হ্যালো প্রিয় টেকটিউনস এর বন্ধুরা কেমন আছ। আশাকরি ভালো আছ। আজকে আপনাদের সামনে হাজির হলাম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আটিকেল নিয়ে। বন্ধুরা টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন, কোন সম্পকে আটিকেল। তাহলে বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে আসি।

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার জন্য সবথেকে সেরা মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স। সেটা আমিও জানি আর আপনারাও জানেন, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ব্লগ থেকে মাসে কত টাকা আয় করা যায়। সে ব্যাপারে আমি আর্টিকেল লিখব। সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। বাংলা ব্লগ থেকে মাসে কত টাকা আয় করা যায় গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে, এখন কথা হল গুগল এডসেন্স সবথেকে সেরা মাধ্যম কেন, ব্লগ থেকে টাকা আয় করার এবং কিভাবে আপনারা অনেক সহজে এবং দ্রুত পদ্ধতি দ্রুত গতিতে গুগল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পেয়ে যাবেন। নিজের ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য আমি জানি এবং আপনারাও জানেন যে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা পাওয়াটা বহুৎ কঠিন।
তাহলে আপনারা সহজে যেকোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগকে বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে কিভাবে আয় করবেন। তা এই টিউনে আমি আপনাদেরকে কিছু আমার সেরা টিপস শেয়ার করব। যেগুলি পড়ে আপনারা নিজের ব্লগে ইম্প্লেমেন্ট করে আপনার ব্লগকে দ্রুতগতিতে গুগল এডসেন্স এর জন্য অ্যাপ্রবল করাতে পারবেন। এবং বিজ্ঞাপণ দেখানোর মাধ্যমে ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তাহলে প্রথমে আপনাদের ব্যবহার করতে হবে একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন প্রিমিয়াম ডোমেইন মানে ডট কম, ডট ইন, ডট ইনফো, ডট ওআরজি, ডট নেট এই ধরনের নাম। গুগল এডসেন্স থেকে সহজে যে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য তৈরি হয়ে যায়, মানে এটা একটা প্রথম স্টেপ। আপনার যদি ব্লগস্পট এর ওয়েবসাইট ব্লগস্পটে ব্লক বানিয়েছেন। তাহলে অবশ্যই নিজের ডোমেইন নেম ডট blogspot.com এর একটি ডোমেইন ব্যবহার করেন। নিজের ব্লগের এড্রেস এর জন্য ভালো মানের ছাড়া গুগল এডসেন্স কোন সময় সেরকম ডোমেইন থাকা ব্লগ এপ্রুভ করবে না।
তাই প্রথম স্টেপ হল, আপনার একটি ব্লগের জন্য একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন থাকতে হবে। যেমন বাংলাতে ব্লগ বানাতে পারেন info.in। একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন, তাই গুগল এডসেন্স এর জন্য অ্যাপ্রবল পাওয়ার প্রথম স্টেপ।

দ্বিতীয় স্টেপ হচ্ছে আপনাকে ব্লগিং করার জন্য প্রথমেই আপনি একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনুন। এবং নিজের ব্লগে ইমপ্লিমেন্ট করুন। এখন আপনার ব্লগে কিছু ইম্পরট্যান্ট প্লেস থাকতে হবে। যে রকম কন্টাকটার প্রাইভেসি পলিসি, ডিসক্লেইমার, আবাউট এই কয়েকটি পেইড আপনার ব্লগে থাকা খুবই জরুরী। কয়টি গুগল এডসেন্সে আপনার একটি প্রিমিয়াম বা হাই কোয়ালিটি ব্লক থাকা জরুরি।
এগুলো করলে তখন অনেক সহজে গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগকে আপলোড করার জন্য রেডি হবে। আমি যতটুকু 99.99 শতাংশ ওয়েবসাইট বা ব্লগ সেরকম দেখেছি। যেগুলোতে গুগল ওয়েবসাইটে দেখেছি, যেগুলো গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্রুভ হয়নি এবং যেখানে টিচার রকমের নেই, তাই আপনার ব্লগ আপলোড করার জন্য আপনি এখনই গিয়ে নিজের ব্লগে আবাউট আসবে। যখন যেখানে আপনি আপনার ব্লগ এবং আপনার নিজের বিষয়ে লিখুন কন্টাক্ট অস্পিরিন করুন। যেখানে আপনি নিজের কন্টাক্ট ডিটেইলস দিবেন এবং যে কন্টাক্ট ডিটেইলস ব্যবহার করে আপনার ইউজার ডট ইউবার। ট্রাফিক ইউজাররা আপনাকে কন্টাক্ট করতে পারবে, ডিসক্লেইমার এবং প্রাইভেসি পলিসি, পলিসি ও অপচয় করবেে। আপনার ব্লগে ডিসক্লেইমার এবং প্রাইভেসি পলিসি জন্য আপনি অনলাইন প্রাইভেসি পলিসি মেকার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবেন। সেগুলো ব্যবহার করে কিছু ক্লিকে সেই কিছু ক্লিক করেই আপনি নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য প্রাইভেসি পলিসি এবং ডিস্ক তৈরী করতে পারবেন। এবং সেটা ব্যবহার করা খুবই সহজ। আমি পড় প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে টিউন দিয়ে দিব। পরবতীতে আমার প্রোফাইলে গিয়ে আপনারা টিউন পড়ে নিজের ব্লগের জন্য প্রাইভেসি পলিসি ডিসক্লেইমার পেজ বানাতে পারবেন। তাই আপনি প্রথমে প্রথমে প্রিমিয়াম ডোমেইন ইউজ করবেন। প্রাইভেসি পলিসি ডিসক্লেইমার সাপোটার্স আর কন্টাকটার একটি পেইজ নিজের ব্লগে অবশ্যই রাখবেন। এবং ভালোভাবে সে পেজগুলোতে ডিটেইলস দিবেন। এখন তৃতীয় টি হল তৃতীয়তে মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ যাতে ফাস্ট এবং ক্লিন হক বেশি কিচিমিচি থাকা ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স কখনোই পছন্দ করে না। এবং ফার্স্ট হতে হবে আপনার ব্লগ ফার্স্ট হতে হবে। যদি আপনার ব্লগ নো লোড হতে অনেক টাইম নিচ্ছে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের কেবল লোড হতে লাগে। তাহলে সেই ওয়েব সাইট গুগল এডসেন্স কোনদিন করবে না, এটা আপনি ভেবে সবসময় একটি ভালো হোস্টিং নিবেন। যাতে আপনার ব্লগ অনেক সহজে এবং অনেক জলদি লোড হয়। এবং একটি হালকা এবং ক্লিন থিম ইউজ করবেন। যাতে আপনার ওয়েবসাইট টা দেখার সাথে সাথেই ভালো লাগুক ঘিচি মিছি না হয় এবং সিম্পল ডিজাইন থাকুক।

সহজে যাতে সব কিছু বুঝা যায়, এ ধরনের ওয়েবসাইট বা ব্লগ হলে গুগল এডসেন্স অনেক সহজে আপলোড করতে রাজি হয়ে যায়। এবার আপনি মনে রাখবেন আপনার ওয়েবসাইটে মিনিমাম ২০ কন্টাক্ট মানে ২০ টি আর্টিকেল লেখা থাকতে হবে। আপনার একটি ব্লগে মিনিমাম 20 টি আর্টিকেল লেখার পর এই গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করবেন। যদি আপনি নতুন নতুন ব্লগ বানিয়েছেন এবং সাথে সাথে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করছেন। তাহলে খুব কম সম্বাবনা যে গুগল এডসেন্স আপনাকে আপলোড করবে। বিজ্ঞাপণ দেখানোর জন্য আপনার ব্লগে কিছুই কন্টাক্ট আছে, যা 0.1 সাথে গুগল এডসেন্স কোনদিন আপনাকে আপনার ব্লগকে আপলোড করবেনা। তাই ব্লগ বানানোর পর ভালো ভালো করে 20 টি আর্টিকেল লিখুন। সাবজেক্ট ক্যাটেগরি বানান 15 থেকে 20টির মতন, ক্যাটেগরি বানানো যে আপনার ব্লগ ব্লগার নিষ্পাপ সাথে রিলেটেড ক্যাটেগরি 20 টি বানান এবং প্রত্যেক ক্যাটেগরিতে দুটি দুটি করে আর্টিকেল লিখুন। দুটি দুটি করে আর্টিকেল বড় বড় আর্টিকেল লিখুন। এরকম করে ২০ টি টোটাল আর্টিকেল লেখার পরেই আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করলে সেটা ভালো হবে। কপিরাইট ইমেজ ব্যবহার করবেন না, আজকাল বেশিভাগ নতুন নতুন ব্লগাররা নিজের ব্লগের আর্টিকেলে ইমেজ ব্যবহার করেন। যা কপি আটিকেল ও ইমেজ হয়ে থাকে। নতুন ব্লগার এটাই ভুল করেন যে তারা নিজের ব্লগের আর্টিকেলে ইমেজ সহ যেগুলো ব্যবহার করেন সেগুলি গুগলের থেকে কপি করে, নিজের ওয়েব সাইটে পেস্ট করে দেয়, এবং সেটা হয়েছে কপিরাইট ইমেজ বা কপিরাইট আটিকেল। কপিরাইট ইমেজেস কপিরাইট আটিকেল কখনোই ব্যবহার করবেন না। আপনার ব্লগের যখনই কপিরাইট ইমেজেস কিংবা আটিকেল থাকবে যেটা আপনি গুগলের থেকে কপি-পেস্ট করেছেন, তখন গুগল এডসেন্স কখনই সেই ব্লগে এপ্রুভ করার সুযোগ খুবই কম। তাই সব সময় নিজের ব্লগের জন্য পিক্সাবে পিক্সএলআর এগুলির মতন স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটটিকে ইমেজেস ব্যবহার করবেন। সেগুলো কপিরাইট ফ্রি মিউজিক থাকে এবং যে কেউ যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারে। তাই কপিরাইট ইমেজেস গুগল থেকে কপি-পেস্ট করে, নিজের আর্টিকেলে কখনোই ব্যবহার করবেন না। এটা কিন্তু সবসময় মনে রাখবেন। আরেকটি জরুরী কথা যেটা হলো যে যখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করবেন। তখন যাতে আপনার ব্লগে অন্য কোন এড নেটওয়ার্ক কোম্পানির বিজ্ঞাপণ না থাকে। সেটা কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে এপ্রুভ হয়েছে। কিন্তু ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে যখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করছেন। তখন যদি আপনার ব্লগে অন্য কোম্পানির প্রচার বিজ্ঞাপণ অলরেডি চলছে। তখন গুগল এডসেন্স খুব কম আপনার ব্লগকে আপলোড করার চান্স থাকে।
তাই রিস্ক নিবেন না এবং অন্য যদি কোন এড নেটওয়ার্ক এর বিজ্ঞাপণ আপনার ব্লগে দেখাচ্ছে, তাহলে সেটা স্টপ করে দিন এবং তারপর এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন। এবার আপনার ব্লগে ২০টি আটিকেল কনটেন্ট লিখবেন, আপনার সেই আর্টিকেল এর কোয়ালিটি ভালো হতে হবে। আপনি যদি কোন খান থেকে কপি-পেস্ট করেন। তাহলে এডসেন্স আপনার ব্লগ কোনদিন করবে না। আপনার নিজের কনটেন্ট হতে হবে এবং কোয়ালিটি কনটেন্ট হতে হবে লং হতে হবে। মিনিমাম হাজার ওয়াটের আর্টিকেল হতে হবে, এবং নিজের লেখা হতে হবে, গুগল থেকে বা অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনি কপি করে সে আর্টিকেল লিখেছেন। তাহলে সেটা কপি কনটেন্ট এবং সেরকম আর্টিকেল থাকা ব্লকেডস কোনদিন আপলোড করবেনা। তাই সে ব্যাপারে ধ্যান রাখবেন। এবং অরিজিনাল কন্টাক্ট নিজের ব্লগে লিখবেন, তাহলে এই কয়েকটি জিনিস যদি আপনি নলেজে রাখেন তাহলে বিশ্বাস করুন, কেবল তিন থেকে চারদিন পড় আপনার ব্লগ এপ্রুভ করে দিবে।

এরমধ্যে গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগকে আপলোড করে দিবে। এবং তারপর আপনারা নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপণ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যম ব্যবহার করে এই টিপসগুলো ব্যবহার করে আপনি কেবল সাত দিনের মধ্যে একজন সত্যিকারের এপ্রুভ পেয়ে যাবেন। এবং আপনি বিশেষ কিছুই করা লাগবেনা। যা যা আমি এই আটিকেলে আপনাদের বললাম সেগুলি ইম্প্লেমেন্ট করে অ্যাডসেন্সে থেকে প্রোফাইল ঠিক করবেন। এবং আপনি আপনার নতুন একটি ব্লগের জন্য নতুন এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করবেন। ফলে এই মাধ্যম গুলি ব্যবহার করে, 5 দিনের মধ্যেই গুগল এপ্রুভ করে দিবে। তাই আপনি আপনার থেকে নিজের এক্সপেরিয়েন্স টিপসগুলো কে কাজে লাগিয়ে কাজ করতে হবে। আমি আপনাদের সাথে যে টিপসগুলো শেয়ার করলাম, এই টিপসগুলো ইম্প্লেমেন্ট করে কেবল পাঁচ দিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পেতে পারবেন। কিন্তু সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে, নিজেট ব্লগকে ভালোভাবে তৈরি করুন। এজন্য ভালো ডোমেইন, ভালো হোস্টিং, ভালো কম্পানি থেকে কিনবেন। আজকের আটিকেল ছিল এ পযান্ত, আটিকেলে কোন ধরনের ভুল হলে মাপ করবেন। ধন্যবাদ, ,