আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী

টিউন বিভাগ জীবনী
প্রকাশিত

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন। আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে হাজির হলাম। আগের মত আরেকটি আর্টিকেল। যেখানে বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তির কথা উল্লেখ্য করব।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন জন্মগ্রহণ করেন, জার্মানির শহরে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ইহুদি পরিবারে। বাবা ছিলেন একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। আইনস্টাইনের স্কুল জীবন শুরু এলিমেন্টারি থেকে। বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যক্তিটি প্রকৃতির জটিল সব রহস্য নিয়ে ভাবতে পারতেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কখনো ছিলেন সহজ-সরল, আবার কখনো বিষন্ন শিক্ষামূলক ভ্রমণে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন তার তথ্যগুলোর জন্য যশোরের বিখ্যাত ও স্মরণীয় হয়ে উঠে।

ঠিক ততটাই স্মরণীয় ও আলোচিত হয় তার জীবনের অবাক করা ও মজার কিছু ঘটনার জন্য আমাদের আজকের আটিকেল। আজকে আইনস্টাইনের এমনই কিছু মজার ঘটনা নিয়ে যা আপনাকে ভীষণ অবাক করে দিবে। ব্যক্তিগত জীবনে পৃথিবীর সেরা এই বিজ্ঞানী ঠিক কতটা সাধারণ জীবনযাপন করতেন তা এই ঘটনাগুলো থেকেই আমরা সহজে অনুমান করতে পারব। চলুন তাহলে জেনে নেই বিখ্যাত বিজ্ঞানী আসলে কেমন ছিলেন। আলবার্ট আইনস্টাইন ছোটবেলা থেকেই অন্যান্য শিশুদের তুলনায় ব্যতিক্রমী ছিলেন। সাধারণ শিশুরা যেখানে থেকে 2 বছরের মধ্যেই কথা বলতে শিখে যায়। সেখানে তার কথা বলতে সময় লাগে চার বছরের মতো। অনেক দেরিতে কথা বলা নিয়ে তার বাবা মা ছিলেন অনেক চিন্তিত।

একদিন রাতে আইনস্টাইন তার বাবা-মার সাথে খেতে বসে হঠাৎ বলে উঠলেন, এই খাবার খুবই গরম, চার বছর পর নিজের সন্তানের কথা বলতে শুনে, তার বাবা মা দুজনেই খুব অবাক হলেন। এবং মা তাকে জিজ্ঞেস করলে তুমি আগেই কথা বলনি কেন, আইনস্টাইন উত্তরে বললেন কাল অনেক রাত পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। শুধু কখনো ছিল না সব থেকে বিখ্যাত গণিত নিয়ে গবেষণা এবং চিন্তা করতে অনেক বেশি পছন্দ করতেন। ফলে এক সময় তিনি বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের অনেকটাই দক্ষ হয়ে ওঠেন। তিনি পবিত্র জুমার দিনে আইনস্টাইনের বাড়িতে আছে, বোনের বিষয়টিতেও নির্মাণে এতটাই আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। যে সেই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তা করতে লাগল। তখন তাকে চিনতে পেরেছেন বলে উঠলেন তোমার কাছে করি।

যতটা কঠিন আমার কাছে গণিত তার চেয়ে বেশি কঠিন একজনের শহরকে নিয়ে আইনস্টাইনের কাছে তার ফোন নাম্বার জানতে চান আইনস্টাইন তখন তিনি পরিধি বের করে তার নাম্বারটি খুঁজতে শুরু করেন। তখন তার সহকর্মী অনেকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কি নিজের ফোন নম্বরটি নেই, একথা শুনে আইনস্টাইন বলে না তার দরকারই বা কী যে জিনিসটি জানার জন্য আপনার হাতের কাছে বই আছে। তা শুধু শুধু কেন মুখস্ত করবে সময়টি 1931 সালের কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন তারিখে শুধু দেখার জন্য আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান। তখন 4 সিটিলাইট সিনেমাটি প্রদর্শনী চলছিলো এরপর তারা দুজন শহরের রাস্তায় হাঁটতে বের হন। সেই সময় চাকরির আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করেন। সবাই আমাকে সহজেই বুঝতে পারে। এজন্যই আমার এত জনপ্রিয়তা, কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন পছন্দ করে সেটা তো বুঝলাম না। তখন আইনস্টাইন একটু হেসে উত্তর দিলেন। এভাবে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এতটা জনপ্রিয়তা রেলগাড়ি ডাইনিংয়ের রাতের খাবার খেতে এসে দেখেন তুমি চশমা ফেলে রেখে এসেছেন বলে। তার জন্য খালি চোখে মেনু করা সম্ভব ছিল না তাই তুমি ওয়েট্রেসকে দেখি বলে দয়া করে মেইলটা করে দাও গুপ্ত স্তম্ব নে তার থেকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে। দুঃখিত স্যার আমার পড়াশোনা তো আপনার মতই বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী যেখানে তারা আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিস্কার করে পৃথিবীবাসীকে পৃথিবী সম্পর্কে তাদের ধারণা পরিবর্তন ঘটাতে বাধ্য করেছিলেন। সেই তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন খুবই ভুলনা ভার্সিটিতে কর্মরত থাকা কালিন সময়ে একদিন ট্যাক্সি করে বাসায় ফেরার সময় আইনস্টাইন তার নিজের বাড়ির ঠিকানা ভুলে যান। তখন তিনি আপেক্ষিক তত্ত্বের জন্য খুবই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন ফলে প্রিন্সটন সমান তাকে চিনতে পারে। কিন্তু আইনস্টাইন সাথে এক রিকশা চালক আইনস্টাইনের সাথে পরিচিত ছিল না। আর বাড়ির ঠিকানা মনে করতে না। পরে ট্যাক্সিচালককে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি আইনস্টাইনের বাড়ি চেনো উত্তরে ট্যাক্সিচালক বলেন প্লিজ তারা এমন কোন ব্যক্তি না যে, আইনস্টাইনের বাড়ি চেনেন না।

এরপর ট্যাক্সিচালক তাকে জিজ্ঞেস করলেন যে তিনি আইনস্টাইনের বাড়ি যেতে ইচ্ছুক এই কথা শুনে তিনি বললেন আসলে আমি আইনস্টাইন। আমি আমার বাড়ির ঠিকানা মনে করতে পারছি না। আপনি কি আমাকে বাসায় পৌঁছে দিতে পারবেন। পড়ে রিকশা চালক তাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ট্যাক্সিচালক তার কাছ থেকে কোন ভাড়া নেন নি, ঠিক এমনই আরেকটি মজার ঘটনা ঘটে আইনস্টাইনের ট্রেনযাত্রা সময়। আইনস্টাইন একদিন ট্রেনে করে গিয়ে তার টিকেট টা হারিয়ে ফেল। যখন টিকিট কালেক্টর টিকেট দেখতে চাইলেন। তখন আইনস্টাইন টিকিট খুজতে তার পকেটে ও প্যান্টের পকেটে টিকিট খোঁজে। এবং আশেপাশের জায়গা খুঁজতে থাকেন। টিকিট কালেক্টর তাকে চিনতে পারেন। এবং বললেন স্যার আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না। এরপর তিনি অন্য যাত্রীদের টিকেট চেক করতে চলে গেলেন। হঠাৎ আইনস্টাইনের দিকে চোখ পড়তেই। দেখেন রিকেট কালেক্টর আইনস্টাইন তখনো মেঝেতে বসে টিকেট করছে টিকিট কালেক্টর দ্রুত তার কাছে আসে এবং তাকে টেকনাফ কাজের জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। উত্তরে আইনস্টাইন বলেন টিকিট না পেলে আমি জানব কিভাবে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম।

এ রকম আরেকটি ঘটনা, একদিন সন্ধ্যায় প্রিন্সটনের ডিরেক্টরের বাড়িতে ফোন আসে এবং একজন লোক আইনস্টাইনের বাড়ির নম্বর টা বলার জন্য অনুরোধ করেন, ডিরেক্টর তা কোন কঠিন স্থানের বাড়ির নম্বর, কাউকে জানানো হবে না বলে ফোন রেখে দেন। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন বেজে উঠল ওপাশ থেকে শোনা গেল আমি আইনস্টাইন বলছি। আমার বাড়ির নম্বর ডাক্তার দুটোই ভুলে গেছি। দয়া করে বলে দেন আমরা সাধারনত আমাদের সাফল্যকে মানুষের মধ্যে জানিয়ে সম্মান অর্জন করতে পছন্দ করি। কিন্তু এক্ষেত্রে আইনস্টাইন আমাদের সম্পূর্ণ বিপরীত লিখেছিলেন। সেই সময় এত জনপ্রিয় ও বিখ্যাত ছিলেন যে, তিনি ঘর থেকে বের হলেই নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতো, মানুষ তার কাছে তার তথ্য এবং সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা জানতে চাইতেন, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি এক অভিনব পদ্ধতি বের করেন।

যখন কেউ তাকে প্রশ্ন করতেন তখন তিনি বলে উঠলেন ক্ষমা করবেন সবাই আমাকে আইনস্টাইন মনে করে। কিন্তু আমি আসলে আইনস্টাইন বিজ্ঞানী। আইনস্টাইন যেমন সফল বিজ্ঞানী চিন্তা-গবেষণা কে অতিক্রম করে আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিস্কার করেন। ঠিক তখন থেকেই তিনি বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তারা আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা ব্যাখ্যা এবং লেকচার দেওয়ার শুরু করেনি সঙ্গী হিসেবে থাকবে। ড্রাইভারি ততদিন আইনস্টাইনের লেকচার মুখস্থ হয়ে গেছে। তাই আরেকদিন আরেকজনের কাছে আবদার করেন যে পরবর্তী সেমিনারে তিনি আইনস্টাইন সেজে ভক্ত আইনস্টাইন তার ড্রাইভার ইন্ডিয়ান তেলেবিশন অবাক হলেও শেষে রাজি হয়ে যায়। তবে তাদের সেমিনারে আইনস্টাইন সেজে খুবই সুন্দর করে বক্তব্য দেন। তাঁর বক্তৃতায় শুনে দর্শকসারিতে ডাইভারসিটি বসে থাকা আইনস্টাইনও খুবই অবাক খুব খুশি হলেন।

বক্তব্য শেষে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট বিহারী কাছে তার বক্তব্যের কিছু অংশ ব্যাখ্যা জানতে চাইলে হ্যারি বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে বলেন। এই প্রশ্ন টা তো অনেক সহজ এই প্রশ্নের উত্তর তো আবার ড্রাইভার বলে দিতে পারবে। আপনি বরং এই প্রশ্ন গুলোর ব্যাখ্যা তার কাছ থেকে জেনে নিন পৃথিবীর বিখ্যাত এই মহান বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত জীবন কেমন ছিল তা আমরা এই ঘটনাগুলো থেকে সহজে অনুমান করতে পারি।

আইনস্টাইনের আবিষ্কৃত বিখ্যাত তথ্যগুলো আমাদের যেমন অবাক করে তেমনি তার দৈনন্দিন জীবনের মজার ঘটনা গুলো আমাদের মনে হাসির খোরাক জোগায়। আইনস্টাইন এর জীবন বদলে দেওয়ার মত বানিয়ে আটিকেল দেখতে চাইলে টিউমেন্টে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে। এই আটিকেল টি দেখুন এবং সাথে টিউমেন্ট করুন। আর পৃথিবী বিখ্যাত মানুষদের এমন মজার এবং তথ্য পুরো আটিকেলে দেখতে টিউমেন্ট করুন। সবাই ভাল থাকুন অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ, , , , , , , , , ,

Level 2

আমি মো আতিক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জানা এবং অন্যকে শেখানোর আগ্রহ থেকেই টেকটিউনসে আমার পথচলা। আর সেই সাথে, আপনাদের জন্য প্রযুক্তিগত বিষয় গুলো সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য এই সাইটে যুক্ত হয়েছি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস