

ফেসবুকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারের তিন মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গতকাল রোববার সচিবালয়ে বৈঠক করেছেন। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে ফেসবুকের পক্ষে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ম্যানেজার দিপালী লিবারহেন এবং আইন-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ বিক্রম লাংঘে। অপর দিকে সরকারের পক্ষে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ এবং সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শিগগির ফেসবুক নিয়ে সিদ্ধান্ত আসছে।
জানা গেছে, বৈঠকে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে সরকার তার কিছু উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। কেন, কী পরিস্থিতিতে ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে তা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুকের নানা ধরনের অপব্যবহারসহ নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। বৈঠকে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নামে ফেক আইডি খোলা হয়েছে। এভাবে একেকজনের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেক আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেসব সমস্যায় পড়েন তা বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। ফেসবুক প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে শুনেছেন ও নোট নিয়েছেন।
তবে বৈঠক শেষে ফেসবুকের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ ইন্টারনেটে যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম সরকারের নির্দেশে বন্ধ আছে। সরকার তখন বলেছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপর ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার লক্ষ্যে বিশদ আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর সংস্থার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কার্যালয়ে চিঠি পাঠান টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। এরই ফলে গতকালের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্বে প্রকাশিতঃ লিংক
আমি এস বাবু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।