
বিশ্ব আজ একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির সোনালী যুগে প্রবেশ করেছে। স্মার্টফোন আর মোবাইল অ্যাপ এখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আগে যেখানে একটা ফোন কেবল কল করা বা এসএমএস পাঠানোর কাজে সীমাবদ্ধ ছিল, সেখানে এখন একটা ছোট্ট মোবাইল ফোনে আমরা শিক্ষা, বিনোদন, ব্যবসা, যোগাযোগ, এমনকি আয়-রোজগারের সুযোগও পাচ্ছি।
বাংলাদেশও এই পরিবর্তনের বাইরে নয়। এখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে। বিশেষ করে ফ্রি অ্যাপগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী। কারণ এগুলো সহজলভ্য, ডাউনলোড করতে টাকা লাগে না, আর ব্যবহার করতেও কোনো ঝামেলা নেই।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে কয়েকটি অ্যাপ এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে এগুলো ছাড়া প্রায় মানুষের জীবন কল্পনা করাই কঠিন। আজকের এই টিউনে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫টি ফ্রি অ্যাপ নিয়ে, যেগুলো প্রায় সবাই ব্যবহার করছে।
ফেসবুক প্রথম চালু হয়েছি মার্ক জাকারবার্গের হাত ধরে। তখন শুধু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারত। ধীরে ধীরে এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে ২০১০ সালের পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশে ফেসবুক এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়; এটা একটা সম্পূর্ণ সামাজিক ব্যবস্থা।
ঢাকার এক গৃহিণী এখন ঘরে বসেই ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে অনলাইনে কাপড় বিক্রি করছেন। একদিকে সংসার সামলাচ্ছেন, অন্যদিকে আয় করছেন মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের সাথে সাথে ইউটিউবের জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বী হয়েছে।
কুমিল্লার একজন তরুণ ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং টিউটোরিয়াল দিয়ে কয়েক লাখ সাবস্ক্রাইবার অর্জন করেছেন। এখন তিনি ইউটিউব থেকেই মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।
অনেকে টিকটককে সময় নষ্ট মনে করেন। তবে বাস্তবতা হলো—এখানে প্রচুর তরুণ-তরুণী সৃজনশীল ভিডিও বানিয়ে খ্যাতি ও আয় দুই-ই করছে।
সিলেটের এক প্রবাসী শ্রমিক এখন সৌদি আরব থেকে সরাসরি বিকাশে টাকা পাঠাতে পারছেন। পরিবার টাকা পাচ্ছে কয়েক মিনিটেই।
২০২৫ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক কোটির বেশি। এত মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর তালিকায় ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টফি আর বিকাশ শীর্ষে রয়েছে।
এই অ্যাপগুলো আমাদের যোগাযোগ, বিনোদন, শিক্ষা, ব্যবসা, আর্থিক লেনদেন—সবকিছু বদলে দিয়েছে। বলা যায়, আগামী দিনগুলোতেও এগুলো আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
আমি জান্নাতুল খাতুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 31 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মোছা:জান্নাতুল খাতুন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বাংলাদেশ থেকে। আমি একজন ফ্রিল্যান্স লেখক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ডিজিটাল কনটেন্ট, আর্টিকেল এবং সৃজনশীল লেখা তৈরি করতে পারদর্শী। আমি মানসম্পন্ন কাজ প্রদান করতে এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট রাখতে উৎসাহী।