দেখুন কতসহজে দেশকে Digital ভাবে Destroy করা হচ্ছে

শেখ হাসিনা যখন Digital বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছিল তখন তার কথায় খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তখন বুঝিনি যে এটা Digital বাংলাদেশ গড়া না, এটা ডিজিটাল ভাবে বাংলাদেশ কে Destroy করা। ২০০৯ সালে শুরু করল সকল বিষয়েই সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি। এমন কি সমাজ, গনিত, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস এই সকল বিষয়েও। বাংলা, রসায়ন, পদার্থে সৃজনশীল করল বুঝলাম, কিন্তু সমাজ, ইতিহাস, এগুলাতে করল কেন এটা বুঝলাম না। শিক্ষামন্ত্রী কি ইতিহাস পালটাইতে পারবে। আমার মনে হয় ইতিহাসে সৃজনশীল প্রশ্ন এমন হবেঃ- ১। ঘোষেটি বেগম যদি সিরাজোদ্দউলার সাথে ষড়যন্ত্র না করত তাহলে কি হত?-তোমার উত্তরের সপেক্ষে যুক্তি দেখাও।

তারপর শুরু হল কলেজের পালা। ২০১০ সাল থেকে শুরু করল বাংলা আর ইসলামের ইতিহাস সৃজনশীল পদ্ধতি। ইসলামের ইতিহাস কেন করল তা আজও আমার মাথায় আসে না। আপনার কেউ বুঝলে আমাকে দয়া করে জানাবেন। ইসলামের ইতিহাস যদি সৃজনশীল করতে যায় তাহলে সেটা হবে আল্লাহর সাথে গাদ্দারি করা। কারন আল্লাহ যখন যেটা ভাল এবং প্রয়োজন মনে করেছেন সেটাই করেছেন। এটার এক জাররা পরিমাণও হেরফের হবে না।

অবশেষে কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তিতে কোন পরীক্ষা হবে না, এস,এস,সি এবং এইচ,এস,সি পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তার মানে এস,এস,সি এবং এইচ,এস,সি উভয় পরীক্ষায় যারা গোল্ডেন A+ পাবে না তাদের ভর্তির আবেদন করা আর উলুবনে মুক্তো ছড়ানো একই কথা। তারপরও উভয় পরীক্ষায় যারা গোল্ডেন A+ পেয়েও যে আপনি মেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি হতে পারবেন তার নিশ্চয়তা ২৫%। কারন শুধু এ বছরই A+ পেয়েছে ৮০ হাজার, গতবছরের কিছু কেজুয়াল ছাত্র তো আছেই। যদিও অনিয়ম হয় না তবুও শিক্ষামন্ত্রী বলতে পারেন ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম হয়।তাহলে উচিত যাতে অনিয়ম না হয় সেই ব্যাবস্থা করা। কোন সিস্টেম যদি  Abuse হয় তবে সেটা সিস্টেমের দোষ না, সিস্টেমটা যে চালায় তার দোষ। অনেক মন্ত্রী এম,পি ই তো ঘুষ খায়,তাই বলে কি এদেশে কোন এম,পি মন্ত্রী হবে না? আসলে যদি ভর্তি পরীক্ষা হয় তাহলে এম,পি মন্ত্রী সহ বড় বড় রুই-কাতলাদের ছেলেমেয়ে তো মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে না। এ জন্যই হয়ত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করছেন আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। এতে তারও কিছু আয় হয়। কিন্তু তিনি কি একবারও চিন্তা করেছেন এভেবে ভর্তি হয়ে যারা ডাক্তার হবে তার কি রোগী বাঁচাবে নাকি রোগী মারবে। আপনি একজন নোবেল বিখ্যাত বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারবেন যিনি প্রত্যেক ক্লাসে প্রথম হয়েছেন। মনে রাখবেন, ভাল রেজাল্ট করা আর মেধাবি হওয়া দুটো ভিন্ন জিনিস। অনেকেই গাধার মতো মুখস্ত করে পরিক্ষায় A+ পায়, এমনকি বোর্ডও ফুটো করে ফালায়। কিন্তু বইয়ের বাইরে তাদের একটা হরফও বলার,লেখার বা বোঝার ক্ষমতা নাই। মেডিকেলে মুখস্ত করতে হয় ঠিক আছে, কিন্তু আমি মনে করি একজন ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে একজন ডাক্তারে অনেক বেশি মেধাবি এবং সৃজনশীল হতে হবে। কারন একজন ডাক্তারের কারবার রোগীর জীবন নিয়ে। নয়ত দেখা যাবে রোগীর হয়েছে জন্ডিস অথচ ডাক্তার জ্বর ভেবে দিনে ৬টা করে নাপার ডোস দিচ্ছে। তাহলে রোগী কি সুস্থ হবে নাকি মরবে? অনেক ভালো ভালো ছাত্র আছে যারা হয়ত কোন কারনে একটা বিষয়ে একটু খারাপ করেছে, কিমবা গোল্ডেন ছুটে গেছে। তাই বলে তারা খারাপ। কে ভালো কে খারাপ তার প্রমাণ হয় ভর্তি পরীক্ষায়। আর সেই পরীক্ষাই যদি না হয় তাহলে তো মেডিকেলে ভর্তি হবে সব বয়লার। এরা রোগী বাঁচানোর পরিবর্তে রোগী মারবে। দেখা যাবে রোগী একটু মোটা, ইঞ্জেকসন দিবে কিন্তু রগ দেখা যাচ্ছে না। তখন হয়ত সে গেয়ে উঠবেঃ- রগ ই তো যায় না দেখা, ইঞ্জেকসন দিবো কোথা।

সুতরাং আমাদের শিক্ষামন্ত্রী সাহেব, আপনি যা করছেন তাতে দেশ দ্রুত Digital ভাবে Destroy হয়ে যাবে। ১৯৫২ সালে যদি ছাত্ররা বাংলাকে মাতৃভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, ১৯৭১ সালে যদি স্বাধীনতা আদায় করতে পারে তবে আমরাও আমাদের দাবি আদায় করতে পারব, দরকার হলে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগও করাইতে পারব ইনশাল্লাহ। আপনারা কি আমার সাথে একমত??????

 

আমাকে ফেচবুকে পাবেন এখানে......

Level 0

আমি হাসনাত আব্দুল্লাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 64 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমার সম্পর্কে বলার কিছু নাই। আমি সাদামাটা মানুষ, ডাল ভাত খাই আর সোজা পথে চলি...।।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আমি আপনার সাথে এক মত…

একমত

Level 0

very bad………………

Level 0

“মেডিকেলে মুখস্ত করতে হয় ঠিক আছে, কিন্তু আমি মনে করি একজন ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে একজন ডাক্তারে অনেক বেশি মেধাবি এবং সৃজনশীল হতে হবে।”
-একদম সত্যি কথা।

আমি আপনার সাথে এক মত

যদি এটা টেকনোলজি টিউন না, তবুও চাই যে এ টিউনটি যাতে টেকটিউন্সে থাকে। মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই নেয়া উচিত।
একটু আগে কেউ একজন ইভেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠালো। এই ইভেন্টে যোগ দেয়া উচিত – http://www.facebook.com/events/263818493730287/

মাথা মোটা বলদ গুলোর মাথায় নাই কিচ্ছু । উন্নয়নের বদলে নিয়ম ভাংতে ব্যাস্ত । আমি ইন্জিনিয়ারিং পড়ছি তবুও তোমার সহযোদ্ধা । চালিয়ে যাও

ki jani bapu, amader bari ai khane na, ami kishue jani na

Level 0

একজন ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে একজন ডাক্তারে অনেক বেশি মেধাবি এবং সৃজনশীল হতে হবে!!!!
এটা কেমন কথা??আমি এটি মানতে পারলাম না…যদি সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক মোট বিল্ডিং না বানায় বা মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক মত গাড়ি না বানায় বা এরোনটিকাল ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক মত প্লেন না বানায় তবে কত মানুষ একত্রে মারা যাবে,তা হিসাব করতে পারবেন?
আর মেডিকালের পরীক্ষা হয় মুখস্তের উপর,যে যত বেশি মুখস্ত করে সেই চান্স পায়,সৃজনশীলতার কিছুই নাই। মেডিকালের পরবর্তী পড়ালিখাও তাই।
Medical is like HSc biology,
Engineering is like HSc Mathematics.

“ইসলামের ইতিহাস সৃজনশীল পদ্ধতি। ইসলামের ইতিহাস কেন করল তা আজও আমার মাথায় আসে না” ইসলাম শিক্ষা আর ইসলামের ইতিহাস এক জিনিস নয়। দুইটা জিনিসকে এক করবেন না। “ইসলামের ইতিহাস যদি সৃজনশীল করতে যায় তাহলে সেটা হবে আল্লাহর সাথে গাদ্দারি করা।” কিভাবে?? ইতিহাসে অনেক সময় ভুল থাকে সেগুলোকে ঠিক করা যেতে পারে। “…এটার এক জাররা পরিমাণও হেরফের হবে না।” এটা কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ্‌র কথা।
আর জিপিএ ভিত্তিক ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথমেও (কলেজের ক্ষেত্রে) প্রচুর সমালোচনা আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু এখনতো আর কোন কিছু হয় না। “আসলে যদি ভর্তি পরীক্ষা হয় তাহলে এম,পি মন্ত্রী সহ বড় বড় রুই-কাতলাদের ছেলেমেয়ে তো মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে না। এ জন্যই হয়ত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করছেন আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী।” ভাই যুক্তির কথায় আসলে – তাহলে কি “এম,পি মন্ত্রী সহ বড় বড় রুই-কাতলাদের ছেলেমেয়ে” সবাই গোল্ডেন A+ পেয়েছে??

    সময়ের অভাবে আগে লিখতে পারি নাই, তাই এখন লিখছি।
    “..আমি মনে করি একজন ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে একজন ডাক্তারে অনেক বেশি মেধাবি এবং সৃজনশীল হতে হবে”??? ভাই এটা কোন ধরনের কথা? ভাই আপনার কথা অনুযায়ী “ডাক্তার > ইঞ্জিনিয়ার (মেধা এবং সৃজনশীলতার ভিত্তিতে)” ভাই প্রফেশন দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মেধা দুটোতেই লাগে কিন্তু সৃজনশীলতা ডাক্তারের পেশায় কিভাবে কাজ করে তা পরিস্কার করে বললে ভালো হত। “নয়ত দেখা যাবে রোগীর হয়েছে জন্ডিস অথচ ডাক্তার জ্বর ভেবে দিনে ৬টা করে নাপার ডোস দিচ্ছে। তাহলে রোগী কি সুস্থ হবে নাকি মরবে?” আপনার সৃজনশীলতার উদাহরণ যদি এই হয় তবে, ডিকশনারি ঘেটে “সৃজনশীলতা” কি তা দেখে নেবেন দয়া করে। (আপনার সৃজনশীলতার উদাহরণ অনুযায়ী) ডাক্তারের পেশায় সৃজনশীলতা = খাদ্য-পুষ্টি দ্রুত পাকস্থলিতে যাইবার জন্য ডাক্তার সাহেব রোগীর পাকস্থলির দুরত্ব কমাইয়া উদর হইতে উপরে উঠাইয়া বক্ষে স্থাপন করিয়াছেন। আমি কাউকে হেয় বা ছোট করার জন্য বলছি না। তবে কোন কিছু সম্পর্কে বলার আগে বা কাউকে জানানোর আগে অবশ্যই নিজে ভালো করে জেনে তবে প্রচার করা উচিত।
    সরকারের এই সিদ্ধান্তে কোচিং ব্যবসায়ীদের বেশি জালা হয়েছে বিধায় টিভিতে সেটা প্রকাশ পাচ্ছে।
    @ আলমগীর ভাই কিছু বলার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে বলবেন, যুক্তি দিয়ে সু-তর্ক করুন, অযৌক্তিক কথা বলে কু-তর্ক করবেন না।
    @ Shaiful আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সাথে একমত।

Level 0

মেডিকালের ভর্তি পরীক্ষার ব্যপারে অনেকেই সাফাই গাবে, বিশেষ করে যারা ভর্তি কোচিং বানিজের সাথে জরিত।
মাত্র ১০০ মার্কের একটা MCQ পরীক্ষা নিয়ে কাওকে যাচাই করা থেকে,SSC ও HSC রেজাল্ট বিবেচনা করাই তো ভাল মনে হয়।
এই সরকার মনে হয় এই প্রথম একটা ভাল সিধান্ত নিল ।

    Level 0

    @Shaiful: টেকনলজি সাইট রাজনিতি টানা ঠিক হবে না। কিন্তু না বলেও পারছিনা। হাসিনা বা খালেদা কে আপ্নারা “পির ” ভাবেন মনে হয়। ওরা যা এ করুক Supporter দের কাছে সব সেরা কাজ। সেটা মানুষ মারা হলেও সেতা ভাল। That is not fair. ভাল কে ভাল খারাপ কে খারাপ বলতে শিখুন।

Level 0

Sob tik silo bt engineering k obohala koraki tik holo? Thanks to shaful vai, se etar protibad janaise. se onk kisui bolese, ami ektu add korsi, electrical engineer jodi transformer or motor e kono problem kore taole ki hbe bujte parsen? jodi electricity generation, distribution, transmission e prolem hoy tokn power paben koi? doctor ki hariken jele operation korbe? Emniteo ajkal onk doctor operation er somoy vul kore rugir pete cord fele rakse, tokn ki hbe? Any way, kauk kosto dite egula bolini, onno profession gulakeo mullo dea ucit

vai shorkar amn korse jate student ar ssc r hsc porikkha take gurotto diye bibechona kore. ato din ssc r hsc te kono compitetion chilo na . just golden paoya target chilo . kintu bortomane ai poddhoti korate studentra ssc r hsc te compete korbe . jacche tai vabe nibe na beparta . tara shudhu akta vul korse . tara ai year ar 9 ar batch theke shuru korto ai kaj. tara oder janiye dito tomader ssc r hsc result ar upor shob jachai kora hobe . ta hole amader voganti pohate hoto na

Amader ager generation onek illiterate silo tai tara every sector a illiteracy ar porichoy diyasen. Tara dasher population onek bariya fala + corruption soho aro onek bokar moto kaj kore jasen abong akhono korsen. Ar ai karoney amader ai obostha……..

মন্ত্রী পতিমন্ত্রীরা সরকারী প্যাডে বোর্ডে রিকুইস্ট করতেছে আমার অমুককে জিপিএ৫ দিন। সো যাকে জিপিও৫ দেওয়া হলো সেইতো চান্স পাবেনা যদি ভর্তি পরিক্ষা নেওয়া হয়। এতো কষ্ট করে জিপিএ৫ এনে দিয়ে উনাদের কি লাভ যদি ওরা চান্স না পায়?
তাইতো জিপিএ এর ভীত্তিতে ভর্তি করার ব্যাবস্থা করেছে কষ্ট সার্থক করার জন্য।

Level 0

vai ami 10000000000% akmot amon jodi sorkar na mane tahole amra shikkhamottri ar podotag chai

Level 0

“আমি জীবনে অনেক পরীক্ষা দিয়াছি, আর দিতে চাই না”
ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে, আমাদের এই মানসিকতা পাল্টানো দরকার।
সবাই পরীক্ষা দেয়ার জন্য এত পাগল ক্যান। পরীক্ষা দিলেই কি তোমরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে জাবা। আজকে তো সংবাদ পত্রে দেখলাম যে অনেকে পরীক্ষা না দিতে পারলে আত্মহত্যা করবে বলেছে। এটা কি ধরনের কথা? সৃষ্টিকর্তা কি আমাদের পৃথিবীতে পাঠাইসে সুধু ডাক্তার হউয়ার জন্যে। হ্যা, অনেকেই বলতে পারে যে আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হব, মানুষের সেবা করব। কিন্তু সেবা করার প্রকৃত ইচ্ছা থাকলে অনেক ভাবেই করা সম্ভব। আর বর্তমানের ডাক্তাররা কি সেবা যে করতাসে তা তো দেখতাসিই (স্বীকার করছি অনেকেই ব্যাতিক্রম তারা সংখ্যায় খুবই নগণ্য)।
আরেকটা বিষয় আমারে কেউ কি বলবেন ১ ঘণ্টার মূল্যায়ন কিভাবে ৪৮ ঘণ্টার মূল্যায়ন থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়।
আমি যদিও আই সরকার কে পছন্দ করি না তবে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ কে আমি বাক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি কারণ আমাদের মন্ত্রীদের মাঝে যদি মাত্র ৩ জন ও সৎ থাকেন তাহলে তিনি তাদের মাঝে একজন হবেন। তার কিছু কাজও আমার খুব ভাল লেগেছে। যেমন- psc, jdc প্রবর্তন করা, আলাদা ভাবে সরকারি বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল করা ইত্যাদি।
আমি তো মনে করি শিক্ষা দরকার মানুষ হউয়ার জন্য এবং এর জন্য এত পরীক্ষা এত চাপের দরকার নেই, বরং স্বাভাবিক ভাবে জীবনকে ভালভাবে বুঝতে শিখাই শিক্ষা হউয়া উচিত।
আমি নিজেও যে শিক্ষার উদ্দেশ্য খুব ভালভাবে মেনে চলি তা নয়, তবে এটা সত্যি যে লেখাপরা করে বড় ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টাকা পয়সা কামানো আমার উদ্দেশ্য নয়। এই ব্যাবস্থায় আমার নিজের ও কিন্তু খুব একটা লাভ হয় নাই, কারন আমিও কিন্তু গোল্ডেন পাই নাই। আমার মতে আই ব্যাবস্থাটা অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবর্তন করা উচিত। তবে এটা অনেক আগেই জানিয়ে দেয়া উচিত ছিল, কারণ অনেকেরই কোচিং এ অনেকগুলো টাকা নষ্ট হয়েছে।
অনেক কথাই বললাম, আরও অনেক কথা ছিল সময়ের অভাবে আর লিখতে পারলাম না। আমার কথায় কেউ কষ্ট পেলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন।

আপনার সুন্দর টিউনের জন্য ধন্যবাদ।তবুও আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারছিনা।আপনার বেশ কয়েকটা পয়েন্টের উত্তর দেই-(অনেকেই গাধার মতো মুখস্ত করে পরিক্ষায় A পায়, এমনকি বোর্ডও ফুটো করে ফালায়। কিন্তু বইয়ের বাইরে তাদের একটা হরফও বলার,লেখার বা বোঝার ক্ষমতা নাই।)এটা আপনার কথা।যারা A পায় তারা অনেকেই খারাপ,তাহলে কী তারা সবাই মেডিকেলে চান্স পাবে?(আসলে যদি ভর্তি পরীক্ষা হয় তাহলে এম,পি মন্ত্রী সহ বড় বড় রুই-কাতলাদের ছেলেমেয়ে তো মেডিকেলে ভর্তি হতেপারবে না। এ জন্যই হয়ত পরীক্ষা পদ্ধতিবাতিল করছেন আমাদেরমাননীয় শিক্ষামন্ত্রী।)এটাও আপনার কথা।আপনি এমপি-মন্ত্রীর দুর্নীতির কথা বলেছেন।আমার প্রশ্ন নিয়মটাই বাস্তবায়ন হলো না দুর্নীতির কথা আসে কেমন করে?আপনি কি জানেন শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি হয় ভর্তি পরীক্ষায়।প্রশ্নপ্রত্র বেশী টাকায় ফাঁস হয় বিশেষ করে মেডিকেল পরীক্ষায়,কারণ প্রত্যেক জেলায় পরীক্ষা হয়।এতে বেশী লাভবান হয় এমপি-মন্ত্রীরাই(টাকার দিক থেকেও এবং ছেলে মেয়েদের ভর্তি করে দিতেও)।একটা হিসাবে দেখা গেছে কয়েক লক্ষ টাকার প্রশ্নপ্রত্রের ব্যবসা শুধু ১টা জেলাতেই ঘটে(মেডিকেল পরীক্ষায়)।অনেক গরীব মেধাবী ছাত্র আছে,যারা টাকার অভাবে কোচিং করাতে পারেনা।এছাড়া এসব গরীব ছাত্ররা যে ভর্তি পরীক্ষা দেবে সে যাতায়াতের টাকাও থাকেনা।আপনি এ কথাই বলতে পারেন -নিয়মটা এবছর না করে পরের বছর করা হক।যাতে গত বারের ছাত্ররা যারা মেডিকেলের প্রস্তুতি নিয়েছে তাদের যাতে জীবন নষ্ট না হয়।আর এখন তাদের শোধরানোর ও সময় নেই।আর আপনি যে Process এর কথা বললেন সেটাও ঠিক নয়।এখন বলছেন যে S.S.C ও H.S.C এর প্রশ্ন সহজ হয়,যখন ঐ নিয়মটা হয়ে যাবে তখন আর হয়ত S.S.C ও H.S.C পরীক্ষা গুলোর প্রশ্ন কঠিনও হতে পারে।আমার মনে হয় পরের বছরগুলো হতে সব ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে গ্রেডের ভিত্তিতে নেয়া হয়।
কোচিং ব্যবসা বন্ধে সরকারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।আশা করি আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।দুঃখ দিয়ে থাকলে মাফ করবেন।

আমি আপনার সাথে এক মত

Level 0

sai rokam…………josssssssssssssss…….