
তরুন প্রজন্মের কাছে মিউজিক যেন এক অবিচ্ছেদ্য বিষয়। মিউজিক এর প্রতি অল্প ব বেশি সবাই আসক্ত। আমি ইসলামিক মিউজিক সবাইকে সাযেস্ট করবো প্রযুক্তির অপব্যবহার না করে মেটাল গান গুলো না শুনতে কারন মেটাল গান বা মিউজিক মস্তিষ্ককে অশান্তির মধ্যে ধাবিত করে। আপনি যদি মুসলিম হোন তাহলে নাশেদ বা ইসলামিক গান গুলো শুনতে পারেন। এটি সম্পূর্ণ ছিলো আমার নিজের অভিব্যক্তি শোনা বা না শোনা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যপার। প্রযুক্তি বাজার ঘুরলে আপনি বিভিন্ন দামের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন দেখতে পাবেন। বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দামের এই স্মার্টফোনগুলো তৈরি করে কেননা এর ফলে তারা বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের পণ্য পৌছে দিতে পারে। তবে যেহেতু বিভিন্ন দামে তাদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন তৈরি করতে হয় ফলে তাদের এই ব্যবসার পদ্ধতি যেন তাদের ঘাটতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেই স্মার্টফোনগুলো তৈরি করতে দাম বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরণের কম্পোনেন্ট ব্যবহার করতে হয়, এমনকি এই দামের উপর ভিত্তি করেও করতে হয় চমৎকার কিছু ফিচার সংযোজন বা বিয়োজন।
কম মূল্যের স্মার্টফোনগুলোতে বেশিরভাগ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় হচ্ছে এর ক্যামেরায় এবং র্যামে। তবে এগুলো ছাড়াও একটি বিষয়ে কম দামের স্মার্টফোনগুলো বেশ পিছিয়ে থাকে এবং তা হচ্ছে সাউন্ড কোয়ালিটি। হ্যাঁ, হয়ত আপনার কাছে এই অংশটুকু বেশ তুচ্ছ হতে পারে তবে এমনও অনেকেই আছেন বা বলা চলে বেশিরভাগ মানুষই স্মার্টফোনে গান শুনতে পছন্দ করেন।
কম মূল্যের ক্রেতাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এটি ব্যতিক্রম নয়। কম মূল্যের স্মার্টফোনগুলোতে অন্যদিকে কিছুটা ফিচার সংযোজন করতে গিয়ে বেশিরভাগ স্মার্টফোনেরই স্পিকার কোয়ালিটি এবং ভলিউম লেভেল পিছিয়ে পরে। অবশ্য, প্রতিষ্ঠানগুলোও যে নিরুপায়! তবে এত হতাশ হবারও অবশ্য কোন কারণ নেই কেননা আজ আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু উপায় শেয়ার করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার কম মূল্যের স্মার্টফোনটির সাউন্ড কোয়ালিটি এবং ভলিউম লেভেল বৃদ্ধি করতে পারবেন। চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।
এটা হয়ত না শুনতে আপনার কাছে কিছুটা অদ্ভুত লাগবে তবে আপনার প্রথমে যে ব্যাপারটি সম্পর্কে জানা উচিৎ তা হচ্ছে আপনার স্মার্টফোনের সাউন্ড সোর্স মূলত ঠিক কোন অবস্থান থেকে আসছে। অনেক স্মার্টফোনেই ডুয়াল স্পিকার গ্রিল রয়েছে তবে অনেক ক্ষেত্রেই সেটা শুধুমাত্র সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। আবার বর্তমানের কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে কিছু মাইক্রোস্কোপিক স্পিকার গ্রিল যা আপনি হয়ত খেয়ালও করবেন না, যেমন ধরুন বর্তমানের এক্সপেরিয়া ফোনগুলো। আবার এমনও দেখেছি যে স্মার্টফোনের স্পিকার গ্রিল বেশ লম্বা কিন্তু স্পিকারটি একটি পাশেই শুধু রাখা আছে। তাই প্রথমে কিছু গান প্লে করে ভালো করে শুনুন ঠিক কোন স্থান থেকে সাউন্ডটি আসছে।
যখন আপনি আপনার স্মার্টফোনের স্পিকারের প্রতিটি স্পিকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন তখন আপনি কীভাবে আপনার স্মার্টফোনটি রাখলে কিছুটা হলেও জোড়ে বা পরিষ্কার সাউন্ড পাবেন তা নিজেই বুঝতে পারবেন।
খেয়াল করুন, গেম খেলার সময় অনেকেই স্পিকারের উপর হাত রেখেই খেলে থাকেন ফলে আপনারা অনেক সময়ই গেমের সম্পুর্ন মজা পান না কেননা ভিজ্যুয়ালাইজেশন তখনই সম্পুর্ন নয় যখন তা উপযুক্ত সাউন্ডের সাথে প্রেজেন্ট করা হয়। তাই গেম খেলার সময় বা স্মার্টফোনের স্পিকারে গান শোনার সময় খেয়াল রাখুন যেন স্পিকারের উপর আপনার হাত না থাকে।
আপনার স্মার্টফোনটিতে যদি থেকে থাকে কোন প্রকার প্রোটেক্টিভ কেস বা কভার তাহলে এটি আপনার স্মার্টফোনের সাউন্ড কোয়ালিটিতে বেশ প্রভাব ফেলতে পারে। একেতো আপনার স্মার্টফোনের স্পিকার গ্রিলের উপরে থাকে স্মার্টফোনের নিজস্ব ব্যাক পার্ট তার উপর আপনি যদি এতে যুক্ত করেন একটি আলাদা কভার বা কেস তবে আপনার স্মার্টফোনের স্পিকার থেকে যে সাউন্ডের ভাইব্রেশনটা আসছে তা জায়গায় জায়গায় বাঁধা প্রাপ্ত হবে এবং ফলে আপনি আরও কম সাউন্ড পাবেন।
আমরা অনেকেই স্মার্টফোনে গান শোনার সময় নরমাল বা বেসিক সেটিংস-এ গান শুনতে থাকি। এবং এরকম যারা শুধুমাত্র গান শোনার সময় ইয়ারফোন প্লাগ ইন করে প্লেয়ারের প্লে বাটনটি চেপে গান শুনতে থাকেন তাদের অনেকেই হয়ত ইকুয়েলাইজার টার্মটির সাথে পরিচিত নন। হ্যাঁ, প্রতিটি স্মার্টফোনেই বেসিক EQ দেয়া থাকে যা আপনার স্মার্টফোনে গান শোনার অভিজ্ঞতাকে বৃদ্ধি করতে পারে অনেকটাই তবে এই ডিফল্ট EQ এর একটি সমস্যাও থাকে যা হচ্ছে এটি শুধু ডিফল্ট মিউজিক অ্যাপের সাথেই কাজ করে থাকে। তবে এক্ষেত্রেও চিন্তার কিছু কারণ নাই, কেননা আপনি প্লে স্টোরে খুঁজে পাবেন চমৎকার কিছু EQ যা আপনি যে কোন মিউজিক অ্যাপের সাথে ব্যবহার করতে পারবেন।
তাই এখনই প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারেন আপনার পছন্দসই EQ এবং এরপর গান শুনেই দেখুন। আমার বিশ্বাস আপনি যদি পূর্বে EQ ব্যবহার না করে থাকেন তবে আপনি নিশ্চয়ই হঠাৎ এই পরিবর্তনে বেশ অবাক হবেন। প্লে স্টোরে বেশ কিছু EQ রয়েছে তবে আমার পছন্দের দুটি EQ এর লিংক আমি নিচে যুক্ত করে দিচ্ছি, আপনারা ইন্সটল করে দেখতে পারেন।
ডাউনলোড লিংক – Music Volume EQ, Bass Booster।
অনেক সময় ডিফল্ট মিউজিক অ্যাপলিকেশনের মিউজিক এক্সপেরিয়েন্স হয়ে থাকে কিছুটা খারাপ, এরকমটা কেন হয় আমার সঠিক জানা নেই তবে এমন অনেক স্মার্টফোনে আমি দেখেছি যেগুলোতে ডিফল্টের পরিবর্তে অন্য কোন অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করলেই সেই স্মার্টফোনগুলো থেকে পূর্বের চাইতে ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি পাওয়া গিয়েছে। তাই আপনিও কিছু মিউজিক অ্যাপ ডাউনলোড করে দেখতে পারেন, হয়ত কাজ হয়েও যেতে পারে।
ভাবছেন সাউন্ডের সাথে রুটের কী সম্পর্ক? আছে! রুট করলে আপনার স্মার্টফোনে আপনি Viper4AndroidFX অথবা Dolby Atmos এবং এরকম আরও কিছু ফ্ল্যাশাবল জিপ আপনি ব্যবহার করতে পারবেন যে অডিও ড্রাইভারগুলো শুধুমাত্র আপনার সাউন্ড কোয়ালিটিই নয় বরং আপনার স্মার্টফোনের ভলিউম কন্ট্রোলও বৃদ্ধি করতে সক্ষম। এক কথায়, ‘একটি রুটেড ফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোনের অডিও সেকশনের উপর বেশ ভালোই কনট্রোল আনতে পারবেন।’
যদি উপরের কোন কিছুতেই আপনি ভালো ফলাফল না পেয়ে থাকেন তবে আপনি মার্কেট থেকে ভালো একটি ইয়ারফোন কিনে আনুন। বর্তমানে শাওমির কিছু হেডফোন পাওয়া যাচ্ছে প্রযুক্তি বাজারে যেগুলোর রয়েছে বেশ ভালো ইউজার রিভিউ। এছাড়াও যদি আপনার বাজেট কম হয়ে থাকে তবে Awei, iRiver, JBL, Creative ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানেরও বেশ কিছু ভালো ইয়ারফোন পাবেন আপনি, যেগুলোও চমৎকার সাউন্ড কোয়ালিটি দিয়ে থাকে।
হেডফোন ব্যবহার করার অবশ্য একটি আলাদা সুবিধা রয়েছে, সেটি হচ্ছে এমন কিছু EQ মোড বা ইফেক্ট রয়েছে যেগুলো হেডফোনেই শতভাগ উপভোগ করা সম্ভব। তাই, যদি হয়ে থাকেন মিউজিক প্রেমী তবে অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করেই দেখুন আপনার শখে। ঠকবেন না।
একটি কথা মনে রাখবেন, মিউজিক বা সাউন্ড কোয়ালিটির প্রায় সমগ্রটাই নির্ভর করে থাকে হার্ডওয়্যারের উপর তাই আপনার স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার যদি একেবারেই যাচ্ছেতাই হয়ে থাকে তবে উপরের কোন পদ্ধতিই হয়ত আপনার মিউজিক এক্সপেরিয়েন্স খুব একটা ভালো করতে পারবেনা তবে আমার বিশ্বাস কিছুটা পরিবর্তন অবশ্যই আনবে এগুলো যা আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন, আর যদি সত্যিই তাই হয়ে থাকে তবে সেখানেই আমার এই লেখাটি পাবে স্বার্থকতা। ভালো থাকবেন সবাই।
copied from http://www.zugtech.com/
আমি আফসানা মিম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।