সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আন্তরিক সালাম শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউনটি। আজকের টিউনটির বিষয় বস্তু হচ্ছে : ফেসবুককে সম্পর্কে আজানা সব কিছু জানুন!
ফেইসবুক বা ফেসবুক (ফেবু হিসাবে সংক্ষিপ্ত) বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে নিখরচায় সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারাবিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৩০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য।
ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশ, সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জুকেরবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।
ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকের মূলধন ২১২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে উঠেছে।
ইতিহাস
মার্ক জাকারবার্গ, হার্ভার্ড এ তার ২য় বর্ষ চলাকালীন সময়ে, অক্টোবর ২৮, ২০০৩ এ তৈরি করেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস। এতে তিনি হার্ভার্ডের ৯ টি হাউস এর শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যবহার করেন। তিনি দুইটি করে ছবি পাশাপাশি দেখান এবং হার্ভার্ডের সব শিক্ষারথিদের ভোট দিতে বলেন। কোন ছবিটি হট আর কোনটি হট নয়। 'হট অর নট'। এজন্য মার্ক জুকারবার্গ হার্ভার্ডের সংরক্ষিত তথ্য কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ বা হ্যাঁক করেন। ফেসম্যাস সাইট এ মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইন এর মাধ্যমে ভোট দেন।
মার্ক জাকারবার্গ, মার্ক জুকারবার্গ বা মার্ক যুকারবার্গ (ইংরেজি: Mark Elliot Zuckerberg; জন্ম: ১৪ মে, ১৯৮৪) একজন আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। যার আসল পরিচিতি হল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেইসবুক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তিনি বর্তমানে ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্ট। জাকারবার্গ এবং তার কয়েকজন সহপাঠী মিলে ২০০৪ সালে এটিকে একটি ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন যখন তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই জাকারবার্গ টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৮৪ সালে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এলাকাতে মনোচিকিৎসক ক্যারেন ও দন্তচিকিত্সক এডওয়ার্ড জাকারবার্গের ঘরে জন্ম নেন মার্ক জাকারবার্গ। জাকারবার্গের তিন বোন রয়েছে, র্যান্ডি, ডোনা এবং এরিএল। জাকারবার্গ একজন ইহুদী হিসেবে বেড়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি নিজেকে একজন নাস্তিক হিসেবেই বর্ণনা করেন।
আর্ডসেলি হাই স্কুলে জাকারবার্গ গ্রীক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি ফিলিপস এক্সটার একাডেমীতে স্থানান্তরিত হন। সেখানে তিনি বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কৃত হন। তিনি অসিক্রীড়া তারকা ছিলেন এবং অসিক্রীড়া দলের অধিনায়ক ছিলেন। [১১][১২][১৩][১৪] কলেজে তিনি মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্য পরিচিত ছিলেন।
২০১০ সালে ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত সাপ্তাহিকটাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক তাদের প্রচ্ছদে ঠাঁই করে নেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইম ম্যাগাজিন ঐ বছর তাকে পারসন অব দ্য ইয়ার হিসেবে মনোনীত করেছিল।
২০০৮ সালের মে মাসে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং মার্ক জাকারবার্গের বন্ধু অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো পদত্যাগ করেন। প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল, এবং তিনি এই কোম্পানির আংশিক মালিকানার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
প্রধান পরিচালনার কর্মিবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস কক্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট), শেরিল স্যান্ডবার্গ (প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা), মার্ক জাকারবার্গ (চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা)। ২০১১ সালের এপ্রিল অনুযায়ী, ফেসবুকের প্রায় ২, ০০০ জন কর্মচারি রয়েছে এবং তাদের দপ্তর রয়েছে ১৫টি দেশে।
টেমপ্লেট:ফেসবুক আয় ফেসবুকের বেশিরভাগ আয় হয় বিজ্ঞাপণ থেকে। ফেসবুকে সাধারণত অন্যান্য প্রধান ওয়েবসাইট থেকে কম ক্লিকথ্রু হার (সিটিআর) রয়েছে। বিজনেসউইক.কমের মতে ফেসবুকের ব্যানার বিজ্ঞাপণে পাঁচ ভাগের একভাগ ক্লিক পড়ে অন্য ওয়েবের তুলনায়, যদিও সত্যিকার বিশেষ তুলনায় এটা অসম হতে পারে। উদাহরণসরূপ, যেখানে গুগল ব্যবহারকারী খোঁজার ফলাফলের প্রথম বিজ্ঞাপণের লিংকগুলোতে ক্লিক করে গড় হিসেবে ৮% (৮০০০০ ক্লিক প্রতি এক মিলিয়ন সার্চে) সেখানে ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপণে ক্লিক করে গড়ে ০.০৪% (৪০০ ক্লিক প্রতি এক মিলিয়ন পাতায়
সারাহ স্মিথ, যিনি ফেসবুকের অনলাইন বিক্রয় কার্যের ব্যবস্থাপক ছিলেন ২০১২ পর্যন্ত, প্রতিবেদন করেছিলেন যে সাইটে বিজ্ঞাপণ সফলতার হার ছিল ০.০৫% থেকে ০.০৪% এবং বিজ্ঞাপণ সিটিআর দুই সপ্তাহের মধ্যেই কমে যাওয়ার প্রবণতা ছিল।
ফেসবুকের কম সিটিআর হওয়ার কারন হল তরুণ ব্যবহারকারিদের বিজ্ঞাপণ বন্ধের সফটওয়্যার এবং বিজ্ঞাপণ এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা সেই সাথে যোগ করা যায় সাইটটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য যা ছিল শুধুমাত্র একটি সামাজিক যোগাযোগের সাইট থাকা শুধুমাত্র বিষয়বস্তু দেখার বদলে। ডিজিটাল পরামর্শ দাতা আইস্ট্রেটেজি ল্যাবের মতে ২০১৪ সালের জানুয়ারির মধ্যভাগে ১৩ থেকে ১৭ বছরের তরুণরা ফেসবুকের সামাজিক বিজ্ঞাপণের কর্মসূচিতে ছিল যাদের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন মিলিয়ন ২০১১ তুলনায়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ফ্রাঙ্ক এন. মজিদ এবং সহযোগিদের প্রতিবেদনে বলা হয় ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক ব্যবহারকারির সংখ্যা ৮৮% নেমে এসেছে যা ২০১৩ সালে ছিল ৯৪% এবং ২০১২ সালে ছিল ৯৫%।
মূল নিবন্ধ: ফেসবুকের অধিগ্রহণের তালিকা
নভেম্বর ১৫, ২০১০ সালে ফেসবুক ঘোষনা করে এটি আমেরিকান ফার্ম বিউরো ফেডারেশন থেকে ডোমেইন নাম এফবি.কম কিনে নিয়েছে যার মূল্য তারা গোপন রেখেছে। ২০১১ সালের ১১ই জানুয়ারি, আমেরিকান ফার্ম বিউরো ফেডারেশন জানায় $৮.৫ মিলিয়ন ডলারে তারা ডোমেইনটি বিক্রি করে। যার ফলে এই ডোমেইন বিক্রয় ডোমেইন বিক্রির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যের বিক্রিত দশটি ডোমেইনে জায়গা করে নিয়েছে।
২০১১ সালের শুরুর দিকে ফেসবুক ঘোষনা করে তাদের নতুন মূল অফিস সান মাইক্রোসিস্টেমের ক্যাম্পাস ম্যানলো পার্কে সরানোর পরিকল্পনার কথা। [২৫] আমেরিকা এবং কানাডার বাইরে সকল ব্যবহারকারীর ফেসবুকের আইরিস অধীনস্ত কোম্পানি "ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লি." সাথে চুক্তিবদ্ধ। এর ফলে যারা ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফেসবুক ব্যবহার করেন তাদের জন্য কোন আমেরিকান কর ফেসবুককে দিতে হয় না। ফেসবুক দ্বৈত আইরিশ সমঝোতা ব্যবহার করছে যার ফলে আন্তজার্তিক আয়ের উপর তাদের ২-৩% করর্পোরেশ কর দিতে হচ্ছে।
২০১০ সালে ফেসবুক তাদের চতুর্থ অফিস খুলে হায়দ্রাবাদে এবং এশিয়ায় সেটিই প্রথম। ফেসবুক ঘোষনা করে তাদের হায়দ্রাবাদ কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে বিজ্ঞাপণ এবং ডেভেলপার সমর্থন দলের কাজে এবং বৃত্তাকারে ব্যবহারকারী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের বহুভাষী সমর্থন দেবে। এর সাথে তারা গুগল, মাইক্রোসফট, ওরাকল, ডেল, আইবিএম এবং কম্পিউটার এসোসিয়েটসের সাথে যোগ দেয় যাদের ইতিমধ্যেই দোকান রয়েছে। হায়দ্রাবাদে এটি নিবন্ধন করা হয়েছে "ফেসবুক ইন্ডিয়া অনলাইন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড" হিসেবে।
ফেসবুক জানিয়েছে তারা হায়দ্রাবাদের কেন্দ্রে কর্মী নেয়া শুরু করেছে যা ফেসবুকের মূল কর্মযজ্ঞে ক্যালিফোর্নিয়া, ডাবলিন (আয়ারল্যান্ড) এবং অস্টিনের (টেক্সাস) পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে।
২০১১ সালের এপ্রিলে অরিগনের প্রিন্সভিলে ফেসবুক ডাটা সেন্টার স্থাপন করে যা ৩৮% কম শক্তি ব্যবহার করে তাদের আগের ডাটা সেন্টারের তুলনায়। ২০১২ সালের এপ্রিলে ২য় আরেকটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার ফরেস্ট সিটিতে। [৩৮]
২০১২ সালের পহেলা অক্টোবর ফেসবুকের সিইও জাকারবার্গ মস্কো ভ্রমন করেন রাশিয়ার সামাজিক মাধ্যমের নব্যরীতি উদ্দিপনা জাগাতে এবং রাশিয়ার বাজারে ফেসবুকের অবস্থান বাড়াতে। রাশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী টুইটারের মাধ্যমে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রী মেদভেদেব সামাজিক মাধ্যমের আবিষ্কারকে আহবান জানিয়েছেন যেন তিনি রাশিয়ার প্রোগ্রামারদের লোভ দেখানোর পরিকল্পনা বাদ দেন এবং এখানেই একটি গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন করেন। রাশিয়ায় ফেসবুকের প্রায় ৯ মিলিয়ন ব্যবহাকারি রয়েছে, যেখানে তাদের নিজস্ব ভিকে সাইটের ব্যবহারকারি আছে ৩৪ মিলিয়ন।
ফেসবুক ফ্রি এবং মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভোক্তা এবং এর উন্নয়নে অবদানকারি। ফেসবুকের অবদানগুলোর মধ্যে আছে হিপহপ ফর পিএইচপি, ফেয়ার শিডিউলার ইন অ্যাপাচি হাডুপ, অ্যাপাচি হাইভ, অ্যাপাচি ক্যাসান্ড্রা এবং মুক্ত গণনা প্রকল্প।
ফেসবুক অন্যান্য মুক্ত প্রকল্পেও অবদান রাখে যেমন ওরাকলের মাইএসকিউএল ডাটাবেজ ইঞ্জিন।
ইতিহাস
২০০৮ সালের ২০শে জুলাই ফেসবুক "ফেসবুক বেটা" সূচনা করে কিছু নির্বাচিত নেটওয়ার্কে, যা ছিল এর ব্যবহারকারি ইন্টারফেসে গুরুত্বপূর্ন পরিবর্তন। মিনি-ফিড এবং ওয়াল সুসংহত করা হয়, প্রোফাইল আলাদা ট্যাবে ভাগ করা হয় এবং সুন্দর করার একটা প্রচেষ্টা নেয়া হয়। প্রথম অবস্থায় ব্যবহারকারিকে পুরনো এবং নতুন চেহারার মাঝে নির্বাচন করতে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সব ব্যবহারকারিকেই নতুন চেহারার ভার্সনে পরিবর্তিত করা হয় যা ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়। ১১ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে এটি ঘোষনা করে ফেসবুক একটি অতি সাধারণ সাইনআপ বা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া পরিক্ষণ করে দেখছে।
ব্যবহারকারি জীবনলেখ্য (প্রোফাইল)
একক ব্যবহারকারি পাতার ফরমেটটি ২০১১ সালের শেষের দিকে পুর্নগঠন করা হয় এবং যা পরবর্তীতে হয় প্রোফাইল অথবা ব্যক্তিগত টাইমলাইন হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে। ব্যবহারকারিরা তাদের প্রোফাইল ছবি, চিত্র, ব্যক্তিগত আগ্রহ, যোগাযোগ ঠিকানা, জীবনের স্মরনীয় ঘটনা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন: চাকুরি তথ্য) সহকারে তৈরি করতে পারে। ব্যবহারকারিরা একে অন্যের সাথে উন্মুক্ত এবং গোপনীয়ভাবে যোগাযোগ করেতে পারে বার্তা ও চ্যাটের সাহায্যে। এছাড়া ওয়েব সাইট ঠিকানা, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করে নিতে পারে। ২০১২ সালে পিউ ইন্টারনেট এবং আমেরিকান লাইফ স্টাডি চিহ্ণিত করেন যে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারি হল "শক্তিশালী ব্যবহারকারি" যারা ঘনঘন লিংক, পোক, টিউন এবং ট্যাগিং সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করেন নিজের এবং অন্যের সাথে।
২০০৭ সালে ফেসবুক যাত্রা করে ফেসবুক পেজের (যাকে ভক্তদের পাতাও ডাকা হয়) যার উদ্দেশ্য ছিল ব্যবহারকারিদের ব্যবসায় এবং কোম্পানির সাথে মিথস্ক্রিয়ায় জড়ানো যা তারা অন্য যেকোন ফেসবুক ব্যবহারকারির প্রোফাইলের সাথে করে থাকে। ৬ই নভেম্বর ২০০৭ সালে ১০০, ০০০ বেশি ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়েছিল।
গণমাধ্যমগুলো অনেকসময় ফেসবুককে মাইস্পেসের সাথে তুলনা করে কিন্তু তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন পার্থক্য হল পরিবর্তন করার স্তর। অন্য একটি পার্থক্য হল ফেসবুক ব্যবহারকারিদের আসল পরিচয় চায় যা মাইস্পেসে করা হয় না। মাইস্পেসে ব্যবহারকারি তার প্রোফাইল এইচটিএমএল এবং সিএসএসের সাহায্যে সাজাতে পারে কিন্তু ফেসবুক শুধুমাত্র লেখা ভিত্তিক। ফেসবুকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রাখা আছে যার ফলে ব্যবহারকারিরা সেগুলোর দিয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। এতে আছে ওয়াল যাতে ব্যবহারকারি নিজে এবং তার বন্ধুরা তাতে বার্তা প্রকাশ করতে পারে যাতে ব্যবহারকারি তা দেখে। আছে পোক বৈশিষ্ট্য যা একজন আরেকজনের কাছে ভার্চুয়ালি পাঠাতে পারে (একটি বিজ্ঞপ্তি ব্যবহারকারিকে জানিয়ে দেয় যে অন্য ব্যবহারকারি তাকে পোক করেছেন)। ছবি আপলোড করে ব্যবহারকারি অ্যালবাম সাজাতে পারেন, আর স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ব্যবহারকারি তার বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন কর্মকান্ড ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। গোপনীয়তার সেটিংয়ের উপর ভিত্তি করে যদি কেউ প্রোফাইল দেখতে পারে তবে সে তার ওয়ালে কি আছে তাও দেখতে পারে। জুলাই ২০০৭ সালে, ফেসবুক ওয়ালে সংযুক্তি যোগ করার সুবিধা দিয়েছে যেখানে আগে শুধু মাত্র লেখা লিখা যেত।
৬ই সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে খবরের বিষয়টি প্রকাশিত হয় যা প্রতিটি ব্যবহারকারির হোমপেজ আসে এবং বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে যেমন প্রোফাইলে কোন পরিবর্তন, আগত কোন ইভেন্ট বা বন্ধুদের জন্মদিনের খবর ইত্যাদি। এটি স্প্যামারদেরসহ অন্যান্য ব্যবহাকারিদের এই বৈশিষ্ট্যটি বাজেভাবে ব্যবহারের সুবিধা করে দিয়েছে যেমন অবৈধভাবে ইভেন্ট তৈরি বা ভুয়া জন্মদিনের তথ্য দিয়ে অন্য ব্যবহারকারিদের মনোযোগ আকর্ষন করা ইত্যাদি। শুরুতে ফেসবুকের এই খবরের বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহারকারিদের অসন্তুষ্ট করে, কিছু ব্যবহারকারি একে বিশৃঙ্খল এবং অনিচ্ছাকৃত তথ্য ভরপুর হিসেবে অভিযোগ করে, অন্যরা বুঝতে সক্ষম হয় যে এর ফলে একক কোন ব্যক্তির কর্মকান্ড (সম্পর্কের অবস্থার পরিবর্তন, ইভেন্ট, অন্যদের সাথে যোগাযোগ/কথা বলা) অনুসরণ অন্যদের বুঝতে পারার বিষয়টি খুবই সহজ হয়ে গেছে।
২০০৬ সালের আগষ্টের ২২ তারিখ ফেসবুক নোট চালু করা হয়, যা মূলত একটি ব্লগিং বৈশিষ্ট্যের ধারক। এটিতে ট্যাগ এবং ছবি যোগ করা যায়। ব্যবহাকারিরা পরবর্তীতে তাদের জাংগা (Xanga), লাইভজার্নাল, ব্লগার এবং অন্যান্য ব্লগিং সেবা থেকে ব্লগ আমদানি করতে পারার সুবিধা যোগ হয়।
২০০৮ সালের ৭ই এপ্রিলের সপ্তাহে কমেট ভিত্তিক তাৎক্ষনিক বার্তা আদান প্রদান অ্যাপ্লিকেশ চালু করে যা চ্যাট নামে পরিচিত বিভিন্ন নেটওয়ার্কে। এটি ব্যবহাকারিদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ দেয় আর এটির ডেস্কটপ ভিত্তিক তাৎক্ষনিক বার্তার অ্যাপ্লিকেশনের সাথে মিল রয়েছে।
২০০৭ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ফেসবুক উপহার সেবাটি চালু করে। যাতে ব্যবহারকারি বিভিন্ন উপহার তাদের বন্ধুদের পাঠাতে পারে। প্রতিটি এক ডলার করে দাম এবং এর সাথে প্রেরকের নিজস্ব বার্তা জুড়ে দেওয়া যায়।
২০০৭ সালের ১৪ই মে ফেসবুক তাদের বাজার বা মার্কেটপ্লেস চালু করে। এতে ব্যবহারকারিরা ফ্রি শ্রেণীবিনস্ত বিজ্ঞাপণ দিতে পারে। মার্কেটপ্লেসটিকে ক্রেইগলিস্টের সাথে তুলনা করে সিনেট.কম এবং দুটোর তুলনা হিসেবে দেখায় যে মার্কেটপ্লেসে ব্যবহারকারিরা একই নেটওয়ার্কে থাকলে বিজ্ঞাপণ দেখবে আর ক্রেইগলিস্টে যেকেউ এটি দেখতে পারবে।
একটি নতুন বার্তার পথ যার নাম প্রজেক্ট টাইটান চালু করা হয় ১৫ই নভেম্বর ২০১০ সালে। কয়েকটি প্রকাশনা এটিকে জিমেইল হত্যাকারি হিসেবে অভিহিক করে, এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ব্যবহারকারিরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে ফেসবুক দিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে (যার মধ্যে আছে বিশেষ ইমেইল ব্যবস্থা, লেখ্য বার্তা অথবা ফেসবুক ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ দিয়ে)। যে পদ্ধতিই হোক না কেন তা ইনবক্সে একটি একক সূত্র বা থ্রেড হয়ে জমা হয়। অন্যান্য ফেসবুক বৈশিষ্ট্যের মত ব্যবহারকারি এখানেও কার থেকে বার্তা গ্রহন করবে তা ঠিক করে দিতে পারে তা হতে পারে শুধু বন্ধু, বন্ধুর বন্ধু অথবা যে কেউ। ইমেইল সেবাটি ২০১৪ সালে কম ব্যবহারের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
ফেসবুক ওয়েবসাইট ছাড়াও বার্তাগুলো মোবাইল অ্যাপ থেকে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য ফেসবুকের একান্ত একটি অ্যাপ রয়েছে যা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার নামে পরিচিত।
২০১১ সালে এপ্রিল থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারিরা লাইভ ভয়েস কল করতে পারেন ফেসবুক চ্যাট দিয়ে, যা দিয়ে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারিরা একে অন্যের সাথে চ্যাট করতে পারেন। এই বৈশিষ্ট্য টি-মোবাইলের নতুন ববস্লেড সেবার আওতায় ফ্রি ব্যবহার করা যায় যার ফলে ব্যবহারকারিরা ভয়েস চ্যাট করতে পারে এবং ভয়েস বার্তা রেখে দিতে পারে।
২০১১ সালের ৬ই জুলাই ফেসবুকের ভিডিও কল সেবা চালু করা হয় স্কাইপকে তাদের প্রযুক্তি অংশীদার করে। এতে স্কাইপ রেস্ট এপিআই ব্যবহার করে এক-থেকে-এক ব্যবস্থায় কল করা যায়।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুক ঘোষনা করে তারা প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ভিডিও দেখার সুবিধা প্রদান করছে এবং ব্যবহারকারি, পাতা, এবং জনপ্রতিনিধিদের যে সব ভিডিও উন্মুক্ত সেগুলোর গণনা দেখাবে সবাইকে দেখার সুবিধা যোগ করবে। কোন ব্যবহারকারি একটি ভিডিও দেখার পর আরেকটি বাড়তি ভিডিও দেখার সুপারিশ করার বিষয়টি ফেসবুক নিশ্চিত করে। ৬৫ ভাগ ফেসবুকের ভিডিও দেখা হয় ফেসবুক মোবাইল থেকে যার ব্যবহারকারি দিন দিন বাড়ছে এবং ভিডিও দেখার হার ৫০ ভাগে এসে যায় মে থেকে জুলাই মাসে যখন আইসবাকেট চ্যালেঞ্জের হিড়িক পড়ে ফেসবুকে।
২০১১ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ব্যবহারকারি পাতায় "সাবস্ক্রাইব" বোতাম যোগ করে যা অন্য ব্যবহারকারিদের সাবস্ক্রাইব করা ব্যবহারকারির উন্মুক্ত টিউনগুলো দেখার সুযোগ করে দেয়। এর সাথে ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পরিচিতি যাচাইয়ের সুবিধা যোগ করে বিশেষ বিশেষ একাউন্টের ক্ষেত্রে। টুইটারের মত যাচাইকৃত পাতাগুলো কোন বিশেষ যাচাইয়ের তকমা রাখে না, কিন্তু সাবস্ক্রিপশনের সুপারিশে অধিক অগ্রাধিকার দেয়।
২০১২ সালের ডিসম্বরে ফেসবুক ঘোষনা করে ব্যবহারকারিদের দ্বিধার কথা মাথায় রেখে তারা সাবস্ক্রাইব বোতামকে "ফলো" বোতামে প্রতিস্থাপন করে যার ফলে অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কের সাথে এতেও মিল থাকে।
২০১১ সালের ২৯শে নভেম্বর, ফেসবুক ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশনের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য রাজি হয়। অভিযোগটি ছিল ফেসবুক ব্যবহারকারিদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৪ সালের ২০শে মার্চ ফেসবুক ঘোষনা করে একটি নতুন মুক্তি উৎসের প্রোগ্রামিং ভাষা "হ্যাকের" কথা। জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করার আগে ফেসবুকের একটি বড় অংশ এই নতুন ভাষা দ্বারা পরিক্ষন এবং একই সাথে চালানো হচ্ছিল।
ফেসবুক মোমেন্টাম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের বার্তা ব্যবস্থার জন্য যা দিয়ে অসংখ্য আকারের ইমেইল তার ব্যবহারকারিদের কাছে প্রতিদিন পাঠায়।
সামাজিক নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য হল লাইক বোতামটি যার দ্বারা ব্যবহারকারিরা তাদের সাধুবাদ জানায় স্ট্যাটাস আপডেটে, টিউমেন্টে, ছবিতে এবং বিজ্ঞাপণে। এটি একই সাথে ফেসবুক প্লাটফর্মের একটি সামাজিক প্লাগইন, যা শুরু করা হয় ২১শে এপ্রিল ২০১০ সালে। যার ফলে অংশগ্রহণকারি ইন্টারনেট ওয়েবসাইটগুলোকে একই রকম লাইক বোতাম প্রদর্শন করার সক্ষমতা দেয়।
২৯শে জুলাই ২০১১ সালে ফেসবুক তাদের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম ঘোষনা করে যাতে নিরাপত্তা গবেষকদের সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার দেয়া হবে ফেসবুকের কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি বের করতে পারলে। ফেসবুক হোয়াইটহ্যাট পাতায় বলা আছে: "যদি তুমি তোমার প্রতিবেদনের জন্য যথার্থ সময় দিতে পার বিষয়টি জন সম্মুখে প্রকাশের পূর্বে এবং বিশ্বাসযোগ্য ভাল চেষ্টা চালাও গোপনীয়তা ভঙ্গ এড়াতে, ডাটা ধ্বংস এবং তোমার গবেষণার সময় আমাদের সেবাতে বাধা বা মর্যাদাহানি না কর, আমরা তোমার বিরুদ্ধে কোন মামলা করব না বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব না তোমাকে তদন্ত না করতে"।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক দেশ অনুযায়ী
কমস্কোরের মতে, মাসিক অনন্য ভিজিটরের ভিত্তিতে ফেসবুক প্রধান সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট এবং তার ফলে এটি মাইস্পেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ২০০৮ সালে এপ্রিলে। কমস্কোর আরো বলে, ফেসবুক ১৩০ মিলিয়ন অনন্য ভিজিটরকে আকর্ষিত করেছে মে ২০১০ সালে যা ৮.৬ মিলিয়ন লোকের সমাগম। এ্যলেক্সার মতে, ওয়েবসাইটটির পদমর্যাদা ৬০তম থেকে ৭মে এসেছে সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালের মধ্যে এবং বর্তমানে ২য়। কোয়ান্টকাস্ট ফেসবুককে ২য় পদসারির সাইট বলেছে আমেরিকায় এবং কমপিট.কম একে ২য় স্থানে রেখেছে আমেরিকায়। এটি আপলোডের জন্যও জনপ্রিয় প্রায় ৫০ বিলিয়ন আপলোডের ক্রমবর্ধমান হিসাবে।
টেমপ্লেট:ফেসবুকের বিকাশ
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে, দেশভিত্তিক বেশিরভাগ ব্যবহারকারি ফেসবুকে ছিল:
ফেসবুক অনেক দেশেই বারেবারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে বন্ধ করা হয়েছে যার মধ্যে আছে চীন, ইরান, উজবেকিস্থান, পাকিস্থান, সিরিয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং উত্তর কোরিয়া। উদাহরণসরূপ এটি পৃথিবীর অনেক দেশেই ধর্মীয় বৈষম্য ও ইসলাম বিরোধী কর্মের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অনেক জায়গায় অফিসের কর্মীদের কর্ম সময়ে ফেসবুক ব্যবহার না করার জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। ফেসবুকে ব্যবহারকারির গোপনীয়তাও একটি সমস্যা হয়ে দেখা দেয় এবং তার নিরাপত্তাও বিভিন্ন সময় আপোস-মীমাংসা হয়। ফেসবুক একটি মামলা লড়ে সোর্স কোড এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মামলায়। ২০১১ সালের মে মাসে সাংবাদিক এবং ব্লগারদের কাছে ইমেইল পাঠানো হয় গুগলের গোপনীয়তার নীতির অভিযোগ নিয়ে। যদিও শেষে দেখা যায় যে, গুগল প্রতিরোধকল্পে পিআর খ্যাত বারসন-মারসটেলার এটি করে এবং অর্থদাতা ছিল ফেসবুক যা সিএনএন সহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে সমালোচিত হয়। ফেসবুক কুর্দিস্থানের রাজধানী আরবিলে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় নিরাপত্তা জনিত কারনে।
২০১১ সালে জার্মানির কতৃপক্ষ ফেসবুকের ইভেন্ট বৈশিষ্ট্যটি বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করে। এই সিদ্ধান্তের জন্য অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যাতে আসলে দাওয়াত না দেয়া সত্বেও মানুষ চলে এসেছে ইভেন্টে এমন ঘটনা দায়ী। একটি ঘটনায় দেখা যায় প্রায় ১৬০০ অতিথি একটি হামবার্গে মেয়ের ১৬তম জন্মদিনে উপস্থিত হয়েছেন কারন মেয়েটি তার জন্মদিনের ইভেন্টটিকে ফেসবুকে অসাবধানতা বশত পাবলিক বা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় একশরও বেশি পুলিশকে নামাতে হয়েছিল ভিড় সামলাতে। এতে একজন পুলিশ অফিসার আহত এবং এগার অংশগ্রহনকারি আটক করা হয়েছিল বিভিন্ন কারনে। এমন অন্য একটি ঘটনায় দেখা যায়, ৪১ তরুনকে আটক করা হয়েছে এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।
২০০৭ সালে প্রতিবেদনে বলা হয় ৪৩% ব্রিটিশ অফিস কর্মী কর্মক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার থেকে বিরত রাখা হয় কারন দেখানো হয় কর্মীদের উৎপাদনশীলতা হ্রাস এবং ব্যবসায়িক গোপনীয়তা ফাঁস।
২০১১ সালের নভেম্বরে, ভারতের ব্যাঙ্গালোরের অনেকগুলো ফেসবুক ব্যবহারকারি জানায় যে তাদের একাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে এবং তাদের প্রোফাইল ছবি অশ্লীল ছবি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যবহারকারিদের নিউজ ফিড অশ্লীল, হিংস্র ও যৌনতা ভিত্তিক বিষয়বস্তু দ্বারা স্প্যাম প্লাবিত হয় এবং প্রতিবেদনে বলা হয় ২০০, ০০০ বেশি একাউন্ট এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফেসবুক এই প্রতিবেদনকে অসত্য বলে বর্ণনা করে এবং ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ বিষয়টি পরিদর্শন করে টিউমেন্ট করেন যে হয়ত এটি ফেসবুকের প্রতিযোগীদের কোন গুজব হতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে ফেসবুকের কারণে আত্ম-সম্মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে যা ইর্ষার জন্ম দেয় যেমন অবকাশ এবং ছুটির দিনের ছবি কথা। অন্যান্য ইর্ষার কারনগুলোর মধ্যে আছে বন্ধু বান্ধবের পারিবারিক সুখী এবং কারো দৈহিক সোন্দর্যের ছবি। এধরনের ইর্ষান্বিত অনুভূতি মানুষকে তাদের জীবনে একা এবং অতৃপ্ত করে দেয়। জার্মান দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে তিন জনের মধ্যে একজন ফেসবুক চালানোর পর নিজেদের জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট। এবং অন্য একটি গবেষনা যা উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক পরিচালিত হয়েছিল, উঠে আসে যে, ফেসবুকে সময় কাটানোর বাড়ানোর পর তারা তাদের জীবন সম্পর্কে নিকৃষ্ট অনুভূতি হয়েছিল।
মনোবিজ্ঞানি সুজান ক্রাস হুইটব্রানের মতে যদিও ফেসবুকে বন্ধু করার ব্যপারটিই প্রবল, তবু্ও সেখানে কাউকে আনফ্রেন্ড বা নিবান্ধব করা বা ফিরিয়ে দেয়ার খারাপ প্রভাব রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন নিবান্ধব করা লোকটি ফেসবুকের বিচ্ছেদের শিকার। অন্য দিকে আনফ্রেন্ড করে দেওয়া কদাচিৎ পাস্পরিক সিদ্ধান্তে হয় এবং প্রায়শই দেখা যায় যাকে আনফ্রেন্ড করা হয়েছে তিনি তা জানেন না।
জুলাই ২০১৪ সালে সাকিরা প্রথম প্রসিদ্ধ ব্যক্তি হন যার পাতা ১০০ মিলিয়ন লাইক পার করে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো ছিলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যার লাইক ১০০ মিলিয়নে পৌ্ছায়। এরপরই আছেন্ রিহানা (৯৮ মিলিয়ন) এবং এমিনেম (৮৯ মিলিয়ন)। মার্ক জাকারবার্গ অভিনন্দনসূচক বার্তা রাখেন তাদের ওয়ালে।
ফেসবুকের প্রধান প্রতিযোগীর মধ্যে আছে চীনে কিউজোন এবং রেনরেন; ব্রাজিলে অরকুট (২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধের আগ পর্যন্ত); দক্ষিন কোরিয়ায় সাইওয়ার্ল্ড; রাশিয়া, বেলারুস, কাজাকস্থান, কিরগিস্থান, মালডোবা, ইউক্রেন, উজবেকিস্থানে ভিকে এবং অডনক্লাসনিকি; ড্রাগিয়েম.এলভি লাটভিয়ায়; ইরানে ক্লুব; ভিয়েতনামে জিং এবং জাপানে মিক্সি।
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে
নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।আপনাদের জন্য » হামিম আরকে
➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ
আমি তাহসিন হামিম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি খুব সাধারন একজন। প্রযুক্তি নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে । এর থেকে বেশি কিছু বলার নাই।
অনেক দিন পর আরেকটি সুন্দর টিউন পেলাম। আপনাদের মতো টিউনারদের জন্য টেকটিউন এখনও আছে এগিয়ে যান। আগামী টিউনের অপক্ষোয় রইলাম।
আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ
তাহসান হাসান