আপনি কি জানেন ৫৫০০ টাকা বাজেটে পাবেন যেকোনো সেরা ২টি স্মার্ট ওয়াচ?

Level 1
পেইজ মোডারেটর ও কন্টেন্ট রাইটার, টটেজা, চট্টগ্রাম

জি, আমি বলতে চাচ্ছিলাম আপনি ৫৫০০ টাকায় বাজেটে ভালো মানের Amazfit ব্রান্ড স্মার্ট ওয়াচ পাবেন।
বাজারে বর্তমানে Amazfit POP 3R এবং Amazfit POP 3S বের হয়েছে।
২ টি স্মার্ট ওয়াচই বাজারে সেরা মানের পারফর্মেন্স দিচ্ছে। এই ২ টি স্মার্ট ওয়াচের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এদের পার্থক্যগুলো খুব বেশী আহামরি না। কিন্তু তাও আমাদের কেনার পূর্বে জেনে নেওয়া উচিত। প্রথমেই বক্স খুলেই পাচ্ছেন:
১. ম্যাগনেটিক ক্যাবল: স্মার্টওয়াচে ম্যাগনেটিক ক্যাবল থাকে। এই ক্যাবল দ্বারা স্মার্টওয়াচ চার্জ দেওয়া হয়।
২. ইউজার ম্যানুয়াল গাইড: প্রত্যেকটা স্মার্ট ওয়াচের সাথেই ইউজার ম্যানুয়াল গাইড থাকবে। এর মাধ্যমে সহজেই স্মার্টওয়াচে ইউজের পদ্ধতি জেনে নেওয়া যায়।
৩.স্ট্রেপ / বেল্ট : এই ২ টি স্মার্টওয়াচের স্ট্রেপ দেখতে সেইম এবং এটি সিলিকনের তৈরী হয়ে থাকে। স্ট্রেপ ভীষণ নরম আর আরামদায়ক হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই ইচ্ছে করলে নিজের ইচ্ছে মত ভিন্ন রকমের স্ট্রেপ ব্যবহার করতে পারবে।
৪. আকৃতি:  এই ২ টি স্মার্টওয়াচের আকৃতি ভিন্ন। Amazfit POP 3R দেখতে গোলাকৃতি হয়ে থাকে। আর Amazfit POP 3S দেখতে বর্গাকৃতি হয়ে থাকে।
ডিসপ্লে : এদের ডিসপ্লে ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। Amazfit POP 3S হালকা একটু বাকানো হয়ে থাকে। এটি ১.৯৬ ইঞ্চি এবং এমোলেড প্যানেল থাকায় কালারফুল থাকে। রোদের আলোতেও খুব ভালো ব্যবহার করা যাচ্ছিল। অন্যদিকে Amazfit POP 3R এর ডিসপ্লে গোলাকৃতি হয়ে থাকে। এটি কোনোদিকে বাকানো হয়ে থাকেনা। এটিতেও এমোলেড প্যানেল থাকায় কালারফুল হয়ে থাকে এবং এটিও সূর্যের আলোতে খুব ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে।
বডি ফ্রেম: Amazfit POP 3S এবং Amazfit POP 3R বডি ফ্রেম ম্যাটাল হয়ে থাকে।
ধরন: Amazfit POP 3S দেখতে কালো ধরনের এবং Amazfit POP 3R দেখতে  stainless steel মতই লাগে।
ব্যাক সাইড: এই ২ টি স্মার্টওয়াচের ব্যাক সাইড প্লাস্টিকের হয়ে থাকে। সেইদিকে প্রয়োজনীয় সেন্সর ও চার্জ ইন টার্মিনাল থাকে।
ওজন: Amazfit POP 3R  একটু ভারী ধরনের হয়ে থাকে। অন্যদিকে Amazfit POP 3S তুলনামূলক হালকা হয়ে থাকে।
এই ২ টি স্মার্টওয়াচে IP68 রয়েছে। অর্থাৎ এসব ঘড়িতে অল্প পানি লাগলে সমস্যা হবেনা। আমরা হাত ধুতে গিয়ে অল্প পানি লাগলে কিংবা বৃষ্টির অল্প পানি ঘড়ির উপর পড়লে তেমন কোনো সমস্যা হবেনা। কিন্তু তাই বলে আবার সাঁতার কাটতে গিয়ে এই ঘড়ি পড়া যাবেনা। আর এসব ঘড়িতে কিন্তু কোনো ভাবে লবনাক্ত পানিতে ব্যবহার করা যাবেনা।
AOD (Always On Display): এই ২ টি স্মার্টওয়াচে ইচ্ছে করলেই AOD ব্যবহার করা যায়। এখানে এনালগ ও ডিজিটাল ২ ধরনের পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাবে। আপনারা সহজেই সময় সেট আপ করে নিতে পারবেন
কানেক্টিভিটি : এই ২ টি স্মার্টওয়াচে ব্লুটুথ (৫.২) কানেক্ট করতে হবে। আর  Zepp Active নামক একটি অ্যাপস দিয়ে কানেক্ট করে নিতে হবে।
স্পিকার : এই ২টি স্মার্টওয়াচে স্পিকারের সাউন্ড সার্ভিস ভালো হয়ে থাকে।
মাইক্রোফোন: স্মার্টওয়াচ ২ টির মাইক্রোফোন ভালো মানের হয়ে থাকে।
ব্যাটারী : ব্যাটারী ব্যাকআপের যে বিষয়টা স্মার্টওয়াচে খুবই পীড়াদায়ক সেটা সত্যি বলতে এই স্মার্টওয়াচগুলোতে কিছুটা হলেও কম বলা যায়। কারন এদের ব্যাটারী ৩০০ এমএএইচ হয়ে থাকে। কোম্পানি দাবী করে, একবার চার্জ দিয়ে প্রায় ১০-১২দিন আরামসে স্মার্টওয়াচগুলো ব্যবহার করা যাবে। তবে আমি যাচাই করে দেখলাম প্রায় ৮-৯দিন ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু খুব বেশি ব্যবহার করলে অর্থাৎ সারাদিন AOD চালু করে থাকলে ৬-৭ দিন ব্যবহার করা যাবে। এটি চার্জ হতে প্রায় ১০০ মিনিটের মত সময় নিয়ে থাকে।
অন্যান্য স্মার্টওয়াচের মত এই স্মার্টওয়াচেও সব ধরনের বৈশিষ্ট্যই পাওয়া যাবে। যেমন : Voice Assistant, Heartware Sensor, Pressure monitor, Stop watch, Flash light, Weather update সহ আরো অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য থাকে।
সেন্সর এক্যুরেসি: এই স্মার্টওয়াচ ২ টিরই সেন্সর এক্যুরেসি খুবই ভালো হয় থাকে।
স্টেপ কাউন্টিং : আমরা সকলেই জানি, বর্তমান স্টেপ কাউন্টিং ব্যাপারটা সব ধরনের স্মার্টওয়াচেই পাওয়া যায়। কিন্তু সব স্মার্টওয়াচের স্টেপ কাউন্টিং রেইটটা ঠিক হয়ে। থাকেনা। এইদিক থেকে Amazfit POP 3R ও Amazfit POP 3D  স্টেপ কাউন্টিং রেইট প্রায় ঠিকই হয়।
তাছাড়াও এই স্মার্টওয়াচের রয়েছে ১০০ এর চেয়ে বেশি ওয়াচ ফেইসেস। যা নিজের ইচ্ছে মতই ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই না, স্পোর্টস মুডস থাকে প্রায় ১০০ এর চেয়ে বেশি।
এই ২টি স্মার্টওয়াচই দেখতে ভীষণ প্রিমিয়াম একটা লুক দেই। অর্থাৎ খুব স্মার্টলি পড়া যাবে।
আর গুনগতমান হিসেবে এর দাম প্রায় ৫৫০০ টাকা। এই মূল্যে এরকম স্মার্টওয়াচ পাওয়া সত্যি লাভজনক হতে পারে।
সীমাবদ্ধতা: সব স্মার্টওয়াচের কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই থাকে। অর্থাৎ সব স্মার্টওয়াচে কিছু ভালোর পাশাপাশি মন্দও হয়ে থাকে তা ঠিক বলবো না। কিন্তু সমস্যা ত কিছু থাকেই। এসব ওয়াচও তার ব্যতিক্রম নই আরকি।
Amazfit POP 3S ও Amazfit POP 3R ঘনত্ব কম হলেই ভালো হতো। আর সত্যি বলতে, Amazfit POP 3R এর ওজন ভারী হয়ে থাকে। যেহেতু এসব ওয়াচ সারাদিনের জন্য পড়া হয়ে থাকে তাই একটু হালকা হলে ভীষণ আরামদায়ক হতো। এছাড়া বর্তমানে বাজারে ব্লুটুথ ৫.৩ হলে ভালো হতো। কারন আপডেটেড ভার্সন যখন বাজারে চলে আসে তখন আগেরগুলো খুব বেশী চোখে পড়ার মত হয়ে উঠেনা। কিন্তু তারপরও এই ২ টা স্মার্টওয়াচ ভালোই হবে। আর এতো সব ভেবে কিন্তু এটিও বলায় যেতে পারে, দাম হিসেবে এই স্মার্টওয়াচগুলো ভালোই হয়ে থাকে। তাই কেউ যদি পছন্দসই নিতে চায় তবে নিয়ে আরামসে ব্যবহার করতে পারে।

Level 1

আমি আত্তিয়া ফারাহ। পেইজ মোডারেটর ও কন্টেন্ট রাইটার, টটেজা, চট্টগ্রাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 মাস 3 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস