Social Media Marketing কী? সোস্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং এর আদ্যোপান্ত

Level 4
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবথেকে জনপ্রিয় একটি শাখা। অর্থাৎ ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবসায় বা পণ্যের বিজ্ঞাপণ দেয়ার একটি জনপ্রিয় উপায় হলো সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। কারণ বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ায় অহরহ মানুষ দৈনন্দিন সময়ের বেশিরভাগ সময় কাটায়। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য সেক্টরের থেকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে তুলনামূলক বেশি দর্শকের কাছে বিজ্ঞাপণ পৌঁছে দেয়া যায়। তাইতো অনলাইন বিজনেস এর পাশাপাশি অফলাইনে ব্যবসায় পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার করে।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর রয়েছে হাজারো সুবিধা। আপনি একজন ব্যবসায়ী না হয়েও সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ওপরে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। তাই সোস্যাল মিডিয়া কী, এই সেক্টরে কীভাবে ক্যারিয়ার গড়বেন, সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কীভাবে ব্যবসার প্রচার করবেন, সোস্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যত কেমন এই সকল বিষয়ে সকলেরই মোটামুটি ধারণা থাকা উচিত। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজকের টিউনটি সাজানো হয়েছে।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী?

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সংজ্ঞা

সোস্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের প্রচার বা বিজ্ঞাপণ করাই হলো সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। আমরা প্রতিনিয়ত সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপণ দেখি। কোনোটা ডিজিটাল পণ্য, কোনোটা এনালগ পণ্য, কোনোটা সেবামূলক পণ্য। এই যে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপণ আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই এগুলো সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়।

আগে যে সকল বিজ্ঞাপণ আমরা টেলিভিশনে দেখতাম বা এখনও দেখি তার বেশিরভাগ বিজ্ঞাপণ এখন সোস্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। আবার অনলাইনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মূলত দাঁড়িয়েই আছে সোস্যাল মিডিয়ার ওপর ভিত্তি করে। কখনও পেইড বিজ্ঞাপণ দিয়ে, কখনও এসইও এক্সপার্ট এর মাধ্যমে আবার কখনও ভাইরাল টেকনিক ব্যবহার করে সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হয় একটি প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের আকর্ষণীয় তথ্য। এভাবে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মাঝে পণ্যের বিজ্ঞাপণ তুলে ধরাই হলো সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রকারভেদ

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রকারভেদ

সোস্যাল মিডিয়া বলতে আমরা যা বুঝি তাকে আবার বেশ কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করা যায়। কেননা বর্তমানের একটি নয় বরং বেশ কয়েকটি সোস্যাল মিডিয়া সাইট জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। আর প্রতিটি সোস্যাল মিডিয়া সাইটকে-ই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আলাদা আলাদা সোস্যাল মিডিয়া সাইটের ওপর ভিত্তি করে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে। এখানে জনপ্রিয় কয়েকটি সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

১. ফেসবুক মার্কেটিং

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবথেকে জনপ্রিয় এবং কার্যকর একটি শাখা হলো ফেসবুক মার্কেটিং। কেননা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া সাইটের থেকে ফেসবুকের ইউজার সংখ্যা বেশি এবং ফেসবুকের একটিভ মেম্বারও বেশি। তাই ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে সবথেকে বেশি মানুষের কাছে প্রচারণা পৌঁছে দেয়া যায়। একটু খেয়াল করলে দেখবেন ফেসবুকে ঢুকলে প্রতিনিয়ত অহরহ বিজ্ঞাপণ নিউজ ফিডে ঘোরাঘুরি করে।

ফেসবুকের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপণ দেয়া এবং ক্রয় বিক্রয় করাকেই ফেসবুক মার্কেটিং বলে। তবে ফেসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপণ প্রচারিত হলেও সকল পণ্যের ক্রয়বিক্রয় ফেসবুকের মাধ্যমে না-ও হতে পারে। ক্রয়বিক্রয় হোক বা না হোক, পণ্যের প্রচারনা করলেই তা ফেসবুক মার্কেটিং বলে বিবেচিত হবে।

২. ইউটিউব মার্কেটিং

সোস্যাল মিডিয়ার আরও একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। ইউটিউবের মাধ্যমে কোনো পণ্যের প্রচারণা হলে তা হবে ইউটিউব মার্কেটিং। ইউটিউবে ঢুকলেই দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের বিজ্ঞাপণ।

আমরা সবাই জানি ইউটিউব মূলত একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট। তাই এখানে বিজ্ঞাপনগুলোও হয় ভিডিও কনটেন্ট ভিত্তিক। একটি সাধারণ ভিডিওর শুরুতে, মাঝখানে বা শেষে দেখা যায় পণ্যের প্রচারণা বিষয়ক ভিডিও চলে আসে। আবার অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ ভিডিও তৈরি করে। এগুলো সব ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত।

তবে ভিডিও কনটেন্ট ছাড়াও টেক্সট বা ফটো কনটেন্ট এর মাধ্যমেও ইউটিউব মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। কখনও কখনও বিভিন্ন লিংক শেয়ার করেও ইউটিউবে বিজ্ঞাপণ দেয়া হয়।

৩. ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং

একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে পুরো বিশ্বজুড়ে রাজত্ব করছে ইন্সটাগ্রাম নামক সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ব্যবহারকারী এখন বিলিয়ন এর ওপরে। তাই এই বিশাল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সহজেই যে কোনো পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ডের বিজ্ঞাপণ দেয়া যায় খুব সহজেই। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কোনো পণ্য, সেবা বা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং করা হলে তাকে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং বলে।

মার্কেটিং এর জন্য ইন্সটাগ্রামের রয়েছে বেশ কয়েকটি কার্যকরী ফিচার ও টুলস। এসকল ফিচার ব্যবহার করে বিজ্ঞাপণ দেয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে হবে। কীভাবে সঠিক উপায়ে ইন্সটাগ্রাম সহ অন্যান্য প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপণ দিতে পারবেন তার সকল বিষয় ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হবে।

৪. টুইটার মার্কেটিং

টুইটারে টুইট করার মাধ্যমে কোনো পণ্য, ব্রান্ড বা প্রতিষ্ঠানকে প্রমোট করা হলে তা টুইটার মার্কেটিং বলে বিবেচিত হয়। দেশ বিদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত টুইটারে একটিভ থাকে৷ আর তাই টুইটারের মাধ্যমে টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে খুব সহজে বিজ্ঞাপণ পৌঁছে দেয়া যায়। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে টুইটার মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

টুইটার মার্কেটিং এর খরচ তুলনামূলক কম এবং বিজ্ঞাপণ দেয়াও সহজ। ফলে যে কেউ একটি প্রফেশনাল টুইটার একাউন্ট খুলে তার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে অথবা ব্যবসার প্রচার করতে পারবে।

৫. লিংকড-ইন মার্কেটিং

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই লিংকড-ইন হলো একটি চমৎকার প্রফেশনাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে শুরু করে চাকরির বিজ্ঞাপণ ও নিজের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপণ দিতে পারবেন খুব সহজেই। তবে লিংকড-ইনে বিজ্ঞাপণ দেয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপে প্রফেশনাল টেকনিকের ব্যবহার জানতে হবে। আর প্রথমেই একটি প্রফেশনাল লিংকড-ইন একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

আকর্ষণীয় ভাবে লিংকড-ইন একাউন্ট সেটআপ করে এবং আকর্ষনীয় কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্ট বা ক্রেতা খুঁজে বের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মার্কেটিং ট্রিকস সম্পর্কে আপনি যতো বেশি অভিজ্ঞ হবেন ততোটাই ভালো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন৷

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব

এতোক্ষণ তো সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী এবং সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানলেন। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে এতোকিছু জেনে কী হবে? কেনই বা এর এতো গুরুত্ব? এই সকল প্রশ্ন মাথায় ঘোর পাক খাচ্ছে তো? তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব সম্পর্কে।

আসলে সোস্যাল মিডিয়া এখন মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে এমনভাবে সংযুক্ত হয়ে গেছে যে এটিকে বাদ দিয়ে কেউ স্বাভাবিক জীবনযাপনের কথা ভাবতে পারে না। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে শহরের মর্ডান লোকজন সবাই এখন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্কে যুক্ত। তাই এই বিশাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে সবথেকে সহজ ভাবে কোনো পণ্য, সেবা বা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং করা যায়। অফলাইনে বা অন্য যে কোনো অনলাইন মাধ্যমে এতোটা সহজ উপায়ে মার্কেটিং করাটা আসলেই অসম্ভব।

মার্কেটিং এর মূল উদ্যেশ্য হলো নির্দিষ্ট পণ্য যতো বেশি সম্ভব লোকের কাছে পৌঁছে দিয়ে পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করা। আর বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবথেকে বেশি লোকজনের সাথে নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব। অর্থাৎ বলা যায় সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে সবথেকে বেশি লোকের কাছে পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত বিজ্ঞাপণ পৌঁছে দেয়া যায়। তাইতো একটি সফল ও ব্রান্ডিং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর বিকল্প নেই।

অন্যদিকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে অসংখ্য বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। কেননা বেশিরভাগ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ওপরে এক্সপার্ট হয় না অথবা এই কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না। ফলে তার কোম্পানির প্রচারের জন্য একজন মার্কেটিং এক্সপার্ট হায়ার করে। এক্ষেত্রে এই সেক্টরে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বলা যায় একটি ব্রান্ডিং প্রতিষ্ঠান তৈরির পেছনে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। পাশাপাশি এই সেক্টরের মাধ্যমে অনেক বেকার ছেলেমেয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিতে পারছে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুযোগ সুবিধা কাজে না লাগাতে পারলে পিছিয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়

আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চাইবেন সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর এই সুফল ভোগ করতে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে করবেন? প্রাথমিক পর্যায়ে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে যে কোনো সোস্যাল মিডিয়া সাইটে একটি ব্যবসায়িক একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এই একাউন্ট টা হবে পুরোপুরি প্রফেশনাল। আপনার ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের যাবতীয় বিষয়বস্তু এই প্রোফাইলের মাধ্যমে আপনি সকলের সামনে তুলে ধরবেন।

এখন ব্যবসায়িক একাউন্ট তৈরি করার পরে সেখানে পাবলিশ করার জন্য বিজ্ঞাপণ তৈরি করতে হবে। হতে পারে সেটা কোনো লিখিত বিজ্ঞাপণ, ফটো বিজ্ঞাপণ বা ভিডিও কনটেন্ট। এই বিজ্ঞাপণ আপনার সোস্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে পাবলিশ করে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ও নতুন নতুন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে আপডেট জানানোর মাধ্যমেও ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।

এটা তো গেল সাধারণ ভাবে প্রোফাইলে বিজ্ঞাপণ তৈরি করে তা প্রচার করার বিষয়। তবে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি পেইড মার্কেটিং-ও করতে পারবেন। অর্থাৎ সোস্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে বিজ্ঞাপণ পৌঁছে দিতে পারবেন। তাছাড়া সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করে আপনি একই বিজ্ঞাপণ কয়েক উপায়ে প্রচার করতে পারবেন।

আপনি যদি সোস্যাল মিডিয়া পরিচালনায় এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এবং একটি বিজ্ঞাপণ কনটেন্ট কীভাবে তৈরি করতে হয় সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে তাহলে নিজেই এসকল কাজ করতে পারবেন। আর যদি এসকল বিষয়ে আপনার ধারণা কম থাকে সেক্ষেত্রে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার করে তার মাধ্যমে এসকল কাজ করিয়ে নিতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে এক্সপার্ট এমন কাউকে দিয়ে কাজ করালে মার্কেটিং রেজাল্ট তুলনামূলক ভালো আসবে। এখন আপনি কীভাবে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ওপরে নির্ভর করছে।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন?

যেভাবে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবেন

এবার আসি একজন প্রফেশনাল সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটার হওয়ার জন্য কী কী করতে হবে সেই বিষয়ে। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই এই বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে। আপনি যদি একজন ক্লায়েন্টকে মার্কেটিং এর মাধ্যমে ক্রেতা না এনে দিতে পারেন তাহলে তো এই সেক্টরে সফল হতে পারবেন না। প্রথমত সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সেক্টরে এক্সপার্ট হওয়ার জন্য আপনাকে সোস্যাল মিডিয়া পরিচালনায় এক্সপার্ট হতে হবে। সোস্যাল মিডিয়ার সকল ফিচার ও টুল ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।

এরপর শিখতে হবে কীভাবে আপনি সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পেইড বিজ্ঞাপণ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও দেখে খুব সহজেই আপনি কাজ শিখে নিতে পারেন। তাছাড়া একদম পুরোপুরি এক্সপার্ট হওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন পেইড কোর্স করতে পারেন।

তবে সবথেকে বড় কথা এই সেক্টরে আপনাকে প্রচুর পরিমানে প্রাকটিস করতে হবে। যতো বেশি সোস্যাল মিডিয়ার সকল টুল ও ফিচারের সাথে পরিচিত হবেন ততোই আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে কীভাবে একটি আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপণ তৈরি করতে হয় এই বিষয়েও ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।

মোটামুটি ছয় মাস সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার পেছনে সময় ব্যয় করলে আপনি ভালোই দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন৷ সেজন্য আপনার প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা ও পরিশ্রমী মনোভাব।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

যতোই দিন যাচ্ছে ততোই সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ছে। তাই আলাদা করে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে না বললেও চলে। অন্যান্য মার্কেটিং সেক্টরের থেকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ফলাফল বেশ ভালো। তাই দিন দিন প্রায় প্রতিটি মানুষ সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। হোক সে ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ওপর নির্ভর করে আপনি চাইলে একটি ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারেন। কেননা ভবিষ্যতে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা আরও বাড়বে বৈ কমবে না। আর যারা সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কে পেশা হিসেবে নেয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তারা এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করে দিন। এই সেক্টরে এক্সপার্ট হয়ে উঠলে ক্যারিয়ার নিয়ে আর চিন্তিত হতে হবে না।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং দীর্ঘ সময় ধরে একজন উদ্যোক্তা এবং মার্কেটারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম।

শেষকথা

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং সেক্টর। তাই অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলতেই সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ভেবে ভুল করে। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এখন সবথেকে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে যারা কাজ করছে তারাও এখন সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ওপর সবথেকে বেশি গুরুত্বারোপ করছে।

Level 4

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 43 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস