কিভাবে সবচেয়ে সহজ ও অল্প সময়ে কুরআন খতম করবেন !

আস-সালামু আলাইকুম

আজ আমার ২৮তম টিউনে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজ আপনাদের কে Science রিলেটেড কোন টিপস দিবনা ।আজ দিব আত্মা রিলেটেড টিপস । এই টিপস নিয়ে হয়ত আপনি আহামরি কিছু করতে পারবেন না বাট আত্মার শান্তি পাবেন। যারা আজো একবারও কুরআন খতম করতে পারেন নাই তারা হেলায় সুযোগ হারাবেন না । আমরা কতো টাইম ওয়াইস্ট করি হেলেয়-অবহেলায়। একটু টাইম সচেতন হলে এই টাইমই আমাকে অনেক কিছু দিতে পারবে । আজ দেখাব কিভাবে খুব সহজে-অল্প সময়ে কুরআন খতম করতে পারেন।

যা যা লাগবে

১. এক জিলদ কুরআন

২. ইচ্ছা শক্তি

যেভাবে শুরু করবেন।

প্রথমে অজু করে আসেন ।

তারপর টুপি/উড়না পরে সুন্দর করে কুরআন নিয়ে বসেন। “বিসমিল্লাহ” বলে শুরু করেন ।

ইয়া মালিক কিভাবে এই ৬১১ পৃষ্ঠা শেষ করবেন।

নো প্রবলেম । আমি টিপস দিচ্ছি । দাঁড়ান !

না , উঠে দাড়াতে হবে না !

আমরা ৬১১ পৃষ্ঠার যে হিসাব দিলাম এটা প্রায় সব কুরানের copyএর same নাও হতে পারে বাকি ৬০০ এর কম হবে না একটাও । তাই স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে ৬০০ পৃষ্ঠা নিলাম ।

এখন দেখেন এই ৬০০ পৃষ্ঠা আমার শেষ করতে ভয় লাগছে বাট যদি কিছু টিপস অবলম্বন করি তাইলে এটা অনেক সহজ । এই ৬০০ পৃষ্ঠাকে আমরা ৩০ দিয়ে ভাগ করি । কারন ৩০ দিনে রমজান মাস। তাইলে প্রতিদিনে কত আসে?

মাত্র ২০ পৃষ্ঠা তাই না !

এখন দেখেন এই ২০ পৃষ্ঠাটাও আমার জন্য কঠিন । এখন ভাগ করেন ৫ দিয়ে ।

৫ দিয়ে কেন ভাগ দিবো ? কারন রমজান মাসে সবাই মুটামুটি ৫ ওয়াক্তি নামাজ পড়ে । এই নামাজের ওয়াক্ত অনুযায়ী ৫ দিয়ে ভাগ দিলাম ।

উত্তর কি আসে ? ৪ তাই না !

এর মানে আপনি যদি প্রতি নামাজের আগে বা পরে  ৪ পৃষ্ঠা করে পড়েন তাইলে আপনার এক মাসে একবার কুরআন খতম করতে তেমন বেগ পোহাইতে হবে না । হিসাবটা দেখেন ২০*৫*৪=৬০০ পৃষ্ঠা ।

এর মানে আপনি Easily কুরআন খতম করতে পারছেন । আর যারা আমার মতো এত lazy না , যারা আর  ফাস্ট,মানে “ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস” তারা প্রতি নামাজের আগে ৪ পৃষ্ঠা আর পরে ৪ পৃষ্ঠা করে পড়লে এক মাসে ২ বার খতম করতে পারেন । আর যারা তেরাবির নামজের এক রাকাতও মিস দেন না তারা তো ৩ বার খতম করতে পারেন {আমি প্রায় মিস দিয়ে দেই । pray for me , so that I can perform all the prayer}।

আর যারা আরো ভাল তারা ৪ বার পারেন। কিভাবে জানেন ?
তারা শেষের ১০ দিনে তাহাজ্জুদের নামেজ পড়ে আরো একবার খতম করতে পারেন । {বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা মসজিদে শেষের ১০ দিনে তাহাজ্জুদের সময় এক খতম করা হয় । আপনি সেখানে শরিক হতে পারেন }।

আর আমার একটা রিকুয়েস্ট । আপনারা সবাই , যারা যারা আমার এই পোস্টটা পড়ছেন তারা COPY করে তাদের ফেবুতে গিয়ে PAST করার অনুরোধ জানাচ্ছি।  এতে আপনার যেমন লাভ হবে আমারও । আপনার কারনে যারা যারা কুরআন খতম করবে তাদের সওাবের একটা অংশ আপনি পাবেন তার সাথে আমিও একটা ভাগ পাবো । আপনি বলবেন কিভাবে ?
আমি বলবো DESTINY-2000 limited যে সিস্টেমে MULTILEVEL ব্যবসা করেছে ঠিক সেই ভাবে ।  DESTINY-2000 limited  দুর্নিতি করেছে, বাট আমার আল্লাহ্‌ দুর্নিতিকে নিষেধ করেছেন। তাই এটা কল্পনাও করা যায় না ।  আশা করি সবাই আমার রিকুটা পালন করবেন । {আমার ধারনা টেক টিউন্সে এই রকম অনুরোধ আর কেউ করেনি}

আর যারা এই রিকু পালন করতে পারবেন না তারা অন্ততো এই সহজ টিপসটা আপনার বন্ধুকে জানান।

আমার আরও টিউনসঃ

Level New

আমি R!zwan B!n Sula!man। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 68 টি টিউন ও 348 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I don't have anything extra ordinary to share with you.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

চরম হিসাব!!!
টিউনটা তো আমারই জন্য !!!!!!! 😛

Level 0

চমতকার অসংখ্য ধন্যবাসদ !

    @voltrome: আপনার ফেবুতে আশা করি কপি- পেস্ট মারছেন

Level 0

Sundor

    @eng_aual: আপনার ফেবুতে আশা করি কপি- পেস্ট মারছেন

সেইরাম ভাই 🙂

ভাই আপনার তেলাওয়াতের হিসাবটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য তবে একটা বিষয় আপনি বলেছেন ”যারা তারাবীর নামজের এক রাকাতও মিস দেন না তারা তো ৩ বার খতম করতে পারেন”। আমি বিভিন্ন ধার্মিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে শনেছি যে, কুরআন সঠিক ভাবে বুঝে পড়া উচিৎ। কিন্তু আমাদের দেশে তো মাত্র ১-১.৫ ঘন্টার ব্যবধানে তারাবীর নামাজ পড়া হয় এবং সেখানে ১ম ৬ দিন ১.৫ পারা করে পড়ে পরবর্তী ২১ দিন ১ পারা করে ২৭তম দিনে খতম হয়। তাহলে এই তেলাওয়াতের মূল্য কি যেখানে দ্রুত পড়ার কারনে কেউই বুঝতে পারলনা কি পড়ছে। পাশে বসে কোন ব্যক্তির কুরআন পড়া এক জিনিষ আর পাশে বসা ব্যক্তির কুরআন পড়ার দিকে মনযোগ দেওয়া আরেক জিনিষ।
আশাকরি সবাইকে আমি বোঝাতে পেরেছি। সবার সুচিন্তত মতামত আশা করছি। উদাহরন স্বরুপ দৈনিক ইত্তেফাক-এর এই লিংকটি দেখতে পারেন http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDdfMTBfMTNfMV8xXzFfNTUxNDM= । চতুর্থ প্যারার শেষের লাইন “তারাবীহর নামাজে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়ার ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়”।

    Level New

    @আশরাফ: আপনি ঠিকই বলেছেন, কিন্তু কি করব বলেন বাংলাদেশের যত মানুষ তারাবীর নামাজে কোরআন বুঝতে চায়, তার চেয়ে বেশী মানুষ তাড়াতাড়ি তারাবী শেষ করে বাসায় যেতে চায়। বেশী দেরি হলে আবার আট দশ রাকাত পড়েই চলে যায়। সুতরাং বাধ্য হয়েই “ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস” গতিতে তেলাওয়াত করতে হয়।
    কারণ এটাতো আর সৌদি আরব না যে মানুষ সারা রাত জেগে জেগে তারাবিহ পড়বে। এটা বাংলাদেশ, কেরাত ধিরে ধিরে পড়লে নামাজ শেষে পিছনে মুয়াজ্জিন ছাড়া আর কাউকে দেখা যাবে না !

    @আশরাফ: ” আমি বিভিন্ন ধার্মিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে শনেছি যে, কুরআন সঠিক ভাবে বুঝে পড়া উচিৎ। ”
    এই বুঝে পড়া ধারা যদি আপনি “অর্থ বুঝে পড়া ” বুঝাইতে চান তাইলে এটা ভুল । আর যদি বলেন ” প্রতিটা শব্দ স্পষ্ট” হওয়ার কথা তাইলে আপনারটা ১০০% ঠিক আছে। আপনার লিঙ্কে দেয়া ” তারাবীহর নামাজে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়ার ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।” এই লাইন টায় আমার আপত্তি আছে । কারন সর্বাবস্তায় কোরআন শরীফ পড়ার ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়। শুধু তেরাবির ক্ষেত্রে না ! । আশা করি বুঝতে পেরেছেন । হ্যাঁ অবশ্যই কোরআন শরীফ পড়ার ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া হতে হবে না হলে তার পড়াই তো বৃথা । দ্রুততার কারনে পড়া অস্পষ্ট হলে ঐ মিয়া তো ইমাম হওয়ারি যোগ্যতা রাখেনা । {কারন ইমাম হওয়ার শর্ত হল কুরআন স্পষ্ট পড়া}
    {আমি এই তত্ত্য গুলা যেনাই তারপর লিখতে বসেছি}।
    কয় দিনে কুরআন খতম হল এটা মুল বিশয় না , বিশয় হল স্পষ্ট করে কুরআন পড়তে হবে । আল্লাহ বলেন “তোমরা ধীর-স্থিরে কুরআন পড় ”
    (মন্তব্বের জন্য আপনাকে ধন্নবাদ)

অনেক ভাল টিউন. অনেক কাজের টিউন.আল্লাহ আপনাকে আরও ভাল টিউন করার তৈাফিক দান করুক. আমিন.

Level 0

তারাবীতে দাড়ালে মনে হয় যেন একটা প্রতিযোগিতা লেগে গেছে কত তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়। আল্লাহ মাফ করুন, ভাব দেখে মনে হয় যেন কুরআন যেন কোন একটা বোঝা, তাড়াতাড়ি ঝেড়ে ফেলতে পারলে শান্তি। আল্লাহর আদেশ আছে কুরআনকে শুদ্ধভাবে, সুন্দরভাবে পড়তে। আর আদেশ আছে নামাজে খুশুখুজু বা মনোযোগ বজায় রাখতে। আর আরেকটা জিনিস হল ভদ্রতা, আদব বা সন্মান। আমরা আমাদের কোন স্যারকেও দেখলে ধীরস্থীরভাবে তার সাথে কথা বলি, অতি দ্রুত কথা বললে তারা মনে করবেন যেন তাদের আমরা সময় দিতে আগ্রহী না, অথবা আমরা নিরেট বেয়াদপ। আর আল্লাহর কিতাবকে আল্লাহর সামনে কিভাবে শ্রুতিমাধুর্য, সুন্দর্য ছাড়া পড়া ব্যস্ততার সাথে পড়া হয়? যদি কারও সময় না থাকে তাহলে কারও পড়ারই দরকার নেই, কেননা এটা ফরজ নয়, নফল। এই একটা নফল কাজ লোকদের দাবীতে করতে যেয়ে ফরজ কাজ (আল্লাহর কিতাবকে সুন্দরভাবে পড়া) নষ্ট করার কোন মানে নেই।

    @masud rana:
    অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্বের জন্য যুক্তি যুক্ত কমেন্ট

Level 0

খতম দিলেই খতম ? তার থেকে ভালো হবে ২ টা (ভিন্ন অনুবাদকের) বাংলা কোরআন নিয়ে বসেন । ২ টাই পড়ুন ১ সাথে। ৩ বছরেও যদি শেষ করতে পারেন তবুও ৩ বছর পর দেকবেন আপনি কোরআন জানেন।

    @tahmim: শুনেন কুরান জানা মানে অর্থ জানা না !

      Level 0

      @Rizwan Bin Sulaiman: এত বড় ছাগল আমি জীবনেও দেখি নাই !

      গাধা…