বিশ্বাস করুন বা না করুন, আমরা যখন Social Media-তে বন্ধু বা প্রিয়জনের সাথে হাসির গল্প শেয়ার করি, বা একটি Website-এ নিজেদের পছন্দের জিনিসপত্র ব্রাউজ করি, বা কেবল একটি Online Article পড়ি – তখন কি কখনো ভেবে দেখি যে আমাদের অজান্তেই হয়তো কেউ আমাদের প্রতিটি "Online Activity"-এর উপর নজর রাখছে? শুনতে কোনো Sci-Fi Movie-র গল্প মনে হলেও, US-এ ঠিক এটাই ঘটছে। এটি কেবল একটি Digital Dilemma নয়, এটি আমাদের মৌলিক Privacy-এর উপর সরাসরি আক্রমণ এবং এক ভয়ংকর ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ।
আমাদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট (Digital Footprint) দিনে দিনে বড় হচ্ছে। আমরা কী লিখছি, কী দেখছি, কার সাথে কথা বলছি – সবকিছুই যেন ইন্টারনেটের বিশাল সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এই তথ্যগুলো যখন নির্দিষ্ট কিছু শক্তিশালী সংস্থার হাতে চলে যায়, তখন সেটি আমাদের জন্য কতটা নিরাপদ থাকে? এই প্রশ্নটি আজ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
কল্পনা করুন, একটি অত্যাধুনিক "Tool" যা 200টিরও বেশি "Websites"-এর উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে। এর মূল লক্ষ্য কী জানেন? এমন সম্ভাব্য "Targets" চিহ্নিত করা, যাদের "Deport" (নির্বাসন) বা "Detain" (আটক) করা হতে পারে। আরও ভয়ংকর হলো, US Immigration And Customs Enforcement বা ICE-এর মতো শক্তিশালী "Government Agencies" এই "Tool"-টি ব্যবহার করে "Deep Digital Surveillance"-এর কাজ চালাচ্ছে। এটি কি একটি Conspiracy Theory মনে হচ্ছে?
না, মোটেও না! US-এর প্রখ্যাত "Investigative Outlets", 404 Media-এর একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ "Investigation" অনুসারে, এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ বাস্তব। এই "Tool"-টির নাম হলো Social Nets। এটি কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং আরও অনেক "Surveillance Technologies"-এর মধ্যে এটি অন্যতম, যা আমাদের "Online Activities"-কে সূক্ষ্মভাবে নিরীক্ষণ করছে। কীভাবে? এই "Tool"-গুলো সাধারণত "Publicly Available Data" যেমন "Posts", "Comments", "Likes", "Shares", "User Profiles" থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এছাড়াও, বিভিন্ন "Websites"-এর "API"-এর মাধ্যমে বা "Data Scraping Techniques" ব্যবহার করেও তারা বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এমনকি "Dark Web" এবং "Deep Web"-এর মতো স্থান থেকেও তথ্য সংগ্রহ করার সক্ষমতা এদের থাকতে পারে। এর মাধ্যমে তারা "Individuals"-এর একটি বিস্তারিত "Digital Footprint" তৈরি করে, যা তাদের "Movements", "Associations", "Beliefs" এবং এমনকি "Political Leanings" সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। ভাবুন তো, আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া একটি সাধারণ "Like" বা একটি "Comment" হয়তো আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে!
এই Social Net "Tool"-এর পেছনে রয়েছে Shadow Dragon নামের একটি US "Company"। এরা ICE-এর জন্য একটি "Contractor" হিসেবে কাজ করে। এই Contractual Arrangement-এর অর্থ কী জানেন? একটি Private Company সরকারি সংস্থার হয়ে জনগণের উপর নজরদারি চালাচ্ছে, যা "Transparency" এবং "Accountability"-এর ক্ষেত্রে অনেক গুরুতর প্রশ্ন তৈরি করে। একটি Private Entity-এর যখন "Profit Motive" থাকে, তখন তাদের "Overreach" বা অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়, কারণ তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য জনস্বার্থের পরিবর্তে লাভ Maximization হতে পারে।
404 Media-এর "Investigation"-এ বেরিয়ে এসেছে যে Social Net 200টিরও বেশি "Websites"-কে Monitor করছে। এর তালিকায় কী কী আছে জানেন? নতুন প্রজন্মের "Social Platform" Blue Sky, যার "Users" হয়তো আরও বেশি Privacy আশা করেন কারণ এটি Decentralized Nature-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এছাড়াও আছে OnlyFans-এর মতো "Platform", যেখানে "Users" অত্যন্ত ব্যক্তিগত "Content" শেয়ার করেন – এটি ব্যক্তিগত "Privacy"-এর চরম লঙ্ঘন!
একজন ব্যক্তি OnlyFans-এ কী Content দেখছেন বা টিউন করছেন, তা দিয়ে তাকে "Deport" বা "Detain" করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা যৌক্তিক ও মানবিক? আর সবচাইতে বড় কথা, Meta Platforms-এর মতো Gigantic Companies-ও এই নজরদারির বাইরে নয়। Meta-এর অন্তর্ভুক্ত Facebook, Instagram, এবং WhatsApp-এর মতো Platform-গুলোতে কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত "Conversations", "Photos", "Videos" এবং "Daily Updates" থাকে।
ভাবুন একবার, আপনার Facebook Post, Instagram Story বা Blue Sky-এর কার্যকলাপগুলো হয়তো ICE-এর হাতে চলে যাচ্ছে, যা "Deport" বা "Detain" করার সিদ্ধান্তের ভিত্তি হতে পারে! এই ধরনের "Dive Into People's Personal Data" সত্যিই Alarming। কে কখন কোথায় কী করছে, কার সাথে যোগাযোগ করছে, কোন বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে – এই সব তথ্য একত্রিত করে একটি মানুষের সম্পূর্ণ "Digital Profile" তৈরি করা হচ্ছে, যা তাদের অনুমতি বা জ্ঞান ছাড়াই ব্যবহার করা হচ্ছে।
মানুষের ব্যক্তিগত "Data"-তে এই ধরনের অনধিকার প্রবেশ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আর এই কারণেই "Nonprofit" Mozilla Foundation একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ইন্টারনেট "Privacy" এবং "Freedom"-এর জন্য সুপরিচিত এই সংস্থাটি "No Data For Surveillance Tech" নামক একটি যুগান্তকারী "Campaign" শুরু করেছে। এই "Campaign"-এর মূল উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বের বড় বড় "Tech Platforms"-গুলোর কাছে আবেদন জানানো, যাতে তারা Social Net-এর মতো "Surveillance Tools"-কে তাদের "Platform"-এ "Access" দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
Mozilla Foundation-এর যুক্তি হলো, যেহেতু এই "Tech Giants"-রা মানুষের "Data" ধারণ করে, তাই তাদের দায়িত্ব হলো সেই "Data"-কে সুরক্ষা দেওয়া, এবং এমন কোনো Third-Party "Tool"-কে "Access" না দেওয়া যা জনগণের "Privacy"-কে খর্ব করে। তারা চাইছেন, এই "Platforms"-গুলো তাদের "API Access" কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করুক এবং Third-Party Developers-এর সাথে তাদের "Agreement"-গুলো পুনর্বিবেচনা করুক, যাতে Surveillance Companies-গুলো আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে "Profit" করতে না পারে বা সরকারি সংস্থাগুলোর হাতে অবাধ ক্ষমতা দিতে না পারে। এটি কেবল একটি প্রতীকী প্রতিবাদ নয়, এটি একটি সরাসরি আহ্বান "Tech Companies"-গুলোর প্রতি, তাদের নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, Shadow Dragon তাদের নিজস্ব "Website"-এই বলে রেখেছে, "Nothing That Shadow Dragon Is Doing Is Done In The Darkness"। অর্থাৎ, তাদের কাজগুলো নাকি "Darkness"-এর আড়ালে হচ্ছে না এবং তারা "Transparent" পদ্ধতিতে কাজ করছে। কিন্তু এই ধরনের নজরদারি কি আদৌ নৈতিক, যখন এর ফলে মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে? সমালোচকদের মতে, এই স্বচ্ছতার দাবি সত্ত্বেও, সাধারণ মানুষের "Personal Data"-র উপর এই ধরনের নজরদারি একটি "Surveillance State" তৈরির পথ খুলে দিচ্ছে। "Advocacy" মানে হলো জনসাধারণের পক্ষে কথা বলা। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের মতো "Public"-এর "Advocacy" এবং সোচ্চার হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি এমন একটি "Moment" যখন আমাদের সম্মিলিতভাবে কথা বলতে হবে, যাতে তারা তাদের "Everyday Work" বন্ধ করে "Course Correct" করতে বাধ্য হয় এবং "Privacy"-কে অগ্রাধিকার দেয়। আমাদের নীরবতা মানেই তাদের অবাধ ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেওয়া।
অনেকের কাছে, কেবল "Online Activities"-এর নজরদারিই শেষ কথা নয়। "Surveillance Of Students"-এর মতো ঘটনাগুলো একটি বৃহত্তর "Threat"-এর দিকে ইঙ্গিত করে: US নিজেই কি একটি "Surveillance State"-এ পরিণত হচ্ছে? যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো শিক্ষার্থীদের "Online Activities"-এর উপর নজরদারি করে, তখন তা তাদের মধ্যে "Free Speech"-এর উপর একটি "Chilling Effect" তৈরি করে। "Chilling Effect" মানে হলো, মানুষ ভয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করা বা নির্দিষ্ট কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকা। তারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায়, যা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই নজরদারি শিক্ষার্থীদের Mental Health-এর উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং Minority Groups-কে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে টার্গেট করতে পারে।
এই "Surveillance Technologies"-গুলো হয়তো প্রথমে "Military Threats" সনাক্ত করার জন্য তৈরি হয়েছিল, অর্থাৎ জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু এখন সেগুলোর ব্যবহার "Political Speech" নিরীক্ষণের দিকে মোড় নিয়েছে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ একটি গণতন্ত্রে "Political Speech"-এর স্বাধীনতা অত্যন্ত জরুরি। যখন সরকার জনগণের রাজনৈতিক মতামত বা সক্রিয়তার উপর নজরদারি শুরু করে, তখন তা ভিন্নমতকে দমিয়ে দিতে পারে, প্রতিবাদ আন্দোলনকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং একনায়কতন্ত্রের পথ খুলে দিতে পারে। এটি "Mission Creep"-এর একটি স্পষ্ট উদাহরণ, যেখানে একটি Technology তার মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে এসে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, প্রায়শই যা জনগণের অধিকারের পরিপন্থী।
এই "Shift" আমাদের দৈনন্দিন "Lives"-এ "Digital Surveillance"-এর এক Alarming "Normalization"-কে প্রতিফলিত করে। অর্থাৎ, যা একসময় অকল্পনীয় ছিল, যা আমরা কেবল James Bond Movie-তে দেখতাম, তা এখন আমাদের চারপাশে স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে উঠছে। "Convenience" এবং নিরাপত্তার নামে আমরা হয়তো অজান্তেই আমাদের "Privacy"-এর অনেকটাই বিসর্জন দিচ্ছি। একটি "Surveillance State"-এ, নাগরিকদের উপর রাষ্ট্রের নজরদারি এতই ব্যাপক হয় যে, ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকে না। মানুষ ভয়ে থাকে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি কথা বা প্রতিটি Online Activity হয়তো রেকর্ড করা হচ্ছে। যদি আমরা এখনই এর বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুলি, তবে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা এমন এক "Surveillance State"-এ বাস করব যেখানে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি "Online Click", এবং প্রতিটি ব্যক্তিগত তথ্য সরকারের নজরদারির আওতায় থাকবে। আমাদের "Privacy", আমাদের স্বাধীনতা - এই সবকিছুর উপর প্রযুক্তির নজরদারি কতটা প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে আজ নতুন করে এবং গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে। এটি কেবল US-এর সমস্যা নয়, এটি বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা যা প্রতিটি ডিজিটাল নাগরিকের জন্য প্রাসঙ্গিক।
আসুন, এই বিষয়ে সচেতন হই এবং আমাদের ডিজিটাল অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হই। কারণ Privacy কোনো বিলাসিতা নয়, এটি একটি মৌলিক মানব অধিকার।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 272 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 74 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।