ইন্টারনেট এর এই যুগে চারদিকে শুধু লিংক এর ছড়াছড়ি। আমরা অনেক সময় জেনে অথবা না জেনেই বিভিন্ন লিংকে ক্লিক করি৷ হয়তো সব ধরনের লিংক ক্ষতিকর না, কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু লিংক৷ এই অপরিচিত লিংকে প্রবেশ করে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হতে পারি, হারাতে পারি ব্যক্তিগত সম্পদ।
কিন্তু কথা হলো সোশ্যাল মিডিয়া সহ স্মার্টফোন এর অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হলে আমাদের তো প্রায়ই বিভিন্ন লিংকে প্রবেশ করতে হয়। তাহলে উপায়? চিন্তার কোনো কারণ নেই আপনি খুব সহজেই বিপজ্জনক ও সাধারণ লিংক এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে কোন লিংকে আপনার প্রবেশ করা উচিত আর কোন লিংকে প্রবেশ করা উচিত না৷ তবে তার আগে এটা জেনে নেয়া দরকার যে অচেনা লিংকে প্রবেশ করলে আপনি কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। তাহলে চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
অপরিচিত লিংকে ক্লিক করার ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। ফলে এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেই না। কিন্তু অপরিচিত লিংক সামনে পড়লেই আমাদের সাথে সাথে সেটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কেননা হ্যাকার রা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন ফিশিং লিংক তৈরি করে। এই ফিশিং লিংকে প্রবেশ করলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সম্পদ চলে যাবে হ্যাকার দের হাতে৷ চলুন দেখে নেয়া যাক আপনি কোন ধরনের বিপদে পড়তে পারেন।
আপনার মোবাইল বা ডিভাইসটি পুরোপুরি ভাবে হ্যাক করার জন্য আপনাকে কেউ ফিশিং লিংক পাঠাতে পারে। এই লিংক এর ব্যাক সাইড এমনভাবে ডিজাইন করা যে ঐ লিংকে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার মোবাইল এর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হ্যাকার দের হাতে চলে যাবে। আপনি সারাক্ষণ মোবাইলে কী কী করছেন তার পুরো গতিবিধি লক্ষ করতে থাকবে। এরপর আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে আপনার কাছ থেকেই মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেবে। সুতরাং সন্দেহজনক কোনো লিংক সামনে পড়লে কখনোই তার ওপরে ক্লিক করা যাবে না, তবেই আপনার বিপদ শুরু।
ফিশিং লিংক এর মাধ্যমে সবথেকে বেশি হ্যাক হয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। হ্যাকার দের সাজানো ট্র্যাপে পা দিলেই সাথে সাথে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পাসওয়ার্ড চলে যায় তাদের হাতে। এরপর অ্যাকাউন্ট এর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস সহ পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দেয় হ্যাকার টিম। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করে যে আপনি নিজেই আর আপনার কোনো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর আপনার যাবতীয় সকল তথ্য চলে যাবে হ্যাকার দের হাতে।
এরপর শুরু হতে পারে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করা। টাকা না দিলে হুমকি দেয়া হয় যে এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অসামাজিক কাজকর্ম করা হবে। কখনও কখনও নানা ধরনের অসামাজিক কাজ ও অশ্লীল কাজ করা হয় হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট গুলো ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত পরিচিতদের কাছ থেকেও টাকা চাওয়া হয় ও নানা ধরনের ব্ল্যাকমেইল করা হয়। মোটকথা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পুরো সোশ্যাল মিডিয়া জগতে আপনার ইমেজ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হ্যাকার দের মূল উদ্দেশ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়া। তাইতো তাদের প্রধান টার্গেট থাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর ওপরে। কোনোভাবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পিন পেয়ে গেলেই তো বাজিমাত। আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স মুহূর্তেই শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। আপনি হবেন দেউলিয়া আর আপনার টাকায় ধনী হবে হ্যাকার রা।
মূলত অনেক সময় লিংকে প্রবেশ করে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার, বিকাশ নাম্বার, নগদ অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও পিন দিতে বলা হয়। প্রলোভন দেখানো হয় যে আপনার অ্যাকাউন্টে সরকার কর্তৃক টাকা প্রদান করা হবে। এই প্রলোভনে পড়ে অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর পিন নাম্বর স্বেচ্ছায় হ্যাকার দের হাতে তুলে দেয়। এখানে ভুলটা হয়ে যায় আর হ্যাকার রা পেয়ে যায় আপনার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
একটা অসাধু চক্র আছে যাদের মূল উদ্যেশ্য যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া। তারা নানা প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল কনটেন্ট এর লিংকে প্রবেশ করায়। এবং নিয়মিত এই লিংক প্রদানের মাধ্যমে যে কাউকে অশ্লীলতার দিকে আসক্ত করে ফেলে৷ এই অসাধু চক্রের প্ররোচনায় পড়ে অনেকেই নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছে। সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড।
তাই যতোই প্রলোভন দেখানো হোক, যতোই আকর্ষণীয় কভার দিয়ে লিংক তৈরি করা হোক না কেন কখনোই এই ধরনের লিংকে প্রবেশ করা উচিত না। এটাও এক ধরনের প্রতারণা। তাই সব ধরনের লিংকে প্রবেশ করা থেকে সাবধান।
আশাকরি অচেনা বিপজ্জনক লিংকে প্রবেশ করার ভয়াবহতা কতোটুকু তা বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং যে কোনো লিংক সামনে পেলেই সেখানে প্রবেশ করার আগে ১০ বার ভাবুন।
যেহেতু স্মার্টফোনে আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাই প্রায়ই বিভিন্ন লিংকে প্রবেশ করতে হয়। এখন আপনি কীভাবে বুঝবেন কোন লিংকটি বিপজ্জনক? একটু উপস্থিত বুদ্ধি থাকলেই আপনি খুব সহজে এই কাজটি করতে পারবেন। এখানে বিপজ্জনক লিংক এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো। আপনার মোবাইলে আসা লিংক গুলোতে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য থাকলেই বুঝবেন তা নিরাপদ নয়৷
বর্তমানে অনেকের এসএমএস বক্সে, ই-মেইল বক্সে ও সোশ্যাল মিডিয়ার ইনবক্সে বিভিন্ন চাকরির অফার আসে। আপনি কোনো চাকরির আবেদন করেননি তবুও আপনাকে চাকরি অফার করা হচ্ছে। বিষয়টা কেমন অদ্ভুত না? তাও আবার খুবই আকর্ষনীয় বেতন ও সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন চাকরি যা আপনি কখনও কল্পনাও করতে পারেননি। সেই সাথে একটা লিংক দেয়া থাকে এবং বলা হয় লিংকে প্রবেশ করে বিস্তারিত তথ্য জেনে আবেদন করতে।
এটা মূলত হ্যাকার দের একটি ট্র্যাপ। এই লিংকে প্রবেশ করলেই আপনি নানা ধরনের বিপদে পড়তে পারেন। যেখানে চাকরির বাজারে এতো হাহাকার সেখানে কেউ যেচে এসে আপনাকে চাকরি দিচ্ছে এটা একদমই অস্বাভাবিক। সুতরাং এই ধরনের প্রলোভনে পড়ে নিজের ক্ষতি করবেন না।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে লিংক আসে যেখানে বলা হয় লিংকে প্রবেশ করলেই আপনি পাবেন ২০ হাজার টাকা। এমনও হয় যে বলা হয়েছে আপনি ইতোমধ্যে এক লক্ষ টাকা জিতেছেন, এই টাকা নেয়ার জন্য আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পিন নাম্বার ওয়েবসাইটে প্রদান করুন। সাথে একটা ওয়েবসাইট এর লিংক থাকে। ঐ সাইটে প্রবেশ করলেই আপনি অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও পিন নাম্বার শেয়ার করার অপশন পাবেন। অনেকেই এতো টাকার লোভে পড়ে পিন নাম্বার ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়৷
মূলত এই ওয়েবসাইট গুলো হ্যাকার রা তৈরি করে এবং ওত পেতে বসে থাকে। যখনই আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট ও পিন নাম্বার শেয়ার করবেন সাথে সাথে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টি হ্যাক হয়ে যাবে। তখন আম ছালা সব হারিয়ে আপনি হবেন পথের ফকির। তাই লাখ টাকা বিনামূল্যে পাওয়ার স্বপ্ন বাদ দিন। এই ধরনের লিংক দেখলেই সাথে সাথে এড়িয়ে যান। কেননা কেউ আপনাকে কোনো কারণ ছাড়াই যেচে এসে টাকা দেবে না।
চেনা নেই জানা নেই হুট করে কেউ একজন মেইল করে লিংক পাঠাতে পারে। অথবা সোস্যাল মিডিয়ায় মেসেজ পাঠাতে পারে। এই অপরিচিত ব্যক্তির সাথে আপনার কোনো পূর্ব সম্পর্ক নেই। তাই তার পাঠানো লিংক আপনার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। সুতরাং ঐ লিংকে আপনার প্রবেশ না করাই ভালো।
মোটকথা সন্দেহজনক কোনো সাইট এর লিংক দেখলেই তা এড়িয়ে যাবেন। কেননা শুধু শুধু কোনো লিংকে প্রবেশ করার তো কোনো কারণ নেই। এতে ক্ষতি ছাড়া কোনো প্রকার লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই যেচে বিপদ ডেকে আনার তো কোনো মানে হয়না।
অনেক হ্যাকার বিপজ্জনক লিংক কে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া লিংক এর মতো করে লিংক তৈরি করে। শুধু বানান গুলোতে সামান্য পরিবর্তন করে নেয় যা আপাতদৃষ্টিতে কারো চোখেই তেমন ভাবে পড়ে না। যেমন: WhatsApp কে সামান্য বিকৃত করে লিংকে বসিয়ে দেবে WhatsAppp বা WhatsaApp। এই লিংক দেখে হয়তো বুঝতে পারবেন এটা হোয়াটসঅ্যাপ এর একটা সাধারণ কোনো লিংক। কিন্তু এই লিংকের ব্যাক সাইডে রয়েছে কোনো হ্যাকার টিম এর ওয়েবসাইট যেখানে ক্লিক করলেই আপনি চলে যাবেন হ্যাকার দের দুনিয়ায়।
তাই কোনো লিংকে ক্লিক করার আগে তার বানান সঠিক কিনা দেখে নিন। হয়তো পরিচিত সাইট ভেবে চলে যাবেন বিপজ্জনক সাইটে। ফিশিং লিংক গুলো মূলত এভাবেই তৈরি করা হয়।
বিভিন্ন লিংক এর কভার অনেক সময় উপলব্ধ থাকে। অনেক সময় পুরো কনটেন্ট এর হেডিং দেখা যায়। কভার বা হেডিং এ কোনো প্রকার অশ্লীল ইঙ্গিত পেলে সাথে সাথে লিংক টি এড়িয়ে যাবেন। কেননা এই ফাঁদে পড়ে আপনি নানান অসামাজিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারেন। এমনকি এই লিংকে প্রবেশের মাধ্যমে কুচক্রী দলের ব্ল্যাকমেইল এর সম্মুখীন হতে পারেন।
সুতরাং সন্দেহজনক কোনো লিংকে হুটহাট প্রবেশ করা যাবে না। এতে সামাজিক, মানসিক এবং আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশাকরি উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য গুলো বিবেচনা করে আপনি বিপজ্জনক লিংক চিহ্নিত করতে পারবেন এবং সাবধান হতে পারবেন।
অনেক সাবধানতা অবলম্বন করার পরেও অনেক সময় না বুঝে কিংবা ভুল করে আমরা বিপজ্জনক লিংকে প্রবেশ করে ফেলি। দেখা যায় এরপর থেকে আমাদের মোবাইলটি আর ঠিকমতো কাজ করে না৷ মোবাইলের সব ফাংশনে ঠিকমতো প্রবেশ করা যায় না। হয়তো অনেকেই ইতোমধ্যে এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই অবস্থায় কীভাবে নিজেকে হ্যাকার দের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবেন?
আপনি কোনো ফিশিং লিংকে প্রবেশ করলেই সাথে সাথে বুঝতে পারবেন যে কিছু তো একটা গড়বড় হয়েছে। তখনই সাথে সাথে ঐ সাইট থেকে বেরিয়ে এসে ব্যবহৃত সবগুলো অ্যাপ রিফ্রেশ করে ফেলবেন। সাথে সাথে মোবাইলের ইন্টারনেট কানেকশন কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে রাখবেন৷ এরপর আপনার মোবাইলটি সুইচ স্টপ করে আবার ওপেন করবেন৷ এতে আপনার মোবাইল আগের তুলনায় ভালো অ্যাক্সেস করা যাবে। এরপর যাবতীয় সকল সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে আরও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করবেন। নিজের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট গুলো চেক করে দেখবেন ব্যালেন্স এর কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা। আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে আপনাকে ফিশিং লিংক এর মাধ্যমে হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাহলে আপনার ফিন্যান্সিয়াল লেনদেন যে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয় ঐ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন৷ প্রয়োজনে অ্যাকাউন্ট পিন এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করবেন।
কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর যদি আপনার কোনো পাসওয়ার্ড বা অ্যাকাউন্ট নাম্বার চায় তাহলে সেখান থেকে সাথে সাথে বেরিয়ে আসবেন। হাজার টাকার প্রলোভন দেখালেও কখনও এই ফাঁদে পড়বেন না। একটু সচেতনতা অবলম্বন করতে পারলেই আমরা অনলাইন দুনিয়ায় নিরাপদ থাকতে পারবো।
আশাকরি এরপর থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময় আরও বেশি সচেতন থাকবেন। ভুলবশত নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না। তাছাড়া এসএমএস বক্স, ইমেইল এর ইনবক্সে আসা কোনো লিংকে না বুঝেই প্রবেশ করবেন বা৷ খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কোনো লিংক ওপেন করারই দরকার নেই৷ এতে ভুলবশত না বুঝেই অনেক ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে।
আপনার ডিজিটাল প্রোপার্টি নিরাপদ থাকুক, সুরক্ষিত থাকু্ক এই কামনা রইলো। ধন্যবাদ।
আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।