
আমাদের অনলাইন Privacy আমরা অনেকেই যথেষ্ট ভাবি না। আমরা দিনের অনেকটা সময় Internet এ কাটাই। Social Media থেকে শুরু করে অনলাইন শপিং, অফিসের কাজ – সবকিছুই এখন Internet এর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই Digital Life এ আমরা কতটা নিরাপদ? আমাদের Personal Information কি সুরক্ষিত?
বর্তমান যুগে, বিভিন্ন Government এবং Corporation আমাদের ওপর নজর রাখছে। আমাদের অজান্তেই আমাদের Data Collect করা হচ্ছে, আমাদের Browsing Habits Track করা হচ্ছে। আর এই কারণে, নিজের Privacy Protect করাটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আজ আমি আপনাদের এমন কিছু সমাধানের কথা বলবো, যা আপনার অনলাইন জীবনকে আরও নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে পারে। এই সমাধানগুলো শুধু কার্যকরীই নয়, বরং ব্যবহার করাও খুব সহজ। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!

আমরা অনেকেই হয়তো ভাবি, "আমার তো লুকানোর কিছু নেই, তাহলে Privacy নিয়ে এত চিন্তা করে কি হবে?" কিন্তু একবার ভাবুন তো, আপনার Personal Information, যেমন আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল এড্রেস, আপনার Credit Card Details – এগুলো যদি ভুল হাতে পরে, তাহলে কি হতে পারে?
এছাড়াও, Government Surveillance এর কারণে আপনার ব্যক্তিগত জীবন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাও সীমিত হয়ে যেতে পারে। আপনি কি চান সরকার জানুক আপনি অনলাইনে কি করছেন, কি পড়ছেন, বা কার সাথে কথা বলছেন?
আসলে, Privacy শুধু লুকানোর কিছু থাকার বিষয় না, এটা আমাদের স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষার বিষয়।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, সারা বিশ্বে Privacy এখন হুমকির মুখে। বিভিন্ন Government নতুন নতুন আইন তৈরি করছে, যা আমাদের Online Activity Track করার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, UK তে নতুন একটা Age Verification Law চালু হয়েছে। এই আইনের অধীনে, Adult Websites এ প্রবেশ করতে হলে ব্যবহারকারীদের নিজেদের পরিচয় Verify করতে হবে। এর মানে কি দাঁড়ায়? আপনাকে আপনার ID Document (যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা Passport) অথবা ফেস Scan করে Upload করতে হবে।
ভাবুন তো, এই Sensitive Information যদি Hack হয়, তাহলে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হতে পারে?
শুধু UK নয়, অস্ট্রেলিয়াতেও Teen দের Social Media Access সীমিত করার চেষ্টা চলছে। আর এর ফলে অনেক নিরীহ Website ও Block হয়ে যাচ্ছে।
এসব দেখে মনে হয়, জর্জ অরওয়েলের 1984 উপন্যাসটি যেন আমাদের ভবিষ্যতের একটা পূর্বাভাস!

এই কঠিন পরিস্থিতিতে, আমরা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবো? একদমই না! নিজের Privacy Protect করার জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সেখানেই আমাদের সাহায্য করতে পারে Brave Browser.
Brave শুধু একটা Browser না, এটা আপনার Digital Life এর Protector. এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে আপনার Privacy সবসময় সুরক্ষিত থাকে।
Brave এর কিছু উল্লেখযোগ্য Feature:
Brave Browser এর Built-In Ad Blocker বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনগুলো Block করে, ফলে আপনার Browsing Experience হয় আরও Smooth এবং Fast.
বিভিন্ন Website আপনার Activity Track করার জন্য Trackers ব্যবহার করে। Brave এই Trackers গুলো Block করে, ফলে আপনার Online Privacy বজায় থাকে।
Fingerprinting হলো এমন একটা Technique, যার মাধ্যমে Websites আপনার Device এবং Browser এর Information Collect করে আপনাকে Uniquely Identify করতে পারে। Brave এই Fingerprinting থেকে আপনাকে Protect করে।
রিসেন্টলি Microsoft একটা নতুন Feature Introduce করেছে, যার নাম Recall. এই Feature টির কাজ হলো আপনার Desktop এর Screenshot নিয়ে Save করে রাখা। Brave Browser Default ভাবেই এই Feature টি Block করে, ফলে আপনার Privacy থাকে অটুট।
Brave Browser-এ আপনি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী Settings Customize করতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় Feature Hide করে Browser কে Clean রাখতে পারবেন।
Privacy Friendly Search Engine: Brave Browser-এ আপনি Brave Search, Duck Duck Go অথবা Startpage এর মতো Privacy Friendly Search Engine ব্যবহার করতে পারেন। এই Search Engine গুলো আপনার Search History Track করে না।
Brave Browser এর Private Window with Tor feature ব্যবহার করে আপনি নিজের Ip Address Hide করে Anonymously Browsing করতে পারবেন।
বিশ্বাস না হলে, নিজেই Test করে দেখুন! Electronic Frontier Foundation (EFF) এর ওয়েবসাইটে যান, আর নিজের Browser এর Security Test করুন। আপনি নিজেই দেখবেন, Brave Browser সব পরীক্ষায় ভালোভাবে পাশ করবে।
Brave Browser ব্যবহার করে Chrome এর বিজ্ঞাপণ আর Tracking এর ঝামেলা থেকে মুক্তি পান এবং একটি নিরাপদ Browsing Experience উপভোগ করুন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Brave Browser

Brave Browser ডিফল্টভাবে অনেক Privacy Feature নিয়ে এলেও, কিছু Extra Settings Change করে আপনি এর Security Level আরও বাড়াতে পারেন। নিচে কিছু Recommended Settings এর তালিকা দেওয়া হলো:
আমি জানি, এই Settings গুলো একটু জটিল মনে হতে পারে। কিন্তু একবার মনোযোগ দিয়ে Set করে নিলে, আপনার Online Privacy অনেকটাই Secure হয়ে যাবে।

শুধু Browser Secure করলেই কি সব চিন্তা শেষ? একদমই না! আপনার Ip Address এখনো Exposed, যার মানে হলো যে কেউ জানতে পারছে আপনি কোথা থেকে Internet ব্যবহার করছেন।
আর এখানেই প্রয়োজন একটি শক্তিশালী VPN (Virtual Private Network)। একটি Vpn আপনার Internet Traffic Encrypt করে এবং আপনার Ip Address Hide করে, ফলে আপনার Online Activity Track করা কঠিন হয়ে যায়।
আমার ব্যক্তিগত Recommendation হলো Proton Vpn.
Proton VPN কেন সেরা? আসুন, কারণগুলো জেনে নেই:
Proton VPN সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি কোম্পানি, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর Privacy Laws বিদ্যমান। এর মানে হলো আপনার Data সুইস আইনের দ্বারা সুরক্ষিত, এবং কোনো Government আপনার Consent ছাড়া আপনার Data Access করতে পারবে না।
Proton Vpn একটি Strict No-Logs Policy অনুসরণ করে। এর মানে হলো তারা আপনার Activity এর কোনো Record রাখে না। তারা আপনার Browsing History, আপনার Ip Address, এবং আপনার Connection Timestamps ও Save করে না।
Proton Vpn সবচেয়ে শক্তিশালী Encryption Protocol ব্যবহার করে আপনার Data Encrypt করে। তারা Aes-256 Encryption, Ik Ev2/ip Sec, এবং Open Vpn এর মতো Industry Standard Protocol ব্যবহার করে আপনার Data সুরক্ষিত রাখে।
আপনি যদি নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চান, তাহলে Proton Vpn আপনাকে ক্যাশ বা Bitcoin এর মাধ্যমে Payment করার Option দেয়। এর ফলে আপনার Payment Information এর সাথে আপনার Identity Link করার কোনো সুযোগ থাকে না।
Proton Vpn Windows, Mac Os, Android, I Os, এবং Linux এর মতো সব Major Operating System Support করে। তাই আপনি যেকোনো Device এ Proton Vpn ব্যবহার করে আপনার Privacy Protect করতে পারবেন।
Proton Vpn এর পাশাপাশি Proton Mail, Proton Calendar, এবং Proton Drive এর মতো অন্যান্য Privacy Focused Service ও রয়েছে। আপনি যদি নিজের পুরো Digital Life কে Secure করতে চান, তাহলে এই Service গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
Proton Vpn open Source হওয়াতে Security বিশেষজ্ঞরা সবসময় এর নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো পরীক্ষা করতে পারে এবং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
Proton VPN ব্যবহার করা খুব সহজ। এর User Friendly Interface এর কারণে যে কেউ খুব সহজে এটা ব্যবহার করতে পারে।
প্রাইভেসি Expert মাইকেল ব্যাসিল (যিনি "Extreme Privacy: What It Takes to Disappear" বইটির লেখক) ও Proton VPN ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তাহলে আর দেরি না করে আজই Proton Vpn Download করুন, আর নিজের অনলাইন জীবনকে আরও Secure করুন। আপনার Digital Rights রক্ষার জন্য আজই পদক্ষেপ নিন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Proton VPN

বন্ধুরা, Privacy রক্ষা করা কোনো Individual Responsibility নয়, এটা একটা Collective Effort. আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, যাতে আমরা একটা Privacy Friendly Digital World তৈরি করতে পারি।
নিজের Privacy Protect করার পাশাপাশি, অন্যদেরকেও সচেতন করুন। আপনার বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য, এবং সহকর্মীদের সাথে এই Article টি Share করুন। তাদেরকে Brave Browser এবং Proton Vpn ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করুন।
মনে রাখবেন, Privacy আমাদের অধিকার, আর এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই দায়িত্ব পালন করি।
আমরা সবাই হবো Digital Privacy রক্ষক – এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
নিজে সুরক্ষিত থাকুন, অন্যকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করুন। আল্লাহ হাফেজ!
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 290 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 74 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।