সামাজিক যোগাযোগ সাইটসমূহ মানুষের সর্বোচ্চ কর্মঘন্টা নিয়ে নিচ্ছে!

সামাজিক যোগাযোগ সাইটসমূহ মানুষের সর্বোচ্চ কর্মঘন্টা নিয়ে নিচ্ছে! এক্সপেরিয়ান মার্কেটিং সার্ভিসের জরিপ মতে আমেরিকানরা গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১৬ মিনিট সময় সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ব্যয় করে।

social-networking

যুক্তরাষ্ট্রের শতকারা ২৭ জন অনলাইন ব্যবহারকারী তাদের  করার সময়টুকু ফোরাম এবং  সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন- ফেসবুক, টুইটার এবং ইন্সটাগ্রাম এ ব্যয় করে কাটায়।-এক্সপেরিয়ান এর তথ্য মতে।  এক্সপেরিয়ান মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ সব ধরণের ডিভাইস ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য গ্রহন করে এই জরিপ প্রকাশে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অনলাইন ব্যবহারকারীরাও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে গড়ে ঘন্টায় ১৩ মিনিট সময় ব্যয় করছে। এবং অস্ট্রেলিয়ানরা গড়ে ঘন্টায় ১৪ মিনিট সময় ব্যয় করছে ।
এক্সপেরিয়ান এর রিপোর্ট মতে- যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নয় মিনিট বিনোদন সাইটে কাটায়। পাঁচ মিনিট অনলাইন শপিং এ কাটায়, ৩ মিনিট ব্যবসায়িক সাইট অথবা ইমেইল, নিউজ সাইটে ব্যয় করে।

images

এক্সপেরিয়ান ৫০,০০০ জন মোবাইল এ নেট ব্যবহারকারী এবং ১০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন যাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ অথবা তার চেয়ে বেশি।
এইতো গেল যুক্তরাষ্ট্রের কথা। আমাদের দেশে জরিপ চালালে দেখা যাবে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৭০-৮০ ভাগ সময় ফেসবুক ব্যবহার করে সময় কাটায়  ব্যবহারকারীরা এবং পিসিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যেও অনেক সময় ফেসবুক নিয়ে ব্যয় করে অধিকাংশ ব্যবহারকারী। মোট কথা আমাদের দেশ সকল দেশের উপরে থাকবে ফেসবুকে সময় ব্যয় করার জরিপ গ্রহন করা হলে! এসব সামাজিক যোগাযোগ সাইটে অধিক সময় ব্যয় করার ফলে অনেকের পড়ারলেখায় ব্যঘাত ঘটছে,স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যঘাত ঘটাচ্ছে। ব্যপারটা এরকম হয়ে গেল যে সামাজিক যোগাযোগ সাইট অনেককে অসামাজিক বানিয়ে ছাড়ছে। এটা অবশ্য আমার মত। আমার সাথে একমত হলে কমেন্টে জানান।

পোস্ট লিখেছেন টিউটোহোস্টের সাপোর্ট বিভাগে কর্তব্যরত নিলুফার ইয়াসমিন

পূর্বে প্রকাশিত টিউটোরিয়ালবিডি ব্লগে

Level 0

আমি টিউটোহোস্ট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 162 টি টিউন ও 69 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

টিউটোহোস্ট বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ওয়েব হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাস্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্রুতগতির বেশ কিছু ওয়েব সারভারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। আমরা এদেশে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন অনলাইন এবং ফোন সাপোর্টের ব্যবস্থা রেখেছি। বাংলেদশসহ অনেক দেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আমাদের সারভার ব্যবহার করছে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

আমার মতে যেসব দেশ উন্নতির চরম শিখরে আছে তারা ফেসবুক ইউজ করলে প্রব নাই। কিন্ত আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে যদি আমরা ফেসবুক ইউজ করি এবং ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করি তাহলে আমরা আরো তলিয়ে যাব।অনেকে আছে ইন্টারনেট চিনেই ফেসবুক দিয়ে। এক দম্পতি ফেসবুকের মাধ্যেমে পরিচয়, দেন পালিয়ে বিয়ে করে।আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি কর,বল্ল কিছু করি না। দুজনে নতুন কর্মক্ষেত্রে ঢুকবে কাজ খুজছে। বয়স অল্প।বিয়ের আগে একজন বাপের বাড়িতে থেকে পিসি ইউজ করত আরেক জন সাইবার কেফে থেকে।এবার আমি আমার কর্মক্ষেত্রের কথা বলি।আমি যেখানে কাজ করি ,কিভাবে যে কর্মঘন্টা নষ্ট হয় তা আমি নিজে দেখি।যার পিসির সামনে যাই দেখি ফেসবুক,হয়ত মিনিমাইজে নয়ত মেক্সিমাইজে। যে কোন ইন্টেলেকচুয়াল কাজে মানুষ ব্রেন খরচ করতে চায় না।ফেসবুকে মানুষ কি পায় জানি না। আমার নিজের ফেসবুক আছে (হয়ত আপনারও আছে) শুধু মাত্র একাউন্ট চালু রাখার জন্য এবং যুগের সাথে তাল মিলানোর জন্য মাঝে মাঝে ঢুকা হয়।আমরা কোনদিকে ছুটছি ,কিসের জন্য ছুটছি তা আমরা নিজেরাই জানি না।ছুটছি তো ছুটছিই!আমরা কি কোন দিন ইন্টেলেকচুয়াল জাতি হতে পারব?!বি দ্র: আমি নিজেই ইন্টেলেকচুয়াল না!!!

    @S Rahman: Apnar sathe 100000000000000000000% ekmot……..kothay ache na “Khaknar chey bajna besi” amra sudhu sei bajnar pichone chutchi

    @S Rahman: ধন্যবাদ সুন্দর এবং মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য। আমিও আপনার সাথে একমত। আমরা (অধিকাংশ বাংলাদেশী) শুধু ভালোভাবে বর্তমান সময়টা কাটাতে চাই। এর ফল ভবিষ্যতে কি হবে সেটা আমরা ভাবি না।তাছাড়া আমাদের দেশের সব বিষয় ভেবে দেখলে এরকম লক্ষ্য উদ্দেশ্যহীন হয়ে পরাও অস্বাভাবিক নয়। (আমার নিজস্ব মতামত)-নিলুফার ইয়াসমিন