আইফোনে কীভাবে ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করবেন?

Level 12
কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা

ডার্ক ওয়েব নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে। আর এই কৌতূহল থেকেই আমরা স্বাভাবিকভাবে অ্যাক্সেস করার কথা চিন্তা করি। অন্যান্যদের মতো আপনিও কি আপনার iphone থেকে ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করতে চান?

আপনার কাছে ডার্ক ওয়েব প্রবেশ করার বিষয়টি অনেক জটিল মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কিছু সঠিক টুল ব্যবহার করেন, তাহলে ডার্ক ওয়েবে অ্যাক্সেস করা খুবই সহজ। এজন্য শুধুমাত্র আপনার একটি Virtual Private Network, Onion Browser, Dark website এর ওয়েবসাইট লিংক প্রয়োজন।

আজকের এই টিউনটিতে আমি আপনাদেরকে আইফোন থেকে ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করার প্রক্রিয়াটি দেখাবো। আপনি একই পদ্ধতিতে আইপ্যাড থেকে ও ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারেন। যাইহোক, আজকের এই টিউনটির বিস্তারিত টিউটোরিয়ালে যাওয়ার আগে চলুন আরো একবার জেনে নেওয়া যাক যে, ডার্ক ওয়েব আসলে কি এবং এটির ভিতরে আসলে কী রয়েছে?

ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব কাকে বলে?

ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব কাকে বলে?

অনেকেই রয়েছেন যারা ডার্ক ওয়েব এবং ডিপ ওয়েব কে আপনি মনে করেন এবং এই বিষয়ে বিভ্রান্ত হন। তাই আমাদেরকে এই দুইটি ওয়েব সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।

ডিপ ওয়েব কে মূলত ইন্টারনেটের একটি সেকশন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ইন্টারনেটের এই অংশটি বেশি ব্যবহৃত হয়। ডিপওয়েব মূলত Hidden একটি ওয়েব, যেটি সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে দেখা যায় না। এই ওয়েবে থাকা বিষয়বস্তুগুলো সার্চ ইঞ্জিন যেমন: Google, Bing এর Yahoo এর মত সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ইনডেক্স হয় না। ডিপ ওয়েব এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, আমাদের গুগল ড্রাইভে জমা থাকা আর ডেটা, ফেসবুকে টিউন করা প্রাইভেট ফটো এবং ইমেইল ইত্যাদি।

অন্যদিকে Dark web কে Deep web এর একটি উপবিভাগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ডিপ ওয়েব এর কনটেন্ট গুলোর মতই এই সাইটগুলোর কনটেন্ট ও ইনডেক্স করা হয় না এবং এগুলো শুধুমাত্র বিশেষ ধরনের ব্রাউজার ব্যবহার করার মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যায়।

ডিপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েবের মধ্যে পার্থক্য

ডিপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েবের মধ্যে পার্থক্য

Accessibility: ডিপ ওয়েব এর অন্তর্ভুক্ত কোন একটি বিষয়বস্তুতে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল এর প্রয়োজন এবং সেটির অ্যাক্সেস নিতে Login details প্রয়োজন। আর অন্যদিকে, ডার্ক ওয়েবে অ্যাক্সেস করার জন্য সেই ওয়েবসাইটটির URL এবং একটি বিশেষ ধরনের ব্রাউজার প্রয়োজন।

Search Engine Friendliness: ডিপ ওয়েব এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তুগুলো সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শিত হয় না। সেগুলো অ্যাক্সেস করার জন্য মূল ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করার প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, ডার্ক ওয়েবের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্ট গুলো মোটেও সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শিত হয় না।

Cross browser capabilities: ডিপ ওয়েবের কনটেন্ট যেকোনো ব্রাউজার ব্যবহার করে অ্যাক্সেস করা যায়। কিন্তু, Dark web-এর কনটেন্ট শুধুমাত্র Tor এর মতো বিশেষ ধরনের ব্রাউজার ব্যবহার করেই অ্যাক্সেস করা যায়।

Example: জিমেইলের মেইল, ফেসবুক ইনবক্স এর মেসেজ, গুগল ড্রাইভের ডেটা ডিপ ওয়েব এর উদাহরণ। আর, Tor exclusive email service, Darknet market হল ডার্ক ওয়েবের উদাহরণ।

আইফোনে ডার্ক ওয়েব করা কি নিরাপদ?

আইফোনে ডার্ক ওয়েব করা কি নিরাপদ?

যদিও ডার্ক ওয়েবে অ্যাক্সেস করার বিষয়টি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়, আর এটি খুবই কম নিরাপদ। কেননা ডার্ক ওয়েবে বেশ কিছু বিপদজনক জায়গা রয়েছে, যেখানে একজন ব্যবহারকারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। ডার্ক ওয়েবে এমন কিছু ঝুঁকি রয়েছে যা ডার্ক ওয়েব ব্রাউজ করার সময় আপনাকে সেগুলো বিষয় গুলো সম্বন্ধে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এবার আমরা ডার্ক ওয়েবে সংঘটিত হয়ে থাকে এমন কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানবো।

স্ক্যাম

আপনি ডার্ক ওয়েবে এমন কিছু সাইট দেখতে পাবেন, যেগুলো আপনাকে বিনামূল্যে অথবা খুবই কম দামে ক্রিপ্টোকারেন্সি দেওয়ার মতো লোভনীয় অফার করবে। আপনি যদি এখানে কোন একটি অফার দেখে সেটিকে সত্য বলে মেনে নেন এবং সেটির সাথে জড়িয়ে যান, তাহলে আপনি অনেক বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। এখানে আরো একটি ঝুঁকির কারণ হলো, ডার্ক ওয়েবে স্ক্যাম শনাক্ত করা অনেক কঠিন। কেননা, আমরা কোন একটি ওয়েবসাইটের ব্যাপারে অনুসন্ধান করার অংশ হিসেবে যেমন Google এ সার্চ করে সেটি সম্পর্কে জেনে নিতে পারি, ডার্ক ওয়েবের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয়। ডার্ক ওয়েবের কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ফিশিং এবং অন্যান্য স্ক্যাম এর সাথে জড়িত কিনা, সেটি আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন না।

বেশিরভাগ dark website গুলোই মূলত পুরাতন ইউজার ইন্টারফেস দিয়ে তৈরি এবং শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক ওয়েবসাইটগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে তারা বৈধ ব্যবসা করে। তাই ডার্ক ওয়েবে থাকা প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেস দেখে আপনি সেগুলোকে আসল কিংবা স্ক্যাম সাইট হিসেবে বিবেচনা করতে পারবেন না। এমনকি, সেই সাইটটি ফেক কিনা, সেটি জানার জন্য ইউআরএল দেখে ও বলতে পারবেন না। কেননা, ডার্ক ওয়েব এর অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের ইউআরএল গুলো আমাদের নিত্যদিনকার ব্যবহৃত ওয়েবসাইটগুলোর ইউআরএল এর তুলনায় ভিন্ন। ডার্ক ওয়েবে যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোর Listed রয়েছে, সেসব ওয়েবসাইট গুলোর ইউআরএল এর ভেতরে বিভিন্ন সংখ্যা এবং ক্যারেক্টার থাকে।

যাই হোক, আপনি যদি কোনভাবে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করেন, তাহলে ম্যালওয়্যার, ফিশিং আক্রমণ এবং স্প্যাম থেকে নিজেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোনভাবেই সন্দেহজনক লিংকগুলোতে ক্লিক করবেন না। এছাড়াও, ডার্ক ওয়েবের থাকা কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট সার্চ করে বের করা অনেক কঠিন। তাই, ডার্ক ওয়েববের নির্দিষ্ট কাজের জন্য সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল জানা জরুরী।

Botnet (বটনেট)

বটনেট হল ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস গুলোর একটি নেটওয়ার্ক, যা সাধারণত তাদের মালিকদের অজান্তেই ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে। বট নেটের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেই আক্রমণকারী DDOS Attack, ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ডিভাইস গুলোকে কাজে লাগাতে পারে।

যদি ডার্ক ওয়েবে বট নেট কাজ করে, তবে এটি শনাক্ত করা কিংবা এটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার সম্ভাবনা কম। আসলে কিছু হ্যাকার রয়েছে যারা তাদের বটনেট ভাড়া বা বিক্রি করে থাকে। যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের জন্য, যে কেউ ডার্ক ওয়েব থেকে এসব সংক্রমিত ডিভাইস গুলির একটি বিশাল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ পেতে পারে।

পাইরেটেড সামগ্রী

আমাদের ব্যবহৃত সার্ফেস ওয়েব এর মত ডার্ক ওয়েবে ও অনেক গেম, সিনেমা, সফটওয়্যার, টিভি শো এবং আরো অনেক কিছুর ই পাইরেটেড সামগ্রী রয়েছে। আমরা সার্ফেস ওয়েব ব্যবহার করে খুব সহজেই গুগলে কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করে কোন পাইরেটেড সামগ্রী ডাউনলোড করতে পারি; ঠিক একইভাবে ডার্ক ওয়েবে এই কাজটি আরো বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে।

আপনি যদি ডার্ক ওয়েব থেকে এ ধরনের কনটেন্টগুলো ডাউনলোড করার কথা চিন্তা করেন, তাহলে আপনাকে সেই দেশের আইন সম্পর্কে জানা উচিত। আপনি যদি আপনার অজান্তেই এমন কোন কিছু ডাউনলোড করে সেটি ব্যবহার করেন, যা আপনার দেশের আইন-বিরোধী, তাহলে আপনি পরবর্তীতে বিপদে পড়তে পারেন। আর নিরাপদ থাকার জন্য আমি আপনাদেরকে ডার্ক ওয়েব থেকে কোন কিছু ডাউনলোড না করার জন্য পরামর্শ দিব। কেননা এখানে আপনার অজান্তেই আপনি আপনার পিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ ম্যালওয়ার ও ডাউনলোড করতে পারেন।

অবৈধ পর্নোগ্রাফি

ডার্ক ওয়েবে এরকম অনেক অবৈধ প*র্ণ সাইট রয়েছে, যেগুলোতে অনেক নিষিদ্ধ কনটেন্ট রয়েছে। আপনি যদি এই সকল ওয়েবসাইট থেকে ভুলবশত ভিডিও গুলো ডাউনলোড করেন কিংবা দেখেন, তাহলে আপনি আপনার দেশের আইন ভঙ্গ করতে পারেন; যা পরবর্তীতে আপনাকে বিপদে ফেলবে।

আপনি ডার্ক ওয়েবে কোন একটি সাইটে ক্লিক করার আগে লিংক ডিরেক্টরিতে Site description দেখতে ভুলবেন না; যেটি আপনাকে সেই লিংকের বিষয়বস্তুর সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে পারে। আপনার অবশ্যই এই ধরনের সাইটগুলো থেকে কোন ভিডিও ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ সেগুলো ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

আইফোনে কীভাবে নিরাপদ এর ডার্ক ওয়েব করবেন?

আইফোনে কীভাবে নিরাপদ এর ডার্ক ওয়েব করবেন?

তোর নেটওয়ার্কগুলো ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করার জন্য সবচাইতে নিরাপদ একটি উপায়। আপনি অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আপনার ডিভাইসে প্রথমে একটি ভিপিএন সংযুক্ত করে নিন এবং তারপর Tor browser ব্যবহার করুন। অনেক দেশের সরকার এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীরা Tor ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করতে পারে। আর এক্ষেত্রে আপনি যদি একটি ভিপিএন ব্যবহার করেন, তাহলে একে আপনার অনলাইন এক্টিভিটি গুলোকে লুকিয়ে রাখবে এবং আপনার পরিচয় প্রকাশ করতে দিবে না। আর তাই, টর ব্রাউজার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহারকে একটি অতিরিক্ত কৌশল বলতে পারেন।

ধাপ ১: একটি ভিপিএন কানেক্ট করুন

আপনি যদি ডার্ক ওয়েব প্রবেশ করতে চান, তাহলে আপনি একটি VPN দিয়ে আপনার আইপি এড্রেস কে হাইড করতে এবং আপনার ইন্টারনেট সংযোগ এনক্রিপ্ট করতে পারেন। একটি VPN এবং Tor এক জিনিস নয়, যদিও তারা উভয় আপনাকে এনক্রিপ্ট করা সংযোগ প্রদান করবে। আপনি যে টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন, একটি ভিপিএন আপনার আইএসপি এবং অন্যদেরকে এটি খুঁজে বের করা থেকে বিরত রাখবে।

টর ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনি যদি ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন, তাহলে এই নেটওয়ার্কটি আপনাকে বিভিন্ন সার্ভার এর ভেতর দিয়ে সেই ট্রাফিকটি ঘুরিয়ে আবার আপনার কম্পিউটারে নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে, পথিমধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক এর উৎস হিসেবে আপনার কম্পিউটারের এড্রেস কখনোই প্রদর্শিত হবে না। অন্যদিকে, একটি ভিপিএন প্রথমেই আপনার সংযোগ কে এনক্রিপ্ট করবে এবং আপনার আইএসপিকে ও আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিকের উৎস জানতে দেবে না।

ধাপ ২: Onion Browser ডাউনলোড এবং ইন্সটল করুন

টর ব্রাউজার হল ডার্ক ওয়েবে অ্যাক্সেস করার জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় একটি উপায়, কিন্তু এটি iOS ডিভাইসের জন্য সাপোর্টেড নয়। কিন্তু, আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য টর ব্রাউজার ব্যবহার করার সুবিধার না থাকলেও, এর বিকল্প হিসেবে রয়েছে Onion Browser; যা Tor নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার ট্রাফিককে রুট করে। ম্যালওয়্যার এর ঝুঁকি এড়াতে আপনি এই ব্রাউজারটি Onion browser official সাইট থেকে ডাউনলোড করুন।

ধাপ ৩: ডার্ক ওয়েব ব্রাউজ করুন

ডার্ক ওয়েব ব্রাউজ

Onion Browser আপনাকে আপনার আইফোনের ডার্ক ওয়েবের.onion যুক্ত ডোমেইনগুলো দেখার অনুমতি দিবে। ডার্ক ওয়েব এর বেশিরভাগ বিষয়বস্তুগুলোই যেহেতু অনিয়ন্ত্রিত, তাই আপনার কখনোই কোন ওয়েবসাইটের বৈধতা যাচাই না করেই হিডেন ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস করা উচিত নয়। ডার্ক ওয়েব এর ওয়েবসাইট গুলো স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ। আর আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটের ব্যাপারে না জেনে সেটিতে কোন কার্যকলাপ করেন তবে আপনার সাইবার ঝুঁকির পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।

ধাপ ৪: আপনার পরিচয় সুরক্ষিত রাখুন

যদিও ডার্ক ওয়েব সব সময় বিপদজনক হয়ে থাকে না, তবে এটি স্ক্যাম এবং অন্যান্য হুমকির জন্য একটি আদর্শ জায়গা। আপনি যদি ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে কোন কিছু কেনাকাটা করেন, তাহলে ডার্ক ওয়েবে কেনাকাটার সময় বা যোগাযোগ করার সময় আপনাকে অবশ্যই কোন Anonymous এবং Encrypted email address ব্যবহার করা উচিত। আর লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা উচিত, এতে করে ডার্ক ওয়েবে আপনার পরিচয় গোপন থাকবে।

আর অতিরিক্ত নিরাপদ তার অংশ হিসেবে, আপনি ডার্ক ওয়েব এক্সেস করার আগে এন্টিভাইরাস এর মত কোন সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারেন, যা আপনাকে আপনার ডিভাইস দিয়ে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করবে।

শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আপনি যেহেতু বর্তমানে নিশ্চিত হয়েছেন যে, আই ফোনে কিভাবে নিরাপদে ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করা যায়, তাই আপনি এখন থেকেই ইন্টারনেটের এই অংশটি অ্যাক্সেস করতে পারেন। তবে, আইফোনে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করার সময় অবশ্যই উপরের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করবেন। যাইহোক, আজ তবে আজকের টিউনটি এখানেই শেষ করছি। টিউন সম্পর্কিত আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই টিউনমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।

Level 12

আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 319 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 60 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস