হ্যালো..ফ্রিল্যান্সার….চাকুরীটা কি তাহলে ছেড়েই দিচ্ছেন ?

উৎসাহ থাকা ভালো । কিন্তু অতিউৎসাহ কখোনই আমার ভালো লাগেনি । ফ্রিল্যান্সিং এখন বাংলাদেশীর কাছে হটকেকের মতো । হবেই বা না কেন ? বর্তমানে চাকুরী পাওয়া আর সোনার হরিন পাওয়া এক কথা, পেলেও শ্রমের মূল্য কম । অপরদিকে ফ্রিল্যালিং করে তুলনামূলক বেশী উপার্জন করা যায় ।এতো এতো প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থেকেও কিছু উদ্যমী মানুষের প্রচেষ্টায় ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্হান ৮ম ।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অতি আগ্রহি হয়ে একসময় সিদ্ধান্ত নিলেন এবার "তাহলে চাকরীটা ছেড়েই দিই। এখন থেকে আমি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিলাম।"
আপনি একা নন, অনেকেই এরকম ভাবছে। ব্যতিক্রম যে নেই তা কিন্তু নয় , কেউ কেউ চাকরী না ছেড়ে চাকুরীর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পার্ট টাইম কাজ করছেন।
ইতোমধ্যে যদি চাকরী ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন তাহলে আমি আপনার সিদ্ধান্ত বদল করতে বলছি না।

আপনার সিদ্ধান্তটি এই মুহূর্তে কতোখানি যুক্তিযুক্ত তা শুধু একবার ভেবে দেখার অনুরোধ করছি । আপনি চাইলে এভাবে আমার মতো করেও ভাবতে পারেন।

প্রথমেই নিজেকে জানুন

এই বাক্যটি এতো বেশি ব্যবহৃত হয়েছে যে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যখন নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে যাচ্ছেন তখন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয়। নিজেকে প্রশ্ন করুন-  আপনি কোন বিষয়ে নিজেই কাজ সংগ্রহ করবেন, নিজেই করবেন, সেখানে কারো সহযোগিতা পাওয়া যাবে না বরং অনবরত প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। আপনার কোন বিষয়ে সেই পরিমান দক্ষতা আছে কি না। যদি এই মুহুর্তে না থাকে তাহলে কতদিনে, কিভাবে সেটা অর্জন করা সম্ভব হবে। আপনি কি নিজেই শুরু করবেন নাকি এই বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারো সাথে কাজ করবেন।
প্রকৃত সত্যি কথাটা হলো অনলাইনে আয় করতে হলে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই এবং বাস্তব জীবনে আয়ের চেয়ে মোটেও সহজ নয় ।

বাজার যাচাই করুন

আপনার বর্তমান চাকরীতে যদি বাধা না থাকে তাহলে চাকরীরত অবস্থায়ই কিছু ফ্রিল্যান্স কাজ করে দেখুন। এতে বাস্তব কাজ সম্পর্কে ধারনা এবং অভিজ্ঞতা দুই পাওয়া সম্ভব হবে।

অর্থের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করুন

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরুর সাথে সাথেই সেখান থেকে সমস্ত খরচ আসতে থাকবে এটা ধরে না নেয়াই ভালো। সেই সময় চলার মত অর্থ হাতে রাখুন।

অফিসে ভাল সম্পর্ক রাখুন

আপনি চাকরী ছেড়ে দিচ্ছেন, সাধারনত অনেক অফিস বিষয়টিকে ভালচোখে দেখে না। একে সহজভাবে নিন। এমন হতে পারে যে অফিসে চাকরী করেছেন তারাই আপনার ক্লায়েন্ট হিসেবে আপনার কাছে কাজ করাবে।

সঠিক নিয়ম মেনে চলুন

যেখানে চাকরী করছেন তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে তবেই চাকরী ছাড়ুন। চাকরী ছেড়ে দিলাম, একথা বলে হঠাৎ করে চাকরী ছাড়া যায় না। আপনার যেমন প্রস্তুতি প্রয়োজন তেমনি অফিসেরও নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে প্রস্তুতি প্রয়োজন।

আগেই যোগাযোগ শুরু করুন

চাকরী করা অবস্থায় আপনার একধরনের পরিচিতি তৈরী হয়েছে, বিভিন্ন অফিসে, বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে হয় অফিসের পরিচিতিতে। আপনি কি করতে যাচ্ছেন সেকথা তাদের জানিয়ে দিন। তারা বা তাদের পরিচিতজন আপনার ক্লায়েন্ট হতে পারে সহজেই।

নিজের কাজ নিজে করুন

ওপরের সবগুলি কাজ শেষ করার পর তবেই আপনি ফ্রিল্যান্সার। আপনার সমস্ত কাজ আপনার নিজেকেই করতে হবে। শুরুতেই একটা ওয়েবসাইট তৈরী করুন, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে তার পরিচিতি বাড়ান। এবং অবশ্যই ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে কাজের চেষ্টা করুন।

চাকুরীর সুবিধে হচ্ছে- আপনি মাস গেলে বেতন পাবেন, কোন কাজ করা প্রয়োজন না হলেও। অসুবিধে হলো- নিয়মের অতিরিক্ত অর্থ হাতে পাবেন না। ফ্রিল্যান্সিংএ কাজ নেই আয় নেই, আর কাজ করলে আয়ের সীমানা নেই। একেক জনের জন্য একেকটি মানানসই।

যাই করুন না কেন আপনার জন্য মানানসই কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার কাছে ।

কিছুদিন পর যখন আপনি সকলের কাছে বলে বেড়াবেন অনলাইনে আয় হলো ভূত দেখার মতো মিথ্যা কথা তখন আবার এই পোষ্টটি পড়ার আমন্ত্রন রইলো ।

আমার ব্লগে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করতে পারেন ।

ফেসবুকে লাইক করতে এখানে ক্লিক করুন ।

Level 0

আমি ট্রায়াল ভার্সন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 81 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

নিজের সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দারুন ! দারুন !! দারুন !!!

টাফাটাফি !!! টাফাটাফি !!! টাফাটাফি !!! ( উল্টা )

সবাইকে সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ

বস অনেক সুন্দর হয়েছে, সত্যি সত্যি আপনার লেখা থেকে কিছু শিখার আছে।

অনুগ্রহ করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে বিড করার নিয়ম সহ একটি পূণাঙ্গ টিউন করুন। ধন্যবাদ।