ভূমিকা
মোবাইল গেমিং আজকের দিনে তরুণদের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদন। ফ্রি ফায়ার, পাবজি, কল অব ডিউটি—এসব গেম লক্ষ লক্ষ কিশোর-তরুণকে মোবাইলের পর্দায় আটকে রেখেছে। গেম খেলা বিনোদনের মাধ্যম হলেও অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা, আসক্তি তৈরি হওয়া এবং বাস্তব জীবনে ক্ষতি ডেকে আনে। তাই বলা হয়—মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত গেম খেলা ধীরে ধীরে আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।
-
⚠️ মোবাইল গেম খেলার ক্ষতিকর প্রভাব
১. পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যাওয়া
অনেক শিক্ষার্থী বইয়ের পরিবর্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেম খেলে। ফলে পড়াশোনায় আগ্রহ হারায় এবং রেজাল্ট খারাপ হয়।
২. সময়ের অপচয়
একটি ম্যাচ শেষ হতে ১৫–২০ মিনিট সময় লাগে। দিনে কয়েক ঘণ্টা গেম খেলার ফলে মূল্যবান সময় নষ্ট হয়, যা অন্য কাজে ব্যবহার করা যেত।
৩. মানসিক সমস্যা
গেম হারলে রাগ, হতাশা, স্ট্রেস এমনকি ডিপ্রেশন পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। ছোট ছোট বিষয়েও বিরক্তি সৃষ্টি হয়।
৪. সামাজিক দূরত্ব
গেম আসক্ত তরুণরা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় না কাটিয়ে ভার্চুয়াল জগতে মগ্ন থাকে। এতে সামাজিক যোগাযোগ কমে যায়।
৫. শারীরিক ক্ষতি
দীর্ঘ সময় মোবাইল হাতে ধরে বসে থাকার কারণে চোখের ক্ষতি, মাথাব্যথা, ঘাড়ের ব্যথা এবং স্থূলতা দেখা দেয়।
৬. আর্থিক ক্ষতি
অনেক গেমে ডায়মন্ড, স্কিন বা আইটেম কিনতে টাকা খরচ হয়। এতে পরিবার বা নিজের অর্থ অপচয় হয়।
-
✅ সমাধান কী হতে পারে?
১. গেম খেলার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা।
২. পড়াশোনা, খেলাধুলা ও সামাজিক কাজে বেশি সময় দেওয়া।
৩. পিতামাতা বা বড়দের তদারকি রাখা।
৪. বিকল্প বিনোদন যেমন বই পড়া, আউটডোর গেম বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া।
৫. অতিরিক্ত আসক্তি হলে কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া।
-
উপসংহার
মোবাইল গেম খেলা খারাপ নয়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারালে এটি তরুণ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। অযথা সময়, অর্থ এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট না করে সীমিত সময়ে গেম খেলুন। মনে রাখবেন—গেম আপনার বিনোদনের জন্য, কিন্তু জীবন নষ্ট করার জন্য নয়।
-
আমি সেলিনা আকতার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 মাস 1 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।