ক্রিপ্টোকারেন্সি সংগ্রহ করার অনেকগুলো উপায় আছে যেগুলোতে আপনাকে সরাসরি টাকা খরচ করতে হয় না (অর্থাৎ কোনো ইনভেস্ট ছাড়াই)। তবে এগুলো থেকে আয়ের পরিমাণ সাধারণত ছোট হয় এবসময় লাগে। আমি ধাপে ধাপে কয়েকটা পথ বলছি:
১. Crypto Faucets
- বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ আছে যেগুলোতে ছোট ছোট টাস্ক করলে বা শুধু লগইন করলেই তারা আপনাকে অল্প পরিমাণ ক্রিপ্টো ফ্রি দেয়।
- উদাহরণ: FreeBitcoin, Cointiply
২. Play-to-Earn (P2E) গেমস
- কিছু ব্লকচেইন গেম আছে যেগুলো খেললে তারা আপনাকে কয়েন/টোকেন রিওয়ার্ড দেয়।
- যেমন: Axie Infinity (একটু ইনভেস্ট দরকার হয়), কিন্তু কিছু ফ্রি-টু-প্লে গেমও আছে যেগুলোতে ছোট আকারে শুরু করা যায়।
৩. Airdrops
- নতুন ক্রিপ্টো প্রজেক্টগুলো প্রচারের জন্য তাদের টোকেন ফ্রি দেয়, শুধু সাইন আপ করে বা কিছু সহজ টাস্ক (যেমন: টুইট শেয়ার করা, টেলিগ্রামে জয়েন করা) করলেই।
- অনেক সময় ভালো প্রজেক্ট থেকে ফ্রি টোকেন পরে দারুণ ভ্যালু পায়।
কিছু এয়ারড্রোপ পেতে নীল লেখার উপর ক্লিক করুন
৪. Learn & Earn Programs
- কিছু এক্সচেঞ্জ (যেমন Coinbase, Binance, Bybit) নতুন ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো সম্পর্কে শিখলে ফ্রি টোকেন দেয়।
- শুধু ভিডিও দেখে কুইজ দিতে হয়।
৫. Crypto Microtasks & Freelancing
- কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যেখান থেকে ছোট ছোট কাজ (লেখালিখি, ডেটা এন্ট্রি, ডিজাইন) করলে বিটকয়েন/USDT পেমেন্ট মেলে।
- উদাহরণ: Bitwage, Cryptogrind, বা সাধারণ ফ্রিল্যান্স সাইটে ক্রিপ্টোতে পেমেন্ট নিতে পারেন।
৬. Mining (শুধু যদি হার্ডওয়্যার থাকে)
- এখন বড় স্কেলের মাইনিং লাভজনক নয় ব্যক্তিগতভাবে, তবে আপনার যদি কম্পিউটার থাকে, তাহলে Monero বা ছোট কিছু কয়েন CPU/GPU দিয়ে মাইন করা সম্ভব।
⚠️ সাবধানতা
- অনেক “ফ্রি ক্রিপ্টো” অফার আসলে স্ক্যাম।
- কখনোই প্রাইভেট কি/সিড ফ্রেজ কাউকে দেবেন না।
- শুধুমাত্র বিশ্বস্ত এক্সচেঞ্জ, ওয়ালেট বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।