পৃথিবীর এলিয়েন! যারা অন্ধকারে থেকেও বিখ্যাত এই টেকনোলজি জগতে সেইসব এলিয়েন হ্যাকার যারা এই জগতে স্থান করে নিয়েছে নিজেদের কর্ম দিয়ে কারা সেই বিশ্বখ্যাত এলিয়েন, কি করে তারা!

টিউন বিভাগ নির্বাচিত
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

কিছু মানুষ সবার থেকে দূরে থাকে সবসময়। মনুষ্য সমাজ যাদের চিনতে পারে না। তাদের চলা ফেরা খাওয়া দাওয়া সব সময় টেকনোলজি নিয়ে। যারা ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মিনিটের মধ্যে। এই সব অতিপ্রাকৃতিক মানুষগুলো প্রযুক্তি বিশ্বে এলিয়েন নামে পরিচিত। এই অন্ধকার জগতের মানুষগুলোকে প্রযুক্তি বিশ্ব একটু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। অন্যের অঘটন তাদের পরিচয় বহন করে।

ব্যাংক, সামরিক বাহিনী সহ গোয়েন্দা বিশ্বও তাদের নিয়ে সংকটে পড়ে মাঝে মাঝে। ঠিক এরকম কিছু অন্ধকার জগতের বিশ্বখ্যাত মানুষের সাথে আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো। যারা নিজের কর্ম দিয়ে বিশ্বব্যাপী পেয়েছেন ভালো খারাপ দুই রকমই খাতি। আসুন ধীরে ধীরে জানি তাদের চলা ফেরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যা তাদেরকে বিশ্বের মাঝে অতি প্রাকৃত মানুষের মর্যাদা দিয়েছে।

টেকনোলজি জগতে পৃথিবীর এলিয়েনঃ

১) এডরিয়ান ল্যামোঃ

পরিচিত নামঃ দ্যা হোমলেস হ্যাকার

দ্যা হোমলেস হ্যাকার

বয়সঃ ৩৩

এডরিয়ান ল্যামো বিশ্বের মাঝে পরিচিত হয়ে উঠেন তার অস্বাভাবিক কিছু কাজের জন্য। তিনি দ্যা হোমলেস হ্যাকার নামে পরিচিত, কারণ তিনি সবসময় কফি শোফ এবং লাইব্রেরিতেই বসে সকল কর্মকাণ্ড সারেন। তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস, গুগল, ইয়াহু!, মাইক্রোসফট সহ বিশ্বের নামকরা সকল সাইট হ্যাঁক করে এই জগতে সাড়া ফেলে দেন। ২০০৩ সালে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ২০০২ সালে টাইমস পত্রিকার সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়ার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ১৫ মাস পর্যবেক্ষণের পর তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। তার ফলস্বরূপ ল্যামো ক্যালিফোর্নিয়াতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে তিনি অজুহাত দেখিয়ে ৬ মাস গৃহবন্দি থাকার সুযোগ পান।

এর পরেও এডরিয়ানের জীবন খুব সুখকর ছিল না। তিনি গার্লফ্রেন্ডের সাথে পিস্তোল রাখার জন্য এবং অপব্যবহার অভিযুক্ত হন। পরে তিনি মানসিক বিকার গ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। সরকারি হাজার হাজার নথি চুরির অপরাধ বয়ে বেড়াতে হয়েছে তাকে।

২) জেন্সন জেমস আনচেটাঃ

পরিচিত নামঃ প্রাণবন্ত হ্যাকার

বয়সঃ ৩০

প্রাণবন্ত হ্যাকার

ক্যালিফোর্নিয়ার অধিবাসি এই হ্যাকার পরিচিতি পান সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইট থেকে তথ্য চুরি করে, সেই সাথে স্প্যাম ছড়ানোর জন্য। তিনি ৫ লাখ সামরিক কম্পিউটার নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেন। সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইটে তার নিজস্ব অ্যাড বসান। ২০০৫ সালে তিনি একটা ক্লায়েন্ট পান এবং বেশ সাচ্চন্দে চলছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বন্দি হন এবং ১৬ মাসের কারাবরণ করেন।

৩) অ্যাস্ট্রাঃ

বয়সঃ ৫৮

অ্যাস্ট্রা

অ্যাস্ট্রা নামের এই হ্যাকার কখনও পাবলিকলি সনাক্ত করা যায় নি। যদিও তিনি ২০০৮ সালে গ্রেপ্তার হন, তখন জানা যায় তিনি একজন ৫৮ বছর বয়েসি। তিনি বিমান কোম্পানী, Dassault গ্রুপের ওয়েব হ্যাঁক করে গ্রেপ্তার হন। এতে কোম্পানিগুলো বহুত টাকা লসের সম্মুখীন হন।

তিনি সে সময় সামরিক বিমানে অস্ত্র প্রযুক্তি তথ্য চুরি করেন এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্য মধ্যপ্রাচ্য, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, দক্ষিণ আফ্রিকা চুরি করেন।

৪) ওয়েন থর ওয়াকারঃ

পরিচিতি নামঃ এ কিল

বয়সঃ ২৫

ওয়েন থর ওয়াকার

২০০৮ সালে ১৮ বছর বয়সে এই হ্যাকার ওয়েন থর ওয়াকার এর বিরুদ্ধে ৬ টি সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ আনা হয়। তিনি একটি আন্তর্জাতিক হ্যাকার নেটওয়ার্কের নেতৃত্বে দেন এবং সেই গ্রুপ ১.৩ মিলিয়ন কম্পিউটারের তথ্য অধিকরণ করে। তিনি বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট ২০ মিলিয়ন ডলার অধিকরণ করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে এই কিশোর প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেন এবং ১৭ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাকিং শুরু করেন। এই কিশোর ব্যাংক সহ অন্য কোম্পানি হ্যাকিং করতেন আর গ্রুপের অন্য সদস্যরা টাকা চুরি করতেন। ওয়েন থর ওয়াকার এখন অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছেন।

৫) কেভিন পলসেনঃ

ডাকনামঃ ডার্ক দান্তে

বয়সঃ ৪৯

কেভিন পলসেন

কেভিন পলসেন প্রথম আমেরিকান যিনি কারাগার থেকে মুক্তি হওয়ার পর ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। L.A. radio station KIIS FM নামে রেডিও স্টেশন হ্যাঁক করে তিনি পরিচিতি পান। বিভিন্ন অনলাইন রহস্য উতঘাটনের এক্সপার্ট বলে তিনি পরিচিতি পান।

তিনি বন্দি জীবনেও ৫ বছর বিভিন্ন অনলাইন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, পরবর্তীতে তাকে ৩ বছরের জন্য কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষিদ্ধ করা হয়।

তিনি এখন একজন লেখক এবং মাই-স্পেসে যৌন অপরাধ নিয়ে একটা নিবন্ধ লেখেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে একজন গ্রেপ্তারও হন।

৬) আলবার্ট গঞ্জালেজঃ

ডাকনামঃ কিং চিলি

আলবার্ট গঞ্জালেজ

আলবার্ট গঞ্জালেজ ৪০০০ সদস্য নিয়ে একটা গ্রুপ তৈরি করেন, যারা ব্যাংক একাউন্ট হ্যাঁক, বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট হ্যাঁক করা কাজে জড়িত ছিলেন। এই গ্রুপ যে ড্রাইভার 'লাইসেন্স, সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, জন্ম সার্টিফিকেট, কলেজ ছাত্র পরিচয় পত্র, এবং স্বাস্থ্য বীমা কার্ড ইত্যাদি হ্যাঁক করতো তা বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করতেন।

আলবার্ট গঞ্জালেজের এই ক্ষমতাশীল গ্রুপ ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড হ্যাঁক করে আলোচনায় চলে আসেন। তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ব্যাংক কার্ডের তথ্য চুরি করেন। তিনি মে ২০০৮ সালে গ্রেপ্তার হন এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত বন্দি অবস্থায় থাকবেন।

৭) কেভিন পিটনিকঃ

ডাকনামঃ দ্যা ডার্কসাইড হ্যাকার

বয়সঃ ৫১

দ্যা ডার্কসাইড হ্যাকার

কেভিন পিটনিক তার কাজকে সবসময় সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ হিসেবে অবিহিতি করতেন, কখনও হ্যাকিং বলতে পছন্দ করতেন না।

তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে হ্যাকিং শুরু করেন এবং এই বয়েসেই তিনি হ্যাঁক করতেন লস এঞ্জেলসের বাসের টিকিট। পরবর্তীতে তিনি নকিয়া, মটোরলা, আইবিএম এর মতো নামকরা ওয়েবসাইট হ্যাঁক করে আলোচনায় আসেন। ১৯৯৫ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১২ মাস পরে তাকে মুক্ত করা হয়। কিন্তু তিনি হ্যাকিং বন্দ করলেন না। ক্লোন ফোন তৈরিতে তার কাজ ছিল। পরবর্তীতে তাকে ৩ বছরের জন্য আবার কারাবাস দেওয়া হয়। ঐসময় তাকে দেশের সবথেকে বড় সাইবার ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত হন। বর্তমানে তিনি অনলাইন সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করেন।

৮) জনাথন জেমসঃ

ডাকনামঃ কমরেড

বয়সঃ ২৪ (মৃত্যুর সময়)

জনাথন জেমস

অ্যামেরিকার প্রথম কারাবাস করা হ্যাকার ছিলেন এই কিশোর। ১৫ বছর বয়সে তিনি হ্যাকিং জগতে পরিচিত হয়ে উঠেন। নাসা, সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট তিনি হ্যাঁক করেছিলেন। তিনি ১.৭ মিলয়ন ডলার ইনকাম করেন এই হ্যাকিং থেকে।

নাসার স্পেস টেক হ্যাঁক করলে তিনি নজরে পড়ে যান। তখন ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দি করা হয়। পরে ২০০৭ সালে তিনি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করেন। তাকে চোর অভিযুক্ত করা হয়। তিনি ২০০৮ এর মেতে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তিনি এই নোট দেন। “বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার কোন আস্থা নেই”

৯) ভ্লাডিমির লেভিনঃ

ভ্লাডিমির লেভিন

লেভিনের বাস্তব জীবন সম্পর্কে খুব কম জানা যায়। লেভিন ব্যাংক একাউন্ট হ্যাঁকে খুব বেশি এক্সপার্ট ছিলেন। এই করে তিনি অনেক টাকা নিজের একাউন্টে করে নেন। সিটি ব্যাংকের একাউন্ট হ্যাঁক করে তিনি নিজের করে নেন ১০.৭ মিলিয়ন ডলার। তবে লেভিন একটা আশ্চর্য পদ্ধতি অবলম্বন করে হ্যাকিং করতেন। তিনি মোবাইলের কথা আড়ি পেতে এই ব্যাংক একাউন্ট নিজের করতেন। তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে ৩ বছরের জেলে সাব্যস্ত হন।

১০) গ্যারি ম্যাককিননঃ

ডাকনামঃ একাকী মানুষ

বয়সঃ ৪৬

একাকী মানুষ

গ্যারি ম্যাককিনন ফেব্রুয়ারি ২০০১ থেকে মার্চ ২০০২ পর্যন্ত প্রায় ১০০ অ্যামেরিকান সামরিক এবং নাসার সার্ভার হ্যাঁক করেন। আর এরকম অতিআশ্চর্য কাজগুলো তিনি লন্ডনে তার গার্লফ্রেন্ডের অ্যান্টির বাসায় বসে করতেন। তিনি অনেক প্রয়োজনীয় ফাইল, সফটওয়্যার এবং ডাটা ডিলেট করে দেন, যা পরবর্তীতে সরকারকে ৭ লাখ ডলার ব্যয় করেন রিকভার করতে। তিনি নাসার ওয়েবসাইট স্পেস টেকের খুব ভালো ভালো কিছু ছবি নিজের কাজে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি বাস্তব জীবনে একজন মজার মানুষ। পরবর্তীতে অনেক বইতে তিনি এরকম মজার অনেক তথ্য জানান। এই একাকী মানুষ এখন ইংল্যান্ডে বসবাস করেন।

১১) মাইকেল চেলচিঃ

ডাকনামঃ মাফিয়া বয়

বয়সঃ ৩০

মাফিয়া বয়

নতুন সহস্রাব্দের মধ্যে মাইকেল চেলচি অ্যামাজান, ই-বে, সিএনএন, ইয়াহু, ডেল সহ অনেক নামকরা ওয়েব হ্যাঁক করেন। তখন ইয়াহু ছিল বিশ্বের নামকরা সার্চ ইঞ্জিন। অবস্থা খারাপ দেখে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন মাফিয়া বয়কে খোঁজার জন্য ফোর্স ঠিক রাখেন। তিনি বলেন তিনি শুধু ছোট একটা রুমে বসে এতো কিছু করেন। পরে তাকে ৮ মাস ইন্টারনেটের সাথে থাকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, সাথে কিছু জরিমানাও। এই নেট আসক্ত ছোট ছেলে হাইস্কুল লেভেল থেকেই এতোসব অঘটন ঘটান।

১২) ম্যাথু বেভান এবং রিচার্ড প্রাইসঃ

ডাকনামঃ ডাটাস্ট্রিম কাউবয় (প্রাইস)

বয়সঃ ৪১ (বেভান) ৩৫ (প্রাইস)

ডাটাস্ট্রিম কাউবয়

এই ব্রিটিশ হ্যাকার পেন্টাগনের নেটওয়ার্ক আক্রমণ করেন এবং তা ২ সপ্তাহের বেশি সময় নিজেদের আয়ত্তে রাখেন। তারা উত্তর কোরিয়ার মার্কিন সেনার তথ্য অধিকরণ করেন। যদিও পরে তা সরকার রিকভার করেন। প্রাইস যখন ১৬ এবং বেভান ২১ তখন তারা কোরিয়ান পারবানিক সুবিধা এক্সেস করেন। দুই কোরিয়ার যুদ্ধের সময় তারা এই কর্মকাণ্ড করেন। যদিও পরের বছর তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৩) সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মিঃ

সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মি

সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মি একটি ইউনিক গ্রুপ। ২০১১ সালে তারা পরিচিতি লাভ করে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অধিনে তারা খুব বেশি উঠে আসতে পারেন নি। তবে তারা অনেক উচ্চ ধরনের ওয়েবসাইট হ্যাঁক করছেন। স্প্যাম, ম্যালওয়ার, ফিশিং সহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড তারা করেন। যদিও তারা তা অস্বীকার করেন। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে তারা ডজন খানিক কর্মকাণ্ড চালু করেন। এমনকি তারা টুইটারেও আছেন।

১৪) লিজারড স্কোয়াডঃ

লিজারড স্কোয়াড

আপনি যদি একজন গেমার হন তাহলে অবশ্যই এই লেজারড স্কোয়াডের নাম শুনছেন। কারণ এরাই গত বছর ক্রিস্টমাস দিনে PlayStation এবং Xbox নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসেন। তারা এরকম বহুত গেম হ্যাঁকের সাথে জড়িত।

তারা টিন্ডার, ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামের তথ্য চুরি করেন এবং টেলর সুইফটের প র্ণ ছবি প্রকাশ করবেন বলে ফুটারে লিখে রাখেন। যদিও পরবর্তীতে ভিন্নে ওমারি  নামে ২২ বছর বয়সি এবং রায়ান নামে ১৭ বছর বয়সি ব্রিটেনের দুইজনকে আটক করেন।

১৫) অ্যানোনিমাসঃ

অ্যানোনিমাস একটি বৈশ্বয়ীক হেকটিভিস্ট দল। এই হেকটিভিস্ট দলটি সাধারনত কোন ওয়েবসাইটে ডিনাইয়াল অভ সার্ভিস (ডিডস) এর মাধ্যমে হামলা করে থাকে। ২০০৩ সালে এই দলটি সাড়া বিশ্বের কিছু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দ্বারা গঠিত হয়। অ্যানোনিমাসের সদস্যরা “অ্যানোন” নামে পরিচিত। তার সাধারনত কোন প্রতিবাদ মিছিলে আসলে এক ধরনের মাস্ক ব্যবহার করে।

অ্যানোনিমাস

অ্যানোনিমাসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অনেক দেশে সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তারা বিভিন্ন দেশের সরকারি ওয়েবসাইটেও হামলা করে থাকে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র,  ইসরায়েল, তিউনিসিয়া,  উগান্ডা এবং আরো অনেক। এছাড়া শিশু পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট, কপিরাইট প্রোটেকসন এজেন্সি, দ্য ওয়েস্ট বোরো বেপটিস্ট গির্জা ও বহুজাতিক কম্পানি যেমন,  পেপ্যাল,  মাস্টার কার্ড,  ভিসা এবং সনি তাদের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। অ্যানোনিমাস বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসকেও সমর্থন করে। কারন ২০১০ সালে উইকিলিকস হাজার হাজার কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশ করে দেয়ার পর পেপ্যাল,  মাস্টার কার্ড এবং ভিসা উইকিলিকসের সঙ্গে তাদের লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছিল। এরই প্রতিবাদে পেপ্যালে কয়েকদফা মারাত্মক সাইবার হামলা করেছিল অ্যানোনিমাস।

অ্যানোনিমাসের সমর্থকরা এই হেকটিভিস্ট দলকে “মুক্তিযুদ্ধা” ও “ডিজিটাল রবিনহুড” নামে আক্ষায়িত করে থাকে। কিন্তু সমালোচকরা এদেরকে “সাইবার মাফিয়া” ও “সাইবার সন্ত্রাসী” হিসেবে আক্ষায়িত করে থাকে। অ্যানোনিমাস ২০১২ সালে বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকীর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছিল।  
(একটি প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদনা। ) 

ভালো লাগলে টিউমেন্ট, শেয়ার করুন, অন্যকে জানতে সহায়তা করুন।

শেষের কথা-

আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। খারাপ হোক/মানুষ হাসাহাসি করুক তারপরও ধীরে ধীরে নিজে লিখতে থাকলে একদিন আপনিও ভালো টিউন রাইটার হবেন। আজ যারা ভালো টিউন করে সবাই সেভাবে হয়েছে।

আমি কপি-পেস্ট কোন টিউন করবো না ওয়াদা করেছি, আপনি করেছেন তো? 

আমি ফেসবুক | টুইটার | গুগল প্লাস

Level 2

আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দারুন হয়েছে ভাই।

অসাধারণ টিউন।
এরকম টিউন টিটি তে খুব কমই পাওয়া যায়।

আপনার টিউন পড়ে হ্যাকার হইবার মুঞ্চায় 😀
মুই হ্যাকার হমু =D

    @জিলানী: অনেক ভালো হ্যাকার আছে যারা অনলাইন সিকিউরিটি নিয়ে বড় বড় কাজ করে, সেহেতু লেগে থাকুন। ধন্যবাদ। 🙂

@আই, টি সরদার: ধন্যবাদ। হ্যাকার হতে কোন কোন বিষয় ভালো ভাবে জানা লাগে ????

    @জিলানী: টেকটিউনসে অনেক ভালো হ্যাকার আছে, অনেক টিউনও আছে। আমি একটা টোটাল হ্যাকিং গাইডলাইন দিবো ভাবছি। 🙂 ধন্যবাদ।

@আই, টি সরদার: অপেক্ষায় রইলাম 🙂

ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে । সুন্দর হয়েছে।

Level 0

অ্যানোনিমাস নিয়ে সবাই খারাপ ধারণা রাখে।বাট এই টিমের যে শক্তি রয়েছে সেটা কারো(হ্যাকিং টিম) নেই।

উপরোক্ত এলিয়েনদের মাঝে মিটনিক, জোনাথন আর অ্যানোনিমাস সম্পর্কে জানতাম…..আসলে বেশিরভাগই পরে ভাল পথে হাটলেও প্রথমে কুকীর্তি করেই শিরোনামে আসে 😉 মিটনিকের কীর্তিকলাপ অনেক পড়েছি- শুধু ল্যান্ডফোনের তার দিয়েই তার হ্যাকিং শুরু, তার একটা বই “Ghost in the wire” বিখ্যাত জিনিস!! তাকে নিয়ে বানানো Takedown (2000) মুভিটা দেখেছেন? না দেখলে দেখে ফেলুন- হ্যাকিং জগতে দারুন একটা সংযোজন 🙂
পোস্টের জন্য ধইন্যা 🙂

ফাটাফাটি 🙂

কি কমেন্ট করব বুজতে পাচ্ছি না, অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ, আসলে এই ধরনের টিউন পড়ার জন্যই TT তে আসি ,তোমার জন্য শুভ কামনা রইলো ,A দিলাম

হ্যাক সম্পর্কে অনেক তথ্যবহুল এ পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

নতুন কিছু জানলাম…ধন্যবাদ

khob balo laglo vai tune ta pore/////

Level 0

Nice Post But…. kim dot com er nam koi??…. 🙁

দারুন ভাল লাগল টিউনটা পড়ে, ধন্যবাদ আই, টি সরদার ভাই 🙂

Very good

খুব সুন্দর লিখেছেন।

আমি কবে হ্যাকার হমু ? 😆

google seo ভালা ভাবে add হওয়ার জন্য কি দরকার
http://www.9mela.com

খুব সুন্দর লেখা, অনেক তথ্যবহুল…. ধন্যবাদ টিউনার কে 🙂

আশা করছি টিউনটি ফিচার টিউনএ জায়গা করে নেবে।

অস্থির!

@সিদ্ধার্থ রায়: স্প্যাম মনে হচ্ছে।

বেশ মানসম্মত একটি টিউন হয়েছে ইমরান তপু ভাইয়া।

অনেক সুন্দর করে লিখেছেন, ভাইয়া
এমন আরও চাই–

অসাধারন বললেও মনে কম হয়ে যাবে। বিজ্ঞানের পরেই যে জিনিসটার প্রতি আগ্রহ সবথেকে বেশি তা হল ওয়েবসাইট সিকিউরিটি। যদিও এই বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ তবুও শেখার চেষ্টা করি। আর হ্যাকারদের পারসোনালিটি আমাকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। তাই তাদের জীবনী আমি সম্মানের সাথে পড়ি।
তপু ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবনা। এরকম আর পোস্টের জন্য শুধু আবদার জানাচ্ছি।

সত্যিই অসাধারণ । কিছু বলার নেই । থাঙ্কস ।
আপনার কাছে এরকম টিউন ই আমরা আশা করি ।

কিছু বলার নেই। এতো সুন্দর করে গুছিয়ে টিউন করেছেন!!!!!!!! অনেককিছু অজানা ছিল।

mone hoccilo koyekta Hollywood movie dekhlm 25 minute e.

Level 1

Thanks for this information

u legend writer

    Always try to present something exceptional & trying to do same now in the same field. Happy to see that you’ve remembered me.
    Thanks a lot @Habib vai

দারুন হয়েছে ভাই

টেকটিউন্সে সর্বদা আপনার কমতি মেহসুস করি, আপনার সৃজনশীলতা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো 🙂 আপনার বহুত টিউন পড়েছি, আর আপনাকে কখনোই ভুলবো না 🙂

খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া 🙂 টিটিতে আসাই হয়না এখন। আপনাদেরকে মিস করি খুব 🙂

    ধন্যবাদ ভাইয়া নোমান। অনেক ভালো লাগছে আপনাদের দেখে নতুন করে। 🙂

ভাই রে ভাই অনেক টাইম নষ্ট করছি এর পিছনে,nice ইনফো,কিন্তু জন্মের পর থেকে সবাই এই কয়েক টা নাম ইই দেখে আসতেছি,হ্যাকিং এর definition টাও জানা দরকার সবার,হ্যাকিং বলতে তো আমরা খালি ওয়েবসাইট defacement ই বুঝি,এক্সপ্লইট দিয়া সিমলিংক করে সারাদিন config.php থেকে DB username,পাসওয়ার্ড দিয়া একটা একটা করে সাইট[cms based সাইট] হ্যাক করো আর zone-h mirror করো আর ফেসবুকে নিজেরে বিল গেটস মনে করো,এক এক জনের পাট দেখলে তো মাথাই নষ্ট।,তবে হ্যাকিং এর ভিতর এথিকাল হ্যাকিং preferable.Our TiGER-M@TE is also a great hacker<>
O_O

    ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন তথ্য শেয়ার এবং কমেন্টের করার জন্য আমির ভাই। 🙂

অনেক অনেক ধন্যবাদ , এত সুন্দর একটা টিউন করার জন্য ।

    ধন্যবাদ মারুফ ভাই। সাথে থাকবেন আশা করি।

ভাই হামজা বেনদেলাজ কোই গেল………………

ভাই বাংলাদেশ সাইবার আরমি সম্পরকে কিছু বললেন না (:

    আপডেটেড কোন টেউনে বাংলাদেশের সাড়া জাগানোদের নিয়ে বলবো আশা করি। ধন্যবাদ সোহাগ ভাই। 🙂

valo legeche vaiya. 🙂

    ধন্যবাদ ফাইমিদা আপু (ছবি নাই বলে খুব শিউর হতে পারছি না আপু না ভাইয়া)। 🙂

    ধন্যবাদ ফাহমিদা আপু (ছবি নাই বলে খুব শিউর হতে পারছি না আপু না ভাইয়া)। 🙂

অসাধারণ টিউন হয়েছে। আমি অনেক দিন পর শুধু কমেন্ট করার জন্য লগিন করলাম। আপনার টিউন দেখে । টিটিতে তো আর আগের মত নাই। সেই সব মুল্যবান টিউনও পাই না ।তাই লগিনও করতাম না । আপনার টিউন দেখে লগিন না করে থাকতে পারলাম না।

ধন্যবাদ অসাধারণ টিউনের জন্য…
আমি একটি এন্ড্রয়ড এপ তৈরি করেছি, বিক্রয়[ডট]কম এর অল্টারনেটিভ হিসেবে। ইচ্ছে হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
এপটির ফীচার সমূহঃ
* কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এড পোস্ট করতে পারবেন
* দিনে আনলিমিটেড এড পোস্ট করতে পারবেন
* লোকেশন বেইসড এড সার্চ করতে পারবেন
* কোন হিডেন চার্জ নেই, একদম ফ্রী
* ইনশা আল্লাহ, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, অতদিন সার্ভিসটা ফ্রী রাখব
* ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস
* ছোট APK সাইজ ( মাত্র ৩ এমবি)
.
গুগল প্লে ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=p32929.buysellbd
APK ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://tiny.cc/buy_sell_bd
.
এপটি ডাউনলোড করে দয়াকরে একটি হলেও এড পোস্ট করুন। অনেক খুশি হব। আগাম ধন্যবাদ…