Deep Foundation – গভীর ভিত্তি। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য খুবে গুরুত্ব একটি টিউন

আগে বলে রাখি আমার বাংলা টাইপিং ভাল নয়। তাই কোন প্রকার ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সববাই ভাল আছেন। টাইটেল দেখেইত মনে হয় বুঝে গেছেন যে কি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাহলে বেশি কথা না বললে কাজের কথায় আসি।

আজকে আমার আলোচনার বিষয় গভীর ভিত্তি (Deep Foundation)

আমি গভীর ভিত্তির একটি ভিডিও দিয়েছি, সাথে একটি হ্যান্ড নোট।

ভিডিও লিংক ঃ Deep Foundation – গভীর ভিত্তি || Bangla Video Tutorial || for Civil Engineers হ্যান্ড নোট লিঙ্কঃ লিংক এখানে

              গভীর ভিত্তি (Deep Foundation) কি? 

যে সকল ভিত্তির গভীরতা প্রস্থের তুলনায় অনেক বেশি হয় তাকে গভীর ভিত্তি বলে। সাধারণভাবে খাদ বা গর্ত খনন করে গভীর ভিত্তি নির্মাণ করা হয় না। ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি যদি উত্তম ভার বহন ক্ষমতা                         সম্পন্ন কোন স্তর না পাওয়া যায়, তবে প্রয়োজনীয় ভার বহন ক্ষমতা সম্পন্ন স্তর পাওয়ার জন্য মাটির অনেক গভীরে কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করা হয়। তা ছাড়াও কাঠামোর দীর্ঘস্থাত্বের জন্য অনেক                                 সময় গভীর ভিত্তির প্রয়োজন হয়। সাধারণত নির্মাণ কৌশল অনুযায়ী গভীর ভিত্তি তিন প্রকার, যথাঃ

  1.  পাইল ভিত্তি (Pile foundation)

  2. কেইশন ভিত্তি (Caisson or Well foundation)

  3. কফারড্যাম (Cofferdam)

            পাইল ভিত্তি (Pile foundation) কি? 

স্টিল, কংক্রিট অথবা কাঠের সরু স্ট্রাইকচারাল মেম্বারকে পাইল বলে। পাইলকে মাটির মধ্যে আঘাত করে বসানো হয় অথবা মাটির মধ্যে গর্ত খনন করে স্ব-স্থানে কংক্রিট দ্বারা পূর্ণ করা হয়। কাঠামোর লোড স্থানান্তর করাই হল পাইলের প্রথান কাজ। যেখানে স্প্রেড ফুটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা পাওয়া না যায়, সেখানে পাইল ভিত্তি প্রদান করা হয়। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় ভার বহন ক্ষমতা সম্পন্ন স্তরের                গভীরতা বেশি হলে অথবা ভূপৃষ্ঠ অত্যধিক ঢাল বিশিষ্ট হলে সেখানে পাইল ভিত্তি প্রদান করা হয়। সুংকোচনশীল মাটি এবং ভরাটকৃত মাটির ক্ষেত্রে, যে কোন ধরনের কাঠামোর জন্য পাইল ভিত্তি নিরাপদ।                 পানি সংলগ্ন কাঠামো নির্মাণ করার জন্য পাইল ব্যবহৃত হয়। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বা উদ্দেশে পাইল ভিত্তি ব্যবহার করা হয় –

  1. ভূপৃষ্ঠের নিচের স্তরে মাটি সংকোচনশীল এবং দুর্বল হলে, অর্থাৎ ভারবহন ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে কাঠামোকে সাপোর্ট প্রদান অসমাথ হলে।
  2. যদি অগভীর ভিত্তি নির্মাণে কাঠামোর লোড অসমভাবে পতিত হওয়ার কারণে বসনও অসম হয়, তবে পাইল ভিত্তি ব্যবহার করে বসন গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনায়নের জন্য।
  3. গভীর পানি অতিক্রম করে শক্ত স্তরে কাঠামোর লোড স্থানান্তর করতে পাইল ভিত্তির প্রয়োজন।
  4. মাটি ধারক কাঠামো এবং উচ্চ কাঠামোর (Tall Structure) ক্ষেত্রে ভূকম্পন এবং ঝড়ো বাতাস জনিত কারণে সষ্ট আনুভূমিক বলসহ খাড়া লোডকে সাপোট দিতে পাইল ভিত্তি ব্যবহার করা হয়।
  5. সমুদ্র উপকূলে অথবা নদীর তীরের কাঠামতে পানি Scouring (বেগে ধাবমান) ক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকলে।
  6. ট্রান্সমিশন টাওয়ার, ডাক, পায়ার এবং অন্যন্য মেরিন স্ট্রাকচার নির্মাণ করতে।
  7. সাব-সয়েলের পানি পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে মাটি সংকোচন ও প্রসারণ প্রকৃতির হলে পাইলের মাধ্যমে লোডকে কাযকরী জোন (Active zone) স্থানান্তর করা হয়।
  8. বালি মাটিকে দৃঢ় এবং ভারবহন ক্ষমতা সম্পন্ন করতে।

           পাইলের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Pile): পাইলকে শ্রেণিবিভাগ করা হয়

(ক) মালামাল ব্যবহার অনুসারে শ্রেণিবিভাগ (Classification according to metrical used):

  1.  টিম্বার পাইল (Timber Pile)
  2. কংক্রিট পাইল (Concrete Pile)
  3. স্টিল পাইল (Steel Pile)

(খ) লোড স্থানান্তরের প্রকৃতি বা কায সম্পাদনের উপর ভিত্তি করে  শ্রেণিবিভাগ (Classification based on mode of transfer of load or on the function):

১। প্রান্ত ভারবাহী পাইল

২। ঘর্ষণ পাইল

৩। কম্প্যাকশন পাইল

৪। টেনশন বা আপলিফট পাইল

৫। আংকর পাইল

৬। ব্যাটার পাইল

৭। শিট পাইল

(গ) নির্মাণ পদ্দতির উপর ভিত্তি করে শ্রেণিবিভাগ (Classification based on the method of construction):

১। প্রি-কাস্ট পাইল (Pre-cast Pile)

২। কাস্ট-ইন সিটু পাইল (Cast-in-situ pile)

      কেইশন (Caisson):

মাটি অথভা পানির নিচে প্রয়োজনীও গভীরতায় ভিত্তি স্থাপনের জন্য যে কাঠামো নির্মাণ করা হয় তাকে কেইশন বলে। অন্যকথায় কাঠ, স্টিল অথবা কংক্রিট ইত্যাদি দ্বারা নির্মিত বক্সের ন্যায় আয়তাকার অথবা            বৃত্তাকার পানিরোধী কাঠামোকে কেইশন বলে। এর মাধ্যমে ভূপৃস্থ থেকে যে কোন গভীরতায় মাটি খনন করা যায়।

নিম্নলিখিত উদ্দেশে কেইশন নির্মাণ করা হয় –

১। নদীতে এবাটমেন্ট, ব্রিজ পায়ার ইত্যাদি।

২। জাহজ নির্মাণ কাঠামো, জাহাজ ঘাটের দেওয়াল।

৩। উপকূলীয় বৃহত্তম কাঠামো।

৪। উপকূল রক্ষাকারী কাঠামো।

         কফারড্যাম (Cofferdam):

কফারড্যাম এক ধরনের অস্থায়ী বেষ্টনী, যা নদী, হ্রদ ইত্যাদি এলাকায় নির্মাণ কাজ চলাকালে পানি প্রবেশে বাধাদান করে। এ সময় কিছু পানি কফারড্যামের মধ্যে দিয়ে চুঁয়ে ভিতরে প্রবেশ করে, যা সহজে                    পাম্প করে নিষ্কাশন করা যায়। এর দেওয়ালণ্ডলো যথাসম্ভব পানি নিরোধক হওয়া উচিত। পানির গভীরতা, মাটির অবস্থা, পানিস্তরের উঠা-নামা, মালামালের পর্যাপ্ততা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে কফার ড্যাম              কাঠের, স্টিল শিট পাইল অথবা মাটির দ্বারা তৈরি করা যেতে পারে।

Bangla Video Tutorial Link: Video Tutorial  PDF Hand Note Link: Pdf hand Note Link

জানি না টিউন টি আপনাদের কাছে কেমন লাগবে ? যদি ভালো লাগে আমকে জানাবেন।

আর কোন ভুল থাকলে সেটি দরিয়ে দিবেন।

সবাইকে ধন্যবাদ !

Email: [email protected]

facebook : fb id link

Level 0

আমি আবীর এ হাপযু। Sub-Assistant Engineer, Civil Engineer, Uttara Model Town। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 22 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 31 টিউনারকে ফলো করি।

I am in a journey of perpetual learning. I learn all the time and progress everyday. But I believe that the learning process can be much more efficient than it is now. I am visual learner and visual learning is way faster than reading. So I make slides about the...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস