আসুন কম্পিউটারের সাথে পরিচিত হই-পর্ব ১

আমার এই পোস্টটি কম্পিউটার জগতে যারা একেবারে নতুন তাদের জন্য।

কম্পিউটার একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র(ডিভাইস)। কম্পিউটার উপাত্তকে(ডাটা) তথ্যে (ইনফরমেশন) পরিণত করে। পূর্বের কম্পিউটারগুলো ছিল অ্যানালগ কিন্তু বর্তমানের কম্পিউটারগুলো ডিজিটাল যা মাত্র দুটি সংখ্যা নিয়ে কাজ করে(০ এবং ১)।

কম্পিউটারকে আমরা ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক এই দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।
ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

ডেস্কটপ কম্পিউটারঃ
এটি কম্পিউটারের একটি খুব পরিচিত বা সাধারণ ধরণ। এটি সাধারণতঃ ডেস্ক বা টেবিলের উপর(Desk=টেবিল,Top=উপর) রাখা হয় তাই এটি ডেস্কটপ নামে পরিচিত। এটি দ্বারা বিভিন্ন ধরণের কাজ করা যায়।

ল্যাপটপ কম্পিউটারঃ

এটিও কম্পিউটারের একটি খুব পরিচিত বা সাধারণ ধরণ। এটি সাধারণতঃ কোলের  উপর(Lap=কোল,Top=উপর) রাখা হয় তাই এটি ল্যাপটপ নামে পরিচিত। এটি দ্বারাও  বিভিন্ন ধরণের কাজ করা যায়।

ওয়ার্কস্টেশনঃ

এটি একটি বিশেষ ধরণের কম্পিউটার। বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কাজ এবং গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ডেস্কটপের তুলনায় অধিক শক্তিশালী।

নোটবুক কম্পিউটারঃ

ছোট এবং বহনযোগ্য কম্পিউটার। এর ওজন ৩ থেকে ৮ পাউন্ড। প্রায় ৮.৫ বাই ১১ ইঞ্চি। এটি ডেস্কটপের মত শক্তিশালী।

ট্যাবলেট কম্পিউটারঃ

এটি একটি বহনযোগ্য কম্পিউটার। এতে কলমের মাধ্যমে ইনপুট দেয়া হয়।

হ্যান্ডলেড কম্পিউটারঃ

খুব ছোট কম্পিউটার। এটি পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট(পিডিএ) হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন নোট টুকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়।

স্মার্ট ফোনঃ

সেল ফোন এবং পিডিএ’র শঙ্কর জাত।

প্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটারকেও বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়।

নেটওয়ার্ক সার্ভারঃ

এটি একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটার। অন্যান্য কম্পিউটার এর সাথে যুক্ত থাকে।

মেইনফ্রেমঃ

বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হয়। একসাথে হাজারের বেশি ব্যবহারকারি এটি ব্যবহার করতে পারে।

মাইক্রো কম্পিউটারঃ

এটি মেইনফ্রেম এবং ডেস্কটপের মাঝামাঝি শক্তিশালী। শতের বেশি ব্যবহারকারি এটি ব্যবহার করতে পারে।

সুপার কম্পিউটারঃ

অধিক শক্তিশালি কম্পিউটার। বড় এবং জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারে। প্রতি সেকেন্ডে ট্রিলিয়নেরমত সমস্যা সমাধান করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থায় ব্যবহার করা হয়।

সামাজিক ক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ

কম্পিউটার অন্যান্য আবিষ্কারের তুলনায় সমাজে সবচেয়ে বেশি প্রভাব তৈরি করেছে।

মানুষের কাজ এবং অবসরকে পরিবর্তন করে দিয়েছে কম্পিউটার। কম্পিউটার ব্যবহারকারিদের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে।

কম্পিউটারের ব্যবহারঃ

কম্পিউটার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

ব্যবসা-বাণিজ্য

অর্থ উপার্জন

বিনোদন

যোগাযোগ

শিক্ষা

চিকিৎসা

প্রতিরক্ষা

গবেষণা

উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

Level 0

আমি মুঃ মশিউর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Bachelor of Science in Computer Science and Engineering


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সুন্দর হয়েছে চালিয়ে যান ভাই

Level 0

সুন্দর টিউন। তবে ওয়ার্কস্টেশন সম্পর্কে আরও বেশি লিখার প্রয়োজন ছিল। আপনার বর্ণনা মতে ওয়ার্কস্টেশন একটি Hi-End কম্পিউটার। ঠিকই আছে। তবে একটি Hi-End বা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোকম্পিউটারকে তখনই যথাযথ ওয়ার্কস্টেশন বলা হয় যখন সেটি একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে(উদাহরণ স্বরূপ, LAN) যুক্ত থাকে; এজন্য একে Node নামেও অভিহিত করা হয়। ওয়ার্কস্টেশনগুলো সাধারণত “মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম” চালিত হয়ে থাকে।

কমেন্ট করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।