সবাইকে স্বাগতম নিউটনের আত্মজীবনীতে। হ্যা সত্যি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি সর্বকালের অন্যতম সেরা একজন বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনী।
স্যার আইজাক নিউটন কে ছিলেন? স্যার আইজাক নিউটন একজন পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ হিসেবে পরিচিত যিনি গতির সুত্রসহ আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলি বিকাশ করেছিলেন। সেই সাথে ১৭ শতকের বৈজ্ঞানিক বিপ্লবে হাত রয়েছে এমন এক ব্যক্তি। ১৬৮৭ সালে তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত কাজ প্রকাশ করেন অর্থাৎ ফিলোসোফিয়া নেচারস প্রিন্সিপিয়া গণিতিকা যা পদার্থবিজ্ঞানে একক সর্বাধিক প্রভাবশালী গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত।
পৃথিবীর ইতিহাসে অনেকেই আছেন যারা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছিলেন। যাদের সঠিক-ভুলের সুতা দিয়ে সাজানো হয়েছে বিজ্ঞানের ভিত্তি। তাদের মধ্যে একজন হলেন স্যার আইজ্যাক নিউটন।
নিউটনের জিবনী অনেকেই পড়েছেন আবার অনেকেই পড়েননি। আমার অনুরোধ পড়ে নিন আজকের টিউন। আশাকরি আপনার সময়ের অপচয় হবে না।
বিজ্ঞানের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তিনি গবেষণা করেণনি। বলা যায় যে তার পরশে বিজ্ঞানের সব জায়গাতে শুধু রত্ন আর রত্ন ফলেছে। গনিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা ও পদার্থবিদ্যায় তার গবেষণার ফলেই সারা পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছিল বিরাট আলোরন। প্রকৃতপক্ষে তিনি তিনটি সুত্রের ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন যেগুলো গতিসূত্র নামে পরিচিত।
১৬৪২ সালে বিজ্ঞানী নিউটন জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান ইংল্যান্ডের লিংকন শহরের গ্রান্থামের নিকটে এক গ্রামে। তার পিতার নামও ছিলো আইজ্যাক নিউটন। নিউটনের জন্মের অল্প কয়েক মাস পুর্বেই তার বাবার জীবনাবাসন ঘটে। তার মা হেনা নিউটন স্বামীর স্মৃতিতে পুত্রের নাম রেখেছিলেন আইজ্যাক নিউটনের।
নিউটনের বয়স যখন দুবছর তখন তার মা নিকটস্থ গির্জার পাদ্রী বার্ণাবাস স্মিথকে বিয়ে করেন। এই বিবাহ কালে তিনি তার সকল সম্পত্তি নিউটনের নামে লিখে দেন।
তার মা বিধবা হবার পর তিনি তার মায়ের সঙ্গে তিন বছর ছিলেন এবং এরপর তার মায়ের বিয়ে হয়। একরকম অবহেলায় নিউটন তার দিদিমার কাছে লালিত পালিত হন।
বলা যায় এতিম অবস্থায় বিজ্ঞানী নিউটনের শৈশব-কৈশোর কাটে। এই গ্রামের পাঠশালাতে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় এবং ১২ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি এই স্কুলে লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি নিকটস্থ প্যান্থানাম শহরে গিয়ে কিংস নামক একটি স্কুলে ভর্তি হন। এ সময় তাঁর অসাধারণ মেধার পরিচয় পাওয়া যায়।
জন্মের সময়কাল থেকে নিউটন ছিলো খুব রোগা প্রকৃতির। তিনি যতটা না রোগা ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন দুষ্ট। তিনি যতটা না দুষ্টু ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন মেধাবী। বালক নিউটনের জ্ঞানের প্রতিভা এতোটাই ছিলো যে একদিনের ঘটনায় শিক্ষক মুগ্ধ হয়ে যান। ঘটনাটি ছিলো, প্রায়ই নিউটনের স্কুলের এক স্যার স্কুলে আসতে দেরি করতো। তাই তিনি স্যারকে বলে উঠলেন স্যার আমি আপনার জন্য একটা ঘড়ি তৈরি করে দিচ্ছি তাহলে ঘড়ি দেখে যথা সময়ে স্কুলে আসতে পারবেন।
তিনি এমন একটা ঘড়ি বানালেন যার উপরে ছিলো একটা জলের পাত্র। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান জল ঢেলে দেওয়া হতো আর তার থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঘড়ির কাটার উপর পরতো। ফলে ঘড়ির কাঁটা আপন গতিতেই চলতো। এ আবিষ্কার দেখে শিক্ষকরা মুগ্ধ হয়েছিলেন।
বিজ্ঞানী এবং সাধকরা সবকিছু ভুলে কোন একটা চিন্তায় যেমন ডুবে থাকতে ঠিক তেমনি ছিলেন বিজ্ঞানী নিউটন। একদিনের ঘটনা, বিজ্ঞানী নিউটন এর বাড়িতে একটা লোক একটা প্রিজম দেখাতে নিয়ে এলেন এবং বললেন এর দাম কতো হতে পারে?
বিজ্ঞানী নিউটন প্রিজমের উপর গুরুত্ব বিবেচনা করে বললেন এর সঠিক মূল্য নির্ণয় করা তার সাধ্যের বাইরে। তবে আমি এটা নিতে চাই। ফলে লোকটি অনেক বেশি দাম চেয়ে বসলো এবং সেই দামেই তিনি তা কিনে ফেললেন। তবে তার এই বেশি দাম দেয়া বিফলে যায় নি কারণ পরবর্তীকালে তিনি তা থেকে উদ্ভাবন করেন বর্নতত্ত্ব।
নিউটনের মার দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুতে তার মা বিধবা হলে তিনি আবার তার মা ও সৎ ভাই বোন সাথে একত্রে বসবাস শুরু করেন। ভাগ্যের খেলাটাও কিছুটা নির্মম। এদিকে নিউটনের মায়ের পক্ষে ক্ষেত, জমি জমা, সন্তান ইত্যাদির এত দায়িত্ব তদারকি করা সম্ভব হচ্ছিলো না। অবশেষে মা স্কুল ছাড়িয়ে ১৪ বছরের নিউটনকে কে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলেন।
কিন্তু নিউটন খামারের কাজের পাশাপাশি তার বন্ধুর বাড়ির পারিবারিক লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকলেন। ভাগ্যের চাকা একসময় সচল হলো। কাকা উইলিয়াম ভাইপোর জ্ঞান তৃষ্ণায় মুগ্ধ হয়ে নিউটন কে নিজের কাছে রেখে দিলেন।
তার কাকা ছিলেন ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের সঙ্গে যুক্ত। আবার স্কুলে ভর্তি হলেন নিউটন যা ছিলো সম্পূর্ণ কাকার উদ্যোগ। এক বছর পর নিউটন ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হলো। শুরু হলো নতুন এক জীবন। তিনি যেমন ছিলেন মেধাবী ঠিল তেমনি পরীশ্রমী। বেশ ভালো দখল ছিলো তার অংকের উপর।
বড় বড় অংকের সহজেই সমাধান করতেন তবুও অংকের প্রতি তার ছিলোনা তেমন কোন আকর্ষন বরং প্রকৃতির রহস্য তাকে যেন সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করত। একমাত্র বিজ্ঞান এর মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব তিনি তা অনেক আগেই বুঝেছিলেন।
১৬৬৫ সালে নিউটন স্নাতক ডিগ্রি করেন। কলেজের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় তিনি কিছু জটিল তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি আবিস্কার করেন কঠিন পদার্থের ঘনত্ব। ১৬৬৬ সালে ফ্লাক্সন শক্তি উদ্ভাবনের সাথে সাথেই মধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্বন্ধে চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করেন তিনি।
কিছুটা অবাক হওয়া যায় এই বিষয়ের উপর কারণ এসময় নিউটনের বয়স মাত্র ২৪ ছিলো। মধ্যাকর্ষণ তত্ত্বের একটি গল্প, কলেজ ছুটিতে প্রিয়তমাকে নিয়ে নিউটন বাগানে বসে আছে। এই সময়ে হঠাৎ খসে পড়লো একটি আপেল তার মাথা বরাবর। নিউটন মগ্ন হয়ে পড়লেন অন্ধ চিন্তায় এবং ঠোটে লাগানো জ্বলন্ত সিগারেট অজান্তেই ধরে ফেললেন প্রেমিকের হাতে।
তারপর প্রেমিকা দৌড়ে পালালেন এবং এদিকে বিজ্ঞানী নিউটন এর মাথায় এলো নতুন চিন্তা। আপেলটি কেন আকাশে উঠলো না মাটিতেই এসে কেনই বা পড়ল?
নিউটনের চিন্তার জগতের এ চিন্তা মানুষের জগতে নিয়ে আসে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। যদিও নিউটনের এ চিন্তাই মধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যাপারে প্রথম চিন্তা না। আবার অনেকের মতামত আসলে নিউটনের সাথে এ ঘটনা ঘটেই নি।
বর্তমানে ইতিহাসবিদদের মতে নিউটন এবং লাইবনিজ নামক বিজ্ঞানীর অবদানে গণিতের একটি নতুন শাখার উউদ্ভাবন হয় যা ক্যালকুলাস নামে পরিচিত। এটি পদার্থবিজ্ঞান এবং গনিতের জগতে কত বড় সাফল্য তা আপনার আমার চেয়ে বিজ্ঞানীরা ভালো বোঝে।
ক্যালকুলাসের আবিষ্কারক নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে মতভেদ আছে। স্টিফেন হকিং নামক এক বিজ্ঞানী তার ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম গ্রন্থে নিউটনকে চতুর ও মিথ্যাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলো। শোনা যায় এ বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয়েছিলো যা নিউটন বনাম লাইবনিজ ক্যালকুলাস বিতর্ক নামে বহুল পরিচিতি লাভ করে। এ নিয়ে সমালোচনার অভাব ছিলো না বিজ্ঞানের জগতে।
এছাড়াও নিউটন দ্বিপদী উপপাদ্যের একটি সাধারণ রুপ আবিষ্কারের জন্য খ্যাত। এই রুপটির এর একটি সমস্যা আছে অর্থাৎ এটি যেকোন ঘাতের জন্য প্রযোজ্য হয়। এছাড়াও নিউটন আরো বহুল আবিষ্কার এর আবিষ্কাকারক। যেমন- নিউটনের আইডেনটিটি, নিউটনের পদ্ধতি ও শ্রেণীবিন্যাসকৃত ঘনতলীয় বক্র ইত্যাদি।
অয়লারের যোগফল সুত্রের পূর্বসুরী হিসেবে চিহ্নিত হয় যা নিউটন লগারিদমের মাধ্যমে হারমোনিক ধারার আংশিক সমষ্টির আনুমানিক মান নির্ণয় করেন। নিউটনই প্রথম ব্যক্তি যিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে পাওয়ার সিরিজ ব্যবহার করেন এবং একে রিভার্ট করেন। এছাড়া পাই এর জন্য একটি নতুন সুত্রের উদ্ভাবন তিনিই করেন।
উলসথর্প থেকে ফিরে আসার পরেও নিউটন থেমে থাকেননি। তিনি এসেই আবার গবেষণা শুরু করেন। আলোকবিজ্ঞান এবং রসায়নের বিভিন্ন শাখার ওপর গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন। সেই সাথে থেমে থাকেনি তার গাণিতিক অনুধ্যানের প্রকল্পগুলো। ১৭৬৬ সালে নিউটনকে ট্রিনিটি কলেজ ছাড়তে হয় এবং তার মহাকর্ষ তত্ত্ব আবিষ্কার বিষয়ক লেখ্যর সুচনা এই সালেই করেছিলেন। নিউটন বলেছিলে এই সালেই আমি চাদের কক্ষপথে অভিকর্ষ নিয়ে ভাবতে থাকি।
তিনি এটাও বলেন যে, চাদকে তার নিজ কক্ষপথে থাকতে প্রয়োজনীয় বল এবং পৃথিবীতে বিরাজমান অভিকর্ষ বলের সাথে তুলনা করি এবং এই দুটি বলের মান আনুমানিক একই লাগছিলো।
একই সময়ে তিনি আর একটি মৌলিক পরীক্ষণের কাজ সম্পন্ন করেন যা ছিলো আলোক বিজ্ঞান বিষয়ে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি সাদা আলোর গাঠনিক বিষয়ে জানতে সক্ষম হন। আলোক বিজ্ঞান বিষয়ে তিনি নিজেই বলেন, এই সব কিছু আমার করতে মাত্র দুই বছর সময় লেগেছে অর্থাৎ ১৬৬৫ ও ১৬৬৬ সালের মাঝে। কারণ নিউটন বলে আমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ের তুলনায এই সময়ে আমি বিশেষ উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে ছিলাম যে সময়ে উদ্ভাবন, মনকেন্দ্রিক গণিত এবং দর্শন চিন্তার বিকাশ ঘটেছিল।
১৬৮৪ সালের আগে নিউটন মহাকর্ষ সম্পর্কে তার গবেষণা কর্মগুলো প্রচারের তেমন কোন উদ্যোগ নেন নি। তার মধ্যে রবার্ট হুক, এডমান্ড হ্যালি এবং স্যার ক্রিস্টোফার রেন মহাকর্ষ সম্বন্ধে গবেষণা করে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু তত্ত্ব বা তথ্য আবিষ্কার করেছিলেন।
কিন্তু তাদের একজনও গ্রহের কক্ষপথ সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট তত্ত্ব দিতে সক্ষম হন নি। ঐ বছর এডমুন্ড হ্যালি নামক একজন বিজ্ঞানী এ বিষয়টি সম্পর্কে নিউটনের সাথে কথা বলেন এবং তিনি অবাক হন যে নিউটনের কাছে বিষয়টির সমাধান আছে।
নিউটন বিজ্ঞানী এডমুন্ড হ্যালির কাছে ৭ টি সমস্যা ও ৪ টি উপপাদ্য প্রস্তাব করেন যেগুলো তার গবেষণা প্রধান বিষয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আনুমানিক সতের শতকের দিকে আঠার মাসে তিনি লেখেন তার সবচেয়ে বিখ্যাত বইটি অর্থাৎ ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা। এই বইটির ইংরেজি নাম দেয়া হয় Mathematical Principles of Natural Philosophy।
এই বইটি তিনটি খন্ডে বিভক্ত। নিউটন নাকি তৃতীয় খন্ডকে সংক্ষিপে লিখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজ্ঞানী এডমুন্ড হ্যালি তাকে তৃতীয় অংশটি বিস্তারিত লেখার ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলেন। রয়েল সোসাইটিতে বইটি প্রকাশ করতে অর্থের অভাব দেখা দেয়। এবারও বিজ্ঞানী হ্যালিই সাহায্য করেন। তিনি গ্রন্থটি প্রকাশের সমস্ত দায়িত্ব গ্রহন করেন। ফলে ১৬৭৮ সালে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতের জগতে অমুল্য এই বইটিত দেখা পাওয়া যায়। বইটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যে পুরো ইউরোপ সারা ফেলতে অল্প সময়ই লেগেছিলো। এর ধারাবাহিকতায় তখন কার সময়ে সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি পান ক্রিশ্চিয়ান হাইগেনস। তিনি ১৬৮৯ সালে নিউটনের সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার জন্য ইংল্যান্ডে যান।
১৬৭৯ সালে নিউটন মহাকর্ষ এবং বিশেষত বলবিজ্ঞান এবং গ্রহসমুহের উপর এর প্রভাব নিয়ে তার নিজস্ব গবেষণায় ফিরে আসেন। এক্ষেত্রে গ্রহেত গতি সম্পর্কে কেপলারের সুত্রকে তিনি উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন।
পরে তিনি এ বিষয় নিয়ে বিজ্ঞানী রবার্ট হুক ও জন ফ্ল্যামস্টিডের সাথে আলোচনা করেন। প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দ্য মটু করপোরাম নামক একটি বইয়ে প্রকাশ করেন। প্রিন্সিপিয়া বইয়ের প্রধান প্রধান নীতিসমুহ এই বইটিতে ছাপিত হয়েছিল।
১৬৮৭ সালের ৫ জুলাই সময়কালে তিনি তার ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা নামক বিখ্যাত বইটির প্রকাশ ঘটায়। আমি আগেই বলেছি যে এই বইটি প্রকাশে নিউটন হিমসিম খাচ্ছিলো তখন সাহস এবং অর্থের যোগান দেয় বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি।
এই বইয়েও নিউটন তার গতির বিখ্যাত তিন সুত্রের উল্লেখ করেন। তিনি বস্তুসমুহের মাঝের বলকে প্রকাশ করার জন্য ল্যাটিন ভাষায় গ্রাভিটাস শব্দের ব্যবহার করেন। এখান থেকেই মহাকর্ষ শব্দের উদ্ভব হয়। এটি প্রকৃতির অন্যতম একটি মৌলিক বল। নিউটন এ বিষয়ের উপর একটি তত্ত্বের অবতারণা করেন যা নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত। একই গ্রন্থে নিউটন বাতাসে শব্দের বেগের প্রথম বিশ্লেষণমূলক নির্ণয় প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। বয়েলের সূত্রের উপর ভিত্তি করে তিনি এই ব্যাখ্যা প্রদান করেছিলেন। আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেতে নিউটনকে সাহায্য করে প্রিন্সিপিয়া নামক গ্রন্থটি। তিনি সেখানে মোটামুটি প্রশংসনীয় হন এবং বন্ধুত্ব হয় সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী গণিতবিদ নিকোলাস ফাটিও দ্য ডুইলিয়ার এর সাথে। এই গণিতবিদের সাথে নিউটন বিশেষ বন্ধুত্বের সম্পর্কের সময়কাল ১৬৯৩ সাল পর্যন্ত বিরাজমান ছিল। এই বন্ধুত্ব একসময় ভেঙ্গে যায় এবং একসময় নিউটন মুষড়ে পড়ে।
প্রিন্সিপিয়া বইটিতে প্রয়োজনীয় মুলনীতিসমুহ নিয়ে কাজ করার সময়ই নিউটন বিশ্ববিদ্যালয় কাজগুলোতে আরো মনোযোগী হয়ে ওঠেন। একই সময় রাজা জেমস দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বময় কাজ এবং আনুগত্যের শপথ মানতে অস্বীকার করেন।
নিউটন তার এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন ফলে তিনি কেমব্রিজের সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ পান। রাজনীতির কাজ একসময় শেষ হয় এবং তিনি পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। এ সময় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে যান। এই অসুস্থতার কারনে তিনি আনুমানিক পনেরো মাসের মতো গবেষণা কর্মে অক্ষম ছিলেন।
এর ফলে তার সহকর্মী, বন্ধু ও বান্ধবের মাঝে চিন্তার সৃষ্টি হয়। রোগ থেকে যখন আরোগ্য লাভ করেন তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে সরকারের জন্য কাজ শুরু করেন। তার বন্ধু লক, লর্ড হালিফাক্স এবং রেন সাহায্যে তিনি প্রথমে ১৬৯৫ সালে ইংল্যান্ড সরকারের ওয়ার্ডেন অফ দ্যা মিন্ট ও পরে মাস্টার অফ দ্যা মিন্ট পদে নিযুক্ত হন। তিনি এই মাস্টার অফ দ্য মিন্ট পদে মৃত্যু পর্যন্ত বহাল ছিলেন।
অন্যদিকে জীবনের শুরু থেকেই নিউটন ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৬৯০ সালের পুর্বে থেকেই তিনি ধর্মীয় ভবিষ্যত বানী নিয়ে পড়াশোনা করতেন। তিনি তার বন্ধু লকের কাছে লেখা পত্রে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা দেন বলে শোনা যায়। এই পত্রটির একটি নাম ছিল যা An Historical Account of Two Notable Corruptions of The Scriptures। এই পত্রটি ছিলো ট্রিনিটি এর দুটি প্যাসেজ সম্পর্কে লেখা একটি পত্র। এছাড়াও তিনি মৃত্যুর আগে একটি লেখ্য লেখেন অর্থাৎ পান্ডুলিপি। এর নাম দেন Observations on the Prophecies of Daniel and the Apocalypse। এছাড়াও বাইবেলের কিছু ভাষ্য, সমালোচন এবং টীকা তিনি লিখেছিলেন।
নিউটনের গতির তিনটি সুত্র রয়েছে যা সবাই জানে। যা নিম্নরুপঃ
তিনি যখন আসুস্থ হয়ে যান তখন তার বয়স ছিলো ৮০ বছর। নিউটন হজম সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে শোনা যায় এবং তার জীবনযাপন ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করে ফেলেছিলেন। ১৭৭২ সালের মার্চ মাসে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় ফলে কালো হয়ে যায় তিনি এব চেতনা শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ১৭৭৬ সালের ৩১ এ মার্চ আমাদের এই বিজ্ঞানীর জীবনাবাসন ঘটে। তিনি যখন মারা যান তখন তার বয়স ছিলো ৮৪ বছর।
স্যার আইজাক নিউটনের সুখ্যাতি তার মৃত্যুর পরে আরও বেশি বেড়ে যায়। তো বন্ধুরা টিউনটি সামান্য তম ভালো লাগার কারণ হলে জোসস দিতে দ্বিধা করবেন না। সবাই ভালো থাকবেন। টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউনটির টিউন টপিক Up to the Mark কোয়ালিটির হয়নি।
কারণ:
আপনার টিউনটির টিউন টপিক Up to the Mark কোয়ালিটির, এক্সক্লুসিভ, ইউজার এনগেজিং, ইন্টারেস্টিং, টেকটিউনসে এর আগে টিউন করা হয়নি এমন, টিউন টপিক নিয়ে টিউন করা হয়নি।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে আপনাকে Up to the Mark কোয়ালিটির, এক্সক্লুসিভ, ইউজার এনগেজিং, ইন্টারেস্টিং এবং টেকটিউনসে এর আগে টপিক নিয়ে টিউন হয়নি এমন, টিউন টপিক নিয়ে টিউন করতে হয়।
করণীয়:
আপনি আরও বেশি নতুন নতুন এক্সক্লুসিভ, ইউজার এনগেজিং, এর আগে টেকটিউনসে টিউন করা হয়নি এমন টপিক নিয়ে স্টার্ডি ও রিসার্চ করুন এবং আপনার পরবর্তি টিউনের টপিক হিসেবে এক্সক্লুসিভ, ইউজার এনগেজিং, এর আগে টেকটিউনসে টিউন করা হয়নি এমন টপিক এর উপর টিউন করুন।
এই টিউনটির জন্য ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ প্রসেস হলেও আপনার পরবর্তি টিউনের টিউন টপিক Up to the Mark কোয়ালিটির, এক্সক্লুসিভ, ইউজার এনগেজিং, ইন্টারেস্টিং টেকটিউনসে এর আগে টিউন করা হয়নি এমন, টিউন টপিক নিয়ে টিউন করা না হলে, সে টিউনের জন্য টেকটিউনস ক্যাশ প্রসেস হবে না এবং আপনার পরবর্তি টিউনের টিউন টপিক বারংবার Up to the Mark না হলে আপনার ট্রাসটেড টিউনারশীপ অপসারিত হবে।
আপনার পরবর্তী টিউন, নির্দেশিত এই গাইডলাইন মেনে টিউন করুন।