পবিত্র মাহে রমযান ১৪৩৬ হিজরি (২০১৫ ইং) সনের সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি

আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে মাহে রমজান ২০১৫ আগাম শুভেচ্ছা রইলো, আজ আপনাদের উপহার দিবো ইফতারের ও সেহেরীর সময় সূচী, রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া।

পবিত্র মাহে রমযান ১৪৩৬ হিজরি সনের সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ঘোষণা করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সোমবার এক বিবৃতিতে এ সময়সূচি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়েছে, এটি শুধু ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য এবং চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।

Islamic Foundation Bangladesh থেকে প্রকাশিত (Mon, Jun 1st, 2015)

পবিত্র মাহে রমযান ১৪৩৬ হিজরি সনের সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি

পবিত্র মাহে রমযান ১৪৩৬ হিজরি সনের সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি
পবিত্র মাহে রমযান ১৪৩৬ হিজরি সনের সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি

ডাউনলোড করুন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর web site থেকে সরাসরি

 

রোজার নিয়ত

নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিনশাহরি রামাদ্বনাল মুবারাকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহ ফাতাক্বাববাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীয়ু’ল আ’লীম।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করছি, যা তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে। সুতরাং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।

ইফতারের দোয়া

আল্লাহুম্মা ছুমতুলাকা ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর্ হামার রাহিমীন।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।

 তারাবীহ নামাজের নিয়ত

বাংলায়: (নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা আলা রাকয়াতাই সিলাতিৎ তারাবীহী সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

 

রোজা ভঙ্গের ও মাকরূহ হওয়ার কারণ সমূহ

যেসব কারণে রোজা (সওম) মাকরূহ বা নষ্ট হয়ে যায় 

প্রশ্ন  : সওম মাকরূহ হওয়ার অর্থ কি?

উত্তর : মাকরূহ শব্দের অর্থ অপছন্দনীয়। আর সওমের মাকরূহ হল সিয়াম পালন অবস্থায় যেসব কাজ করা অপছন্দনীয়। এ জাতীয় কাজ সিয়াম ভঙ্গ করে না কিন্তু এসব চর্চা করা কখনো কখনো সিয়াম বিনষ্টের কাছাকাছি নিয়ে যায়। এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা উচিত।

প্রশ্ন  : কী কী কারণে সিয়াম মাকরূহ হয়?

উত্তর : সিয়াম অবস্থায় নিু বর্ণিত যে কোন কাজ করলে সিয়াম মাকরূহ হয়ে যায় :
(১) অযুর সময় গড়গড়া করে কুলি করা, জোড় দিয়ে নাকে পানি টানা। এতে গলা বা নাক দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা থেকে যায়।
(২) বিনা প্রয়োজনে খাদ্যের স্বাদ দেখা। তবে প্রয়োজন হলে দেখতে পারে।
(৩) থুথু কফ মুখে জমিয়ে গিলে ফেলা। অল্প অল্প থুথু গিলে ফেললে কোন অসুবিধা নেই।
(৪) যৌন অনুভূতি নিয়ে স্ত্রীকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করা, বার বার তার দিকে তাকানো, বার বার সহবাসের কল্পনা করা। কারণ এসব কার্যক্রমে বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

প্রশ্ন  : বিনা প্রয়োজনে যদি কোন মহিলা স্বীয় বাচ্চাকে রোযা অবস্থায় খাদ্য চিবিয়ে দেয় তবে তার হুকুম কী?

উ: রোযা মাকরূহ হবে অর্থাৎ অন্য লোকে যদি খাদ্য চিবিয়ে দেয়ার মতো থাকে বা অন্য কোন উপায়ে যদি শিশুকে খাদ্য চিবিয়ে দেয়া যায়, তাহলে রোযাদার মহিলার জন্য চিবিয়ে দেয়া মাকরূহ হবে।
বি:দ্র:- প্রয়োজনবশত: চিবিয়ে দিলে তা মাকরূহ হবে না বরং চিবিয়ে দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে পেটে খাদ্যের কিছু অংশ চলে না যায়।
সিয়াম অবস্থায় যেসব কাজ মুবাহ অর্থাৎ বৈধ

প্রশ্ন  : কী কী কাজ করলে সিয়াম ভঙ্গ হয় না? অথবা সিয়াম অবস্থায় কী কী কাজ বৈধ?

উত্তর : সিয়াম অবস্থায় নিুোক্ত কাজ করলে সিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না :
[১] শুধুমাত্র রোগ আরোগ্যের জন্য যে ইনজেকশান দেয়া হয়।
[২] কুলি করা, নাকে পানি দেয়া। তবে গড়গড়া করবে না। নাকের খুব ভিতরে পানি টান দিয়ে নেবে না।
[৩] মিসওয়াক করা, মাজন ও টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারবে। তবে গলার ভিতর যাতে না ঢুকে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
[৪] গরম থেকে বাঁচার জন্য মাথায় শীতল পানি দেয়া, গোসল করা, ভিজা কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাখা।
[৫] জিহ্বা দিয়ে খাদ্য বা তরী-তরকারীর স্বাদ দেখা।
[৬] সুরমা ব্যবহার, চোখে বা কানে ঔষধ ব্যবহার।
[৭] স্ত্রীকে স্পর্শ করা।
[৮] রাত্রি বেলায় স্ত্রী সহবাস করা।
[৯] কোন কিছুর ঘ্রাণ নেয়া। তবে ধুমপান, আগরবাতি ও চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা ধুপ গ্রহণ করবে না।
[১০] সিংগা লাগানো।

উপরোক্ত কয়েকটি বিষয়ে দলীল নিম্নে দেয়া হল :

(ক) সিয়াম অবস্থায় না থাকলে অযুর সময় নাকের ভিতর উত্তমরূপে পানি টেনে নেবে। (তিরমিযী ৩য় ১৪৬)

(খ) আমার উম্মতের কষ্টবোধ হবে এ আশঙ্কা না থাকলে প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী)

(গ) সিয়াম অবস্থায় তাপ বা পিপাসার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় পানি ঢালতেন। (আবূ দাঊদ-২৩৬৫)

(ঘ) গলার ভিতর প্রবেশ না করলে সিয়াম অবস্থায় তরকারী বা খাদ্যের স্বাদ দেখতে কোন অসুবিধা নেই। (বুখারী)

আনাস রাদিআল্লাহু আনহু, হাসান ও ইবরাহীম (রহ.) সিয়াম পালনকারীদের জন্য সুরমা ব্যবহার কোনরূপ অসুবিধা মনে করতেন না। (বুখারী)

(ঙ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম অবস্থায় (স্ত্রী) চুম্বন করতেন, শরীরে শরীর স্পর্শ করতেন। কেননা, তিনি তার প্রবৃত্তির (যৌন চাহিদা) উপর তোমাদের চেয়ে অধিক নিয়ন্ত্রক ছিলেন। (বুখারী-১৯২৭)

(চ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম অবস্থায় নিজের শরীরে শিঙ্গা লাগিয়েছেন। (বুখারী-১৯৩৮)

(ছ) বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে সহবাস করে ফজর পর্যন্ত কাটিয়েছেন। অতঃপর গোসল করে ফজরের সলাত আদায় করছেন। (বুখারী ও মুসলিম)

প্রশ্ন  : কিডনী পরিষ্কার করলে, চোখে বা কানে ড্রপ দিলে, দাঁত উঠলে, ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ লাগালে, রক্ত পরীক্ষা করার জন্য রক্ত নিলে রোযা কি ভেঙ্গে যাবে বা ক্ষতি হবে?

উত্তর : না, এতে রোযা ভাঙ্গবেও না ক্ষতিও হবে না।

প্রশ্ন  : যদি সুবহে সাদেক হয়ে যায় বা ফজরের আযান শুরু হয়ে যায় আর মুখে খাবার বা পানীয় থাকে তাহলে কি করবে?

উত্তর : মুখে যেটুকু খাবার বা পানি আছে তা ফেলে দেবে। ফলে তার রোযা শুদ্ধ হয়ে যাবে। এটা ফকীহদের ঐক্যমতের রায়।

প্রশ্ন  : রোযাদার যদি আহত হয় বা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে কিংবা কোন কারণে অনিচ্ছাকৃত ভাবে গলায় পানি বা তেল ঢুকে যায় তাহলে রোযার কি হবে?

উত্তর : এতে রোযা নষ্ট হবে না।

প্রশ্ন  : চোখের অশ্র“ যদি গলায় প্রবেশ করে তাহলে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?
উত্তর : না, এতে রোযা ভাঙ্গবে না।

প্রশ্ন  : রোযাদার ব্যক্তি যদি আতরের গন্ধ, চন্দন কাঠ বা আগরবাতির ঘ্রাণ শুঁকে তাহলে কি হবে?
উত্তর : এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। তবে ধোঁয়া যাতে গলায় প্রবেশ না করে সে ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। (Collected)

 

Level 0

আমি Masud Rana। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ ভাই