ফেসবুকে একটি টিউন ভাইরাল হওয়া মানে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। এটি যেমন ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য উপকারী, তেমনই ব্যবসার প্রসারেও এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু কীভাবে আপনার পোস্টকে ভাইরাল করবেন? এর কি কোনো গোপন সূত্র আছে? অবশ্যই আছে! এখানে রইল ১০টি প্রমাণিত টিপস যা আপনার ফেসবুক পোস্টকে ভাইরাল করতে সাহায্য করবে।
ভাইরাল হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ট্রেন্ডিং টপিক বা বর্তমানে জনপ্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কী নিয়ে আলোচনা চলছে, কোন ঘটনা বা ইস্যু মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে, তা লক্ষ্য করুন। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনার নিজস্ব মতামত বা সৃজনশীল উপায়ে কনটেন্ট তৈরি করুন। মানুষ যা খুঁজছে, সেটাই তাদের সামনে তুলে ধরুন।
ফেসবুকে স্ক্রল করার সময় মানুষ প্রথমে ছবি বা ভিডিও দেখে আকৃষ্ট হয়। তাই আপনার টিউনের সাথে উচ্চমানের এবং দৃষ্টি আকর্ষণকারী ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করুন। ইনফোগ্রাফিকস, মজার জিআইএফ (GIF) বা শিক্ষামূলক ছোট ভিডিও টিউনের রিচ বাড়াতে দারুণ কাজ করে। মনে রাখবেন, একটি ভালো ভিজ্যুয়াল হাজার কথার সমান।
যে কনটেন্ট মানুষের মনে আবেগ তৈরি করতে পারে, তা দ্রুত ভাইরাল হয়। সেটি হাসি, কান্না, রাগ, অনুপ্রেরণা বা কৌতূহল যেকোনো কিছু হতে পারে। এমন গল্প বলুন বা এমন বিষয় নিয়ে লিখুন যা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় এবং তাদের নিজেদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত মনে হয়।
আপনার টিউনে একটি প্রশ্ন যুক্ত করুন যা দর্শকদের মন্তব্য করতে উৎসাহিত করবে। মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করতে ভালোবাসে। যত বেশি মন্তব্য আসবে, আপনার টিউন তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে। বিতর্কিত বা চিন্তামূলক প্রশ্ন আলোচনাকে আরও গতি দেবে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা দ্রুত স্ক্রল করেন। তাদের মনোযোগ ধরে রাখতে আপনার টিউন ছোট, সহজবোধ্য এবং টু দ্য পয়েন্ট রাখুন। দীর্ঘ টেক্সট এড়িয়ে চলুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বুলেট পয়েন্ট বা ছোট প্যারাগ্রাফে উপস্থাপন করুন। ভিডিও হলে সেটি যেন খুব বেশি লম্বা না হয়।
আপনার টিউনে একটি স্পষ্ট কল টু অ্যাকশন (CTA) রাখুন। দর্শকদের বলুন আপনি তাদের কাছ থেকে কী চান। যেমন: "আপনার মতামত টিউমেন্টে জানান", "বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন", "ভিডিওটি সেভ করে রাখুন" অথবা "আমাদের পেজ লাইক করুন"। এটি দর্শকদের সাথে আপনার ইন্টারঅ্যাকশন বাড়াতে সাহায্য করে।
ফেসবুক লাইভ ভিডিওগুলোর রিচ সাধারণত বেশি হয়। লাইভ এসে দর্শকদের সাথে সরাসরি কথা বলুন, প্রশ্ন-উত্তর সেশন করুন, কোনো ইভেন্ট কভার করুন বা রিয়েল-টাইমে কিছু দেখান। লাইভ ভিডিও মানুষের মধ্যে তাৎক্ষণিক কৌতূহল তৈরি করে এবং তাদের বেশি সময় ধরে আপনার সাথে যুক্ত রাখে।
ছোট ছোট প্রতিযোগিতা বা গিভঅ্যাওয়ের আয়োজন করুন। পুরস্কার জেতার সুযোগ পেলে মানুষ আপনার টিউন লাইক, টিউমেন্ট ও শেয়ার করতে আগ্রহী হবে। এটি আপনার টিউনের এনগেজমেন্ট ও রিচ বাড়াতে দারুণ কার্যকর।
আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কখন ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, তা খুঁজে বের করুন। ফেসবুক ইনসাইটস (Facebook Insights) ব্যবহার করে আপনার টিউন করার সেরা সময় বের করতে পারেন। সঠিক সময়ে টিউন করলে বেশি সংখ্যক মানুষ আপনার কনটেন্ট দেখতে পাবে এবং ইন্টারঅ্যাকশন বাড়বে।
অন্যান্য ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলের সাথে সহযোগিতা (Collaboration) করুন। একে অপরের টিউন শেয়ার করুন বা একসাথে কোনো কনটেন্ট তৈরি করুন। এতে উভয় পক্ষের ফলোয়ারদের কাছে আপনার টিউন পৌঁছাবে, যা আপনার রিচ বাড়াতে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন, কোনো পোস্টই রাতারাতি ভাইরাল হয় না। এর পেছনে কনটেন্টের গুণগত মান, সঠিক সময়ে টিউন করা এবং দর্শকদের সাথে নিয়মিত মিথস্ক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টিপসগুলো অনুসরণ করে ধৈর্য ধরে কাজ করলে আপনার ফেসবুক পোস্টও একদিন ভাইরাল হবেই।
আমি ইফতেখার আহমেদ সম্রাট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 মাস 1 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 6 টিউনারকে ফলো করি।