ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন এক ধরনের কাজ যেখানে কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হয়ে স্ব-নিযুক্ত হয়ে কাজ করে। এই কাজটি সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। ২০২২ সালের হিসাবে, বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এসব ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ধরনের কাজ করে, যেমন:
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেমন অগ্রগতি করেছে, তেমনি এক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণগুলো হলো
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে দক্ষতার অভাব একটি বড় সমস্যা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য দক্ষতা একটি অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে দক্ষতার অভাব রয়েছে। ফলে তারা উচ্চমানের কাজ করতে পারে না এবং কম পারিশ্রমিক পায়।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি বড় সমস্যা হলো ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা। অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের গতি খুবই কম। ফলে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি বড় সমস্যা হলো পেমেন্টের সমস্যা। অনেক ফ্রিল্যান্সার তাদের কাজের পারিশ্রমিক পেতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রশিক্ষণের অভাব একটি বড় সমস্যা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণ একটি অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণ পায় না।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেমন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তেমনি এক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের কাছ থেকে কাজ পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার ভালো আয় করছে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে আরও এগিয়ে যেতে হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে
সরকার এবং বেসরকারি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
দেশের সব এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ফ্রিল্যান্সারদের কাজের পারিশ্রমিক পেতে সহজতর করার জন্য পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নতি করা যেতে পারে।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তথ্য ও সেবা প্রদানের জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হলে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে আরও এগিয়ে যেতে পারবে এবং বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ফ্রিল্যান্সিং কেন্দ্রে পরিণত হতে পারবে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতির জন্য আরও কিছু করণীয় হলো
সরকার ফ্রিল্যান্সিংকে একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। এতে ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক সম্মান বাড়বে এবং তাদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা তৈরি হবে।
সরকার এবং বেসরকারি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিনিয়োগ বাড়ানো যেতে পারে। এতে ফ্রিল্যান্সিং খাত আরও বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরি হবে।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ অর্থায়ন ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজ শুরু করার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা পাবে।
ফ্রিল্যান্সারদের অধিকার রক্ষার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। এতে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের জন্য নিরাপদ বোধ করবে এবং আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিনিয়োগ বাড়ায় এবং ফ্রিল্যান্সারদের উন্নয়নে কাজ করে, তাহলে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হতে পারবে।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পরামর্শ হলো
ফ্রিল্যান্সিং একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হলেও এটি একটি আনন্দের কাজ। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজের সময়ের মালিক হয় এবং তাদের পছন্দের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বাংলাদেশ যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিনিয়োগ বাড়ায় এবং ফ্রিল্যান্সারদের উন্নয়নে কাজ করে, তাহলে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হতে পারবে।
আমি মো আলআমিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 মাস 2 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
জানি তো অনেক কিছু তা জানাতে এসেছি ।আর যা জেনে উঠতে পারিনি তার শিখেতে এসেছি।