অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং কী এবং এটি কীভাবে সাহায্য করে?

টিউন বিভাগ সাইবার সিকিউরিটি
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 15
কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা

বর্তমানে আমাদের কাছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট একটি সহজলভ্য বিষয়। ইন্টারনেটের বা প্রযুক্তির এই উন্নতির ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক সুবিধা এসেছে। কিন্তু, প্রযুক্তির অনেক সুবিধা থাকলেও, এর অপব্যবহার ও রয়েছে। আজকের এই টিউনটিতে আমরা জানবো অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং কী এবং এর সুবিধা গুলো কী কী?

বর্তমানে সমাজের উচ্চ অপরাধের কারণে, কোন একটি প্রতিষ্ঠান তার ব্যবহারকারীদের নজরদারি করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেটআপ করে। এখানে আমরা অনলাইনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলছি। যেখানে, তাদের সেট করা Automated সিকিউরিটি সিস্টেম কিছু প্যারামিটারের ভিত্তিতে প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে স্ক্যান করে এবং তারপর সার্ভারের ডেটা এক্সেস করতে দেয়।

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যে ব্যবস্থায় কোন একটি নেটওয়ার্কে সন্দেহভাজন প্রবেশ আটকানো হয়।

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং কী?

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং কি

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং হল আপনার নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমে অ্যাক্সেস থাকা থেকে কিছু অ্যাপ্লিকেশনকে ব্লক করার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় আপনি কোন একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন অ্যাপকে অথবা কোন একটি সার্ভিসকে ব্লাকলিস্টে রাখতে পারবেন কিংবা কোন একটি ওয়েবসাইটকে ব্ল্যাকলিস্টে রেখে দিতে পারবেন। ব্ল্যাক লিস্টিং করার অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে‌। এসবের মধ্যে যেমন: ইমেইল ব্ল্যাকলিস্টিং এবং আইপি এড্রেস ব্ল্যাক লিস্টিং ইত্যাদি।

যাইহোক, সন্দেহযুক্ত কোন একটি ওয়েবসাইট বা প্রোগ্রামকে কাল তালিকাভুক্ত করার মাধ্যমে সাইবার হামলার মত অনেক মারাত্মক ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে এতটা সহজ করে দিয়েছে যে, আপনি আপনার বাড়ি থেকেই সকল কাজ আরামে করতে পারেন। তবে, আপনি যদি অনলাইন থেকে নিজেকে রক্ষা না করেন, তাহলে আপনি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। বর্তমানে প্রতিনিয়ত ডেটা হ্যাকিং এবং তথ্য ফাঁসের মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আর এসব ঘটনা গুলো সঠিক নিরাপত্তা খুঁজে পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক কঠিন করে তুলেছে।

কীভাবে অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাক লিস্টিং সাহায্য করতে পারে?

কীভাবে অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং সাহায্য করতে পারে?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণকারীদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে। যদিও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকতে পারে, কিন্তু সেই Cyber Security যথেষ্ট নয়।

এক্ষেত্রে কোন একটি অ্যাপ্লিকেশন কে ব্ল্যাক লিস্টিং করা জরুরী হয়ে যায়। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনার নেটওয়ার্ক টি সাইবার অ্যাটাক এর সম্মুখীন হবে না, তাহলে এটি হবে ভুল ধারণা। সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে মিথ গুলোর মধ্যে একটি হল, "আমার নেটওয়ার্ক টি হ্যাকারদের টার্গেট হবে না" এরকম ধারণা। যাইহোক, সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে এরকম ধারণা আপনাকে আক্রমণের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

আমরা অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং এর গুরুত্বপূর্ণ যথেষ্ট জোর দিতে পারি না। চলুন এবার Application Blacklisting এর কিছু উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।

১. Unauthorized Access প্রতিরোধ করে

আপনি কি কখনো এমন কোন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করেছেন, যেখানে যেখানে পপ আপ বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করে? এরকম হচ্ছে যে বিজ্ঞাপণ গুলো আপনার সিস্টেমের গতি কমিয়ে দিতে পারে এবং আপনার Data খরচ করে।

আপনি যেরকমভাবে কোন একটি মেইল এড্রেস কে Spam লিস্টে যুক্ত করার মাধ্যমে সেটি থেকে মেসেজ Avoid করতে পারেন; ঠিক তেমনিভাবে আপনি কিছু ব্রাউজারে Pop-up Blocker ব্যবহার করে আপনার স্ক্রিনে এসব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট গুলো বন্ধ করতে পারেন। ঠিক একই রকম ভাবে আপনি মোবাইলের ক্ষেত্রে, নাম্বার ব্ল্যাকলিস্টে যুক্ত করার মাধ্যমে সেটি থেকে কল আসা Restricted করতে পারেন।

২. সময়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য অ্যাপ ব্যবহারে Limitation আনুন

সারাদিনের অনলাইনে ব্যস্ততা আপনাকে কোন একটি জরুরী কাজ থেকে সহজেই বিভ্রান্ত করতে পারে। বর্তমানে সারা বিশ্বের অনেক মানুষ ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটক ব্যবহার করেন। আর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ গুলোতে বেশি সময় থাকার কারণে, সময়ের প্রতি অনেক সময় খেয়াল থাকে না। এ ধরনের অ্যাপ গুলো অনেক সুন্দর সুন্দর পিকচার, অ্যামেজিং ভিডিও এবং নানা ধরনের বিনোদনমূলক কন্টেন্টে পরিপূর্ণ থাকে।

এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গুলোর উপর আপনার নিয়ন্ত্রণের অভাবের কারণে কর্মক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্টিভিটি এবং দক্ষতার উপর প্রভাব ফেলে। যদিও এসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো আপনাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং আমাদের জীবনকে অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে, তবে এসব অ্যাপ্লিকেশন গুলোর সঠিক ব্যবহার আপনার ভালোর চেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আপনি এবার নিজে থেকে চিন্তা করুন যে, কোন অ্যাপস গুলো আপনাকে কর্মক্ষেত্রে প্রভাবিত করছে। এবার আপনি এসব অ্যাপ গুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটিকে Blacklisting অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্ল্যাকলিস্ট করুন, যেগুলো আপনাকে আপনার নিয়মিত কাজগুলো করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করছে। উদাহরণস্বরূপ: আপনি ফেসবুক বা টিকটক এর মত গুলোকে Blacklisting করে রাখতে পারেন।

৩. ব্ল্যাক লিস্টিং অ্যাপ্লিকেশন গুলো সন্দেহজনক এবং Malicious প্রোগ্রামগুলো ব্লক করে

ব্ল্যাকলিস্টিং হলো এমন একটি কার্যকর উপায়, যা আপনার সিস্টেম কেম ম্যালওয়্যার এর হাত থেকে সিকিউর করে। আপনি নিশ্চয় আপনার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক কে এমন ম্যালওয়্যারের সাথে জড়িত হতে দিতে চান না, যেটি আপনার নেটওয়ার্কের সবকিছু এক্সেস করতে সক্ষম।

Blacklisting Application গুলো এরকম ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারের এড্রেসগুলো ব্লক করে।

৪. এটি এন্টিভাইরাস হিসেবে কাজ করে?

বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং সফটওয়্যার গুলো কোন একটি ফাইল এর ভাইরাস ডিটেক্ট এবং সেগুলো ব্লক করতে সহায়তা করে। আপনি অনেক সময় আপনার অজান্তে ইন্টারনেট থেকে অনেক Corrupted File ডাউনলোড করতে পারেন, যা আপনার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতি করতে পারে।

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং সফটওয়্যার গুলো আপনাকে আপনার ডিভাইসের সম্ভাব্য বিপদগুলো সম্পর্কে সতর্ক করে। আর এই কারণেই এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন আপনার হয়েছে ইন্সটল করা থাকলে, তা আপনাকে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সতর্ক করে যে, আপনি যে অ্যাপ্লিকেশন বা ফাইলটি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন, তা আপনার ডিভাইসের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৫. আপনার ডিভাইসের সিস্টেম Organized করে

আপনি যে সমস্ত অ্যাপস গুলো ব্যবহার করবেন না, Blacklisting Application এমন অ্যাপ্লিকেশন গুলোকে ব্লক করে; যা আপনার ডিভাইসকে আরো বেশি Organizing করতে সহায়তা করে। আপনি Blacklist Apps গুলোর একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং কীভাবে কাজ করে?

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং কীভাবে কাজ করে?

একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্ট হল FBI বা পুলিশের লিস্টে থাকা অপরাধীদের তালিকার মত। তবে, এখানে থাকা সমস্ত ব্যক্তি খারাপ লোকদের অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারে; তবে এটি চিহ্নিত ব্যক্তিদের ধরার ক্ষেত্রে কিংবা আরও নিরাপদ সমাজ তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়তা করে। অর্থাৎ, এই লিস্টে এমন সব লোকদের নাম রয়েছে, যারা কোন বড় অপরাধী না হলেও, তারা অপরাধ সংগঠিত করতে পারে কিংবা তাদের এরকম স্বভাব রয়েছে। আর তাই কোন বিশেষ অভিযানে তাদের সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়।

কোন একটি অ্যাপ্লিকেশনকে যদি ব্লাকলিস্ট না করা হয়, তখন সেটি আপনার সিস্টেমের সব ধরনের সফটওয়্যার এর জন্য উন্মুক্ত হবে। বিভিন্ন উপায়ে Application Blacklisting কাজ করে?

১. ইমেইল ব্ল্যাকলিস্টিং

সাইবার অপরাধীরা আক্রমণ করার মাধ্যম হিসেবে ইমেইলকে প্রথম যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। এক্ষেত্রে সাইবার অপরাধী বা হ্যাকারেরা সেই ব্যক্তির কাছে ইমেইলে অনেককে ডকুমেন্ট পাঠায় এবং সেটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে পিসিতে ভাইরাস ইন্সটল হয়ে যায়।

তাই আপনি এসব সন্দেহজনক ইমেইল এড্রেস কে চিহ্নিত করে সেগুলোকে Spam লিস্টটা যোগ করতে পারেন অথবা তাদের ইমেইলে Unsubscribe করতে পারেন। তবে, আপনি কিন্তু সেই আক্রমণকারীর কাছ থেকে মেসেজ আসার পরেই শুধুমাত্র তাকে Spam লিস্টে যুক্ত করা কিংবা ব্লক করতে পারবেন।

যাইহোক, আপনি যদি কোন একটি ইমেইল এড্রেস কে ব্ল্যাক লিস্টে যুক্ত করে রাখেন, তাহলে তার কাছ থেকে আশা মেসেজগুলো আপনার ইনবক্সে আর দেখাবে না, যদি না তারা অন্য কোন ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে আবার আপনাকে মেইল করে।

২. ওয়েবসাইট ব্ল্যাকলিস্টিং

আপনার দেখা এমন কোন ওয়েবসাইট কি রয়েছে, যেটি আপনি আর ব্যবহার করতে চান না? আপনি চাইলে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস করা বন্ধ করতে পারেন। আপনার যদি এমন সন্দেহ হয় যে, আপনার অজান্তে আপনার কম্পিউটার থেকে অন্য কেউ সেই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে পারে, তখন আপনি সেই ওয়েবসাইটটিকে ব্ল্যাক-লিস্ট করে রাখতে পারেন। এতে করে পরবর্তীতে আপনার ডিভাইস থেকে সেই ওয়েবসাইটে আর প্রবেশ করা যাবে না।

৩. IP Address ব্ল্যাক লিস্টিং

বিশ্বে এমন কিছু দেশ এবং লোকেশন রয়েছে, যেখানে প্রচুর পরিমাণে স্ক্যামার এবং সাইবার অপরাধী হয়েছে বলে জানা যায়। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে এমন ধরনের লোকেশন থেকে ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিয়ে থাকেন, তাহলে এটি আপনাকে সাইবার আক্রমণের বিষয়ে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি যে, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে প্রচুর পরিমাণে স্ক্যামার রয়েছে।

আপনি নিজেকে রক্ষা করতে, সেখান থেকে আসা মেসেজ বা কল প্রতিরোধ করার জন্য সেই লোকেশনের IP Address ব্ল্যাকলিস্টে যুক্ত করে রাখতে পারেন।

৪. Apps Blacklisting

আপনার সিস্টেমে কি এমন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যা আপনার সিস্টেমের জন্য নিরাপদ নয়? এসব অ্যাপ্লিকেশন গুলোর কারণে আপনার সিস্টেম অপ্রত্যাশিতভাবে ক্রাশ হতে পারে, কাজ করার ক্ষেত্রে সিস্টেম ধীর গতির হতে পারে কিংবা আপনার Personal Details Access করতে পারে। আপনি আপনার ব্ল্যাকলিস্টে এসব অ্যাপ যোগ করে এই ধরনের কোন প্রবেশ রোধ করতে পারেন।

৫. ফাইল ব্ল্যাকলিস্টিং

সাইবার অপরাধীরা তাদের কোন একজন ব্যক্তিকে টার্গেট করার জন্য Malicious Program যুক্ত ফাইল ব্যবহার করে। তারা এই ধরনের ফাইলগুলো এমন ভাবে ডিজাইন করে, যেন এই ফাইলগুলো দেখতে একেবারে অথেনটিক ফাইল বলে মনে হয়।

এই ধরনের ফাইল ফরমেট গুলো নোট করুন এবং সেগুলোকে আপনার ব্ল্যাকলিস্টে যুক্ত করুন; যা পরবর্তীতে এই ধরনের ফাইলগুলোতে অ্যাক্সেস Deny করবে। আর আপনি যদি এক ধরনের ফাইল ফরমেট ব্ল্যাকলিস্টে যুক্ত করেন, তবে পরবর্তীতে সাইবার অপরাধীদেরকে আপনার ব্লাকলিস্ট বাইপাস করার জন্য ভিন্ন কোন ধরনের ফাইল ফরমেট ব্যবহার করতে হবে।

কর্মদক্ষতার জন্য আপনার অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্ট এর তালিকা বৃদ্ধি করুন

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্ট এর তালিকা

বর্তমানে সাইবার সিকিউরিটি অব্যাহত-ভাবে বিকশিত হওয়ার কারণে সাইবার অপরাধীরাও আপডেট হচ্ছে। আপনার নেটওয়ার্ক বা আপনার ডিভাইস স রক্ষা করার কার্যকর উপায় হল সচেতন থাকার মানসিকতা গ্রহণ করা।

অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টে আপনাকে সম্ভব বা আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কোনভাবে আক্রমণকারীরা আপনার নেটওয়ার্কে কখনো অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করলে, আপনার ব্ল্যাকলিস্ট সেটিং এর কারণে তারা তা করতে পারবেন না। তাই আপনি সর্বক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী Blacklist তৈরি করুন, যাতে করে সাইবার অপরাধীরা কোনভাবেই আপনার ডিভাইসে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।

শেষ কথা

আমাদের প্রতিদিনকার অনলাইন অ্যাক্টিভিটি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি ও বাড়ছে। তবে, আমাদের কিছু পদক্ষেপের ফলে সাইবার অপরাধীদের অনেক কার্যক্রমই আটকে দেওয়া সম্ভব। আর সেই কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হতে পারে অ্যাপ্লিকেশন ব্ল্যাকলিস্টিং। যেটি আমাদের ডিভাইসের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সিকিউরিটির ক্ষেত্রেও সমান কাজ করে।

যাইহোক, আজ তাহলে এখানেই টিউনটি শেষ করছি। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।

Level 15

আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।

“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস