মোবাইল ডিসপ্লে নিয়ে যত ঝামেলা!

আমরা মোবাইল কিনতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়ি যে কন ডিস্প্লের মোবাইল কিনব। তাদের জন্যই আমার এই আর্টিকেল।

মোবাইল ডিসপ্লে হচ্ছে প্রধানত ২ প্রকারঃ

১। এলসিডি

২। এলইডি

এলসিডি ডিসপ্লেকে যদি বাস্তবে চিন্তা করি তাহলে এটাকে লম্বা টিউবলাইটের সাথে তুলনা করতে পারি। আর এলইডিকে তুলনা করতে পারি ছোট ছোট লাইটের সাথে। এলসিডি ডিসপ্লেকে জ্বালাতে গেলে সব গুল লাইট একসাথে জ্বলে ওঠে কিন্তু এলইডি ডিসপ্লেকে জ্বালানোর সময় তা নিয়ন্ত্রিত ভাবে জ্বালানো যায়। যার ফলে এর দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ব্যটারি পাওয়ার অনেক সেভ করে।

এলসিডি হচ্ছে ২ প্রকারঃ

১। TFT LCD Display:

এটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত স্ক্রীন টাইপ। পুরানো মডেলের মোবাইলগুলো থেকে শুরু করে কম বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। TFT এর পুর্নরুপ - Thin Film Transistor Technology. আর LCD এর পুর্নরুপ হলো Liquid Crystal Display.

খারাপ কোয়ালিটির TFT LCD ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইলে রঙ ফ্যাকাশে এবং স্ক্রীনের সাইড দিয়ে তাকালে অন্ধকার দেখা যাবে। ভাল কোয়ালিটির স্ক্রীন বেশি উজ্জ্বল এবং মোটামুটি পরিস্কার দেখা যাবে।

সূর্যের আলোতে এই স্ক্রীনে অপরিষ্কার দেখা যায়। এ ধরনের ডিসপ্লেতে ব্যাটারীর খরচ বেশি হয় কিন্তু এটি তৈরী করা যায় অনেক সস্তায়। তাই কম ও মাঝারী দামের সেটের এই ডিসপ্লে বেশি ব্যবহার করা হয়।

২। IPS LCD Display:
IPS এর পুর্নরুপ - In-Plane Switching. এটি TFT LCD Display থেকে উন্নত। এই স্ক্রীনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি ভালো এবং ব্যাটারী কম খরচ হয়। এটি এখন প্রায় সব ফোনেই ব্যবহৃত হচ্ছে।

এছাড়া রয়েছে Super LCD 
যা LCD স্ক্রীনের আধুনিকতম সংস্করন। এই ডিসপ্লেতেও সূর্যের আলোতে সহজেই দেখা যায়। এছাড়াও AMOLED স্ক্রীন থেকে রঙ আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

আবার এলইডি ডিসপ্লে ৩ প্রকারঃ

১। OLED Display:
OLED এর পুর্নরুপ - Organic Light Emitting Diode. এটি LCD থেকে ভালো কোয়ালিটির মোবাইল স্ক্রীন। এই ডিসপ্লে অনেক উজ্জ্বল, কৌনিক দিক থেকে সহজেই দেখা যায় এবং বেশ হালকা। .

২। AMOLED Display:
AMOLED এর পুরোটি - Active Matrix Organic Light Emitting Diode. এই ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পিক্সেলগুলো নিজ থেকেই আলো তৈরী করতে পারে ফলে আপনি সূর্যের আলোতেও কোন সমস্যা ছাড়াই দেখতে পারবেন। OLED স্ক্রীনের মতই এর ডিসপ্লে অনেক উজ্জল, শার্প এবং হালকা। হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোনগুলোতে এই স্ক্রীন এখন অনেক ব্যবহার করা হয়।

৩। Super AMOLED Display:
এটি AMOLED ডিসপ্লে এর আধুনিক ভার্সন। স্যামসাং গ্যালাক্সী স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করা হয়। এই ডিসপ্লে সবচাইতে হালকা ডিসপ্লে। এবং ব্যাটারীর খরচও আগের থেকে কম হয়।

আশাকরি এতটুকু জানার পর আপনাদের আর কোন সংশয় থাকবে না ডিস্প্লে নিয়ে। আমি চেষ্টা করেছি একেবারে বেসিকভাবে বুঝানোর।

 

Level 0

আমি হাসিবুল সাকি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দারুণ লিখেছেন।