ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাও তাহলে পোস্টটি তোমার জন্য

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হলে কী কী করনীয় করা? 

মেধাবী হওয়ার চেয়ে পরিশ্রমী হওয়াটা জরুরী। তোমাকে ধরেই নিতে হবে আমি চান্স পাবোই এবং সেজন্য প্রত্যেকটাদিন পরিশ্রম করতে হবে, দিনশেষে যাতে হিসাব কষতে গেলে যাতে নিজের কাছে নিজের ছোট হতে না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়াটা বেশী নির্ভর করে তোমার নিজেকে নিজের মোটিভেশান ধরে রাখার উপর। বারবার নিজেকে সাহায্য করতে হবে। আর শোনো, এডমিশন সময়টাতে একটু বেশী বেশী ঘি খাবা, এতে মাথা খুলবে বৎস!

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আজ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত প্রস্তুতি, ১ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিটের, ঢাবি ঘ ইউনিট ভর্তি প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, নিউরন প্লাসের ভর্তি প্রস্তুতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদন শুরু আজ, ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাও তাহলে পোস্টটি তোমার জন্য.
ছবিঃ কার্জন হল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

২. কীভাবে পড়া উচিৎ?  

নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পড়াশোনা করা উচিত। একটা গুছানো রুটিন থাকবে, সব ধরনের বইপত্র থাকবে, কখন খাবা, ধর্মকর্ম পালন করবা, ঘুমাবা, একটু ঘুরবা সেসবের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব থাকবে। পড়ার সময়টুকুতে খুব আনন্দ নিয়ে পড়বা। হাসিখুশি মন এবং মগজে তীব্রভাবে ঢাবিয়ান হওয়ার তেজ তোমাকে গোলাবারুদের চেয়েও প্রখর করে তুলবে। আর পড়ার মাঝে মাঝে একটু গ্যাপ নিয়ে আবারও বসবা। বোর হয়ে গেলে মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা না করে বোর হওয়াটা দূর করে নিবা। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে সাহায্য করবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে বেশী বেশী চাইবা, দেখবা কেমন জানি একটু বেশী খাতির হয়ে যাবে তাঁর সাথে। 

৩. কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিবে?

যে ইউনিটেরই হওনা কেনো, যে বিষয়ই হোক না কেনো প্রথমে ঐ বিষয় বা ইউনিটের ABC জানা থাকাটা জরুরী। যদি তা না থাকে তাহলে কোন্নো সমস্যা নেই! বিগত সালের প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়ে নিবা। দেখবা অনেক কিছুই তুমি পারো। আর না পারলেও সমস্যা নাই। বিগত সালের প্রশ্ন খুব কম সময়েই আত্মস্থ করা যায়। এডমিশন সময়ে একটা কথা সবসময়ই বলি, কী কী পড়তে হবে তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হলো কী কী পড়তে হবে না। তাই, তোমাকে প্রশ্ন যে করবে তার মাইন্ডের সাথে নিজের মাইন্ডকে মিলাতে চেষ্টা করবা। পড়ার সময় এমন কিছু টপিক পাবা যেগুলা পরীক্ষায় আসবেই মনে হবে, সেগুলো তন্ত্রে-মন্ত্রে, অস্থিমজ্জায়,   মগজে-গাত্রে সবখানে সেইভ করে নিও। প্রত্যেকটা পড়াই একসপ্তাহ পর আরেকবার পড়বা, একই পড়া একমাস পড় আরেকবার দেখবা। এভাবে বেশীদিন মনে থাকে। 

৪. রেজাল্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ? 

তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করো ঠিক এইচএসসি হতেই। কারণ সেই রেজাল্টটা তোমাকে সাকসেসে অনেক লিড করে। রেজাল্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশনে ঠিক যতটুকু মার্কস নেওয়া হয় তার সবটুকু পেয়ে গেলে তো কথাই নাই। এখন ধরো, যদি রেজাল্ট একটু খারাপ কিন্তু আবেদন করতে পেরেছো, তাহলে ধরে নাও চান্সও হবে। নূন্যতম আবেদনযোগ্য রেজাল্ট দিয়েও অনেকে চান্স পায়, আবার অনেকেই ডাবল A+ থাকা সত্ত্বেও চান্স পায় না। তবে পরিসংখ্যানে দেখেছি, Double A+ পাওয়া চান্স প্রাপ্তরা ঢাবিতে টপ লেভেলের সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে বেশী সুযোগ পায়।

৫. মেন্টর থাকা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ

মেন্টর না থাকা ভালো কথা না। চেষ্টা করবা যারা এডমিশন নিয়ে কাজ করে, বিগত সালে পরীক্ষা দিয়েছে, ঢাবিতে পড়ে এরকম ভাইয়া-আপুদের সাথে অম্লমধুর সম্পর্ক গড়তে। কারণ এরা তোমাকে যথেষ্ট মোটিভেট করবে, ভালো বই সাজেস্ট করবে, তুমি কিছু না বুঝলে বা দিশেহারা হলে এরা তোমাকে পথ দেখাবে। তবে গাদাগাদা ভাইয়া-আপু তোমাকে দিকভ্রান্ত করবে। তোমার যাকে ভালো মনে হবে, তার কাছে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাসটা নিয়ে নিবে। চাইলে বাসা থেকে লোভনীয় রান্নাবান্না করে নিয়ে গিয়ে খাইয়ে খাতির করতে পারো। মনে রাখবা, ঢাবিয়ান ভাইয়ারা খাবারের প্রতি বেশী দূর্বল!

 

আমার ছোট ব্লগটিতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে OurCampus.Info

Level 0

আমি আদিয়ান কাশেম। , Habiganj। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস