আবেগ সম্পন্ন রোবট ‘pi4-workerbot’ তৈরি করল জার্মানি

কিছুদিন আগে রজনীকান্ত-ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন জুটির এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বিগ বাজেট ভারতীয় ছবি ‘রোবট’ মুক্তি পেয়েছে। ‘রোবট’ ছবির গল্পটি এমন, সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাতে মানুষের নানা বৈশিষ্ট্য দিয়ে তৈরি করেন একটি রোবট। রোবটটির নাম রাখা হয় ‘চিঠঠি’। মানুষের মতো নাচতে, গাইতে ও মারামারি করতে পারে চিঠঠি। তার রয়েছে আগুন ও পানি উভয়ের প্রতিরোধক ক্ষমতা। মানুষ যা করতে পারে, তার সবই করতে সক্ষম চিঠঠি। ক্ষেত্রবিশেষে সে আরো অনেক বেশি ক্ষমতাশালী। তার স্মৃতিশক্তি খুব জোরালো।

এরই ধারাবাহিকতায়- কারখানায় মানুষের বিকল্প হিসেবে কাজ করার দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিক রোবোট তৈরি করল জার্মানি৷ এছাড়া আবেগের অভিব্যক্তিও থাকছে নতুন উদ্ভাবিত এই রোবোটের চেহারায়৷ নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিআইফোর ওয়ার্কারবোট’৷

বার্লিনে অবস্থিত পিআইফোর রোবোটিক্স এবং ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই রোবোট৷ আকৃতি বানানো হয়েছে অনেকটা কারখানার শ্রমিকের মতোই৷ ছোট-খাটো, আবার কিছুটা মোটা-সোটা৷ মাথা আয়তাকার৷ দীর্ঘ দু’টি বাহু৷ রয়েছে আঙু্লও৷ তিনটি ক্যামেরা রয়েছে এই রোবোটটিতে৷ এর মধ্যে একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে কপালের উপর৷ সাথে রয়েছে একটি মনিটর৷ সেখানে দেখা যাবে রোবোটের হাস্যোজ্জ্বল কিংবা বিষাদভরা অনুভূতির প্রকাশ৷ অন্য দু’টি ক্যামেরা বসানো মাথার দুই পাশে৷ দেখে মনে হয় যেন দু’টি বড় গোলাকার কান৷

মূলত গাড়ি কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন কারখানায় ভুলত্রুটি খুঁজে বের করতেই ব্যবহার করা হবে এই রোবোট৷ এমনকি সূক্ষ্ম আঁচড় কিংবা সামান্য ত্রুটিও ধরে ফেলতে সক্ষম এই শ্রমিক রোবোট৷ পোজো গাড়ি কারখানায় দেখা গেল, এই শ্রমিক রোবোট নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করে দেখছে নয়টি ছোট ছোট ধাতব সিংহ৷ এই সিংহই হল পোজো মোটর গাড়ির পরিচয় চিহ্ন৷ যা মূলত পোজো গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলে বসানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু এর কোথাও কোন ত্রুটি রয়ে গেল কি না তা-ই খতিয়ে দেখছে পিআইফোর ওয়ার্কারবোট৷

প্রথমে এই চিহ্ন তুলে নিল রোবোট বাম ক্যামেরার সামনে৷ এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে যাচাই করে নিল৷ এরপর মোহরটিকে অন্য হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ক্যামেরার সামনে ধরল নিচের দিকটা পরখ করে নিতে৷ আর যাচাই করার পর ভালো চিহ্নগুলোকে ডানদিকের পাত্রে সাজিয়ে রাখছে এটি৷ কিন্তু যদি কোথাও কোন খুঁত থাকে, তবেই নাখোশ এই মান নিয়ন্ত্রণকারী ইলেক্ট্রনিক শ্রমিক৷ হয় ভ্রূ কোঁচকাবে নয়তোবা মাথা ঝাঁকিয়ে বুঝিয়ে দেবে খুঁত ধরেছে সে৷ এরপর সেই খুঁতওয়ালা চিহ্নটিকে নিয়ে রাখবে বামদিকের পাত্রে৷ শুধু তা-ই নয়, উৎপাদন কাজ ধীর গতিতে চললে বিরক্তি প্রকাশ করবে ওয়ার্কারবোট৷ আর কাজ করতে করতে যদি গরম হয়ে যায় এটি, তবে রক্তিম হয়ে উঠবে এর চেহারা৷

Level 0

আমি এন.সি.। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 208 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এতে করে বেকার সমস্যা দুর না হবে না বরং আরো বাড়বে
আপনার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

কামাল ভাই ঠিক বলেছেন।চিন্তা করে দেখুন আমারই কী অবস্হা হবে।উত্‍পাদন কাজ ধীর গতিতে চললে এই রোবট কী বলে, ঐ ব্যাটা জোরেজোরে কাজ করগ্যা।হা হা

    বেকার খাঁন জার্মানিও দেখি আপনার পিছে লাগছে যাতে আপনার চাকরি না হয়… 😉

    এন.সি. দাস ভাইকে খবরটির জন্য ধন্যবাদ। রোবটটির একটা ছবি দিলে ভাল হত।

    Boss…
    প্রথম দিন ছবি দিতে পারিনি বলে আমি দুঃখিত। আজ ছবি দেয়া হল… আপনাকে ধন্যবাদ…

টিউনে ছবি যোগ করবো কিভাবে? প্লিজ কেউ আমাকে জানান…

Try করলাম…হচ্ছে না…

    Level 0

    ওয়েল কাম টু টিটি এন সি দাস.

    বুলবুল ভাই,
    আপনি কেমন আছেন? আপনাকে ধন্যবাদ…