
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ফ্রিল্যান্সিং-এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে সম্পুর্ন বিনা মূল্যে “চল করি অনলাইনে আয়” নামক একটি ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং ওয়ার্কশপের আয়োজন করে BLACK iz IT Institute । সৌভাগ্যক্রমে ক্লাস নেবার সুযোগ হয়েছিল ওয়ার্কশপটিতে । ক্লাসের বিষয় ছিল ব্লগার ও গুগল অ্যাডসেন্স । ক্লাস টি ভিডিও সহ পোস্ট করলাম । মনে রাখবেক ক্লাসটি নতুনদের জন্য সাজানো, তাই অনেক কিছুই ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।

গুগল অ্যাডসেন্স কি ? গুগল অ্যাডসেন্স এর ব্যবহার ? এবং গুগল অ্যাডসেন্স এ আয় করা সম্ভব ?
ব্লগার / ব্লগস্পট : ডোমেইন নির্বাচন, টেম্পলেট ইন্সটালেসন, টেম্পলেট এডিট
আরিকেল রাইটিং : টপিক নির্বাচন, আর্টিকেলের সাইজ ও প্লাগিজম চেক ।লেবেল, লিংক, লোকেশন
গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন: গুগল অ্যাডসেন্স, অন্যান্য ।
তাহলে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন ক্লাসের ভিডিও টি !
গুগল অ্যাডসেন্স কি ? : অ্যাডসেন্স (ইংরেজি ভাষায়: AdSense) গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশিদারী প্রকল্প যার দ্বারা ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হন। একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকের অনলাইন বিশ্বে এই বিষয়টি ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গুগল তৃতীয় পরে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ওয়েবমাস্টার এবং ব্লগের মালিকদের নিকট বন্টন করে। ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ওয়েবমাস্টাররা অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিজ্ঞাপণদাতাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ওয়েবমাস্টরদের মাধ্যমে বিতরণ করে গুগল।
গুগল অ্যাডসেন্স এর ব্যবহার ? এবং গুগল অ্যাডসেন্স এ আয় করা সম্ভব ?
গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটি Advertising program । এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। ফ্রি ওয়েব সাইট যেমন ব্লগস্পটের মাধ্যমেও গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে উপার্জন করা সম্ভব। গুগল অ্যাডসেন্স যদিও বহুদিন পূর্ব থেকেই সমগ্র বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উপার্জনের পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত।
টাকা উপার্জনের জন্য অনেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে অথবা ফ্রি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেব্যবহার করছে অ্যাডসেন্স।
গুগল অ্যাডসেন্স এর মূল প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না বুঝতে পারার কারনে অনেকের অ্যাডসেন্স একাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে তারা ঠিকই উপার্জন করছে।
মূল বিষয় হচ্ছে, গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে উপার্জন সম্ভব। শর্ত হচ্ছে, সাইটকে জনপ্রিয় করতে হবে। সাইটে প্রচুর ভিজিটর বা ট্রাফিক আশতে হবে, ভাল কন্টেন্ট তথা আর্টিকেল থাকতে হবে। ভিজিটর একবার সাইটে প্রবেশ করে পুনরায় প্রবেশ করার আগ্রহ থাকে এ ধরনের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পোস্ট করতে হবে। সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করানো এবং তাদেরকে ধরে রাখতে পারলে ভিজিটরদের একটি অংশ স্বাভাবিকভাবেই Google এর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। মনে রাখতে হবে, যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে থাকবে তত আপনার উপার্জনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন গড়ে ১০০০ ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করলে গড়ে ১০% ভিজিটর গুগলে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। এতে গড়ে প্রতিদিন ১০ ডলারের চাইতেও বেসি উপার্জন শম্ভব । অর্থাৎ মাসে ৩০০ ডলার বা ২০০০০/- টাকা উপার্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র একটি মানসন্মত ওয়েব সাইটের মাধ্যমে । একটি সাইট হতে এ ধরনের উপার্জন শুরু হয়ে গেলে ভিন্ন বিষয়ের উপর আরো সাইট আপনি তৈরি করতে পারবেন। অনলাইন উপার্জনের এক বিশাল দ্বার উন্মোচিত হবে আপনার জন্য। প্রয়োজন শুধু পরিশ্রম করার মানসিকতা।
ভাবতে পারেন, ক্লিক করলেই যেহেতু ডলার তাহলে চিন্তা কি, সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে শুধু ক্লিক আর ক্লিক.........! Google কি এতই বোকা! বিজ্ঞাপনদাতারা কি এতই বোকা! ক্লিক করলেই টাকা দিবে! না, Fake Click করলে Google তার একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। Original ক্লিক করলেই শুধু ডলার জমবে। তাহলে Original ক্লিক কোনটি, যার মাধ্যমে ডলার পাওয়া যাবে? সে কথাই আসছি, যেহেতু সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে Google বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, সেহেতু ভিজিটর যদি সাইটের contents দেখার পাশাপাশি গুগল অ্যাড এ ক্লিক করে উক্ত বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে (এক্ষেত্রে ভিজিটর কিন্তু fake ক্লিক করেনি, বরং তার নিজস্ব আগ্রহে উক্ত বিজ্ঞাপন দাতার সাইটে প্রবেশ করেছে) তবেই হবে Original ক্লিক। এ ধরনের স্বাভাবিক ক্লিক করলেই আপনার উপার্জন হবে। Google তার অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামের জন্য এমন টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যে কেও fake ক্লিক করলে তা ধরে ফেলতে সক্ষম। অতএব, এ ধরনের অসাধু চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, Google Adsense একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা। এর পুঁজি হচ্ছে, আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা ও সঠিকভাবে তার ব্যবহার। নগদ মূলধন বলতে শুধুমাত্র একটি পিসি আর ডোমেইন/হোস্টিং এর জন্য মাত্র ২/৩ হাজার টাকা। সঠিকভাবে ব্লগিং করতে পারলে, পর্যাপ্ত ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করাতে পারলে মাসে হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভব-এটা কল্পনা নয়, বাস্তব।
ব্লগিং করার জন্য অনেক গুলো প্লাটফর্ম রয়েছে । সেগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলো হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগস্পট, দ্রুপাল । কিন্তু সব থেকে সহজে আপনি যদি একটি ব্লগ তৈরী করতে চান তবে ব্লগস্পট এর বিকল্প নাই । ব্লগস্পট সম্পূর্ণ ভাবে গুগল থেকে পরিচালিত, আর গুগল যে প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ করছে সেটি যে ভালো হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্লগস্পট সম্পূর্ণ একটি ফ্রি ব্লগ তৈরির সাইট। ব্লগস্পট গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য খুবই ভালো।
সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু আপনার হয়তোবা মনে হতে পারে সাইট এর এই ডোমেইন নামের সাথে ব্লগস্পট blogspot.com আপনার ভালো লাগছে না । এটা কোনো সমস্যা না , আপনি চাইলে আপনার সাইট এর জন্য ফ্রী কোনো ডোমেইন অথবা কেনা ডোমেইন সেটআপ করে নিতে পারবেন । তাহলে এবার চলুন ভিডিও টি দেখে Blogspot এ ব্লগ বানানোটা সিখেনিন ।
সর্বশেষে BLACK iz IT Institute কে ধন্যবাদ জানাই, এমন একটি প্রোগ্রামে ক্লাস নেবার সুযোগ করে দেবার জন্য । আর আমার এই টিউনে কোন ভুলভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা করে দিবেন আসা করছি ।
আমি ইমতিয়াজ বিন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Amar blogger e ekta blog ace. Tobe eta bangla. Ami ota te regular post kori ebong ota ke jonopriyo korar cesta korci. Kintu bangla blog hoyate ami naki adsense pabo na. Ami ki korte pari ekhon?