৬ টি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল, যা দিয়ে নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন

আসসালামু আলাইকুম, আশাকরি সবাই ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ, বরাবরের মতো আমি আবারও নতুন আরেকটি টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে, তাহলে চলুন আর দেরি না করে মূল টিউনে চলে যাই।

বর্তমানে বিভিন্ন কারণে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বেশ আগ্রহী, ফ্রিল্যান্সিং আসলে তেমন আহামরি কিছুই না শুধু রেগুলার Job এর মতো, Job এর ক্ষেত্রে আপনি একটি অফিসে বসে যা কাজ করেন এখানে একই বিষয় আপনাকে সেইম কাজটাই করতে হবে শুধু পার্থক্যটা হল কোথাও আপনাকে গিয়ে কাজ করতে হবে না ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন আর আপনি উন্নত দেশের কাজ করে দিচ্ছেন বলেই আপনার ইনকামটাও ভালো হয়। এখন কথা হল তাহলে কোন স্কিল শিখলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো করা সম্ভব। আজকের এই ট্রেনে এমন ছয়টি স্কিল নিয়ে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন।

১. প্রথম স্কিল: ভিডিও এডিটিং

বর্তমানে সব ডিমান্ডিং স্কিলগুলোর মধ্যে ভিডিও এডিটিং একটি, আপনারা একটু ভাল করে খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন যে আমরা ব্যানার এড বা টিউনার এড এর চেয়ে বেশি ভিডিও এডিটিং বেশি দেখে থাকি, ভালো মানের ভিডিও এড গুলা গ্রাহকরা সব সময় আকৃষ্ট করে তাই সব কোম্পানিগুলো ভালো মানের ভিডিও এড এর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি ইউটিউব, ফেসবুক এবং টিকটকে প্রচুর কনটেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছেন এসব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের বিডিও নিয়মিত এডিট করার প্রয়োজন পড়ে তাই আগামী কয়েক বছরে ভিডিও এডিটরদের সং অনেক বাড়তেই থাকবে তাই আপনি ভালো করে ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে পারলে ইন্টারন্যাশনাল এবং লোকাল মার্কেটে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।

২. দ্বিতীয় স্কিল: ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর শাখা প্রশাখা অনেক বড় তাই এই সেক্টরে স্ক্যামও বেশি হয় অনেকেই অনেক স্ক্যামকে ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে চালিয়ে দেয় আবার অনেকেই কিছু না বুঝে স্ক্যান এর ফাঁদে পা দেয়। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো-কে ব্যবহার করে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রমোশন করানো যেমন হতে পারে- এড Run করানো অথবা ACO। অনেকেই বলে থাকে যে ভিডিও দেখে ইনকাম করুন, ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে ইনকাম করুন অন্যান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করুন এই সকল প্রতারক থেকে আপনাকে মুক্ত থাকতে হবে।

৩. তৃতীয় স্কিল: কন্টেন্ট রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং কে বলা হয় Content is কিং, যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য, বিভিন্ন ইনফরমেশন শেয়ার করার জন্য, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এর জন্য অথবা মতামত প্রকাশের জন্য কনটেন্ট লেখার প্রয়োজন হয়েই পড়ে আর এই সকল কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর অন্য ভাল দিক হচ্ছে যেহেতু একটি কোম্পানির দৈনিক কনটেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন হয় সেহেতু কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য আপনি নিয়মিত একটি বায়ারের কাছ থেকে কাজ নিতে পারবেন তাছাড়া এই স্কিল আপনার প্যাসিভ ইনকামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

৪. চতুর্থ স্কিল: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

যেকোনো বিজনেস অনলাইনে ধার করানোর জন্য ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়, বর্তমানে এরকম অনেক আছে যাদের কোন শপ নাই শুধু ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিজনেস করছেন এবং অনেক বড় অঙ্কের টাকা প্রফিট করেছেন, ই-কমার্স, সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, পার্সোনাল ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে পারে, এই সকল ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা, কাস্টমার করা অথবা ওয়েবসাইট এগুলোর নিয়মিত বিভিন্ন আপডেট সহ অনেক ধরনের অনেক কাজ রয়েছে। বর্তমানে Wix, Word Press বিভিন্ন ধরনের CMS থাকার কারণে ওয়েবসাইট তৈরির ব্যাপারটা আরো অনেক সহজ হয়েছে, আপনি চাইলে খুব কম সময়ে একজন সিএমএস এর কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ডেভেলপদের কোনো বিকল্প নাই এটা আশাকরি সবাই জানেন।

৫. পঞ্চম স্কিল: সাইবার সিকিউরিটি

তথ্য বা ডেটাকে বলা হয় বর্তমান বিশ্বের সম্পদ, যার কাছে যত বেশি ডেটা রয়েছে সে তত বেশি সমৃদ্ধশালী আর যার কাছে যত বেশি যেটা থাকবে তাকে তত বেশি সিকিউরিটির বিষয়ে নজর দিতে হবে। সাইবার সিকিউরিটি বলতেই মূলত বুঝায় ডেটা, নেটওয়ার্ক, অথবা কম্পিউটার সিস্টেম, ভাইরাস অথবা মেল ওয়ার থেকে আপনার জিনিসকে সেভ করা। এই সেক্টরে সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট ইতিকাল হ্যাকার, সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন পদে কাজ করতে পারেন। আর যেহেতু সিকিউরিটি অথবা নিরাপত্তা নিয়ে বিষয়টি তাই এই সেক্টরে কাজ অনেক ভালো এবং ডিমান্ডে বল।

৬. ষষ্ঠ স্কিল: গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা রয়েছে এবং ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটরের টুলস গুলো সম্পর্কে কাজ শিখতেও তেমন একটা সময় লাগে না কিন্তু আইডিয়া জেনারেট করাটা অনেক বড় একটা ব্যাপার, একটা ডিজাইন কীভাবে করলে সুন্দর হবে, একটা ডিজাইনে কি কালার দিতে হবে, একটা ডিজাইনে টুলস ব্যবহার করত হবে একটা ডিজাইনে কি সেইভ দিতে হবে এটা সম্পূর্ণ আপনার নিজের পছন্দ এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে, তাই একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য আইডিয়া জেনারেট করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে লোগো ডিজাইন এর ব্যাপারটা অনেক বেশি কমন হয়ে গিয়েছে তাই নতুন কিছু করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বর্তমানে যত দিন গড়াচ্ছে তত বেশি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, কারণ এত বছর লেখা পড়া করেও চাকরি পাওয়া অনেক কষ্ট সাধ্য। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কম্পিউটার কোর্স করেও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারছে। আজকে যে ৬ টি স্কিল নিয়ে আলোচনা করেছি এগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন, সবার জন্য রইল শুভকামনা।

আশাকরি আজকের টিউন সবার উপকারে আসবে। বরাবরের মতো আবারও নতুন আরেকটি টিউন নিয়ে খুব শীঘ্রই দেখা হবে ভালো থাকুন সবাই, খোদা হাফেজ।

Level 7

আমি মাহবুব আলম তারেক। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, সিলেট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 95 টি টিউন ও 129 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।

I am a Graphics Designer, and have worked on a few other Web Sites.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস