আসুন জানি টাইটানিক এবং এর পরিনতির আসল কারন সম্পর্কে,কি কি কারনে ঘটেছিল এবং কেন?? নানা কাহিনি ও লোকগল্প !!

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম!!

আশা করি আপনারা সব্বাই ভাল আসেন। আসলে আর টিউন করা হয় না বলতে গেল তবুও মাঝে মাঝে টিটিতে আসি টিউন গুলা   পড়তে,পরে ভাল লাগলে  টিউমেন্ট করি না লাগলে চলে যাই। কেন জানি টিটির পড়িবেশ অনেক খারাপ হয়ে গেসে আর মোডুরাও মনে হয় ঘুমায় :P। যাক গে আজকে আমি  আপনাদেরকে টাইটানিক সম্পর্কে  বলব।আসলে এই দুর্ঘটনা পিছনে অনেকে অনেক কিছু ধারনা করেন কিন্তু যেগুলো সম্পর্কে অনেকেই একমত হয়েছেন তাদের কয়েকটি আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ্‌।

 

 

 

ইতিহাসের সবচেয়ে বিশাল এবং বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে টাইটানিকের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ১৯১২ সালে জাহাজটি আশ্চর্যজনকভাবে ডুবে গেলেও আজ পর্যন্ত একে ঘিরে মানুষের আগ্রহ এতটুকু কমেনি।

 

টাইটানিক জাহাজের পূর্ণনাম RMS TITANIC (RMS-Royel Mail Ship)। এটি ছিল ব্রিটিশ শিপিং কোম্পানি হোয়াইট স্টার লাইনের মালিকানাধীন। এটি তৈরি করা হয় ইউনাইটেড কিংডম-এর বেলফাস্টের হারল্যান্ড ওলফ্ শিপইয়ার্ডে। জন পিয়ারপন্ট মরগান নামক একজন আমেরিকান ধনকুবের এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেন্টাইল মেরিন কোং-এর অর্থায়নে ১৯০৯ সালের ৩১ মার্চ সর্বপ্রথম টাইটানিকের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং তখনকার প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন (বর্তমান প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন) ডলার ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় ৩১ মার্চ ১৯১২ সালে। এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮৮২ ফুট দুই ইঞ্চি (প্রায় ২৬৯.১ মিটার) এবং প্রস্থ ছিল প্রায় ৯২ ফিট (২৮ মিটার)। এ জাহাজটির ওজন ছিল প্রায় ৪৬ হাজার ৩২৮ লং টন। পানি থেকে জাহাজটির ডেকের উচ্চতা ছিল ৫৯ ফুট (১৮ মিটার)।

এ জাহাজটি একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫৪৭ জন প্যাসেঞ্জার ও ক্রু বহন করতে পারত। ব্যয়বহুল এবং চাকচিক্যের দিক থেকে তখনকার সব জাহাজকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। টাইটানিকের ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। সেখানে একই সঙ্গে ৫৫০ জন খাবার খেতে পারত। এছাড়াও এর অভ্যন্তরে ছিল সুদৃশ্য সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম, স্কোয়াস খেলার কোট, ব্যয়বহুল তুর্কিস বাথ, ব্যয়বহুল ক্যাফে এবং ফার্স্ট ক্লাস ও সেকেন্ড ক্লাস উভয় যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশাল লাইব্রেরি। তখনকার সব আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটেছিল এ জাহাজটিতে। এর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাও ছিল খুবই উন্নত ধরনের। এ জাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের জন্য তিনটি এবং সেকেন্ড ক্লাসের জন্য একটিসহ মোট চারটি লিফটের ব্যবস্থা ছিল।

জাহাজের ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্যাকেজটিতে আটলান্টিক একবার অতিক্রম করতেই ব্যয় করতে হতো তখনকার প্রায় ৪ হাজার ৩৫০ ডলার (যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৯৫ হাজার ৮৬০ ডলার বা বর্তমান বাংলাদেশি টাকায় ৬৭ লাখ টাকারও বেশি)।

টাইটানিক প্রায় ৬৪টি লাইফবোট বহন করতে সক্ষম ছিল, যা প্রায় ৪০০০ লোক বহন করতে পারত।

কিন্তু টাইটানিক আইনগতভাবে যত লাইফবোট নেওয়া দরকার তার চেয়ে বেশি ২০টি লাইফবোট নিয়ে যাত্রা করেছিল যা টাইটানিকের মোট যাত্রীর ৩৩% বা মাত্র ১ হাজার ১৭৮ জন যাত্রী বহন করতে পারত।

টাইটানিকের ক্যাপ্টেন ছিলেন বিশ্বজুড়ে 'নিরাপদ ক্যাপ্টেন', 'মিলিয়নিয়ার ক্যাপ্টেন' ইত্যাদি বিভিন্ন নামে খ্যাত এবং ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইংল্যান্ডের রাজকীয় কমান্ডার এডওয়ার্ড জন স্মিথ। তার নেতৃত্বে টাইটানিক ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

১৪ এপ্রিল ১৯১২ তারিখ রাতে নিস্তব্ধ সমুদ্রের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিরও কাছাকাছি নেমে যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও চাঁদ দেখা যাচ্ছিল না। সামনে আইসবার্গ (বিশাল ভাসমান বরফখণ্ড) আছে এ সংকেত পেয়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন জাহাজের গতি সামান্য দক্ষিণ দিকে ফিরিয়ে দেন। সেদিনই দুপুর এবং বিকেলের দিকে দুটি ভিন্ন ভিন্ন জাহাজ থেকে রেডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাইটানিকের সামনে বড় একটি আইসবার্গ আছে বলে সতর্ক করে দেয় টাইটানিককে।

 

কিন্তু টাইটানিকের রেডিও অপারেটরদের অবহেলার কারণে এই তথ্য টাইটানিকের মূল যোগাযোগ কেন্দ্রে পৌছায়নি। সেদিনই রাত ১১:৪০-এর সময় টাইটানিকের পথ পর্যবেক্ষণকারীরা সরাসরি টাইটানিকের সামনে সেই আইসবার্গটি দেখতে পায় কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার মুর্ডক আকস্মিকভাবে বামে মোড় নেওয়ার অর্ডার দেন এবং জাহাজটিকে সম্পূর্ণ উল্টাদিকে চালনা করতে বা বন্ধ করে দিতে বলেন।

 

 

 

তবুও টাইটানিককে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মোড় নিতেই ডানদিকের আইসবার্গের সঙ্গে প্রচণ্ড ঘষা খেয়ে চলতে থাকে টাইটানিক। ফলে টাইটানিকের প্রায় ৯০ মিটার অংশ জুড়ে চিড় দেখা দেয়।

জাহাজটি সর্বোচ্চ চারটি পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্ট নিয়ে ভেসে থাকতে পারত। কিন্তু ৫টি কম্পর্টমেন্ট পানিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এর ওজনের কারণে জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় ক্যাপ্টেন স্মিথ মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে আসেন এবং জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন। ১৫ তারিখ মধ্যরাতের দিকে টাইটানিকের লাইফবোটগুলো নামানো শুরু হয়। টাইটানিক বিভিন্ন দিকে জরুরি বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিল। যেসব শিপ সাড়া দিয়েছিল তারমধ্যে অন্যতম হলো মাউন্ট ট্যাম্পল, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং টাইটানিকের সহোদর অলিম্পিক। টাইটানিকের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হতে দূরবর্তী একটি জাহজের আলো দেখা যাচ্ছিল যার পরিচয় এখনো রহস্যে ঘেরা।

রাত ০২:০৫-এর দিকে জাহাজের সম্পূর্ণ মাথাই পানির প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। ০২:১০-এর দিকে প্রপেলারকে দৃশ্যমান করে দিয়ে জাহাজের পেছনের দিক উপরে উঠতে থাকে। ০২:১৭-এর দিকে জাহাজের সামনের দিকের ডেক পর্যন্ত পানি উঠে যায়। ওই মুহূর্তেই শেষ দুটি লাইফবোট টাইটানিক ছেড়ে যায় বলে এত বিস্তারিত জানা গেছে। জাহাজের পেছনের দিক ধীরে ধীরে আরো উপরের দিকে উঠতে থাকে। এসময় জাহাজের বিদ্যুতিক সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় এবং চারদিকে অন্ধকার হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ভারের কারণে টাইটানিকের পেছনের অংশ সামনের অংশ থেকে ভেঙে যায় এবং জাহাজের সম্মুখভাগ সম্পূর্ণরূপে পানির নিচে চলে যায়। বায়ুজনিত কারণে এ অংশটি কিছুক্ষণ ভেসে থাকার পর রাত ০২:২০-এর দিকে ধীরে ধীরে জাহাজের বাকি অংশটিও সমুদ্রের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। টাইটানিক ত্যাগ করা লাইফবোটগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি লাইফবোট আবার উদ্ধার কাজে ফিরে এসেছিল।

 

 

 

 

 

দুটি লাইফবোট ৮-৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে। ভোর ০৪:১০-এর দিকে কার্পেথিয়া জাহাজটি এসে পৌঁছয় এবং বেঁচে থাকাদের উদ্ধার করা শুরু করে। সকাল ০৮:৩০ মিনিটে জাহাজটি নিউইয়র্কের দিকে রওনা দেয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে খুব অল্পসংখ্যক মানুষই জীবিত ফিরে আসতে পেরেছে। টাইটানিক দুর্ঘটনায় অসংখ্য পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়েছিল। কেবলমাত্র সাউদাম্পটনের প্রায় ১০০০ পরিবার সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এ জাহাজটি সাইড স্ক্যান সোনার পদ্ধতিতে ১৯৮৫ সালে পুনরায় আবিষ্কার করা হয়। এর আগে টাইটানিককে পুনরাবিষ্কারের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১২৪৬৭ ফুট বা ৩৮০০ মিটার নিচে নীরবে সমাহিত হয়ে আছে টাইটানিক, হয়ত থাকবেও চিরদিন।

বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণার জন্য এখনো এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। পানি আর বরফের প্রকোপে ডুবন্ত টাইটানিক আস্তে আস্তে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই টাইটানিক সাগরবক্ষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

টাইটানিক সারা বিশ্বে এতটাই পরিচিতি পেয়েছিল যে, এর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য প্রতিবেদন চিত্র এবং ছায়াছবি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে জেমস ক্যামেননের 'টাইটানিক' ছবিটি রেকর্ড ২০০ মিলিয়নেরও অধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সারা বিশ্বে টাইটানিক প্রায় ১ হাজার ৮৩৫ বিলিয়ন (১৮৩৫ মিলিয়ন) ডলার আয় করে এবং আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ১১টি অস্কারসহ আরো অন্যান্য ৭৬টি পুরস্কার জিতে নেয়। টাইটানিক ডোবার ৮৫ বছর পরও এর প্রতি মানুষের আগ্রহ একটুও কমেনি ববং বহুগুণে বেড়েছে।

অনেকেরই ধারণা ছিল টাইটানিক জাহাজে কোনো অভিশাপ ছিল। এ যুক্তি প্রমাণ করার অন্যতম একটি কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছিল টাইটানিকের নম্বর ৩৯০৯০৪। পানিতে এর প্রতিবিম্বের পাশ পরিবর্তন করলে হয় no pope। এছাড়াও টাইটানিককে ঘিরে আরো অনেক গল্পের প্রচলন রয়েছে। যুগ যুগ ধরে অসংখ্য বিশেষজ্ঞ টাইটানিককে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এরপরও টাইটানিক চিরকালই রহস্যের আড়ালে রয়ে গেছে।

কোনো দিনও ডুববে না দাবি করেছিল টাইটানিক। কিন্তু ১৯১২ সালে প্রথম বিহারেই ১৫০০ যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় বিলাসবহুল টাইটানিক। এরপর শুরু হয় ডুবে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান। প্রচারিত হতে থাকে নানা রহস্যময় ও রোমাঞ্চকর কাহিনী। শত বছর পার হয়ে গেলেও আজো মানুষ সঠিক কারণ জানে না! অনেকের মধ্যেই এ নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত রয়েছে। কেউ এর পেছনে কোন না কোন যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ কোনো প্রকার সূত্র ছাড়াই বলছেন টাইটানিক ডোবার পেছনের মনগড়া কাহিনী। ১৯৯৮ সালের ১৯ অক্টোবরে টাইমস জানিয়েছে, এরকমই এক রহস্যময় কাহিনী।

আমেন এবং আমেন রা

টাইটানিক জাহাজে নাকি ছিল মিসরীয় এক রাজকুমরীর অভিশপ্ত মমি। বলা হয় মমির অভিশাপের কারণেই ভাসমান বরফদ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল টাইটানিক।

ল্যুক্সরে (আমেন রা এর সমাধি)

খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে মারা যান ‘প্রিন্সেস অভ আমেন-রা’। নীলনদের পাশে ল্যুক্সরে তাঁর সৎকার করা হয়। উনিশ শতকের নব্বই শতকের শেষ দিকে চার জন ইংরেজকে ওই রাজকুমারীর মৃতদেহসহ একটি মমি কেনার জন্য আহ্বান জানানো হয়। উৎসাহী ইংরেজদের একজন বেশ কয়েক হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে বিক্রেতার কাছ থেকে মমিটি কেনেন এবং সেটিকে নিয়ে আসেন তাদের হোটেলে। কয়েক ঘন্টা পর মরুভূমির দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায় ওই ক্রেতা ব্যক্তিকে। তিনি আর কখনও ফিরে আসেন নি।পরেরদিন আরেকজন ইংরেজ এক মিশরীয় ভৃত্য কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন। এমন ভাবে আহত হন যে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়।

আমেন রা

তৃতীয় ব্যক্তি দেশে ফিরে আসেন, কিন্তু দেখেন যে, ব্যাংকে গচ্ছিত সমস্ত অর্থ লোপাট হয়ে গেছে অন্য কারও জালিয়াতির মাধ্যমে।

চতুর্থ ব্যক্তি পড়েন প্রচন্ড অসুখে। চাকুরী চলে যায় তার। শেষমেশ তিনি রাস্তায় দিয়াশলাই বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

এদিকে অনেক ঝামেলার পর মমিটি পৌঁছে যায় ইংল্যান্ডে।

কিন্তু তবু অভিশপ্ত অধ্যায়ের শেষ হয়নি। ওই কফিনের সাথে সর্ম্পকযুক্ত যে কোন মানুষের ভাগ্যে জুটেছিল দূর্ঘটনা বা মৃত্যু। এমনকী ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষিত মমিটির একজন দর্শনার্থীর ভাগ্যেও জুটে চরম দুর্দশা। ওই দর্শনার্থী মহিলা চরম তাচ্ছিল্যভরে একটি ময়লা পরিষ্কার করার কাপড় দিয়ে মুছেছিলেন কফিনে অঙ্কিত রাজকুমারীর মুখচ্ছবি। কয়েকদিন পর তার সন্তান মারা যায় হাম রোগে।

মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ মমিটিকে বেসমেন্টে সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এক সপ্তাহের মাঝেই মমি সরানোর কাজে অংশগ্রহনকারী একজন প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই কাজের তত্বাবধায়ককে তার অফিসের ডেস্কের উপর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্বভাবতই ব্যাপারটি সংবাদপত্রের নজরে আসে। একজন ফটো সাংবাদিক ছবি তুলে ডেভেলপ করে দেখতে পান যে, রাজকুমারীর মুখের বদলে এক বীভৎস চেহারা। জানা যায় যে ওই সাংবাদিক গুলিতে আত্মহত্যা করেন।

প্রায় দশ বছর ধরে ঘটতে থাকে এইসব ঘটনা-উপঘটনা। চূড়ান্তভাবে মমিটিকে বিক্রি করা হয় একজন সৌখিন সংগ্রাহকের কাছে। বিচিত্র রকমের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির পর মমিটিকে তিনি নির্বাসন দেন নিজ বাড়ীর চিলেকোঠায়। অভিশপ্ত ঘটনার পরও একজন মার্কিন প্রত্নতত্ববিদ কিনে নেন মিশরীয় রাজকুমারীর মমি। নিউইর্য়কগামী একটি জাহাজে বুক করেন ওই মমিটি, নিজেও ওঠেন ওই জাহাজে। বলুন তো জাহাজটির নাম কি?

সেই জাহাজটির নাম ‘টাইটানিক'

আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে, লাগার  এই  কথা অনেক কস্ট করতে হইলে পারলে শেয়ার করবেন আর কপি করলে ক্রেডিট অবশ্যই  দিবেন আর সকলে চেষ্টা করবেন মান সম্মত টিউন করতে ।আমরা এলাকার বন্ধুরা মিলে একটা শর্ট ফ্লিম বানিয়েছি পারলে এটা একটু দেখবেন আশা করি ভাল লাগবে আর অবশ্যই ইউটিউব পেজ এ টিউমেন্ট করবেন যে আরও কি কি ভাল করা যেত

তো আজ আর নয় . আবার দেখা হবে। আসসালামুয়ালাইকুম

Level New

আমি IHK শাওন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 1041 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসম্ভব সুন্দর টিউন

    Level New

    ধন্যবাদ ভাই 🙂 টিউমেন্ট করলে বুঝা যায় যে মানুষ আসলে পড়ছে কি না 🙂

      আসলে রহস্য আমার খুব ভালো লাগে আর আমি ও তাই নিয়েই কাজ করি যাক আশা করি অনেক কিছু আপনার কাছ থেকে জানতে পারবো। চালিয়ে জান।

        Level New

        হুম আরো কয়েকটা লিস্ট এ রাখসি আশা করি সময় পাইলে টিউন করব

পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।

    Level New

    সত্যি !! ধন্যবাদ 🙂

    Level New

    কলি ভাই অনেক পর আপনার টিউমেন্ট দেখলাম আপনি টিউন না করলেও আমি আপনাকে টিউমেন্ট এর মাধ্যমেই চিনি সতি অনেক ভাল লাগল

      আসলে সবসময় টিটির সাথেই থাকি, তবে কমেন্ট করা হয়না, কপি পোস্ট এর জন্য লিখতে ইচ্ছে করে না। তোমার স্কাইপি আইডিটা দাও।

অসাধারণ! টাইটানিক সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। শাওন ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    Level New

    জি ভাই জানার জন্যই আমার প্রচেস্টা ।আর মনোনীত করার জন্নও ধন্যবাদ

টিউনটি নির্বাচিত করা হোক

    Level New

    করলে অনেক খুশি হব 🙂

অসাধারন টিউন

    Level New

    ধন্যবাদ ভাই ভাল লাগ্লে নির্বাচিত করবেন 🙂

টিউন ভিডিও দুইটাই দেখলাম 😀 ।আপনি কোনটা সেইটাই তো বুঝলাম না 🙁

    ওইযে দেখলেন নাহ দৌড়ায় আসে বললাম যে ওর বোনকে টিজ করতসে অইটাই এই অভাগা 😛

ki bolbo vai 1kothai osadaron (Y)…

শুভ্র আকাশ ভাইয়ের কি দোষ ছিল? যে তার নাম দিলেন না।

https://www.techtunes.io/reports/tune-id/38792

শুভ্র আকাশ ভাইয়ের কি দোষ ছিল? যে তার নাম দিলেন না।

11 November, 2010 – https://www.techtunes.io/reports/tune-id/38792

নেটতো আমরাও চালাই ।

    নিচে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিছি ↓

    ভাই এই সব বিশয়ে অনেক লেখা লেখি আছে কিন্তু তাই বলে তো এই না যে কেউ কারো টা কপি করে লেখসে আর এই রহস্যের বিশয় গুল ৮৮০% কমন থাকে তাই কাউকে এইভাবে ঢালাউ ভাবে কপি পেস্ট এর অপবাদ দেয়া ঠিক না। আশা করি বুঝতে পারসেন বিশয় টা

    ভাই এই সব বিশয়ে অনেক লেখা লেখি আছে কিন্তু তাই বলে তো এই না যে কেউ কারো টা কপি করে লেখসে আর এই রহস্যের বিশয় গুলো ৮০% কমন থাকে তাই কাউকে এইভাবে ঢালাউ ভাবে কপি পেস্ট এর অপবাদ দেয়া ঠিক না। আশা করি বুঝতে পারসেন বিষয়টা

Level 0

Great tune

জি ভাই আপনি ঠিক বলসেন কিন্তু এখানে উনার কিছু অংশ নেয়া হইসে কিন্তু যে ইমেজ গুলা দেওয়া হইসে অধিকাংশ আমার নিজের সংগ্রহের আর উনার টিউন টা উনার যে পুরোটাই একেবারে একান্তই উনার ছিল তাও বলতে পারবেন নাহ উনি একটা পত্রিকা (রহস্য পত্রিকায় )এবং উনার নিজের চেস্টা মিলে করেসেন যেটার কথা কিন্তু টিউন এ উল্লেখ হয় নি হয়েছে কমেন্ট এ তাও অন্ন একজন বলার পর উনি বলসেন

আবার উনার পোস্ট টা কিন্তু অনেক পুরনো ছিল তাই এখন বর্তমানে যারা টিটিতে নিউ তারা কিন্তু অত পুরাতন পোস্ট পরেন নাহ ।তাই তাদের কাছে এইটা পউছে দেওয়া টাও জরুরি আর আমিতো পুরোপুরি কপি পেস্ট করি অন্যদের মত ।
আর এটা হইতে পারে আপনার আমার প্রতি একটু ক্ষোভ থাকতে পারে কারন আমি আপনার Windows ১০ এর টিউনে Onhax এর কপি করার কথাটা উল্লেখ করেসিলাম যার কারনে আপনি আজকের বিষয় টা বললেন । যাক গে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন নেটতো আমিও চালাই ওর জন্য onhax এর বেপার টা বলসিলাম আপনার প্রায় অনেক টিউন এর সোর্সেই কিন্তু onhax সেটা ভুল্লে চলবে নাহ ।আর আপনার টিউন আমি আগে থেকেই দেখি আপনার টিউন মানসম্মত বটে আপনি নাম টা একটু চেঞ্জ করেছেন মনে হয় আগে ফায়ার স্পাইডার ছিল নাহ ।থাক আর কথা বাড়ায় লাভ নাই ভাল থাকবেন

    ভুল টাইপ করার জন্য দুঃখিত “আমিতো পুরোপুরি কপি পেস্ট করি না অন্যদের মত ।” হবে

    ভাই কারো কথা কানে নিয়েন না এরা বুঝে না এই বিষয় তাই কপি পেস্ট কপি পেস্ট বলে চিল্লাইতে থাকে।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ এবং প্রিয়তে নিলম।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ এবং প্রিয়তে নিলাম।

ভাইয়া, আপনাকে একটু দরকার ।ফেসবুকে দেখেন রিকু দিয়েছি 🙂

Level 0

then মমি টাও এই পর্যন্ত শেষ?

    আশা করা যায় কিন্তু কে বলতে পারে হইত ভাস্তে ভাস্তে আবার কথাও চলে যায় কি না ???

    তার মানে ভাই আপনি খুব গভির ভাবে টিউন টা পরসেন

goood tune

Level 0

good tune

    ধন্যবাদ ভাই আপনাদের ভাল লাগলেই আমার টিউন করার সার্থক

Level 0

ভাই অনেক ধন্যবাদ। আমার একটা টপিক এর কনফিউশান টা আপনি ধুর করি দিলেন।টিটিতে আজকাল ভাল পোস্ট দুরুহ হয়ে গেছে।তাই মাঝে মধ্যে এই টাইপের পোস্ট পাইলে খুব ভাল লাগে।চালিয়া যান।