
আমরা সেইসব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা ২০টি সেরা ফ্রি এআই টুলের একটি তালিকা শেয়ার করছি, যারা দিনরাত এক করে কন্টেন্ট তৈরি করেন। এই টুলগুলি আইডিয়া তৈরি থেকে শুরু করে ফাইনাল আউটপুুট দেওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তুলবে এবং আপনার সময় বাঁচানোর পাশাপাশি কাজের মানকেও উন্নত করবে।
🔥 আমার সবচেয়ে পছন্দের সেরা ২০টি এআই টুল:
এটা শুধু একটা চ্যাটবট নয়, একজন কমপ্লিট ক্রিয়েটিভ পার্টনার। এর ক্ষমতা আপনাকে অবাক করে দেবে!
কাজ: ইউটিউব ভিডিওর জন্য একদম ন্যাচারাল স্ক্রিপ্ট তৈরি করা, ভিজ্যুয়াল আইডিয়া ও প্রতিটি দৃশ্যের জন্য প্রম্পট জেনারেট করা, অসাধারণ রিয়েলিস্টিক ছবি তৈরি, যেকোনো ছবি আপলোড করে তার পেছনের প্রম্পট বের করা, এমনকি হুবহু মানুষের মতো ভয়েসওভার তৈরি করা। এর আপকামিং Veo 2 মডেল দিয়ে ভিডিও-ও জেনারেট করা যাবে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, কম্পিউটার স্ক্রিন শেয়ার করে লাইভ যেকোনো সমস্যার সমাধানও করে দেয়।
ছবি এডিট বা থাম্বনেইল তৈরির জন্য এটি একটি পাওয়ারহাউস।
কাজ: টেক্সট থেকে দারুণ ছবি তো বানাতে পারেই, এর আসল জাদু হলো ইমেজ রেফারেন্স ফিচার। আপনি যেকোনো ছবির স্টাইল, পোজ বা ক্যারেক্টার হুবহু কপি করতে পারবেন। এর সবচেয়ে শক্তিশালী ফিচার হলো "Canvas", যা দিয়ে ছবিতে নতুন কোনো অবজেক্ট যুক্ত করা, অপ্রয়োজনীয় কিছু মুছে ফেলা, ছবির কোয়ালিটি বাড়ানো (Upscale), ছবির সীমানা বাড়ানো (Extend) বা ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার মতো কাজ পারফেক্টভাবে করা যায়।
আমাদের সবার প্রিয় চ্যাটজিপিটি এখন আরও অনেক বেশি শক্তিশালী এবং মাল্টিমোডাল।
কাজ: ন্যাচারাল স্ক্রিপ্ট বা আইডিয়া তো আছেই, এর সাথে এটি দিয়ে দুর্দান্ত ছবিও তৈরি করা যায়। একাধিক ক্যারেক্টার রেফারেন্স দিয়ে রিয়েলিস্টিক ছবি তৈরি, ছবি থেকে প্রম্পট বের করা এবং সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে তোলা যেকোনো প্রোডাক্টের ছবিকে প্রফেশনাল প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফিতে রূপান্তর করা যায়।
ভয়েসওভারের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। আপনার ভিডিওতে প্রফেশনাল ভয়েসের ছোঁয়া দিতে চাইলে এটা ব্যবহার করতেই হবে。
কাজ: হুবহু মানুষের মতো ন্যাচারাল ভয়েসওভার তৈরির জন্য এটি ইন্ডাস্ট্রির সেরা। শুধু তাই নয়, এর "Speech to Speech" ফিচার দিয়ে নিজের রেকর্ড করা সাধারণ ভয়েসকেও প্রফেশনাল, স্টুডিও-কোয়ালিটির ভয়েসে কনভার্ট করতে পারবেন।
কনসিসটেন্ট ছবি ও ভিডিও জেনারেট করার জন্য সেরা ১টি টুল।
কাজ: এই একটি টুল দিয়েই টেক্সট টু ভিডিও, ইমেজ টু ভিডিও তৈরি করা যায়। এর সবচেয়ে শক্তিশালী ফিচার হলো "Character Reference", যা ব্যবহার করে একই ক্যারেক্টারকে বিভিন্ন দৃশ্যে রেখে কনসিসটেন্ট ভিডিও বা ছবি তৈরি করা সম্ভব।
আপনার অডিও কোয়ালিটি যদি খারাপ হয়, তাহলে দর্শকরা ভিডিও দেখবে না। এই টুলটি সেই সমস্যার পারফেক্ট সমাধান।
কাজ: এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আপনার সাধারণ মাইক্রোফোনে রেকর্ড করা অডিও থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ, প্রতিধ্বনি (echo) সহ সব অপ্রয়োজনীয় সাউন্ড এক ক্লিকে রিমুভ করে ভয়েসকে একদম ক্রিস্টাল ক্লিয়ার, স্টুডিও কোয়ালিটির বানিয়ে ফেলে।
দ্রুত ও সহজে ভিডিও ক্লিপ তৈরির জন্য এটি অসাধারণ একটি টুল।
কাজ: টেক্সট বা ছবি থেকে ভিডিও তৈরি করা যায়। এখানে অসংখ্য রেডি টেমপ্লেট রয়েছে, যা ব্যবহার করে আপনি এক ক্লিকেই ট্রেন্ডিং স্টাইলের ভিডিও বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
ভিডিও জেনারেশনের জগতে এটি এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম। এর ক্ষমতা অবিশ্বাস্য।
কাজ: টেক্সট বা ছবি থেকে অত্যন্ত রিয়েলিস্টিক এবং লম্বা ভিডিও তৈরি করতে পারে। এছাড়াও ভিডিওতে থাকা কোনো ব্যক্তির সাথে মিলিয়ে নিখুঁতভাবে লিপ-সিঙ্ক করানো এবং হাই-কোয়ালিটি ইমেজ জেনারেট করার ক্ষমতাও রাখে।
কনসিসটেন্ট ক্যারেক্টার বা স্টাইল ধরে রেখে ছবি তৈরির জন্য এটি দারুণ।
কাজ: টেক্সট থেকে ছবি তো তৈরি করেই, এর মূল শক্তি হলো ইমেজ রেফারেন্স ফিচার। একটি ছবি রেফারেন্স হিসেবে দিয়ে আপনি একই রকম দেখতে বা একই স্টাইলের অসংখ্য কনসিসটেন্ট ছবি জেনারেট করতে পারবেন।
যারা ইউনিক ও হাই-কোয়ালিটি আর্ট বা ছবি বানাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি স্বপ্নের টুল।
কাজ: এখানে বিভিন্ন স্টাইলের জন্য আগে থেকেই ফাইন-টিউন করা অনেক মডেল পাওয়া যায়। যেমন: 3D অ্যানিমেশন, পিক্সেল আর্ট, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি। এর "Alchemy" ফিচার ব্যবহার করে ছবির ডিটেইলস ও কোয়ালিটি বহুগুণে বাড়ানো যায়। এছাড়াও এর ক্যানভাস এডিটর দিয়ে ছবি এডিট ও এক্সটেন্ড করা সম্ভব।
আপনার রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, যে কিনা লেটেস্ট তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
কাজ: এটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত, তাই যেকোনো টপিকের উপর আপ-টু-ডেট তথ্য দিয়ে স্ক্রিপ্ট লিখতে বা আইডিয়া তৈরি করতে পারে। যেকোনো ওয়েবসাইট বা ইউটিউব লিংকের সারাংশ তৈরি করতে পারে এবং DALL-E 3 ও GPT-5 এখানে ফ্রি ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও Google AI Studio এর মত স্ক্রিপ্ট তৈরি করা, ভিজ্যুয়াল আইডিয়া জেনারেটকরা, ছবি থেকে প্রম্পট বের করা এবং সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে তোলা যেকোনো প্রোডাক্টের ছবিকে প্রফেশনাল প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফিতে রূপান্তর করা যায়।
কোন সফটওয়্যার ছাড়া বেসিক ভিডিও এডিটিং করা এবং ছবি এডিটিং এর সেরা একটি ফ্রি টুল।
কাজ: অটোমেটিক সাবটাইটেল জেনারেট করা, ভিডিও থেকে এক ক্লিকে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা, টেক্সট থেকে ভয়েসওভার তৈরি, অটো রিফ্রেম (ভিডিওকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য সাইজ করা) সহ হাজারো ফ্রি টেমপ্লেট, ইফেক্ট ও মিউজিক রয়েছে। প্রডাক্ট ফটোগ্রাফী তৈরি করা, video stabilze ও super slow motion করা যায়।
যেকোনো ছবিকে কথা বলানোর জন্য এটি একটি জাদুকরী টুল।
কাজ: আপনি শুধু একটি ক্যারেক্টারের ছবি এবং একটি অডিও ফাইল আপলোড করবেন। এই টুলটি সেই অডিওর সাথে মিলিয়ে ক্যারেক্টারের মাথা নাড়ানো, চোখের পলক ফেলা এবং ঠোঁট নাড়ানোসহ একটি নিখুঁত লিপ-সিঙ্ক ভিডিও তৈরি করে দেবে।
থাম্বনেইল বা যেকোনো ডিজাইনের জন্য ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার সবচেয়ে দ্রুততম উপায়।
কাজ: কোনো ঝামেলা ছাড়াই শুধু ছবি আপলোড করলেই সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে দেয় এবং আপনাকে একটি ট্রান্সপারেন্ট PNG ফাইল ডাউনলোড করতে দেয়।
ডিজাইনিং-এর কাজকে সহজ করার জন্য ক্যানভার এআই ফিচারগুলো অসাধারণ।
কাজ: এর "Magic Write" দিয়ে কন্টেন্ট লেখা, "Magic Edit" দিয়ে ছবির যেকোনো অংশ এডিট করা এবং "Magic Switch" দিয়ে এক ক্লিকে যেকোনো ডিজাইনকে অন্য সাইজে (যেমন: ইউটিউব থাম্বনেইল থেকে ইন্সটাগ্রাম স্টোরি) পরিবর্তন করা যায়।
সব এআই মডেলের শক্তি এক জায়গায় পাওয়ার জন্য এটি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম।
কাজ: এখানে আপনি GPT, Claude, Llama-এর মতো বিভিন্ন জনপ্রিয় এআই মডেল এক জায়গা থেকেই ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে একই প্রম্পট বিভিন্ন মডেলে টেস্ট করে সেরা আউটপুটটি বেছে নিতে পারবেন।
অন্যান্য এআই যখন আপনাকে ফর্মাল উত্তর দেয়, Grok আপনাকে দেবে মজাদার ও ব্যতিক্রমী আইডিয়া।
কাজ: এর একটি বিশেষ "Fun Mode" রয়েছে যা আপনাকে গতানুগতিক ধারার বাইরে চিন্তা করতে সাহায্য করবে। টুইটার (X)-এর রিয়েল-টাইম ডেটা ব্যবহার করার কারণে এটি ট্রেন্ডিং টপিকের উপর দারুণ সব আইডিয়া দিতে পারে।
লম্বা ভিডিও থেকে শর্টস বানানোর সবচেয়ে সহজ ও অটোমেটেড উপায়।
কাজ: আপনার একটি লম্বা ইউটিউব ভিডিও আপলোড করলে, এটি নিজে থেকেই ভিডিওর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও ভাইরাল হওয়ার মতো অংশগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোকে ভার্টিক্যাল শর্টস/রিলস হিসেবে কেটে, এডিট করে এবং ক্যাপশনসহ রেডি করে দেয়।
আপনার কনটেন্টে ফিউচারিস্টিক ছোঁয়া দিতে চাইলে এই টুলটি আপনার জন্য।
কাজ: সাধারণ স্মার্টফোন দিয়ে তোলা ভিডিও থেকে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ 3D সিন তৈরি করতে পারে, যা আপনি যেকোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেখতে পারবেন। প্রোডাক্ট রিভিউ বা কোনো স্থানের ভার্চুয়াল ট্যুর দেখানোর জন্য এটি অসাধারণ।
আপনার এলোমেলো আইডিয়া আর কাজগুলোকে গুছিয়ে রাখার সেরা ডিজিটাল ব্রেইন।
কাজ: এটি আপনার নোটস, স্ক্রিপ্ট বা প্ল্যানিং ডকুমেন্টের ভেতরেই কাজ করে। যেকোনো
আমি Diya। Social Media marketing, Lum IT Hub, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 মাস 2 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।