বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় 84 শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আর প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনের উপর মানুষের নির্ভরতা আরো বেড়েই চলেছে। দিন দিন মানুষের স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে, এই ডিভাইসগুলো স্ক্যামারদের জন্য আক্রমণের একটি আকর্ষণীয় উপায় হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি কিংবা কোনো তথ্য হাতিয়ে নেবার জন্য, তারা এই ডিভাইসকে টার্গেট করে।
গতবছর সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক কোম্পানি Kaspersky মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৩.৫ মিলিয়ন Malicious attack সনাক্ত করেছে। আমরা আমাদের ফোনে টেক্সট মেসেজ বা ই-মেইল এর মাধ্যমে যে সমস্ত স্প্যাম মেসেজগুলো পাই, সেগুলোতে প্রায়ই ভাইরাসের লিংক থাকতে পারে। যা এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার। এছাড়াও, অন্যান্য ভাবেও আমাদের ফোনে Malware গুলো আসতে পারে।
আপনার ফোনে আসা ম্যালওয়্যার গুলোতে যদি ক্লিক করেন, অথবা কোনভাবে যদি সেটি মোবাইলে ইন্সটল হয়ে যায়, তাহলে সেটি আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকবে। আর Malware গুলো আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলার কারণে, এটিকে আপনি দেখতে পাবেন না। আর এটি আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকেই তথ্য চুরি করতে থাকবে। Zimperium নামে একটি বেসরকারি কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুসারে, মোবাইল ডিভাইসগুলোর এক-পঞ্চমাংশের ও বেশী ম্যালওয়্যারের সম্মুখীন হয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ টি মোবাইলের মধ্যে চারটি মোবাইল সাইবার আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
কিন্তু, কিভাবে বুঝবেন যে আপনার মোবাইল ফোনটি ও টার্গেট করা হয়েছে এবং আপনার ফোনটিতেও ম্যালওয়্যার রয়েছে? যদি আপনার ফোনের সত্যিই কোন ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার থেকে থাকে, তাহলে এটির ব্যাপারে আপনি কি করতে পারেন?
শুধুমাত্র আমাদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত কম্পিউটার গুলোই ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয় না। বরং, আমাদের ব্যবহৃত ফোনগুলো ও Malware এবং Spyware দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর হ্যাকারেরাও Personal Computer এর পাশাপাশি মোবাইল ফোনগুলো ও টার্গেট করে থাকে। আর এতে করে তারা ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর উপর আরো বেশি নজর দিতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৬ সালে Hummingbird ভাইরাসটি তৈরি হবার কয়েক মাসের মধ্যেই এটি ১০ মিলিয়ন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসকে সংক্রমিত করে এবং প্রায় ৮৫ মিলিয়ন ডিভাইসকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
সাধারণত, একটি ফোনের ভাইরাসও একটি কম্পিউটারের ভাইরাসের মত কাজ করে। এক্ষেত্রে সেই ভাইরাসটির Malicious code প্রথমে মোবাইলে প্রবেশ করে এবং তারপর ডিভাইসটিতে ইফেক্ট করতে শুরু করে। সেই Virus-টি ফোনটিতে প্রবেশ করার পর, এটি তার কাজ করতে থাকে। এজন্য তা ডিভাইসটিতে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করে এবং আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের মেসেজ বা ইমেইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য কোন ডিভাইসে ফরওয়ার্ড করে। এক্ষেত্রে, আপনার অজান্তেই সেই কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকবে।
একটি ভাইরাস ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলার কারণে, এটি আপনার ফোনের কার্যকারিতাকে সীমিত করে দিতে পারে। একটি Virus আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে সেই হ্যাকারের কাছে পাঠাতে পারে। এছাড়া, এটি আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার যুক্ত আরো স্প্যাম লিংক পাঠাতে পারে। এমনকি, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফোনে ভাইরাসটি প্রবেশ করিয়েছে, তিনি আপনার ডিভাইসের স্ক্রিন এবং কিবোর্ডে টাইপ করা তথ্য গুলো ও দেখতে পারে। একটি ম্যালওয়্যার আপনার ভৌগলিক অবস্থান ট্র্যাক করতে পারে এবং যেটি আপনার উপর গুপ্তচরবৃত্তি।
অস্ট্রেলিয়ায়, ২০২১ সালে Scamwatch ৮ সপ্তাহের মধ্যে Flubot ভাইরাসের ১৬০০০ টি রিপোর্ট পেয়েছে। এই ভাইরাসটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন ব্যবহারকারীদের ফোনে ম্যালওয়্যার যুক্ত একটি টেক্সট মেসেজ পাঠায়। যে লিংকটিতে ক্লিক করলে, সেসব ফোনে একটি ম্যালেসিয়াস অ্যাপ ডাউনলোড হতে পারে এবং সেটি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। তারপর স্ক্যামাররা সেই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনার ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য গুলো অ্যাক্সেস করতে থাকে।
Flubot স্ক্যামাররা নিয়মিত তাদের টার্গেট করা দেশসমূহ পরিবর্তন করে। সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা Bitdefender এর মতে, Flubot অপারেটররা ১ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, জার্মানি, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে টার্গেট করে।
আমরা সবসময় এটি শুনে থাকি যে, অ্যাপলের ডিভাইসগুলো অ্যান্ড্রয়েড এর তুলনায় অধিক বেশি নিরাপদ হয়ে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড এর তুলনায় অ্যাপেলে নিরাপত্তা অনেক শক্তিশালী। যদিও অ্যাপেল এর ডিভাইসগুলোকে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড এর তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষিত মনে হয় এবং ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকিও কম। তবে যদি কোন আইফোন ব্যবহারকারী তার নিজের ফোনকে "Jailbreak" করে, তাহলে সে নিজেই নিজের ডিভাইসকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। "জেলব্রেক" হল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এর মত ফোনকে রুট করা। কেউ তার ফোনকে জেলব্রেক করলে, সে ইচ্ছামত তার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম লেভেলে পরিবর্তন করতে পারে। তবে, এতে ফোনের নিরাপত্তা আপডেট বাধাগ্রস্ত হয়।
একইভাবে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা যারা গুগল প্লে স্টোরের বাইরের অ্যাপ ইন্সটল করেন, তাদের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। প্লে স্টোরের বাইরে থাকা অ্যাপ গুলোতে বিভিন্ন ম্যালওয়্যার থাকতে পারে, যা ডিভাইসটির জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, গুগলের Play store ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ইন্সটল করা ঠিক নয়। অপরদিকে, অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপল উভয়তেই নিরাপত্তা ঝুঁকির ঝুঁকির কারণে, উভয় ডিভাইসের ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণত ব্যক্তিগত কম্পিউটারে তুলনায় মোবাইল ফোনগুলো ভাইরাসের আক্রমণ থেকে অধিক সুরক্ষিত থাকে। কেননা, এসব ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে একটি করে অনুমোদিত অ্যাপ স্টোর রয়েছে এবং সেখান থেকে ব্যবহারকারীরা অ্যাপ ইন্সটল করে থাকে। আর, প্রতিনিয়ত: গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্টোর থাকা অ্যাপগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে, কোন অ্যাপে যদি ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম থেকে থাকে, তাহলে সেটি ডিলিট করা হয়। এছাড়াও, এসব স্টোরে অ্যাপ অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রথমে সেটিকে রিভিউ করা হয় এবং পরবর্তীতেও কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটিকে সরিয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া কম্পিউটারের তুলনায় মোবাইল ফোনগুলো সুরক্ষিত হওয়ার আরো কারণ রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড কিংবা অ্যাপল ডিভাইসে অ্যাপ ইন্সটলের ক্ষেত্রে, তারা একটি নির্দিষ্ট একটি "Sandbox" পরিবেশে থাকে। এক্ষেত্রে কোন অ্যাপ অন্য কোন অ্যাপে অ্যাক্সেস করতে পারে না। যা একটি ডিভাইসকে সম্পূর্ণভাবে ম্যালওয়্যারের সংক্রমণের হাত থেকে অনেকটা বাঁচিয়ে দেয় এবং অন্যান্য অ্যাপ অনেকটা সুরক্ষিত থাকে।
আমরা জানি যে, অ্যাপল ডিভাইসগুলো ম্যালওয়্যার প্রতিরোধে অ্যান্ড্রয়েড এর চাইতে অনেক বেশি সুরক্ষিত। তবে, বর্তমানে তারাও এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই, বর্তমানে কোন ডিভাইসকেই অধিক সুরক্ষিত বলা যায় না।
যদিও আপনার ফোনটি বর্তমানে ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত কিনা, তা নিশ্চিতভাবে বা সহজভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে, আপনার ডিভাইস যদি অস্বাভাবিক আচরণ করে, তাহলে আপনি এসব লক্ষণগুলোর জন্য সতর্ক হতে পারেন। যেসব লক্ষণের জন্য সতর্ক হতে হবে:
এবার আপনি যদি মনে করেন যে, আপনার ডিভাইসে ক্ষতিকারক কোন ভাইরাস রয়েছে, তাহলে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। আর এজন্য প্রথমেই আপনাকে ডিভাইসটি থেকে ম্যালওয়্যারটি সরাতে হবে। তবে, কিভাবে আপনি আপনার ডিভাইস থেকে ক্ষতিকারক Malware গুলো সরাবেন? সেজন্য আমি আপনাদেরকে নিচে কয়েকটি সহজ সমাধান বেছে দিচ্ছি। আর এসব পদক্ষেপ গুলো হচ্ছে:
সর্বশেষ উপায় হিসেবে, আপনি আপনার স্মার্টফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন। এতে করে, আপনার ডিভাইস এর সমস্ত ডেটা গুলো মুছে যাবে এবং সেটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। Factory reset এর কারণে আপনার ডিভাইস এর সমস্ত তথ্য মুছে যাওয়ার ফলে, ডিভাইসটি থেকে ম্যালওয়্যার ও মুছে যাবে এবং আপনার ডিভাইসটি পূর্বের সেটিং-এ ফিরে যাবে।
আমরা খুব সহজেই আমাদের কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার যুক্ত ওয়েবসাইট কিংবা প্রোগ্রামগুলো পরীক্ষা করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, এখানে ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। ইন্টারনেটে আপনি এমন কোনো একটি লিংকে ক্লিক করতে পারেন, যেটিতে ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটারে অবাঞ্ছিত কোন প্রোগ্রাম ইন্সটল হবে। লোকেরা এই ধরনের প্রোগ্রামগুলোকে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার বা অ্যাডওয়্যার বলে থাকে। এই ধরনের প্রোগ্রাম গুলো মানুষের কম্পিউটারে প্রবেশ করে, তার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্রাউজার গুলোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এইসব ক্ষতিকারক প্রোগ্রামগুলো কম্পিউটারের ব্রাউজার থেকে আপনার একাউন্টের নাম্বার, পাসওয়ার্ড চুরি এবং আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রি-ডাইরেক্ট করতে পারে। Malware যুক্ত এই সাইট গুলো আপনাকে প্রায়ই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রি-ডাইরেক্ট করে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনাকে অনুপযুক্ত বিজ্ঞাপণ দেখায়। আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার দেখার জন্য নিচে কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে:
কোন একটি ওয়েবসাইটের পেজ লোড হবার পর, সেখানে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলোর জন্য সতর্ক থাকুন। যেখানে এসব বিজ্ঞাপণ গুলো অনুপযুক্ত ছবি প্রদর্শন করতে পারে, উজ্জ্বল রঙে বারবার ফ্লাশ করতে থাকে; অথবা আপনি যে পৃষ্ঠা দেখার জন্য চেষ্টা করছেন, সেটিও ব্লক করতে পারে।
কোন একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে বিজ্ঞাপণের ক্ষেত্রে আপনি যদি এরকম কোন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন, তাহলে অবশ্যই সেটিকে এড়িয়ে চলবেন। তবে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপণ এবং সেসব বিজ্ঞাপণ কিন্তু এক নয়।
আপনার ব্রাউজারের হোমপেজ কিছুটা আলাদা দেখাতে পারে অথবা আপনাকে সম্পূর্ণ নতুন একটি পেজে নিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, হোমপেজ এর ক্ষেত্রে আপনি যে সেটিং টি এপ্লাই করেননি, ম্যালওয়্যার আক্রমণে সেটি আপনার হোমপেজে এমনিতেই চলে আসতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্রাউজারে পছন্দসই সাইট আপনার হোমপেজ বা সার্চ ইঞ্জিন সেট করতে পারবেন না।
আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করা কিছু কিছু প্রোগ্রামের কারণে আপনার কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যেতে পারে অথবা এটি ক্রাশ করে দিতে পারে। আর এসবের কারণে কোন একটি পেজ লোডিং এর ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার আরো ধীর গতির হতে পারে কিংবা একেবারেই কাজ নাও করতে পারে।
তাই আপনি সেসব অ্যাপ গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন, যেগুলো ইন্সটল করার পরই আপনার কম্পিউটারটি ধীরগতির হয়েছে। ইন্টারনেট হলো তথ্য খোঁজার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। তবে এখানে তথ্য খোঁজার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কেননা, যেকোন সময় আপনি ম্যালওয়্যার যুক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজের কম্পিউটারকেও আক্রান্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি উপরের আলোচনা করা লক্ষণ গুলির মধ্যে কোন একটি খুঁজে পান, তবে অবশ্যই হতে সচেতন হবেন।
আপনার ফোনটি বর্তমানে ভাইরাস-মুক্ত হলেও ভবিষ্যতে সেটির নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। তাই, আপনার মোবাইলটির সবসময় নিরাপত্তার জন্য উপরে আলোচনা করা অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলো আপনার মোবাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। তবে, আপনার স্মার্টফোনটিকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে অধিক সচেতনতার জন্য নিচের কাজগুলো করতে পারেন:
সর্বশেষে, আপনি আপনার ফোনটি প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করতে থাকুন। কোনসময় ফোনটির কোন কার্যকলাপের ওপর আপনার যদি সন্দেহ হয়, তাহলে অবশ্যই সেটি নিয়ে কাজ করুন। আর আপনার ফোনটি স্পাইওয়্যার কিংবা ম্যালওয়্যার মুক্ত রাখার জন্য উপরের টিপসগুলো ফলো করুন।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 362 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)