:::“আত্মবিশ্বাস” টাই সফল ফ্রিলান্সার হওয়ার প্রধান হাতিয়ার :::

“সবাই নাকি এখন কম্পিউটার ব্যবহার করে ঘরে বসেই খুব সহজে হাজার হাজার ডলার আয় করছে!” হয়ত কথাটি আপনি প্রায়ই শুনে আসছেন। এবং আশ্চর্যও হচ্ছেন। কারণ আপনি এই লাইনে একদম নতুন। কারণ সেই বাপ-দাদাদের আমল থেকে আজ পর্যন্ত আমরা শুনে আসছি লেখাপড়া শেষ করে চাকুরি বা ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবন চালাতে হয় আর হঠাৎ করে এগুলো কি!!! মানুষ মাত্রই কৌতুহুল প্রিয়। তাই আপনি অনেক জাচাই-বাছাই করে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, হাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেলেন। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন আপনিও এরকম ডলার আয় করবেন। কিন্তু কিভাবে? সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না। যাহ্‌ হতাশ হলেন! (টিউনটির শিরনামটা মনের মধ্যে গেঁথে আমার লেখা গুলো কস্ট করে পড়ুন। প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।)
সত্যি কথা বলতে আপনি যা শুনেছেন তা পরিপূরণভাবে ঠিক শোনেন নি। কারণ যারা হাজার হাজার ডলার আয় করে ওই সব মানুষ গুলোকে খুব কষ্ট করেই কাজ করতে হয়। সাধারণত আমারা যেমন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাকা ইনকামের জন্য ছুটাছুটি করি ঠিক অনুরূপ এখানেও কাজ করতে হয়। তবে তুলনামুলকভাবে অনেক সুবিধা আপনি পাবেন। যেমন আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট কাজে ভাল পারদর্শী হতে পারেন তাহলে এখানে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন। এবার মনে মনে ভাবছেন যে সবই তো বুঝলাম কিন্তু কাজে পারদর্শী হব কিভাবে? (বলছি। সাথেই থাকুন।)
আমি আগেই বলেছি অনলাইনে কাজ করতে বা একজন সফল ফ্রিলান্সার হতে “আত্মবিশ্বাস” টাই প্রধান হাতিয়ার। এছাড়া আপনার থাকতে হবে একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ। আর থাকতে হবে কাজ করার ইচ্ছা ও কিছুটা সময়। ভাবছেন আপনি খুব ব্যস্ত মানুষ তাই পড়াশুনা/ চাকুরী/ ব্যবসা করেন। মনে রাখবেন দিনে কমপক্ষে ১/২ ঘণ্টা কাজ করেও আয় করা যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহা করে আয় করার পদ্ধতি আছে তাই এতটুকু নিশ্চিত থাকেন এতে কোন ফাকিবাজি নেই। কারণ অগণিত মানুষ আজ এসব করে ইনকাম করছেন, সারা বিশ্ব তো বটেই, বাংলাদেশও। তাই আপনার ওপরই নির্ভর করছে আপনি কিভাবে শুরু করবেন এবং কবে থেকে করবেন। অনলাইনে অনেক কাজ পাওয়া যায়। যেমনঃ ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, ফটোগ্রাফি, ফাইল আপলোড, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি, গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং। (আরও অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আপনারা কস্ট করে গুগল সার্চ দিয়ে জানতে পারবেন।) এদের মধ্যে আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিন। এবং আপনাকে কিছুদিন সময় দিয়ে কাজ শিখতে হবে। কিভাবে কাজ শিখবে সেটাও বলি। আপনি কোন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা দিয়ে কাজ শিখতে পারেন। যদি সেরকম কোন সুবিধা না থাকে তবে নিজেকে করে ফেলুন প্রচুর আত্মবিশ্বাসী। ইন্টারনেট হতে পারে আপনার একমাত্র শিক্ষক। অনলাইনে সব ধরনের কাজের ওপর অনেক টিউটোরিয়াল সাইট আছে যেখান থেকে আপনি অনায়াসেই কাজ শিখতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনে কাজ করে এমন কিছু মানুষের সাথে যোগাযোগ করুন। জানা-অজানা অনেক দিক নির্দেশনা পাবেন বলে আশা করি। আমি নিজেও এভাবেই কাজ শিখছি। আপনি যদি একেবারে নতুন হন তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন।
ভাবছেন কতদিন লাগবে কাজ শিখতে এবং কত দিনে আয় করা যায়? আসলে আমি আগেই বলেছি আপনাকে আপনার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। কি কাজ আপনার ভাল লাগে সেইটা শেখার চেষ্টা করুন। আপনি যেমন সময় এখানে ব্যয় করবেন তেমন শিখতে পারবেন। ধরুন উধাহরন স্বরূপঃ আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখবেন। তো নিজের একান্ত প্রচেস্তায় এইটা শিখতে সময় লাগবে ৩/৪ মাস। যদি আপনি প্রতিদিন গড়ে ৪/৫ ঘণ্টা করে সময় দেন (একান্তই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম)। এখন আপনিই হিসেব করে দেখুন আপনি কতটা সময় এখানে দিতে পারবেন আর কতদিন লাগতে পারে কাজটি শিখতে। আপনার প্রাথমিক দক্ষতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী নির্বাচন করুন কোন কাজ টা আপনার সাথে যায়? তারপর ভালভাবে প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করুন।
মনে রাখবেন কোন কাজ-ই সোজা না। আমার নিজের দেখা অনেকি আছে যারা কোন কাজ শেখা শুরু করে ২/৪ দিন প্র্যাকটিস আগ্রহ সহকারেই। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তারা ভাবে এই কাজ টি মনে হয় একটু বেশিই কঠিন ও ঝামেলার। তাই তারা আরেকটি কাজ শেখার জন্য সহজ কাজ শিখতে যায়। কিন্তু কোন কাজই সহজ না। আপনি হয়ত দুয়েকদিন পরে আবার কঠিন মনে করে ধৈর্যহারা হবেন। এতে আপনার মূল্যবান সময়টাই হারাবেন। আপনি যেইটা দিয়ে জীবনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চান সেই কাজটা আগ্রহ সহকারে শিখুন। অনেক অনেক আত্মবিশ্বাসী হউন। একবার ভাবুন সবাই পারলে আপনি পারবেন না কেন? কম্পিটিশনের যুগে সবাই যে যেদিক দিয়ে পারছে এগিয়ে যেতে মরিয়া। এই যুগে আপনি থেমে থাকলেন তো পিছিয়ে পরলেন। তাই প্রতিটা দিনকে মনে করুন আপনার চ্যালেঞ্জ। একটা দিন থেমে থাকা মানে আপনার জায়গাটি দখল করে নিল অন্যকেও। ঠিক যেমন ছেলেবেলায় আমরা যেভাবে স্কুলে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম।
আমি মহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বাপ্পি। আমার জন্য দোয়া করবেন। আউটসোরসিং এ এখনও চেষ্টা করছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি যে আত্মবিশ্বাসীরা সফলতা পাবেই।
আপনারাও অনেক ভাল থাকবেন ইনশাল্লাহ। এগিয়ে যাবেন এবং ফ্রিলান্স করবেন হবেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা ফ্রিলান্সার।
<3 ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। <3

Level 2

আমি বাপ্পি চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ভাই, অনেক ধন্যবাদ এমন দিকনির্দেশনা মূলক লেখা পোষ্ট করার জন্যে। আমি এইচএসসি পরিক্ষার্থী। আশা আছে পরিক্ষা শেষ হলে একটা PC কিনব। তারপরে কাজ শিখব। আমাকে একটু help করবেন দয়াকরে।

Level 0

ধন্যবাদ ভাই, আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করব।

খুবই ভালো লাগলো।