আপনি ভুল হার্ড ড্রাইভটি ব্যবহার করছেন না তো? ডেক্সটপ হার্ড ড্রাইভ কেনার গাইড

টিউন বিভাগ কম্পিউটিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

এটা মেনে নিতেই হবে, ডেক্সটপ কম্পিউটারের জন্য হার্ড ড্রাইভ এটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যদিও সকল কম্পিউটিং ডিভাইজেই স্টোরেজ মিডিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হয়ে থাকে, কিন্তু বিশেষ করে ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব আরো বেশি। হার্ড ড্রাইভ সম্পর্কে কিছু গুরুত্পূর্ণ টার্ম অবশ্যই জানা প্রয়োজনীয়, সেটা হোক নতুন ডেক্সটপ কেনার সময় কিংবা পুরাতন কম্পিউটারে নতুন ড্রাইভ লাগানোর সময়। কয়েকদিন আগে এক্সটার্নাল ড্রাইভ কেনার গাইড লাইন শেয়ার করেছিলাম এবং তখন থেকেই মাথায় ছিল প্রাইমারী হার্ড ডিস্ক কেনার গাইডও বর্ণিত করবো, কেনোনা এটি আরোবেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এখানে সুখবর এটা যে, সঠিক কাজের জন্য সঠিক ডেক্সটপ হার্ড ডিস্ক নির্বাচন করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। আর কম্পিউটার ড্রাইভ স্পেসিফিকেশন বোঝা অনেক সহজ ব্যাপার। হার্ড ডিস্ক কেনার সময় সাধারণত আপনাকে দুইটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়, আর সে দুইটি হচ্ছে আপনার প্রয়োজন অনুসারেঃ ডিস্ক ক্যাপাসিটি এবং স্পীড। হার্ড ড্রাইভের ক্ষেত্রে বহু টাইপের ক্যাপাসিটি অপশন এবং স্পীড রেটিং পেয়ে যাবেন, শত শত চয়েজ আপনার সামনে আসতে পারে, কিন্তু ঠিক কোনটিকে আপনার কাজের জন্য নির্বাচন করবেন? — এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে এই বিষয় গুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

হার্ড ড্রাইভের প্রকারভেদ

হার্ড ডিস্ক বলতে কিন্তু এই নয়, আপনি যা ইচ্ছা তা কিনে ফেললেন, ভেবেও দেখলেন না কোন কাজের জন্য কি কিনছেন। যদিও বাজারে এখন আলাদা টাইপের স্টোরেজ সলিউসন রয়েছে, কিন্তু যদি শুধু ম্যাকানিক্যাল ড্রাইভের কথা বলি, সেখানেই রয়েছে অনেক টাইপের ড্রাইভ এবং প্রত্যেকটি টাইপকে বিভিন্ন কাজের জন্য টার্গেট করে বানানো হয়েছে। সাধারণত তিন টাইপের হার্ড ড্রাইভ দেখতে পাওয়া যায়,  স্ট্যান্ডার্ড ডেক্সটপ ড্রাইভ,  এনএএস/ন্যাস ড্রাইভ, এবং এন্টারপ্রাইজ হার্ডড্রাইভ। যদি আপনি সাধারণ ডেক্সটপ পিসির জন্য ড্রাইভ কেনার কথা চিন্তা করেন, সেক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডেক্সটপ ড্রাইভই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে, এনএএস বা এন্টারপ্রাইজ গ্রেড ড্রাইভ কেনার কোনই প্রয়োজন পরবে না।

অনেক সময় সকল প্রকার ড্রাইভ গুলোর মধ্যে পারফর্মেন্স কোন পার্থক্য থাকে না, জাস্ট কিছু আলাদা প্রোটেকশন থাকে। যেমন সাধারণ এনএএস ড্রাইভ এবং ডেক্সটপ ড্রাইভ সম্পূর্ণ একই পারফর্মেন্স দেয়, কিন্তু ডেক্সটপ ড্রাইভ দিনে ৭-৮ ঘণ্টা চালানোর জন্য রেটিং করা থাকে, যেখানে ন্যাস ড্রাইভে বা এন্টারপ্রাইজ ড্রাইভে দিনে ২৪ ঘণ্টা চালানোর রেটিং থাকে। সাথে দামী ড্রাইভ গুলোতে শক ও ভাইব্রেশন প্রোটেকশন থাকে। যদি আপনার কম্পিউটারে একাধিক ড্রাইভ লাগানো থাকে সেক্ষেত্রে ভাইব্রেশন প্রোটেকশন দরকারি হতে পারে।

হার্ড ড্রাইভের প্রকারভেদ

হার্ড ড্রাইভের প্রকারভেদ গুলো নিয়ে আমি আগেই ডেক্সটপ, এনএএস, এন্টারপ্রাইজ | কোনটি কিনবেন? — এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। হার্ড ড্রাইভ প্রকারভেদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটাই উপসংহার যে, সাধারণ ডেস্কটপ ড্রাইভ কেনার সময় আলাদা টাইপ গুলোর দিকে না দেখলেও চলবে, যদি একাধিক ড্রাইভ বা রেইড সিস্টেম সেটআপ করেন সেক্ষেত্রে সাধারণ ডেক্সটপ ড্রাইভ না কিনে এনএএস ড্রাইভ কেনা বেস্ট হবে। আর সার্ভার বা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকআপ সিস্টেম ছাড়া এন্টারপ্রাইজ গ্রেডের ড্রাইভ আপনার প্রয়োজনীয় হবে না।

আরো পড়ুন:  র‍্যাম স্পীড নাকি র‍্যাম টাইমিং, কোনটি পারফর্মেন্সের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

ক্যাপাসিটি

ডেক্সটপ হার্ড ড্রাইভ বা যেকোনো মিডিয়া স্টোরেজ ক্যাপাসিটি রেটিং বুঝতে পারা অনেক সহজ কাজ। হয়তো আপনি এই প্যারাগ্রাফ না পড়েই আগে থেকেই এই ব্যাপারে হাফেজ হয়ে রয়েছেন। হার্ড ডিস্ক থেকে শুরু করে প্রায় যেকোনো কম্পিউটার স্টোরেজ মিডিয়া প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাদের স্টোরেজ সলিউশনকে জিবি (GB) (গিগাবাইট) বা টিবি (TB) (টেরাবাইট) হিসেবে ড্রাইভ রেটিং করে থাকে। যদি এককথায় বলি, তো গিগাবাইট বলতে বিলিয়ন বাইট ডাটা এবং টেরাবাইট বলতে ট্রিলিয়ন বাইট ডাটা সংরক্ষিত করতে সক্ষম এই ড্রাইভ গুলো।

আপনার ড্রাইভটি কোন ক্যাপাসিটির সেটা বিশেষ করে ড্রাইভের গায়েই লেখা থাকে। আজকের দিনে স্ট্যান্ডার্ড ডেক্সটপ ড্রাইভ সাইজ ১ টেরাবাইট, যদিও এর চেয়ে ছোট ক্যাপাসিটিতেও সাধারণ কম্পিউটিং চাহিদা পূরণ করা সম্ভব, কিন্তু বর্তমানে ড্রাইভের দাম অনেক কম তাই ১ টেরাবাইট থেকে শুরু করে কতিপয় টেরাবাইট ড্রাইভ কিনে ফেলতে পারেন। যদি আপনি মুভি, আর বড় বড় গেম ডাউনলোড করতে ভালোবাসেন, সেক্ষেত্রে যতোবেশি ক্যাপাসিটি হয় ততোই ভালো।

যদি শুধু কাজের জন্য আর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার রান করানোর জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কতিপয় গিগাবাইট ক্যাপাসিটিই যথেষ্ট হতে পারে। তবে ক্যাপাসিটির ব্যাপারে একটি বিশেষ টার্ম রয়েছে, যার ফলে আমরা অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হয়ে যাই। হার্ড ড্রাইভের গায়ে হয়তো রেটিং করা থাকে ১ টেরাবাইট, কিন্তু সেটাকে কম্পিউটারে লাগালে ৯৩১ গিগাবাইট প্রদর্শিত হয়। তাহলে বাকী স্পেস গুলো যায় কোথায়? — সমস্যা নেই, এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করে আমি “আপনার হার্ডড্রাইভ এর হারানো স্পেস গুলো যায় কোথায়?“এই আর্টিকেলটি লিখেছি, এখানে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

পারফর্মেন্স

এবার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্যারাগ্রাফে চলে এসেছি, কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ড্রাইভ পারফর্মেন্স বা ড্রাইভ স্পীড অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্ম। স্লো কম্পিউটারের জন্য অনেকে কম্পিউটার র‍্যাম বা প্রসেসরকে দোষারোপ করে, কিন্তু বেশিরভাগ সময় ড্রাইভ পারফর্মেন্স খারাপ হওয়ার কারণে কম্পিউটারের টাস্ক গুলো স্লো হয়ে যায়। ম্যাকানিক্যাল ড্রাইভ পারফর্মেন্স মূলত চারটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীলঃ (১) কানেকশন ইন্টারফেস, (২) ড্রাইভটির মাকানিক্যাল স্পীড, (৩) অ্যাক্সেস টাইম, এবং (৪) বাফার সাইজ

পিসি বা পার্সোনাল কম্পিউটার ড্রাইভের জন্য বর্তমানে মার্কেটে দুই টাইপের ইন্টারফেস দেখতে পাওয়া যায়ঃ সিরিয়াল এটিএ (Serial ATA) (SATA) এবং আইডিই (IDE) (ATA)। আগের কিছু হাই পারফর্মেন্স ডেক্সটপে এসসিএসআই(SCSI) ইন্টারফেস দেখতে পাওয়া যেতো, কিন্তু এখন মূলত এই দুইটি ইন্টারফেসই দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে পার্সোনাল কম্পিউটারে আইডিই ইন্টারফেস সবচাইতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আইডিই ইন্টারফেস নাম্বার থেকে কানেকশন স্পীড সম্পর্কে জানতে পারা যায়। ATA/33 থেকে ATA/133 পর্যন্ত স্পীড রেঞ্জিং দেখতে পাওয়া যায়। আজকের বেশিরভাগ ডেস্কট ড্রাইভ ATA/100 হয়ে থাকে, এর মানে এই ইন্টারফেসটি ১০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড পর্যন্ত স্পীড সমর্থন করবে।

আরো পড়ুন:  জিপিইউ (GPU) কি? জিপিইউ কেন জরুরী?

অপরদিকে সিরিয়াল এটিএ বা SATA একটি নতুন ইন্টারফেস এবং এটি আইডিই ইন্টারফেসকে রিপ্লেস করে চলেছে। এই ইন্টারফেসটি একেবারেই সাধারণ এবং একটি ড্রাইভের জন্য কেবল একটিই ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। নতুন এই ইন্টারফেসটি ১৫০ মেগাবাইট/সেকেন্ড থেকে ৩০০ মেগাবিট/সেকেন্ড পর্যন্ত স্পীড প্রদান করতে সক্ষম।

এবার যদি কথা বলি হার্ড ড্রাইভ ম্যাকানিক্যাল স্পিনিং স্পীড নিয়ে, সেক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই জানেন, হার্ড ড্রাইভের মধ্যে কতিপয় ডিস্ক থাকে এবং সেগুলো ফিজিক্যাল মুভ করে। এই ডিস্ক গুলো যতোদ্রুত ঘোরে ডাটা স্পীড ততোবেশি পাওয়া সম্ভব। আজকের বেশিরভাগ ডেস্কটপ ড্রাইভ গুলোর স্ট্যান্ডার্ড স্পিনিং রেট হচ্ছে ৭২০০ আরপিএম (রেভলিউশন/মিনিট)। কিছু হাই কোয়ালিটি ডেক্সটপ ড্রাইভ রয়েছে যেগুলো ১০০০০ আরপিএম রেটে ঘুরতে পারে। এখান বাজারে ৫৪০০ আরপিএম ড্রাইভ ও দেখতে পাওয়া যায়, যেটা অবশ্যই ৭২০০ আরপিএম থেকে স্লো। তাই অবশ্যই আপনার ড্রাইভটি যেন কমপক্ষে ৭২০০ আরপিএম হয়, এর কম হওয়া চলবে না।

আবার আপনার হার্ড ড্রাইভটির হেড কতোদ্রুত ডিস্কের উপর পৌঁছে সেখান থেকে ডাটা ক্যাপচার করছে তার রেটিংকে রেস্পন্স টাইম বলা হয়। যতোদ্রুত হেড ডিস্ককে অ্যাক্সেস করতে পাড়বে ততোদ্রুত ডাটা রিড বা রাইট করা সম্ভব হবে। হার্ড ড্রাইভ কিভাবে কাজ করে, এই আর্টিকেল থেকে হার্ড ডিস্কের কাঠামো এবং কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পারফর্মেন্সের ফাইনাল স্টেপটি হচ্ছে ড্রাইভটির বাফার সাইজ। আপনার ড্রাইভের মধ্যে একটি ছোট ক্যাপাসিটির র‍্যাম লাগানো থেকে। এই র‍্যাম বিশেষ করে যে ডাটা গুলো কম্পিউটার হার্ড ড্রাইভ থেকে বারবার অ্যাক্সেস করে, সেগুলোকে হার্ড ডিস্ক ঐ র‍্যামে স্টোর করে রাখে, র‍্যাম সাধারণত অনেক ফাস্ট মেমোরি হয়ে থাকে, তাই অনেক দ্রুত র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস ডাটা গুলো ড্রাইভ কম্পিউটারে ট্র্যান্সফার করতে পারে।

যতোবেশি বাফার সাইজ হবে, ড্রাইভটি ততোবেশি ক্যাশ র‍্যামে সেভ করতে পাড়বে এবং ডাটা গুলো অনেক দ্রুত ট্র্যান্সফার করা সম্ভব হবে। কম্পিউটার মেমোরি কিভাবে কাজ করে? — এই আর্টিকেলটি থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে পারবেন, কিভাবে কম্পিউটারে বিভিন্ন টাইপ মেমোরির অবদান থাকে। যাই হোক, সাধারণ ড্রাইভে ৮ মেগাবাইট বাফার সাইজ থাকে এবং হাই পারফর্মেন্স ড্রাইভে ১৬ মেগাবাইট পর্যন্ত বাফার সাইজ দেখতে পাওয়া যায়।

এসএসডি এবং হাইব্রিড ড্রাইভ

ডেস্কটপ কম্পিউটারে যদি হাই পারফর্মেন্স বা লো বুট টাইম পেতে চান সেক্ষেত্রে সলিড স্টেট ড্রাইভ বেস্ট সাহায্য করতে পারে। আপনি যতো হাই পারফর্মেন্স হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করুন না কেন কেবল সাধারণ একটি সলিড স্টেস্ট ড্রাইভ হাই পারফর্মেন্স ম্যাকানিক্যাল ড্রাইভকে পানিতে ডুবিয়ে দিতে পারে। যদিও এসএসডি নিয়ে পূর্বে অনেক আর্টিকেল লিখেছি, সার্চ বারে গিয়ে “এসএসডি” টাইপ করলেই অনেক আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে “এইচডিডি বনাম এসএসডি” — আর্টিকেলটি পড়তে ভুলবেন না।

আরো পড়ুন:  পিসির পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? যেকোনো উইন্ডোজ (৭, ৮.১, ১০) বা লিনাক্স পিসির পাসওয়ার্ড বাইপাস করে নিন!

এসএসডি এবং হাইব্রিড ড্রাইভ

আরেক টাইপের ড্রাইভ রয়েছে,  হাইব্রিড ড্রাইভ — যেটা নিয়েও পূর্বে আর্টিকেল লিখেছি; এখানে এসএসডি এবং হার্ড ড্রাইভ একত্রে যুক্ত থাকে। প্রোগ্রাম এবং অপারেটিং সিস্টেম এসএসডি মডিউল থেকে সার্ভ করা হয় এবং সাধারণ ফাইল গুলোকে হার্ড ড্রাইভ মডিউল থেকে সার্ভ করা হয়। এই ড্রাইভের আসল ফোকাস হচ্ছে কম দামের মধ্যে ভালো পারফর্মেন্স এবং স্টোরেজ ক্যাপাসিটি উভয়ের মধ্যে তালমিল করে রাখা।

এসএসডির সবচাইতে বড় অসুবিধা হচ্ছে এর দাম, যদিও আজকের দিনে দাম অনেকটা কমে গেছে, কিন্তু তারপরেও আরেকটি লিমিটেশন হচ্ছে ক্যাপাসিটি। এসএসডি মাত্র কতিপয় টেরাবাইট পর্যন্তই পাওয়া যায় (একটি সিঙ্গেল ড্রাইভে) — যেখানে হার্ড ডিস্ক বিশাল ক্যাপাসিটির পর্যন্ত পাওয়া যায় এবং দাম অনেক কম। যাই হোক, এই আর্টিকেলে এসএসডি বা হাইব্রিড ড্রাইভ নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনা করবো না, কেনোনা এখানে বিশেষ করে হার্ড ড্রাইভ নিয়ে আলোচনা করছি।

সিদ্ধান্ত

উপরের প্যারাগ্রাফ গুলোতে যথেষ্ট পরিমানে আলোচনা করে নিয়েছি, এবার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার পালা। আশা করছি এতোক্ষণে আপনি নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়ে গেছেন, কিন্তু তারপরেও গাইড লাইনকে আরো সহজ করার জন্য আমি কাজ অনুসারে হার্ড ড্রাইভ রেকমেন্ড করছি। যদি আপনার কাজ নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির মধ্যে না পরে, তাহলে অঝথা হাই আরপিএম ড্রাইভ বা বেশি ক্যাপাসিটি কেনার দরকার নেই। নিচের ছকটি দেখুন, আশা করি আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

ট্যাস্কক্যাপাসিটিআরপিএম
ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার২৫০ জিবি (বা আরো)৫৪০০ আরপিএম
ওয়েব ব্রাউজিং৩২০ জিবি (বা আরো)৭২০০ আরপিএম
ডিজিটাল মিউজিক৭৫০ জিবি (বা আরো)৭২০০ আরপিএম
গেমিং১ টেরাবাইট (বা আরো)৭২০০ আরপিএম
গ্রাফিক্স এডিটিং১.৫ টেরাবাইট (বা আরো)৭২০০ আরপিএম
ডিজিটাল ভিডিও২ টেরাবাইট (বা আরো)৭২০০ আরপিএম

তো বন্ধু এই ছিল কিছু সাধারণ গাইড লাইন, যেগুলোকে নতুন হার্ড ড্রাইভ কেনার সময় অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ। যদি সঠিকভাবে হার্ড ড্রাইভ পছন্দ করতে পারেন, আপনার টাকা এবং পারফর্মেন্স উভয় ক্ষেত্রেই লাভবান হতে পারবেন। উপরের চার্ট থেকেও অনেক সাহায্য পেয়ে যাবেন আশা করছি, তারপরেও যদি কোন সাহায্য প্রয়োজনীয় হয়, নিচে টিউমেন্ট করুন, আমি সাহায্য করতে অসম্ভব ভালোবাসি!


আর্টিকেল ক্রেডিটঃ TecHubs.Net
[বিনা অনুমতিতে কপি, পেস্ট, এডিট, রিমিক্স, রি-পাবলিশ, প্রিন্টিং নিষিদ্ধ!]

Level 6

আমি তাহমিদ বোরহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 177 টি টিউন ও 680 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 43 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তাহমিদ বোরহান। টেক নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতে ভালোবাসি। টেকটিউন্স সহ নিজের কিছু টেক ব্লগ লিখি। TecHubs ব্লগ এবং TecHubs TV ইউটিউব চ্যানেল হলো আমার প্যাশন, তাই এখানে কিছু অসাধারণ করারই চেষ্টা করি!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস