এই টিউনটি সম্পূর্ণ না পড়ে অনলাইনে কাজ করতে যাওয়া পুরোটাই বোকামি হবে

যারা অনলাইনে কাজ করেন, তাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয় ”ভাই, আপনি কি করেন?”

তখন স্বাভাবিকভাবে দুইটা উত্তর আসতে পারে,

১। আমি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করি বা আউটসোর্সিং করি।
২। আমি অনলাইনে বিজনেস করি।

যারা এই সমন্ধে জানেন না তাদের কাছে দুইটা উত্তরই কঠিন মনে হতে পারে আর যারা কিছুটা জানেন, তাদের কাছে দ্বিতীয় উত্তরটা বুঝতে কঠিন মনে হতে পারে।

আমি একটু পরিস্কার করে বোধগম্য ভাষায় ব্যাখ্যা করছি,

১। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং :

মনে করুন, এক ব্যক্তির প্রতিদিন প্রচুর কাজ করতে হয় কিন্তু তার একার পক্ষে প্রতিদিন ঐ পরিমান কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তখন তাকে অবশ্যই এক বা একাধিক এসিস্ট্যান্ট রাখতে হয়, তার কাজগুলো কম্পিলিট করতে। আর ঐ কাজগুলো যদি কম্পিউটার ও অনলাইন বেজড হয়, তখন যে কোন মানুষ যেকোন জায়গায় বসে তার কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে। আর ফাইনালি ঐ কাজগুলো করার জন্য যাকে বা যাদেরকে হায়ার করা হয়, তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। আর যিনি বা যে কোম্পানি হায়ার করেন, তাকে বলা হয় ক্লাইন্ট। এই ক্লাইন্ট দেশী বা বিদেশী উভয়ই হতে পারে, তবে বিদেশী ক্লাইন্টই বেশি হয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাসমূহ :

=> সাধারানত টাইম বা স্থান নিয়ে কোন সমস্যা হয় না। ফ্রিলি কাজ করা যায় বলেই একে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

=> তেমন কোন ইনভেস্ট করতে হয় না, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হয় এবং কাজ জানতে হয়। আর ইনকাম শুরু হয় খুব দ্রুত। যেমন- আপনি কাজে নামার সাথে সাথেই ইনকাম শুরু হতে পারে।

=> কাজে ভাল দক্ষ হতে পারলে মাসে ০১ থেকে ০৫ লাখ টাকা ইনকাম করা তেমন কোন কঠিন বিষয় হয় না।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাসমূহ :

=> কাজের টাইমের ক্ষেত্রে ফ্রি হলেও আপনাকে কিন্তু একজন ক্লাইন্টের আন্ডারে কাজ করতে হয়, তাই তাকে সবসময় খুশি রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়।

=> স্বাভাবিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো দীর্ঘমেয়াদী হয় না, তাই নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ পাওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয়।

=> ফ্রিল্যান্সারা সাধারনত রাত জেগে কাজ করে, তাই বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত সমস্যা হয় থাকে।

২। অনলাইনে বিজনেস :

অনলাইনে অনেক ধরনের বিজনেস করা যায়, যেমন- Online Agent, Selling Products, Promoting, Ads Serving, Affiliating, Blogging, Service Selling ইত্যাদি যেহেতু বিজনেস করতেছেন সেহেতু এখানে মালিক আপনি নিজেই। নিজ দায়িত্বে আপনাকে আপনার ব্যবসা সামলাতে হবে।

অনলাইনে বিজনেসের সুবিধাসমূহ :

=> সাধারানত টাইম বা স্থান নিয়ে কোন সমস্যা হয় না আর ভাল প্লাটফরম ধরতে পারলে ইনকাম নিয়েও কোন টেনশন থাকে না।

=> যেহেতু এটা একটা বিজনেস, তাই এখানকার ইনকাম হয় আনলিমিটেড। ইনকাম বাড়তে থাকলে আপনি অনেক লোককে আপনার প্রতিষ্ঠানে চাকরিও দিতে পারবেন।

=> বিজনেস দাড়িয়ে গেলে স্থায়ীভাবে ইনকাম আসতে থাকে, তাই আপনার তখন টেনশন কম থাকবে আর ট্রাভেল করে বেড়াবেন দেশে-বিদেশে।

অনলাইনে বিজনেসের অসুবিধাসমূহ :

=> প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে অনেক শ্রম, অর্থ অথবা উভয়ই বিনিয়োগ করতে হতে পারে।

=> নিজের ব্যবসা হওয়ার কারনে নিজেকে অনেক দায়িত্বশীল হতে হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে অবশ্যই অনেক শ্রম দিতে হবে।

=> ইনকাম শুরু হতে অনেক টাইম লাগতে পারে, তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে আর শ্রম দিয়ে যেতে হবে।

এবার সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কি ফ্রিল্যান্সার হবেন না বিজনেসম্যান হবেন। ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন ও সেই লক্ষ্যে অগ্রসর হন।

যে কোন পরামর্শের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি আমার সাধ্যমত অবশ্যই চেষ্টা করব আপনাকে হেল্প করার জন্য।

Facebook Source: Uttam Barai

Level 0

আমি Krisnendu Maharathi। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 31 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই চরম লিখছেন ……………………………………….
অনলাইনে কাজ করার আগ্রহ আরো দ্বিগুন হলো …

    ধন্যবাদ আর আগ্রহ হারাবেন না।

Level 0

Nice

Thanks.

Level 2

কাজে ভাল দক্ষ হতে পারলে মাসে ০১ থেকে ০৫ লাখ টাকা ইনকাম করা তেমন কোন কঠিন বিষয় হয় না।

আপনি যে ভাবে বলেছেন তাতে মনেহয় প্রতি মাসে আপনার আয় ৩-৪ লাখ টাকা ফ্যিল্যন্সিং করে। আর ০১-০৫ টাকা আয় করা এটা আপনার কাছে কোন বিষয়ই না

এইসব টিউন পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়েগেছি, আপনি ফ্রিল্যন্সিং করে কতো টাকা আয় করেছেন তার ভাগ কেউ চাইবেনা, তাই নিঃ সংকোচে প্রুভ দিন এখন পর্য়ন্ত কত টাকা আয় করেছেন।তার সাজেশন দিয়েন

আমার কথায় কিছু মনে করবেন না।

পোস্টটা একজনের কাছ থেকে নেয়া, প্রশ্নটা তাকে করাটাই কি সমীচীন নয়?