ে ভাল লেগেছে Dead Speace 2 গেইমটা।